মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মতিগঞ্জ লইয়ারকুল ব্রিজ এলাকায় আজ বুধবার (১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নোহা ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে একজন নিহত এবং দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. গফুর শেখ (৪২)। তিনি শ্রীমঙ্গল শহরের মুসলিমবাগ এলাকার বাসিন্দা এবং একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত তানভীর হোসেন জনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে প্রেরণ করা হয়। অপর আহত অজয় সিং বর্তমানে মৌলভীবাজারের লাইফ লাইন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন
দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি হলো একটি নোহা (ঢাকা মেট্রো চ ৫১-৭৩৫০) এবং একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ ১১-৯৩৯৫)। মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনায় জড়িত সবাই শ্রীমঙ্গল শহরের ব্যবসায়ী। এদিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও হাইওয়ে থানার ওসি মো: সাইফুর রহমান জানান খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই । আহতদের নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় একজন নিহত হন। বাকি দুজনকে সাময়িক চিকিৎসা শেষে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। একজনের অবস্থা গুরুতর হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্ত মানে তিনি আইসিইউতে আছেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা দ্রুত আহতদের সুস্থতা কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার তিতাসে ভারী ভর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যার প্রবল স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে গোমতী নদীর উপর ইস্পাত ও কাঠের সংমিশ্রণে নির্মিত অস্থায়ী সেতু।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার আসমানিয়া বাজার সংলগ্ন ওই সেতুটি ভেসে যাওয়ার দৃশ্যটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সেতুটির উপর দিয়ে পারাপাররত মানুষগুলোকে দিকবিদিক ছুটতে দেখা যায়। সেতুটি প্রথমেই পূর্বদিকে হেলে যায়, তারপর কিছুক্ষণ ভেসে তা নদীতে বিলিন হয়ে যায়।
সেতুটি ভেসে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ২২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এতে করে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাসীর মাঝে। দুর্বল অবকাঠামোয় নির্মাণ ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে সেতুটি এনিয়ে দুই বার ভেঙে যায় বলে জানান তারা।
পথচারীরা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। বিকল্প নৌকায় যাতায়াত করতে গেলে এখন টাকা ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও দেখেছি, এখনো পরিদর্শনে যেতে পারিনি। প্রবল স্রোতে ও কচুরিপানার চাপে সেতুটি ভেসে যায়। তাছাড়া নতুন ব্রিজের কাজ চলমান হওয়ায় নদীর দুপাশ সরু হওয়ায় ওই অংশে স্রোতের চাপ বেড়ে যাওয়ায় অস্থায়ী সেতুটি ভেসে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অস্থায়ী সেতুটি পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নগরীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে উজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ নাঈমুর রহমান মজুমদার মাছুমকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নগরীর দক্ষিণ চর্থার ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া মাছুম চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘাসি গ্রামের মৃত. মোখলেসুর রহমান মজুমদাের ছেলে । তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিহ্নিত আসামি এবং চৌদ্দগ্রামে সংঘটিত এইট মার্ডার হত্যাকাণ্ডের মামলার ৮৮ নং আসামি।
সূত্রে জানা যায়, নাঈমুর রহমানের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নাশকতা পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তার স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ঢাকা শহরের ৮/৯টি স্থানে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল ৬ টা থেকে ৭টার মধ্যে ভয়াবহ নাশকতা চালানো হবে।
অভিযুক্ত নাঈমুর রহমান আরও জানায়, এবার শুধু মহাসড়ক অবরোধেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে রাস্তাঘাট কেটে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।এর পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করার কৌশলও হাতে নেওয়া হয়েছে।
সেনা অভিযানে গ্রেফতারের পর নাঈমুর রহমানকে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে কুমিল্লা সিআইডিকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার যেকোনো পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলা মানবিক ও সমাজসেবামূলক সংগঠন “দুর্বার বাংলাদেশ” এবার তাদের বিশেষ কর্মসূচি “প্রজেক্ট স্বাবলম্বী”-এর আওতায় এক অসচ্ছল ব্যক্তিকে রিকশা প্রদান করেছে। সমাজে স্বাবলম্বী মানুষ তৈরির লক্ষ্যে এই প্রকল্পের এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, যা স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এই আয়োজনটি সম্প্রতি কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্বার বাংলাদেশের উপদেষ্টা সাদমান সারার, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম রিফাত, পরিচালক আকিব হাসান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলম মহিউদ্দিন আজম, সাধারণ সম্পাদক মইন নাসের খান রাফি, এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্য অহনা, মিলি, শতাব্দী, রাত্রি, মেহজাবীন, বিপুল, আবির ও ওমর সহ আরও অনেকে। সংগঠনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো অসহায় মানুষদের স্বনির্ভর করে তোলা।
দুর্বার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম রিফাত বলেন, “আমরা চাই মানুষ শুধু সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে নিজে উপার্জনের সুযোগ পাক। প্রজেক্ট স্বাবলম্বী শুরু থেকেই সেই চিন্তা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আজ যে মানুষটিকে রিকশা দেওয়া হলো, তিনি এখন নিজে উপার্জন করে পরিবারকে সহায়তা করতে পারবেন এটা আমাদের জন্য গর্বের।”
উপদেষ্টা সাদমান সারার বলেন, “দুর্বার বাংলাদেশ শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, মানুষের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন আনতেই কাজ করে যাচ্ছে। প্রজেক্ট স্বাবলম্বী আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচি। আজকের এই রিকশা প্রদানের মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবনে নতুন আশার আলো খুঁজে পেয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে একমত হন যে, সমাজে পরিবর্তন আনতে হলে শুধু দান নয়, আত্মকর্মসংস্থান ও সুযোগ তৈরির মতো কার্যক্রমই বেশি কার্যকর। দুর্বার বাংলাদেশ ঠিক সেই জায়গাটিতেই কাজ করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল ব্যক্তি নয়, একটি পরিবারের ভবিষ্যৎও বদলে দিতে পারে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “প্রজেক্ট স্বাবলম্বী” আগামীতে সেলাই মেশিন, ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি এবং অন্যান্য স্বনির্ভর উপকরণ প্রদান কর্মসূচিও চালু করতে যাচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে অসহায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইন নাসের খাঁন রাফি বলেন,“আমাদের লক্ষ্য সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। দুর্বার বাংলাদেশ সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। আমরা শুধু সমস্যার কথা বলি না, তার সমাধানেও এগিয়ে যাই।”
সচেতন ও মানবিক সমাজ গঠনে এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়। দুর্বার বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কাজের
সন্ধানে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে ফিরে আসার সময় বিএসএফের হাতে আটক ২৪ জন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ
ও শিশুকে ফেরত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার
(২৩ মে) রাত ১.৩০ মিনিটে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাতাড়ী সীমান্তের ৯৩২ নম্বর
সীমানা পিলারের পাশে বিজিবি- বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফের
পক্ষে ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের এসি এসএইচএল সিমতি এবং বিজিবি'র পক্ষে লালমনিরহাট
১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও পতাকা বৈঠকের সময়
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, ইউপি সদস্য
মহির উদ্দিন বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাইদুর রহমান সহ বিজিবি
সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঘন্টাব্যাপি
এ বৈঠক শেষে বিএসএফ আটক বাংলাদেশী ২৪ নারী- পুরুষ ও শিশুদেরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজিবির
কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদের কে ক্যাম্পে নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
করেছে।
বিজিবি
সুত্র জানায়, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বালারহাট বিওপির প্রতিপক্ষ
ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন করলা ক্যাম্পে ভারতে অভিবাসনরত কিছু নাগরিককে বাংলাদেশে
পুশইন করার জন্য জড়ো করা হয়েছে মর্মে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ
কর্ণেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি জানতে পারেন। তখন অবৈধভাবে কোন নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন
না করার জন্য প্রতিপক্ষ বিএসএফকে কঠোর বার্তা প্রদান করা হয়। বার্তায় বিএসএফকে আরও
জানানো হয় যে, প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশী নাগরিক হলে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে
প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তাদেরেকে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশী নয় এমন
কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে ঢুকতে দেয়া হবে না। এর প্রেক্ষিতে বিএসএফ প্রাথমিকভাবে
২৪ জনের (পুরুষ- ১২ জন তন্মধ্যে শিশু -৪ জন, মহিলা-১২ জন তন্মধ্যে শিশু-৪ জন ) নামের
তালিকা লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে প্রদান করে। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়
জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের নিকট
হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারত
থেকে ফেরত আসা ওই ২৪ জন হলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া সমন্বয়টারী
গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫) তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম(১৯) মেয়ে তাসলিমা
(৭) মাতা তানেকা বেগম(৪৬) বোন তাহেরা খাতুন(৭), দাসিয়ার ছড়া কামালপুর গ্রামের আছর আলীর
ছেলে মানব আলী (২৩) তার স্ত্রী রুমি বেগম (২০), একই গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে আব্দুল
কাদের (৩১) তার স্ত্রী সাথী বেগম(২৮) ছেলে শহিদুল (৯) মেয়ে কাজলী (২), উপজেলার আরাজী
নেওয়াশী গ্রামের কাজী উদ্দিনের ছেলে জায়দুল হক (৫৫) তার স্ত্রী আন্জুমা বেগম (৪৩) ছেলে
আশিক বাবু (১৪) মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৯) জামাতা রবিউল (২২) ও ১০ মাস বয়সী নাতি জুনায়েদ,
উপজেলার ভাঙ্গামোড় বটতলা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে হাসেন আলী (৩৫) তার স্ত্রী আলমিনা
বেগম (২৯) মেয়ে হাছিনা (১৩) ছেলে আরিফ (৪) আরমান (২) এবং জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর
গ্রামের আব্দুস ছালাম (৫০)।
এ
প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের উপ- অধিনায়ক মেজর হাসনাইন জানান, যথাযথ
প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৪ বাংলাদেশী নারী- পুরুষ ও শিশুদেরকে ফেরত
আনা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধি দের সহায়তায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণার্থীদের
সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে
পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদে
পরিপূর্ণ পার্বত্য জেলাগুলো বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত অঞ্চল হতে পারতো, কিন্তু সবচেয়ে
পেছনে পড়ে আছে। এটা হওয়ার কথা না। আপনাদের ফসল, ফল-ফলাদি, ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে অর্থনীতিতে
আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। পার্বত্য এলাকাগুলো দুর্গম, সেজন্য যোগাযোগ করা কঠিন হয়।
আর এ কারণেই সেখানে প্রযুক্তির প্রসার দরকার। প্রযুক্তি দিয়ে এই দূরত্ব জয় করা যাবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও
সদস্যবৃন্দের জন্য আয়োজিত 'পার্বত্য জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ
দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নারী ফুটবল টিমে পার্বত্য জেলা থেকে
আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বের
অন্যান্য দেশের টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনাদের এলাকার মেয়েরা কী দুর্দান্ত
খেলল! কীভাবে বলবেন পিছিয়ে আছে? যারা আপনাদের এলাকা থেকে এসেছে তাদের সাথে আমি কথা
বলেছি। কী কঠিন পরিস্থিতি! কত কষ্ট করে পাহাড় ভেঙে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়! বাবা মা ঢাকায়
আসলে কত কষ্ট করে তাদের আসতে হয়। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই কিন্তু তারা বিশ্বজয় করে এসেছে।’
পার্বত্য এলাকার তরুণরা যেন বিশ্ব নাগরিক
হয়ে গড়ে ওঠে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বজয়
এনে দিয়েছে। তরুণরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। দুর্গম এলাকা
বলে পিছিয়ে থাকলে হবে না। সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু মনের সীমারেখাকে বাড়িয়ে দিতে হবে।
সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্ব দিয়ে পৌঁছে যেতে হবে।’ জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য
অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনাদের শিশুদের, তরুণদের
এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা
পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্রময় হোক। সরকারি নির্দেশ
তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ
উৎসবে অংশ নেয়।
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার
সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি
আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন।
শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম
অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায়
তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক পৃথক দুটি অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা সহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
বুধবার কোতয়ালী
মডেল
থানায়
কর্মরত
এসআই
(নিঃ)
নুরুল
হাকিম
এবং
সঙ্গীয়
ফোর্স
সহ
থানা
এলাকায়
মাদকদ্রব্য
উদ্ধার
ও
ওয়ারেন্ট
তামিল
ডিউটি
করাকালে
গোপন
সংবাদের
ভিত্তিতে
কোতয়ালী
মডেল
থানাধীন
০৫নং
পাঁচথুবী
ইউনিয়নের
চানপুর
ব্রীজের
উত্তর
পাড়ে
শ্রীপুর
সাকিনের
মসজিদের
সামনে
রাস্তার
উপর
তল্লাশি
করে
১০
কেজি
গাঁজা
সহ
মাদক
ব্যবসায়ী
১.
বিজয়
সূত্রধর
(২৭),
পিতা-দুলাল সূত্রধর, স্থায়ী: (সাং- খাড়েরা (মিস্ত্রি বাড়ি) , উপজেলা/থানা- বুড়িচং, জেলা –কুমিল্লা। ২. মোঃ রবিন (২৮), পিতা-কাজী জামসেদ, মাতা-হেলেনা বেগম, স্থায়ী: গ্রাম- মাশরা (কাজী বাড়ি), উপজেলা/ থানা- বুড়িচং, জেলা -কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত
ঘটনায়
কোতয়ালী
মডেল
থানায়
এজাহার
দায়ের
করলে
কোতয়ালী
মডেল
থানার
মামলা
নং-২, তারিখ- ০১ নভেম্বর, ২০২৩; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৯(ক)/৩৬(১) সারণির ১৯(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়।
অপর
একটি
অভিযানে
এসআই(নিঃ) মোঃ শাহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ কোতয়ালী মডেল থানাধীন ০২নং ওয়ার্ড ছোটরা ফৌজদারী মোড় পূর্ব চৌমুহনী সংলগ্ন রোজ গার্ডেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তল্লাশি করে ১০ কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল রানা(৩৮), পিতা মৃত-কানু মিয়া, সাং-ভরাসার বাজার(মুহুরী বাড়ী), পোষ্টঃ ইছাপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লাকে গ্রেফতার করেন।
উক্ত
ঘটনায়
কোতয়ালী
মডেল
থানায়
এজাহার
দায়ের
করলে
কোতয়ালী
মডেল
থানার
মামলা
নং-৩, তারিখ- ০১ নভেম্বর, ২০২৩; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৯(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে
প্রেমিকের বিশেষ অঙ্গ কেটে পালিয়েছেন প্রেমিকা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রেমিককে উদ্ধার
করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার
(২৯ জুন) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার আলতাফ মাস্টারঘাটের কলাপাতা রেস্টুরেন্টে
এই ঘটনা ঘটেছে।
গুরুতর
আহত প্রেমিক তাওহিদুল ইসলাম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পশ্চিম পোয়া এলাকার অহিদুর রহমান
জমাদারের ছেলে।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের তাওহিদুল ইসলামের সাথে ওই এলাকার
এক গৃহবধূর প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছে। প্রায় তারা দুজনই বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হন।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকা থেকে তারা দুজনই সিএনজি অটোরিকশা করে রায়পুরের
আলতাফ মাস্টারঘাট এলাকায় ঘুরতে আসেন। একপর্যায়ে তাওহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোন নিয়ে ওই
নারী দেখতে পায় তার বান্ধবীর সাথেও গোপনে প্রেমের সর্ম্পক চালিয়ে আসছে তাওহিদুল ইসলাম।
এ ঘটনার জের ধরে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে কৌশলে কলাপাতার রেস্টুরেন্টের
ভেতরে তাওহিদুল ইসলামের বিশেষ অঙ্গ কেটে পালিয়ে যায় ওই নারী। পরে স্থানীয়রা ওই যুবককে
গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এখনো ওই যুবকের জ্ঞান
ফিরেনি।
এ
বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, ওই
যুবককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম তাওহিদুল ইসলাম আল আমিন।
তবে ওই নারীর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান ও মামলার প্রস্তুতি
চলছে।
সিভিল
সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, তাওহিদুল ইসলামের বিশেষ অঙ্গের ৯০ ভাগ কেটে গেছে। তবে
এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নয়। তার চিকিৎসা চলছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার আগে
কিছুই বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
মুকুল বসু, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজার সংলগ্ন শেলাহাটি গ্রামে নকল শিশু খাদ্য কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। বোয়ালমারী সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কারখানার মালিক আশরাফ মল্লিকে (২৭) ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজার সংলগ্ন শেলাহাটি গ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল শিশু খাদ্য তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন মো. আশরাফ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই কারখানায় নকল শিশু খাদ্য উৎপাদন করে বিভিন্ন বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল শিশু খাদ্য উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় কারখানার মালিক আশরাফ মল্লিকে (২৭) ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, আশরাফ মল্লিক নকল শিশু খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। তাকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ১৩ ধারাই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকার নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। আয়েশা সিদ্দিকা রূপালি তেঁতুলতলা গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমীন।
তিনি জানান, আয়শা সিদ্দিকা রূপালিকে গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে দায়ের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আওতায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ একপ্রেস ট্রেনের 'ঙ' নাম্বার বগিতে স্বর্ণা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতির হঠাৎ প্রসব ব্যথা ওঠে। পথে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছালেই ট্রেনের মধ্যেই একটি ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। বর্তমানে মা ও মেয়ে শিশুকে মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের সহধর্মিণী।
আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্তব্যরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) যথারীতি খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ৭০৫ নাম্বার কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া নয়টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে 'ঙ' নাম্বার বগিতে ওঠে। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেরামারা রেলস্টেশনে এলে প্রসূতির প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ওই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) তাপস কুমার আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। যে, 'ঙ' নাম্বার বগিতে এক প্রসূতির প্রসব বেদনা উঠেছে। এ সময় আমি মাইকিং করে ট্রেনে কোনো ডাক্তার আছে কিনা? ঘোষণা করলে খুলনা-রাজশাহী রুটের আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ওঠা রাজশাহী অভিমুখে যাওয়া ট্রেন যাত্রী ঢাকাস্থ বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার দ্রুত এসে ' ঙ' নাম্বার বগিতে এসে পরিচয় দেন, তিনি ডাক্তার।
এদিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে একটি ছেলে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী, নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার বলেন, আমি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর আমি 'ঙ' বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে ৩ সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।চলন্ত ট্রেনে ব্যথায় কাতর প্রসূতি, জন্ম দিলেন ছেলে শিশু ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আওতায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করা রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ একপ্রেস ট্রেনের 'ঙ' নাম্বার বগিতে স্বর্ণা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতির হঠাৎ প্রসব ব্যথা ওঠে। পথে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছালেই ট্রেনের মধ্যেই একটি ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। বর্তমানে মা ও মেয়ে শিশুকে মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী প্রসূতি স্বর্ণা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাতের সহধর্মিণী।
আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্তব্যরত খুলনার ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ইলিয়াস কবীর সেলিম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) যথারীতি খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ৭০৫ নাম্বার কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল সোয়া নয়টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি নারী তার পরিবারসহ দর্শনা রেলস্টেশন থেকে 'ঙ' নাম্বার বগিতে ওঠে। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেরামারা রেলস্টেশনে এলে প্রসূতির প্রসব বেদনা ওঠে।
এ সময় ওই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) তাপস কুমার আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। যে, 'ঙ' নাম্বার বগিতে এক প্রসূতির প্রসব বেদনা উঠেছে। এ সময় আমি মাইকিং করে ট্রেনে কোনো ডাক্তার আছে কিনা? ঘোষণা করলে খুলনা-রাজশাহী রুটের আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ওঠা রাজশাহী অভিমুখে যাওয়া ট্রেন যাত্রী ঢাকাস্থ বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার দ্রুত এসে ' ঙ' নাম্বার বগিতে এসে পরিচয় দেন, তিনি ডাক্তার।
এদিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এলে একটি ছেলে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী, নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোছাম্মৎ নাজনীন আক্তার বলেন, আমি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলাম। মাইকিং শোনার পর আমি 'ঙ' বগিতে যাই। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে ৩ সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি নরমাল ডেলিভারিতে বেশ সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।
মন্তব্য করুন