

জাহাঙ্গীর আলম,কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন ও উপজেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটিতে যুবদের অন্তর্ভুক্তি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্তৃক চাইল্ড নট ব্রাইট (সিএনবি) প্রোজেক্টের আয়োজনে, মহিদেব যুব সমাজকল্যাণ সমিতি (এমজেএসকেএস)-এর বাস্তবায়নে এবং এনআরকে টেলিথন ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সিএনবির টেকনিক্যাল অফিসার ইলিয়াস আলীর সঞ্চালনায় কর্মশলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুম,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মাহামুদুল হাসান,
সিএনবি প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার ইলিয়াস আলী,ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর কুড়িগ্রাম জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছাবেদ আলী, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, পুরোহিত সুনীল চন্দ্রসহ আরো অনেক।এ সময় মহিদেব যুব কল্যাণ সমিতির চাইল্ড নট ব্রাইট প্রকল্পের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আফরোজা হ্যাপী, শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের রনজিৎ রায়সহআরো অনেকে।
আলোচনা সভা শেষে বাল্যবিয়ে বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ প্রচার, তরুণদেরকে যুব সংগঠনে সম্পৃক্তকরণ নারী নেতৃত্ব, ক্ষমতায়ন ও সেচ্ছাসেবী কাজে অসামন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮ জন কে সম্মাননা ক্রেস্ট ও একটি করে ছাতা প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন


সারাদেশে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের
পদত্যাগ করানোর হিড়িক পড়েছে তখন ঠিক এর উল্টো ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। জোর করে পদত্যাগ
করানো প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষককে ফিরিয়ে এনে তাদের চেয়ার বসিয়েছেন চখমিল বহুমুখী
উচ্চ বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। যা
রিতিমত প্রশংসার ঝড় তুলেছে।
এর আগে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) এলাকার
কিছু উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিদের উস্কানিতে প্রধান শিক্ষকসহ চার জনকে জোরপূর্বক
পদত্যাগ লিখে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
হাতিয়ার করে তাদের ভুল বুঝিয়ে গত রবিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সেলিম
উদ্দীন, সহকারী শিক্ষক মো: ইয়াছিন আলী, মো: নুরে আলম এবং শরণ শিংকে জোরপূর্বক পদত্যাগ
পত্রে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা
জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। জোর
করে পদত্যাগ করানোর খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র-জনতা।
গত মঙ্গবার সকালে তারা বিদ্যালয় মাঠ
সমবেত হয়ে প্রিয় শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বুধবারে
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং কমিটির সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ) তারা
স্বসম্মানে শিক্ষকদের বরণ করে নেবেন।
তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে
প্রাইভেট কারে করে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ফুলের মালা গলায়
দিয়ে তাদের বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের পা ধরে
ক্ষমা চায় এবং আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই কাজ মূলত কিছু
উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী করেছে। এটার জন্য আমরা দায়ী না।
উল্লেখ্য, গত (২৫ আগস্ট) রবিবার সদর
উপজেলার উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারীদের একদল ব্যক্তি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদেরকে উস্কিয়ে
দেয় এবং তারা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রেখে পদত্যাগের দাবিতে। এ সময় শিক্ষকদের দুটি
গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে তারা উল্লাস করতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশসহ সেনাবাহিনী একটি
দল এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এসময় শিক্ষকদের পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে
নেওয়ার পরেই তাদেরকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষকদের হত্যার হুমকিও
দেন তারা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,সিপিসি-২।
রবিবার (৩০ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন
কনেশতলা বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী শিশু মিয়া (২৫) নামের
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৭৫ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী শিশু মিয়া (২৫) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার ধনপুর গ্রামের জামাল মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত
সিএনজি গাড়ি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ
করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয়
করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


তেজগাঁও থানা পুলিশ রাজধানীতে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে । এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- আব্দুল আজিজ (২৮), মো. সাহিদুল ওরফে জাহিদুল ইসলাম (৩০) এবং মো. রমজান আলী (৪৫)। এদের মধ্যে আজিজ ও জাহিদুল সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এছাড়া রমজান ও আজিজ পরস্পর বেয়াই।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা বাদাম বিক্রির আড়ালে গাঁজা বিক্রি করতেন । বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব গাঁজা প্যাকেটজাত করা হতো ।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেফতার তিনজনই তেজগাঁওয়ের চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা শুধু গাঁজা বিক্রি করতেন। গ্রেফতার আজিজের বিরুদ্ধে ২৮টি, রমজানের বিরুদ্ধে ৭টি এবং জাহেদুলের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে।
ওসি আরো বলেন,সাধারণত বাদাম বিক্রির আড়ালেই এসব গাঁজা বিক্রি করা হয়। তারা তেজকুনি পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় গোপনে গাঁজার ব্যবসা করতেন। গাঁজা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছে সেই বাসা গাঁজার আড়ৎ নামে পরিচিত। তারা সেখানে গাঁজাকে বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব প্যাকেটজাত করে রাখতেন। এরপর খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে কিনে নিতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনুমানিক ২ কেজি পরিমাণের এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি মহসীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লা
নগরীর চকবাজার ডিজেল ও অকটেন কম দিয়ে ক্রেতাদের ঠকানোর অভিযোগে দুই তেলের পাম্পকে সিলগালা
করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তেল পরিমাপের ৪টি ডিসপেন্সিং ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ
মঙ্গলবার (৬ মে) কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করেন
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বিএসটিআই
কুমিল্লা কার্যালয় প্রধান কে এম হানিফ বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযানে
মেসার্স শরীফ এন্টারপ্রাইজের দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে
১৯০ মিলি ও ২০০ মিলি তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। একই পাম্পের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং
ইউনিটেও প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২২০ মিলি তেল কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত
হয়। এই গুরুতর অপরাধে পাম্পের চারটি ইউনিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে,
একই এলাকার মেসার্স এম এ হাকিম এন্ড ব্রাদার্সের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও তেলের
মাপে কারচুপির চিত্র দেখা যায়। পাম্পটির এই দুটি ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে গ্রাহকদের
যথাক্রমে ৩৪০ মিলি ও ৩৯০ মিলি তেল কম দেওয়া হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই দুটি ইউনিটও সিলগালা
করে দিয়েছে বিএসটিআই।
বিএসটিআই
কুমিল্লা অফিসের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: লুৎফর রহমান এবং মো: হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে
এই সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালিত হয়।
মন্তব্য করুন


কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় আপন ভাতিজার
হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী।
গত বুধবার (১২ জুন) রাতে পৌরসভার সৈয়দগাঁও
পূর্বপাড়া এলাকায় চাচি-ভাতিজার ঘর ছাড়ার ঘটনা ঘটেছে।
তারা হলেন, ওই গ্রামের প্রবাসী মুকুল
মিয়ার স্ত্রী সবিতা আক্তার (২১) ও জাকির হোসেনের ছেলে সাকিল (২০)। সম্পর্কে সবিতা ও
সাকিল চাচি-ভাতিজা। সবিতা আক্তারের দুই বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রবাসীর
ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর
পূর্বে একই উপজেলার হোসেন্দী নামাপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন ওরফে বকুল মিয়ার মেয়ে সবিতা
আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় সৈয়দগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মুকুল মিয়ার।
বিয়ের ৪ মাস পর মুকুল মিয়া প্রবাসে চলে যান। এ সুযোগে ভাতিজা সাকিলের সঙ্গে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়েন সবিতা আক্তার। বিষয়টি জানাজানি হলে মুকুলের পরিবার থেকে সবিতাকে সতর্ক করা
হয়। কিন্তু তাতে তিনি সাড়া না দিয়ে স্বামীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গত বুধবার
রাতে ভাতিজা সাকিলের সঙ্গে পালিয়ে যান।
প্রবাসী মুকুল মিয়া জানান, ঘটনার একদিন
আগেও আমি আমার স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। এ ছাড়া ঘরে থাকা নগদ আড়াই লাখ
টাকা ও বিয়ের স্বর্ণালংকার নিয়ে আমার ভাতিজার সঙ্গেই পালিয়েছেন আমার স্ত্রী। এই কষ্টের
কথা কার কাছে বলব।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো: আসাদুজ্জামান
টিটু জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় ছাগল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় চোর চক্রের ৬ জন সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে পারভেজ (২২), একই গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে সাইদুল (২৩), শিশু মিয়ার ছেলে তামিম (২৩), বাদশা মিয়ার ছেলে ইসমাইল (২৫), শহিদ মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক (২৫) ও গুঞ্জর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২২)।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দিঘীরপাড় গ্রামের জয়নাল হোসেনের মেয়ে নয় বছর বয়সী জাকিয়া সুলতানা নিজেদের দুইটি কালো রঙের পালিত ছাগল নিয়ে দিঘীরপাড় নুরুন্নেসা হাফিজিয়া মাদ্রাসার রাস্তার পাশে ঘাস খাওয়াচ্ছিল। এ সময় একটি সিএনজিতে করে এসে চোর চক্রের ৬জন সদস্য জাকিয়া সুলতানা কে কৌশলে পানি আনতে মাদ্রাসার ভেতরে পাঠায়। মাদ্রাসা থেকে পানি এনে জাকিয়া সুলতানা দেখে তার একটি কালো রঙের ছাগল চুরি হয়ে গেছে। ছাগল হারিয়ে জাকিয়া সুলতানা কান্নাকাটি ও চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কলাবাগান মোরে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে একটি সিএনজি সহ চোর চক্রের ৬ জন সদস্য কে আটক করে।
এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আটক করে এবং ছাগল ও চুরিতে ব্যবহৃত সিএনজি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী জয়নাল হোসেন বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, আটককৃত ৬ জন চোরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
বিরোধ হলে শুধু মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপোষও হয়" এবং "গরিব দুঃখির মামলার ব্যয়, বাংলাদেশ সরকার দেয়"- এই শ্লোগান সামনে রেখে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে যানবাহনে ষ্টিকার লাগাচ্ছেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহাবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াছির আরাফাত, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ সহিদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমানসহ কুমিল্লা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মরত সকল বিচারকগণ ও জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। স্টিকার লাগানো শেষে ২৮ এপ্রিল সোমবার সকালে কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি কুমিল্লার আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভার মঞ্চের কাজের অগ্রগতি ঘুরে ঘুরে দেখেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহাবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এফ এম শেফায়েত ছালাম ও ম্যাজিস্ট্রেট ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন সহ কুমিল্লা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মরত সকল বিচারকগণ ও জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ওই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির সকল বিজ্ঞ বিচারকগন ও জেলা আইনজীবী সমিতির সকল বিজ্ঞ আইনজীবীগণ, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিচারপ্রার্থী জনসাধারণকে যথাসময়ে উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
মন্তব্য করুন


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা ।
রথযাত্রা শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে এবং ১৪ জুলাই হবে উল্টোরথ ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব এই রথযাত্রা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় রথযাত্রা
আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলাতেও রথযাত্রা উদযাপন নিয়ে কর্মসূচি
গ্রহণ করা হয়েছে ।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এর উদ্যোগে ৭ জুলাই রথযাত্রা শুরু হয়ে উল্টোরথ
পর্যন্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা হয়েছে।
ইসকন সূত্র জানায়- জেলার ঐতিহ্যবাহী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরে শ্রী জগন্নাথ, বলদেব
ও শুভদ্রা দেবীর রথযাত্রা উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে সাত দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ
করা হয়েছে।
শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির হতে রথে করে শ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও শুভদ্রা দেবীর মূর্তি
ভক্তবৃন্দ টেনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে শহর প্রদক্ষিণ শেষে ঠাকুরপাড়াস্থ শ্রীরাধাকৃষ্ণ
গৌর নিতাই মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত
অনুষ্ঠানাদির মধ্যে রয়েছে- শ্রীজগন্নাথ দেবের পূজা, বিশ্বশান্তি মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র
যজ্ঞ, ভজন কীর্তন, আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ ও সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
হাইওয়ে
পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের কুমিল্লা হাইওয়ে থানা ১টি যাত্রীবাহী বাসসহ ১ জন বাস চোর আটক
করেছে।
আটককৃত
চোর হলেন- চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীন কানুনগো পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আলির ছেলে বাস
গাড়ির চালক শহিদুল ইসলাম (৩২)।
মঙ্গলবার
(৭ জুলাই) ভোর অনুমান ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে একজন মিনি বাসের
জনৈক শরীফ হোসেন নামক যাত্রী মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ কুমিল্লা হাইওয়ে থানার সরকারি মোবাইল ফোনে ফোন করে জানান যে,
মিনি বাসের চালক বেসামাল হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করার
হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। উক্ত যাত্রীর মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জানার পর অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক
ভাবে রাত্রীকালীন মোবাইল পার্টিকে গাড়িটিকে আটক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। ইনচার্জ
এসআই (নিঃ) মোঃ ফারুক আজম সংঙ্গীয় ফোর্স সহ সীতাকুন্ড থানাধীন উত্তর ইদুলপুর সাকিনস্ত
হোটেল কিছুক্ষন এর সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার পাশে ভোর অনুমান
৫টা ৫ মিনিটে অবস্থান নিয়ে বাসটিকে আটক করে। বাসের চালককে গাড়ির কাগজ পত্র প্রদান করার
জন্য বললে দেখাইতে ব্যর্থ হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে
ড্রাইভার একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। তখন পার্টি ইনচার্জ এর মনে সন্দেহ
হয় যে, এই ধরনের গাড়ি সাধারণত চট্টগ্রাম সিটির মধ্যে চলাচল করে। নিশ্চয় চালক চুরি করে
গাড়িটি ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন গাড়িসহ চালক শহিদুল ইসলামকে আটক করে।
উক্ত
বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে যাত্রীরা একেখান, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান
হইতে বাসে উঠেন এবং তাদের গন্তব্যস্থল মীরসরাই, মহিপাল, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে বলে
জানান। আটককৃত চালককে আরো জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে সে উক্ত গাড়িটি চুরি করে ঢাকায়
নিয়ে যাচ্ছিল।পরবর্তীতে কুমিল্লা হাইওয়ে থানা চট্টগ্রামের বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে
বাসের প্রকৃত মালিককে খোজ করে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে। উক্ত বাসের মালিক
ভানুদে জানান যে, সে তার মিনি বাসটি প্রতিদিনের
ন্যায় যাত্রী পরিবহন শেষে ৬ জুলাই ২০২৫ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ১১টায় তার বাড়ির পাশে
রাস্তায় রেখে বাড়িতে অবস্থান করেন। ভোর অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় রাস্তায় এসে দেখেন তার
গাড়িটি নাই। তখন উক্ত এলাকার নাইট গার্ডকে জিজ্ঞাসা করলে রাত অনুমান ১টা ৩০ মিনিটে
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসটি চালিয়ে নিয়ে যায় বলে মালিককে জানায়। তিনি সকালে বোয়ালখালী
থানায় গিয়ে বাস চুরির বিষয়টি থানাকে অবহিত করেন এবং বাসটি খুজতে থাকেন। পরবর্তীতে অত্র
কুমিল্লা হাইওয়ে থানার ফোন পেয়ে নিশ্চিত হন যে, গাড়িটি তার। আটককৃত চালক রাতের বেলায়
চুরি করে তার বাসটি চট্টগ্রাম হতে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। এই সংক্রান্তে চট্রগ্রাম
জেলার বোয়ালখালী থানায় ১টি নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


মানুষ আগের মতো এখন আর হলমুখী নেই ।হল মালিকরা তাই নানান সময় নানান
পন্থা অবলম্বন করে থাকেন দর্শকদের হলমুখী করতে কিন্তু এ ব্যাপারে বলা চলে বেশ
ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ
।
১০০ টাকার প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে দর্শকের হাতে বিনামূল্যে এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দিচ্ছেন হলমালিক ।
ব্যতিক্রমী এই বিষয়টি বিনোদনপ্রিয় দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
জানা যায়, ধুনট শহরে ১৯৮৪ সালে ঈসা খান নির্মিত ঝংকার সিনেমা হলটি দিনের পর দিন দর্শক হারাতে থাকে। ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের যুগে হলবিমুখ হয়ে পড়েছেন সিনেপ্রেমীরা। এতে দেশের আর সব সিনেমা হলের মতো ঝংকারেও দর্শক কমতে থাকে। এক পর্যায়ে দর্শক শূন্যতায় সিনেমা হলটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ এক দশক পর ২০ এপ্রিল থেকে আবারও ঝংকার সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শন শুরু করেছে হল কর্তৃপক্ষ।
এক দশক পর শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে দর্শক টানতে সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই খাবারের আয়োজন করেন।
হলটিতে প্রদর্শিত হচ্ছে এ সময়ের নায়ক-নায়িকা আদর আজাদ-পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা ‘লিপস্টিক’।
সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। ঝংকার সিনেমা হলে দর্শকের জন্য ৫০০টি আসন রয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। এবার টিকিটের সঙ্গে প্রত্যেক দর্শকের হাতে ফ্রি এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী এক মাস খাবারের এই ব্যবস্থা চালু থাকবে।
প্রতিদিন দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় সিনেমা হলে ‘লিপস্টিক’ প্রদর্শন করা হচ্ছে। কিন্ত প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রতিদিন দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩টায় দর্শকের উপস্থিতি কম থাকে।
তবে সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় হল ভর্তি দর্শক পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে আশানুরূপ দর্শকের সাড়া মিলেছে। এক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখছেন হলের পরিচালক। সিনেমা হলের দর্শকদের মুখে মুখে এখন ‘লিপস্টিক’-এর সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি এই আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
হলের দর্শকরা জানান, সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি পাওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম। হলে বসে ভালো ছবি দেখার পাশাপাশি বিরিয়ানির স্বাদও নিতে পেরে অনেকে খুশি হয়েছেন। এই ব্যবস্থা চালু রাখলে সিনেমা হলে দর্শক ফিরে আসবে বলে মনে করেন দর্শকরা।
মন্তব্য করুন