কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক
মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় ৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ বৌয়ারা বাজার বিওপি এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮৫/২-এস
হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সূর্যনগর নামক স্থান হতে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস
ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি
বিশ লক্ষ) টাকা।
মন্তব্য করুন
ঈদ উপলক্ষে কুমিল্লা বিসিকে (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন) উৎপাদিত সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুরসহ ২০-২২টি জেলায় যাচ্ছে।
সূত্রমতে, কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল,মেট্রো কনফেকশনারি, খন্দকার ফুড ও মক্কা কনজুমার এন্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন হয়ে থাকে। কারখানা গুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামে দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়।
কুমিল্লা বিসিকের কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মেশিনে গর গর শব্দে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর সেটা উনুনে ভাজা হয়। ঈদ বাজারের চাহিদা মেটাতে দ্রুত প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। ঘণ্টায় একজন শ্রমিক দুই থেকে আড়াইশ’ প্যাকেট করছেন। কেউ প্যাাকেট, কেউ ওজন, কেউ মুখ লাগানোর কাজ করছেন। কেউ কার্টনে সেমাই ভরছেন।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের সেমাই কারখানার সুপারভাইজার মো. মহসীন, শ্রমিক ফজলে রাব্বী ও হালিমা আক্তার বলেছেন, ঈদের অল্প কয়েকদিন বাকি। এখন বাজারে সেমাইয়ের চাহিদা রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে।
নগরীর কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী টিপু সুলতান বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাইয়ের সুনাম রয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও ভালো।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের পরিচালক সৈয়দ গোলাম কাদের তানিন বলেছেন, আমরা ৩ দশক ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। এখানে সেমাই তৈরিতে কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা হয় না। আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর, কুলসুম নামে এবং লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি। চরাঞ্চলে বাংলা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি।
বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম মো. মুনতাসির মামুন বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনে সুনাম রয়েছে। তার একটি সেমাই। এখানে উৎপাদিত সেমাই ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এখানের সেমাই মান সম্মত। মান রক্ষায় আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে কোরবানির পর পশুর মাংস হাড় কাটতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এছাড়া দুপুরে একটা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা বেশিরভাগই যুবক। শখের বশে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে তারা আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজন পেশাদার কসাইরাও আছেন।
আহতরা বলছেন, মাংস কাটাকাটিতে অনভিজ্ঞ হওয়ায় হাত পা কেটেছে তাদের। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার ধনপুর ইমরান আহমেদ আহমেদ বলেন, ঈদের খুশিতে বাড়ির সবাই মিলে কোরবানি দেই। তারপর মাংস কাটার সময় পিছলে আমার আঙুলে লাগে। প্রথমে টের পাইনি, পরে দেখি রক্ত ঝরছে। হাসপাতালে আসার পর তিনটি সেলাই দিয়েছে।
সদর উপজেলার ভুবনঘর এলাকার চল্লিশোর্ধ্ব কাশেম তালুকদার গরুর হাড় কাটতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন হাতের কব্জিতে। তিনি বলেন, আল্লাহ বাঁচিয়েছে- আরেকটু জোরে লাগলে আমার হাতের কব্জি হয়তো আলাদা হয়ে যেত। জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
টিক্কার চর এলাকা থেকে আসা মো. রাসেল বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়া মাংস কাটতে গেলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটবেই। কারণ মাংস কাটাকাটির সময় ছুরি বা চাপাতি পিছলে যায়। তাই অভিজ্ঞতা ছাড়া এ কাজে না আসাই ভালো।
ঝাউতলা থেকে আসা পেশাদার কসাই জাহঙ্গীর আলম বলেন, হাড্ডি কোপাতে গিয়ে আমার পায়ে চাপাতি লেগেছে। সদর হাসপাতালে রাখেনি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. জোবায়ের জানান, আহত যারা এসেছেন তারা বেশিরভাগই একদিনের জন্য মাংস কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবারই প্রায় হাতের আঙুলে ও পায়ে আঘাত। শনিবার ঈদের দিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমরা অন্তত ২০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। গুরুতর আহত যারা তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বন্যায় চারদিক যখন ডুবন্ত তখন এক অসহায় অন্তঃসত্ত্বাকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী কাতরাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফেনী জেলার ফুলগাজী থেকে তাকে উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টার।
পোস্টে বলা হয়েছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের অধীন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ত্রাণ বিতরণে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।
ওই নারীকে সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টারে করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পোস্টটিতে
সবশেষে বলা হয় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে আছে এবং তাদের সহায়তা
এবং উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের পাতড্ডা, কালিকসার মাদরাসা রাস্তার মাথা এলাকায় ২৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।
এ সময় মাদক পরিবহনকাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
পাওনা টাকা নিয়ে সালিশি বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত
হয়েছে আরও ৩ জন। একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার
(১০ অক্টোবর) রাতে জেলার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর বাজারে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত
রাজিব হোসেন উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে।
আহতরা
হলেন, নবীপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আক্তার হোসেন (৩০)
ও জসিম উদ্দিন(৫৫)। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল
থেকে মারুফ (১৯) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক মারুফ উপজেলার
যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
আহত
আক্তার হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া জানান, তার ননদ নিলুফা বেগম উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের
শিড়িনা বেগমের থেকে ১০ হাজার টাকা ধার আনেন। ধারের টাকা দিতে না পারায় এই টাকার জন্য
বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। পাওনা টাকা জন্য গতকাল (বৃহস্পতিবার)
রাতে তার ননদ ও স্বামীকে তুলে নেয়ার জন্য শিড়িন ৮/১০ জনের একটি বখাটে দল নিয়ে আমার
শ্বশুর বাড়িতে আসে। এসময় আমাদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার
জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে নবীপুর বাজারে কামাল মাষ্টারের অফিসে সালিশ বৈঠক বসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সালিশ চলাকালে অফিসের বাইরে শিড়িনা বেগমের সাথে আসা মারুফ, মারফতসহ কয়েকজন রাবেয়া বেগমকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এসময় রাবেয়ার স্বামীর বন্ধু রাজিব রাবেয়াকে উঠাতে গেলে মারুফ, মারফত, কোমর থেকে ছুরি বের করে রাজিবের বুকে ও শরীরে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এসময় রাজিবকে বাঁচাতে আসলে তার বন্ধু আক্তার হোসেন ও তার বাবা মোজাফ্ফর এবং কাকা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা মারুফ নামের একজন হামলাকারী আটক করে এবং আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ
বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, হত্যার ঘটনায় একজনকে
আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লা মহেশাঙ্গণ শ্রী শ্রী লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক হারাধন ভৌমিক ও কুমিল্লা সরকারি কলেজের প্রাক্তন ভিপি চিত্তরঞ্জন ভৌমিক এর গর্ভধারিনী মাতা এবং চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলার আবুতোরাবস্থিত শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম, শিব মন্দির ও কালীমাতা বিগ্রহ বাড়ী পরিচালনা পরিষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা স্বর্গীয় গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিক এর সহধর্মিণী এবং শ্রী শ্রী মা নয়নমণি শ্রীধাম পরিচালনা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী মিহির কান্তি নাথের শাশুড়ী মাতা স্বর্গীয় কিরণ বালা ভৌমিক এর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মৃতার নিজ বাসায় শ্রাদ্ধকার্য অনুষ্ঠিত হয়।
তদুপলক্ষে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে পরদিন শুক্রবার দুপুরবেলা কুমিল্লা মহেশাঙ্গণে শাকান্নভোজ এর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ যে, চলতি বছর ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রয়াত কিরণ বালা ভৌমিক বার্ধক্যজনিত কারণে ইহলোকের মায়ামমতা ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন। তিনি মৃত্যুকালে হারাধন ভৌমিক, চিত্তরঞ্জন ভৌমিক, অমূল্য ধন ভৌমিক, পূর্ণধন ভৌমিক, জর্নাধন ভৌমিককে ০৫ (পাঁচ) পুত্র এবং বর্ণানী ভৌমিক ও জয়ন্ত ভৌমিককে (০২) দুই কন্যা, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনি ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে ৫ জন নিহত হওয়া রিলাক্স পরিবহনের পলাতক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) রাত ২টা ৪৫ মিনিটে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা মোতাবেক মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রিলাক্স পরিবহনের পলাতক ড্রাইভার তারেক হোসেনকে তার নিজ বাড়ী লক্ষীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: লক্ষীপুর জেলার
লক্ষীপুর সদর থানাধীন
পশ্চিম লক্ষীপুর এলাকার
তারেক হোসেন (৩৩)।
উল্লেখ্য, রিলাক্স পরিবহনটি গত ১৭ মে ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ১২ টা ৪০ মিনিটে ঢাকার আরামবাগ হতে চট্রগ্রাম জেলার উদ্দেশ্য রওনা করে। সকাল অনুমান ৬ টায় কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোডে হোটেল শাহজাহানে রিলাক্স পরিবহন বাসটি ২০/২৫ মিনিটের যাত্রা বিরতির পর চট্রগ্রাম জেলার উদ্দেশ্য পুনরায় রওনা করে এবং মিয়াবাজার হাইওয়ে থানাধীন চৌদ্দগ্রাম এর বসন্তপুর নামক স্থানে রিলাক্স পরিবহন (যার রেজিষ্ট্রেশন নং যশোর-ব-১১-০২৫১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার বাম পাশে বাশঝাড়ে নামিয়ে দিলে গাড়িটি বাম দিকে কাত হয়ে পড়ে এবং গাড়ির নিচে চাপা পড়ে গাড়িতে থাকা ১ জন সুপারভাইজার ১ জন হেলপার সহ সর্বমোট ৫ জন নিহত হয়। রিলাক্স পরিবহন বাসটি চট্রগ্রামে পৌছানোর সময় ছিল সকাল ৭টার মধ্যে। নিহত ৫ জনের নাম ঠিকানা হল- ১। বদরুল হাসান (২৬), পিতা- নুরুল আবছার, থানা- বাঁশখালী, চট্রগ্রাম ২। নাছির উদ্দিন পলাশ (৪০), পিতা- মৃত- মোখলেছুর রহমান, সাং শাহাপুর থানা- চাটখিল, নোয়াখালী ৩। মোহাম্মদ হোসেন,পিতা মৃত- মতিউর রহমান, সাং- কচু বুনিয়া থানা- টেকনাগ কক্সবাজার ৪। আবু তাহের খোকন (হেলপার), পিতা- লাল মিয়া, সাং- পশ্চিম লক্ষীপুর পোস্ট- দালাল বাজার থানা - জেলা- লক্ষীপুর ৫। মাদুদ (২১) (সুপারভাইজার) পিতা- সুলতান মিয়া সাং- চন্ডি মন্ডপ, পোস্ট- ছেচুয়া বাজার থানা - মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে লক্ষ্যে আসামী রিলাক্স পরিবহনের ড্রাইভার তারেক হোসেন (৩৩)কে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
মন্তব্য করুন
ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এসোসিয়েশন অব ইউনির্ভাসিটিজ অব এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক এর আয়োজনে গত ৮ ও ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় আন্তার্জাতিক ইংলিশ স্টুডেন্ট ডিবেট কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয় ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন।
কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মনির হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো: আরাফাত কবির, তাফহিমুল ইসলাম স্বপ্ন এবং মাহির তাজওয়ার আকাশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ফিলিপাইনে পদার্পন করেন। প্রথমবার অংশগ্রহন করেই নামকরা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে লড়াই করে সেরা পাঁচ-এ অবস্থান করে নেন কুমিল্লার সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইনালে শেষ পর্যন্ত ৩য় রানার আপের গৌরব অর্জন করেন টিম-সিসিএন।
বুধবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন ফিলিপাইনের রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ফার্স্ট রানার আপ ফিলিপাইনের ভিসায়াস স্টেট ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় রানার আপ বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩য় রানার আপ কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কুমিল্লার সবুজে ঘেরা কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অর্জনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভাকাঙ্খীরা আনন্দিন, উচ্ছ্বসিত। বিশ্ব জয় করার এ যেন অনন্য প্রেরণা।
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী অনুভূতি ব্যাক্ত করে জানান, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাসে পাঠদান করে আসছি। ফিলিপাইনে আমাদের বিতার্কিক টিমটির আজকের অর্জিত সফলতা তারই অংশ বিশেষ। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মানের বেশ কয়েকটি সেমিনার করে থাকি এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। সর্বোপরি আমরা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণামূলক করে একাডেমিক সিলেবাস সাজিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন-আজকের অর্জন অনাগত দিনে বিশ্বপরিমন্ডলে সিসিএন-এর বিচরণ বৃদ্ধি পাবে, সফলতার ঝুলি আরও পূর্ণ হবে। আমাদের স্বপ্ন আকাশ সমান। সিসিএন-ইউএসটি ডিবেট টিম সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষত তিনজন বিতার্কিক নিহাদ, স্বপ্ন ও আকাশের প্রতি আমাদের অশেষ শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে মিনি পিকআপে
করে মাদক পরিবহনকালে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১
সিপিসি-২।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন
চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে
মিনি পিকআপের পিছনে মাছ রাখার ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। মোঃ
দিপু , ২। কামরুল ইসলাম , ৩। মোঃ ছুটন মিয়া , ৪। শিপন এবং ৫। মোঃ মাহফুজ নামের পাঁচজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি পিকআপ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ দিপু
(২৭) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার কাইয়ুমপুর গ্রামের আইয়ুব খান এর ছেলে; ২। কামরুল ইসলাম
(৩০) কুলনা পাথর গ্রামের মৃত জামাল হোসেন এর ছেলে; ৩। মোঃ ছুটন মিয়া (৩০) কামালপুর
গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর ছেলে; ৪। শিপন (৩০) নোয়াগাঁ গ্রামের টুনু মিয়া এর ছেলে
এবং ৫। মোঃ মাহফুজ (২৪) কামালপুর গ্রামের বাছির মিয়া এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর
সহযোগিতায় জেলা ক্রীড়া অফিস কুমিল্লার ব্যবস্থাপনায় কুমিল্লা জেলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘স্পোর্টস
ফর ডেভেলপমেন্ট’ -ডে অবজারভেশন প্রোগ্রাম এবং বালিকাদের ৩ দিন ব্যাপী কাবাডি
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন।
আজ বুধবার (১৪ মে) বিকেলে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায়
ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ৩দিনব্যাপী কাবাডি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন
অতিথিরা।
কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য কাজী গোলাম কিবরিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সহকারী ক্রীড়া কর্মকর্তা মোঃ সায়েম মিয়া, সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন, হকির জাতীয় পর্যায়ের সাবেক খেলোয়াড় মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় জহিরুল হক, অ্যাথলেট সাফিয়া শেলী, ইউনিসেফ বাংলাদেশ কুমিল্লার কমিউনিটি ফ্যাসিলিলেটর সহ খেলোয়াড়, কোচ এবং কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্র জানান, ইউনিসেফ বাংলাদেশ
শিশু সুরক্ষায় কিভাবে ভূমিকা রাখছে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে বিভিন্ন ক্রীড়া
কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। ভবিষ্যতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়নে আরো কর্মকান্ড বাড়ালে
তৃনমূলের খেলাধুলার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদকাশক্তি থেকে দূরে থাকা, মোবাইল আশক্তি দূর
হওয়াসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সবল জাতি গঠনে সহসয়ক হবে।
উদ্বোধন শেষে ৩ দিন ব্যাপী বালিকাদের কাবাডি প্রশিক্ষণে শুরু
হয়। শিক্ষণে ২০ জন বালিকা কাবাডি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন