

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের ওয়াশপিটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লোকাল ট্রেনের বগিতে নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ৩ সদস্যের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা ও সাহসী পদক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রেলস্টেশনে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ময়মনসিংহ কার্যালয়ের ইনচার্জ ‘‘মো. সিরাজুল ইসলাম” তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, আগুন লাগার বিষয়টি টের পেয়ে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা দেখেন, বগির কয়েকটি সিটে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। কোনো সরঞ্জাম হাতে না পেয়ে দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের শরীরে থাকা জ্যাকেট খুলে ওয়াশপিটের নিচে জমে থাকা পানিতে ভিজিয়ে ফেলেন। এরপর সেই ভেজা জ্যাকেট দিয়েই আগুনের ওপর জাপটে ধরে তা নেভাতে সমর্থ হন।
আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই দ্রুততার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন আরএনবির সদস্যরা। এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দিলেও অন্ধকারে তারা পালিয়ে যায়। আগুন নেভানোর পর দেখা যায়, একটি বগির কয়েকটি সিটের অংশবিশেষ পুড়ে গেছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, অন্যান্য আরও কয়েকটি সিটে গান পাউডার জাতীয় মিশ্রণ ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুত আগুন ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এগুলোতে পেট্রোল জাতীয় তরল পদার্থ ঢালা হয়েছিল।
স্টেশন সুপার আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, আরএনবির তাৎক্ষণিক সাহসী ভূমিকার ফলেই দুর্বৃত্তদের সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা পার্শ্ববর্তী কোচ, ট্রেনের ইঞ্জিন এবং প্ল্যাটফর্মের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারত। তিনি আরও বলেন, প্ল্যাটফর্মের বাইরের অংশে জারিয়া লোকাল ট্রেনের কোচগুলো ধোয়ামোছার জন্য ওয়াশপিটে দাঁড় করানো ছিল। রাতে নাশকতার উদ্দেশ্যে একদল দুর্বৃত্ত অপকৌশলে গানপাউডার এবং পেট্রোল ব্যবহার করে ট্রেনে আগুন দেয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন


রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি:
চাঁদপুরে কৃষিই সমৃদ্ধি এই শ্লোগানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ সার ও অর্থ বিতরণ। চাঁদপুরে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে খরিপ-২ মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে শীতকালীন হাইব্রিড শাকসবজির বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা এবং প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি ফসলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
'কৃষিই সমৃদ্ধি' এই শ্লোগানে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে বুধবার দুপুরে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৭শ' কৃষকদের মাঝে শীতকালীন সবজি বীজ ও ১ হাজার টাকা এবং ৯৭০ জন কৃষকদের মাঝে রবি ফসল (গম, ভুট্টা, সূর্যমুখি, চিনা বাদাম সয়াবিন, পেয়াজ, মসুর)-এর বীজ বিতরণ করা হয়। চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন রায় সুবিধাভোগী কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন,
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। তাই কৃষি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধি করে তোলার চেষ্টা করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মকবুল হোসেন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, সুমি আক্তার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন ও সাদিকা বেগম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে রৌমারী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজীবপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সবুজ মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার বদরপুর গ্রামের মৃত জিয়ারুল হকের ছেলে রাসেল মিয়া (২২)
রৌমারী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং শুক্রবার দুপুরে যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি এলাকায় বেলাল হোসেনের বাড়ীর পাশে রাস্তার ধারে রেখে দেওয়া একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। মোটরসাইকেল মালিক কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আবু সাইদ বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পরপরই রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম মালিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চোরদের গতিবিধি শনাক্ত করেন। পরে এসআই তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে ১৮ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টায় ময়মনসিংহের ভালুকা থানার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে রৌমারী থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় আরও দুইজন পলাতক রয়েছে—রাজীবপুর উপজেলার ইনছান আলীর ছেলে তারেক রহমান (৪০) এবং বদরপুর উত্তরপাড়া আশ্রয়কেন্দ্র এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০)।
মোটরসাইকেল মালিক আবু সাইদ বলেন,
“রৌমারী থানা পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতা দেখিয়েছে। চুরির এক মাসের মধ্যেই চোরদের গ্রেপ্তারসহ আমার মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। পুলিশের এই উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসা করিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানা পুলিশ জানিয়েছেন যে কোন ঘটনা হলে আমাদেরকে তৎক্ষণাৎ জানাবেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১৮ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। মাদক সরবরাহ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করেছে পুলিশ। আটককৃত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার লেশিয়ারা গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে।
শনিবার (১২ অক্টোবর ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায় ভাই ভাই মৎস্য খামারের সামনে এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, এসআই (নিরস্ত্র) “মোঃ আব্দুল হামিদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানার বিভিন্ন এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছিলেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, মুরাদনগর দিক থেকে একটি সাদা রঙের টয়োটা প্রাইভেট কারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা হোমনার দিকে আসছে। খবর পেয়ে পুলিশ কাশিপুর এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে। বিকেল ৫টার দিকে সন্দেহজনক প্রাইভেট কারটি থামানোর সংকেত দিলে গাড়ি থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে ধাওয়া করে আটক করে।
পরে প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে পিছনের ব্যাকডালার ভেতরে সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় খাকি স্কচটেপে মোড়ানো ১৮টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ১ কেজি করে মোট ১৮ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এছাড়াও ঢাকা মেট্রো-গ-১২-৫৮৪১ নম্বরের প্রাইভেট কারটিও জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হোমনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণি ১৯(গ)/৩৮ ধারায় মামলা (নং-০১, তারিখ: ১২/১০/২০২৫ ইং) দায়ের করা হয়েছে বলে হোমনা থানা পুলিশ জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন


লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীতে ছাত্রীকে
প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রীর মাকে নিয়ে আলামিন নামে এক গৃহশিক্ষক পালিয়েছেন
বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত চার দিন থেকে তাদের খোঁজ পাচ্ছেন
না পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারীর স্বামী অমল ভুইমালি।
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আদিতমারী
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত
করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) উপজেলার
পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আলামিন উপজেলার পলাশী
ইউনিয়নের মদনপুর সবজি বাজার এলাকার ওসমান আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অমল ভুইমালির
দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকন্যা অপর্না রায় অনুরাধাকে প্রাইভেট পড়াতেন আলামিন।
একপর্যায়ে অমল ভুইমালির স্ত্রী কাকলি রানীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই
শিক্ষক। বিষয়টি টের পেয়ে অমল ভুইমালি সপ্তাহ দুই আগে ওই শিক্ষককে তার মেয়েকে পড়াতে
নিষেধ করে দেন। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কাকলি রানীকে নিয়ে পালিয়ে যান গৃহশিক্ষক
আলামিন।
অমল ভুইমালি জানান, আমার স্ত্রীকে নিয়ে
গৃহশিক্ষক আলামিন পালিয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি গরিব মানুষ। পুলিশ চার দিনেও
আমাকে কোনো সহযোগিতা করল না। শিশুটিকে নিয়ে বিপাকে আছি।
আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান,
এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ওই গৃহশিক্ষককে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


মুকুল বসু বোয়ালমারী প্রতিনিধি:
সম্প্রতি দেশকে অস্থিতিশীল ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ওয়াপদা মোড়স্থ বিএনপি কার্যালয় হতে ফরিদপুর ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ভিপি সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু’র নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর সদর বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, জামায়াত-শিবির, এনসিপি ও আওয়ামী দোসররা এদেশে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের আশায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আর ব্যক্তি নৈরাজ্যের দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ঘাড়ে। একটি ব্যবসায়িক মহলের আন্তঃকোন্দলকে পুঁজি করে নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে যে সমস্ত কটুক্তিমূলক মন্তব্য করা হচ্ছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জামায়াত ও এনসিপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে গণতন্ত্রকামী জনগণ কখনোই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় মেনে নিবে না। সুতরাং আপনারা আগের নিজেদের চরিত্র ঠিক করেন। আপনাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পুনরাজ্জীবিত করার বাসনা কখনোই বিএনপি এদেশে বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবু, উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব, নাজিম উদ্দিন মিয়া মিলু, পৌর বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, সাবেক জিএস ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, পৌর বিএনপির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কালামিয়া, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মিনাজুর রহমান লিপন, সাবেক কাউন্সিলর শেখ আজিজুল হক, সাবেক কাউন্সিলর মো. ফরিদ আহমেদ, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য গোলাম রসূল বিশ্বাস, মো. আলম শেখ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুব হাসান সজিব, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাদমান পাপ্পু, জুয়েল, সাব্বির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বর্ণাঢ্য
আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে
বেলুন উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়।
র্যালিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক ও ক্যাম্পাস
প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়,
পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার
আলী। কেক কাটার পর বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, মাননীয় ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এম শরীফুল করীম।
সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মিশন নিয়ে এসেছি। আমার মিশন হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত রেখে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে যা দরকার তা বাস্তবায়ন করা। আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকবে না, গবেষণা হবে তাদের প্রধান মাপকাঠি। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৩জনের মধ্যে ১০১জন শিক্ষকের প্রোফাইল ব্ল্যাঙ্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাজ শুধু পড়াশোনা করানো নয়। তাই আমরা সকলেই পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গিকার করি।'
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘আজকে এখানে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণ করছে, আমি স্মৃতিচারণের দিকে যাব না। আমি একজন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনের পর এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন হয়েছে। আজকে এই দিনটি দেখার জন্য আমাদের আব্দুল কাইয়ুমের জীবন গেছে এবং আরো অনেকই আহত হয়েছেন। এখন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হচ্ছে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'এবারের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের মনে বিশেষ এক অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। এই অনুভূতির জন্য আমাদেরকে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজকের এই দিনে আসতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের ত্যাগকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেই সাথে আমি প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের একটাই অঙ্গীকার হোক, আমরা সকলেই একে অপরের সহিত মিলেমিশে, কোনো বিভাজন না করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। মনে রাখবেন আপনার সন্তান যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রথম চয়েস না রাখে তাহলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা। তাই চলুন একসাথে কাজ করি, একসাথে এগিয়ে যাই।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'শুরুর দিক থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তবে গত ১৫-১৬ বছর তো আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম, সে ইতিহাস আর কী বলব। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমাদের পক্ষে মাত্র চারটি ভোট পড়তো। সবাই আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করতো, এমনকি পত্র-পত্রিকায়ও এটা নিয়ে লেখা হতো।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এক ঐতিহ্যের ইতিহাস। শুরুতে আমাদের কিছুই ছিল না, বিগত ১৯ বছরে আমাদের ইতিহাস হয়েছে, গৌরব হয়েছে। আমরা পনেরোজন শিক্ষক শুরু করেছিলাম, কারো পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। এখন প্রতিমাসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা অনেক অবহেলার শিকার হয়েছি। আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একটা নতুন মাইলফলক গড়তে চাই।'
অনুষ্ঠানে
আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন
হলের প্রভোস্টগণ সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনুকে সভাপতি ও অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ২০২৫-২০২৭ বর্ষের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সাথে ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা ক্লাবে আয়োজিত বাপা কুমিল্লার বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ এ দুটি কমিটি ঘোষণা করলে উপস্থিত সভায় করতালি দিয়ে সমর্থন প্রদান করেন।
বাপা কুমিল্লার নব গঠিত উপদেষ্টা কমিটির মধ্যে রয়েছেন ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, ডা. ইকবাল আনোয়ার ও আলহাজ্ব শাহ মো আলমগীর খান।
নব গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, সভাপতি বদরুল হুদা জেনু, সহ সভাপতি, অধ্যাপক আবদুল মতিন সৈকত,ডা.গোলাম শাহজাহান,রোকেয়া বেগম শেফালী ও এড.শামিমা আক্তার জাহান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহাজাদা এমরান,আইরিন মুক্তা অধিকারী,অচিন্ত দাস টিটু কোষাধ্যক্ষ মাহমুদা আক্তার,নির্বাহী সদস্য, আলী আকবর মাসুম,খায়রুল আহসান মানিক,অশোক বড়ুয়া,গাজিউল সোহাগ,রেজবাউল হক রানা,আবদুল্লাহ আল মাহবুব শিশির , শাকিলা জামান, রফিকুল ইসলাম সোহেল, তানভীর দীপু, দেলোয়ার হোসেন টুটুল ও ডি এম রিয়াদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় কুমিল্লা ক্লাবের ক্যাফেটেরিয়ায় বাপা কুমিল্লার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুমের সঞ্চালনায় সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওই সভা হয়। সভায় বাপার গত দশ বছরের কার্যক্রম লিখিত ভাবে অবহিত করেন সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম। সভায় আগামী দিনে বাপার কার্যক্রম গতিশীল করার তাগিদ দেওয়া হয়।
সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন, ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, আলহাজ্ব শাহ মো আলমগীর খান, বদরুল হুদা জেনু, মতিন সৈকত,ডা.গোলাম শাহজাহান, এড.শামিমা আক্তার জাহান, হুমায়ুন কবীর মাসউদ, শাহাজাদা এমরান, অচিন্ত দাস টিটু, মাহমুদা আক্তার, আলী আকবর মাসুম,অশোক বড়ুয়া,রেজবাউল হক রানা,আবদুল্লাহ আল মাহবুব শিশির , মামুন, রফিকুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬১০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে ধ্বংস করা হয়েছে শতবর্ষী ২টি পুকুর ও ২২ একর প্রাকৃতিক জলাশয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও পলাতক, হত্যা মামলার আসামী আবু জাহের রাতের আঁধারে গোমতী নদীর মাটি কেটে এই জলাধার ও পুকুর ভরাট করেন—যা পরিবেশ আইন ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
আইনের অপমান
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, খাল, নদী কিংবা প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু কারাগারের অভ্যন্তরের পুকুরসহ ২২ একর জলাশয় বুলডোজারের নিচে চাপা পড়েছে নিরব প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে।
ঐতিহাসিক জলাধার, আজ শুধু স্মৃতি
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬৭ একর জমির মধ্যে দুটি পুকুর ও একটি ২২ একরের বিশাল জলাশয় রয়েছে। একসময় এ জলাশয়ে হাজারো অতিথি পাখির সমাগম হতো। পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছিল। এসব পুকুরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দও গোসল করেছিলেন—স্মৃতি হিসেবে সেই ছবিও সংরক্ষিত আছে।
কিন্তু এখন সেই পুকুরগুলোর দুটি সম্পূর্ণভাবে ভরাট, অপরটি আংশিকভাবে ভরাটের প্রক্রিয়ায়। আর বিশাল জলাশয়টি রাতারাতি মাটি ফেলে সমতল করা হয়েছে।সেখানে গড়ে উঠেছে দশতলা চারটি ভবন।
ক্ষমতার ছত্রছায়ায় কাজ
সূত্র মতে, কারাগারের এই উন্নয়ন কাজটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাব খাটিয়ে সাবেক এমপি আবু জাহের ও তার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জলাধার ভরাটের ঠিকাদার ছিলেন আবু জাহের নিজেই। অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের অধিকাংশ অর্থাৎ কোটি কোটি টাকার কাজ তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখলে রেখেছেন।অধিকাংশ কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর নির্লিপ্ত?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুসাব্বির হোসেন মোহাম্মদ রাজিব জানান, “আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ পর্যন্ত গিয়েছে। কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত আছে, তবে তারা আমাদের অনুমতি না নিয়েই জলাশয় ভরাট করেছে।”
গণপূর্ত বিভাগ দায় এড়ালো
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্পটি তাদের তত্ত্বাবধানে হলেও জলাধার ভরাটের বিষয়ে তিনি বলেন,খতিয়ান নাল জমি উল্লেখ আছে। “পুকুর ভরাটের জায়গার কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে, তবে কারা কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।”
কর্তৃপক্ষের নীরবতা
সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে রিজার্ভ গার্ডের প্রধান কারারক্ষী জানান, তিনি ব্যস্ত। পরে তাঁর সরকারি নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একইভাবে জেলার আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নম্বরেও যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি।
এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষার দাবিতে পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন


চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় হৃদয়বিদারক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে তাসনুবা তাবাস্সুম (৩) নামের এক শিশুকন্যা। এ ঘটনায় শিশুটির চাচী সাথী আক্তার (২৩) কে আটক করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের পানচাইল গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
শিশুটির স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওইদিন সকালে তাবাস্সুম খেলার ছলে তার চাচা রিপন পাটোয়ারীর বাড়ির রান্নাঘরে যায়। সেখানে চাচী সাথী আক্তারের অসাবধানতায় গরম ভাত ও ফ্যানের পানিতে পড়ে তার শরীর দগ্ধ হয়। এসময় ব্যথায় চিৎকার করলে সাথী আক্তার শিশুটির গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে বিষয়টি আড়াল করতে প্রথমে মরদেহ একটি বস্তায় ভরে সোকেসে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর সিলভারের পাতিলে ঢেকে কারবাসে রাখা হয়। কিন্তু পরদিন দুর্গন্ধ ও রক্ত পড়ে থাকতে দেখে রিপন পাটোয়ারীর সন্দেহ হয়। কারবাস খুলে ভাতিজির মরদেহ দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার করেন এবং পরিবারের অন্যদের জানান। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে সাথী আক্তার মরদেহটি পুকুরে ফেলে দেন। বৃহস্পতিবার রাতে এলাকাবাসী বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন এবং আসামি সাথী আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, “ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
এদিকে শিশুর পিতা রুবেল মিয়া জানান, তার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় তিনি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এফআইআর নং–৫, তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫। অপরিণত বয়সে নিষ্ঠুরভাবে প্রাণ হারানো তাবাস্সুমের মৃত্যুতে পরিবার ও পুরো গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকাবাসী বলছেন- এমন নির্মমতার বিচার হতেই হবে।
মন্তব্য করুন


নাটোরের লালপুরে বিশেষ অভিযানে হ্যাকিংয়ে জড়িত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ ২০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় ২টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলা পুলিশের নেতৃত্বে র্যাব, আর্মড পুলিশ ও লালপুর থানা পুলিশের একটি দল গতকাল শনিবার(৮ নভেম্বরে ) সকাল থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর চরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারসহ হ্যাকিং ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ ২০ জনকে আটক করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী আরআরএফ অতিরিক্ত ডিআইজি “দীন মোহাম্মদ”, নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, নাটোর সদর সার্কেল মাহমুদা আক্তার নেলি, বড়াই গ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন চন্দ্র হোড়, সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নূর মোহাম্মদ, ডিবি পুলিশের (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ, লালপুর থানার (ওসি) রফিকুল ইসলাম, সিংড়া থানার ওসি মমিনুজ্জামান। এ সময় পদ্মা নদীর চরের মধ্যে একটি ঝুপড়ি ঘর থেকে ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি রিভলবারসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) “মো. রফিকুল ইসলাম” বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পদ্মা নদীর চরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লালপুর থানায় পৃথক ৩টি মামলা শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন