কিশোরগঞ্জের
ভৈরবে ফেসবুকে হা হা রিয়েক্ট দেওয়ায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১০টি
দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার
(১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার কমলপুর লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ২ পক্ষের মধ্যে
এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা
জানান, সোমবার রাতে কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে আজিবরের সঙ্গে পূর্বপাড়ার
রউফ মিয়ার ছেলে ওমর মিয়ার ফেসবুকে ‘হা হা’ রিয়েক্ট দেওয়ার কারণে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে
স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুজনকে মিলিয়ে দেন দোকান মালিক মানিক মিয়া। ঘটনার আধা ঘণ্টা পর
দুপক্ষ দা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ
সময় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার এক পর্যায়ে পূর্বপাড়ার ১০টি দোকান কুপিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ
ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল মিয়াসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
এ
বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা জানান, আমরা তারাবির নামাজের জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম দোকান
বন্ধ করে। এসে দেখি দোকানের শাটারগুলো কুপিয়ে ভেঙে দিয়েছে। এরা সবাই কিশোরগ্যাংয়ের
সদস্য। আমরা এদের বিচার চাই।
ভৈরব
থানার ওসি মো: সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র
করে লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ
ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে
২ জনকে আটক করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারের ধামতী ইউনিয়নে নানা পন্থায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ক্রয় করা বসত জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক এমপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। বসতজমির কলাগাছ কেটে নেয়া, বসতঘর কুপিয়ে ঘরের বাসিন্দাদের মারধর-মালামাল লুট, আবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আওয়ামী দোসর বানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে বির্তকিত করে তার ক্রয় করা জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনদের বিরুদ্ধে।
ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ছোট ভাই মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, আমার বড় ভাই ধামতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিগত ২০২২ সালের ২২ জুন দুয়ারিয়া এলাকায় ৫২ শতক জায়গা হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের কাছ থেকে কেনার জন্য বায়নাপত্র করে এবং সম্পত্তির মূল্য বাবদ ৪৩ লক্ষ টাকার চেক তাদের প্রদান করেন। তারা পরে টাকা বুঝে নিয়ে আমাদেরকে জায়গা ভোগ দখল বুঝাইয়া দিলে আমরা গত দুই বছর যাবৎ উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে সেখানে কলার বাগান করি। আমরা বহুবার তাদেরকে সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললেও মকবুল হোসেন প্রবাসে থাকার বাহানা দিয়া ‘অদ্যবধি তারা আমার ভাইয়ের নামে উক্ত সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। চলতি বছরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরেই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা এমপি আবুল কালাম আজাদের অনুসারি ছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের বায়না করা ৫২ শতক জমির ৫ পাঁচ শতাধিক কলা গাছ কেটে নিয়ে জমির চারপাশে তার কাটা বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে আলামিন বাশার ও আলামিনসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা । পরে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিন তারা চুপচাপ থাকে। এছাড়া আমরা এই বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।
সোহরাব আরো জানান, পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় আমাদের জমিতে নির্মিত দুটি ঘরে বসবাসরত মো: জুয়েল (১৮) ও মো: হোসাইনকে (১৮)মারধর করে দুটি ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নেয় হুমায়ুন কবির বাহিনী। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় ৭ জনের উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনায়ও জড়িত ছিলেন ধামতী ইউনিয়নের দুয়ারিয়া গ্রামের মো: বাচ্চু মিয়ার ৩ ছেলে মো: হুমায়ুন কবির, মকবুল হোসেন ও মহসিন, মৃত. খোরশেদ মিয়ার ছেলে এছাড়া আবু বকর ও আবু সাইদ, হোসেন মেম্বারের ছেলে আল আমিন ও মো: খলিল, জসিমের ছেলে মো: রিফাত এবং শাহ জালালের ছেলে মো: সিয়াম প্রমুখ। হামলা–ভাংচুর করেও জায়গা দখল করতে না পেরে ১৪ নভেম্বর আমার ভাইকে আওয়ামী দোসর বানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হুমায়ুন কবির বাহিনী। আমরা তো বসতজমি দখল করিনি, জমিটি ক্রয় করেছি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত আওয়ামী নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েন তিনি। চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজাদ এমপি হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়েও তিনি যেতে পারতেন না এমপি আজাদ সমর্থিত নেতাকর্মীদের হুমকির কারণে। এরপরই চেয়ারম্যান মিঠুর লোকজনকে একাধিকবার মারধর করা হয়। সম্প্রতি তার বসতজমিটিও দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। মহিউদ্দিন মিঠু দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য চেয়ারম্যান । বর্তমানে মহিউদ্দিন মিঠু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে কল দিলে মুঠোফোন সংযোগে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ইন্সপেক্টর শাহীন ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি হয়তো এ বিষয়ে বলতে পারবেন।
দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ জানান, মিঠু সাহেবের বসতজমিতে হামলার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে কথা বলেছি। পরিবেশ যাতে ঘোলাটে না হয় সে জন্য সর্তক করা হয়েছে।আর বসতজমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায় সাপের কামড়ে তানজিনা আক্তার নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি হোমনা উপজেলার গোয়ারি ভাঙ্গা এলাকার আলী আহমেদের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
আজ (২৬ জুন) সকালে তাদের নিজ বাড়িতে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় তানজিনাকে সাপে কাটে। তবে সাপটিক কোন প্রজাতির তা জানাতে পারেনি কেউ।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাপে কাটা তানজিনাকে এন্টিভেনম দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তার পরিবার সেটি না মেনে তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে কাজ না হয় আবার হাসপাতালে ফেরার পথেই তার মৃত্যু হয়।
তানজিনার স্বামী আলী আহমেদ বলেন, সকাল আনুমানিক ৭ টায় নিজ
বাড়ির বিছানাতেই শুয়েছিল তানজিনা। এ
সময় তার বাম পায়ে আঙ্গুলে সাপের ছোবল টের পায়। উঠে খাটের নিচে তাকাতেই কালো রঙের একটি সাপকে চলে যেতে দেখে। পরে
তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সকাল ৮
টায় নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঔষধ দেওয়ার পর সেখান থেকে
স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে
'পানপড়া' খাওয়ানোর
জন্য নিয়ে গেলে সেখান থেকে তানজিনাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফেরার
পথে তানজিনার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি ঘটলে তাকে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেয়া হয়। হাসপাতালে
নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। তবে কি সাপে কেটেছে
বলতে পারছিনা। তবে সাপটি কালো রঙের ছিল।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাপে কাটা রোগী তানজিনা আসার পর তাকে অ্যান্টিভেনম এর ডোজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকাকালীন সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাবার জন্য জোরাজুরি করে এবং নিয়ে যায়। পরে শুনেছি তাকে মৃত অবস্থায় আবার হাসপাতালে আনা হয়েছে। সাপটি কি ধরনের সেটি তিনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি।
তবে তিনি জানান, তানজিনাকে কেটেছে তা বিষধর ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, তানজিনাকে যখন নিয়ে আসে তখন তার শরীরে বিষক্রিয়ার বিভিন্ন উপসর্গও দেখা গেছে। তার চোখের পাতা বারবার পড়ে আসছিল এবং গলা শুকিয়ে আসছিল। চিকিৎসকরা তাকে এন্টিভেনম দেয়ার মাঝামাঝি সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যায়। পরে আবার হাসপাতালে আনলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
হোমনায় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সল (২২) কে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে
হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
সোমবার
সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ
জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোঃ ফুল মিঞার ছেলে
মোঃ শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মোঃ বেদন মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল
মিয়া (২০)।
মামলার
বিবরণে জানাযায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সল আসামি
মোঃ শামীম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তার (১৮) এর প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পূর্ব
পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে আসামি শামীম ফোন করে বলে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য। তখন ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে শামীরের
কথামতো মামা বাড়ীর ছাদ থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন স্থানে
খোজাখুজি করে না পেয়ে নিহতের বৃদ্ধ পিতা মোঃ মকবুল হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি
করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে প্রথমে
আসামি মোঃ শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করার পর শামীম জানায় প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ
করে এবং পরে ধারালো ছুরিকাঘাতে জবাই করে ফয়সলকে হত্যা করে লাশটি বিদ্যাময়ের মাঠে মাটিতে
পুঁতে রাখা হয়।
এ
ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন হোমনা থানাধীন রাজনগর গ্রামের হারুন
মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে মোঃ শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা
থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা
এসআই মোঃ শামীম সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে আসামি মোঃ
শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
তারা
বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দির সময় শামীম জানান,
২০২০ সালের ৫ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার সময় ফয়সলকে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে হত্যা
করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। ঘটনার ১২দিন পর গ্রেফতারকৃত আসামি শামীম এর দেখানো
মতে ভিকটিম ফয়সলের অর্ধ গলিত মরদেহ আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের মাটির
নিচ থেকে হোমনা থানাপুলিশ উদ্ধার করে সূরতাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে
১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামিদ্বয়ের প্রদত্ত
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া'র
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে
প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায়
ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত
ছিলেন।
এ
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট শেখ
মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল
রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
অপরদিকে,
আসামিপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী এডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ
অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম দিয়েছেন মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) নামে এক নারী।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের লেবার ওয়ার্ডে ৬ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার বলেন- তাদের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামে। প্রিয়ার স্বামী মো. হানিফ কাতার প্রবাসী। প্রিয়ার গর্ভধারনের ২৭ সপ্তাহ চলছিল। এলাকাতেই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছিলেন৷ সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে জানতে পারি এক-দুটি নয়, পাঁচ সন্তান গর্ভে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে প্রিয়া নিজের বড় বোন লিপির বাসায় আসেন। সেখান থেকে মনোয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সর্বশেষ গতরাতে ব্যাথা শুরু হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে এনে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে নরমালে ৬টি সন্তান প্রসব করেন তিনি।
স্বজনরা জানায়, এরমধ্যে ৩টি ছেলে আর ৩টি মেয়ে নবজাতক। তবে তাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ থাকায় চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেলের এনআইসিইউতে ৩ নবজাতকে রেখেছেন। সিট ফাঁকা না থাকায় বাকি ৩ জনকে বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলের নবজাতক বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নিলুফার ইয়াসমিন জানান, সকালে এক মা স্বাভাবিকভাবে ৬ নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন। গর্ভধারণের ২৭ সপ্তাহের চলছিল তার। বাচ্চাগুলো অপরিপক্ক ছিল। যাদের ওজন ৬১৫ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এনআইসিইউতে ৩টি বেড খালি থাকায় ৩ নবজাতককে রাখা সম্ভব হয়েছে। এখানে বেড খালি হলে বাইরের হাসপাতালে যে নবজাতকদের নিয়ে রাখা হয়েছে তাদেরকেও এখানে নিয়ে আসা হবে। এর মধ্যে ২ নবজাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করন এবং দ্রুত সংস্কারের দাবিতে কুমিল্লার ময়নামতি থেকে কংশনগর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বুধবার সকাল ১০ টা থেকে ঘন্টা ব্যাপী কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের ময়নামতি থেকে কংশনগর পর্যন্ত নয়টি পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ চলাকালীন সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হলেও, বিক্ষোভ শেষে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে পরবর্তীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি উঠিয়ে নেওয়া হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করনের জন্য প্রস্তাবিত হয়ে। এছাড়া দীর্ঘদিব সড়কটিতে খানাখন্দ হলেও সেটি মেরামত করা হচ্ছে না। চরম ভোগান্তিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই আমরা চাই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হোক।
এছাড়াও বক্তারা আরো বলেন, সড়কটি সংকীর্ণ হওয়ায় প্রতিনিয়ত হলো দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণহানি সহ মানুষের অঙ্গ হানি হচ্ছে। তাই সড়কের নিরাপদ করতে দ্রুত মেরামত করা দরকার। আমাদের দাবি মেনে নেয়া হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
দেবপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ময়নামতি ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, যুবদল নেতা মোস্তফা কামাল, সমাজকর্মী আনোয়ারুল আজিম, হারুনুর রশিদ মেম্বারসহ অন্যান্যরা।
এদিকে মহাসড়কের দেবপুর এলাকায় এসে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা ও বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করার আশ্বাসে দেবপুর এলাকা সহ অন্যান্য এলাকা থেকে বিক্ষোভ উঠিয়ে নেয়া হয়।
এ সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কটি চার লাইনে উন্নীত করনের কাজ সরকারের ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে সড়কটি মেরামতের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করছি।
মন্তব্য করুন
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরজোকা এলাকার ভয়ংকর মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মিলন ফকিরসহ মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগম কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল।
র্যাব জানান, চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া থেকে মানব পাচারের কাজ করে আসছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বেকারত্ব ও দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে বিদেশে ভালো চাকরী দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানব পাচার করে আসছিল। এই চক্রটি ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখ (৪৮) এর ছেলে জুবায়েদকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে আসে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য জুবায়েদের হত দরিদ্র বাবা-মা জায়গা-জমি বন্ধক রেখে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগার করে উপরোক্ত মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেয়। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৯ তারিখে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে জুবায়েদকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে দেয় । এরপর থেকে জুবায়েদের আর খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে আরো দশ লক্ষ টাকা দাবী করে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন ফোন করে বলে তাকে প্রচুর অত্যাচার করেছে এবং ট্রলারে করে তাকে সাগরে নিয়ে যাচ্ছে। তার বাবা-মা এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ছয় লক্ষ টাকা দিলেও তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮ ও ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মানব পাচারের সাথে জড়িত চক্রটির মূলহোতা মিলন ফকিরসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার লক্ষ্যে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, সিপিএসসি কোম্পানি এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তাদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। আজ (৫ মে) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা এলাকা থেকে মানব পাচার চক্রের মূলহোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামী মিলন ফকির (৪২), মানব পাচার চক্রের সদস্য ২নং আসামী রিজাউল ফকির (৬৫), ৩নং আসামী তাসলিমা বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন চরজোকা এলাকার মোঃ রিজাউল ফকির এর ছেলে মিলন ফকির, মৃত আলিম উদ্দিন ফকির এর ছেলে রিজাউল ফকির, রিজাউল ফকির এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় আহলে হাদীসের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনভর উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এছাড়া চাঁদপুর জেলা আহলে হাদীসের পক্ষ থেকে নোয়াখালী,ফেনী,লক্ষীপুর,কুমিল্লা,চাঁদপুরের কচুয়া,ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সমাগ্রী বিতরন করেন নেতৃবৃন্দ। এদিকে আহলে হাদীসের নেতৃবৃন্দ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁধে করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী পৌছে দেন।
এসময় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের চাঁদপুর জেলা জমঈয়তের সেক্রেটারী দুলাল মিয়া,জামিয়া দারুত তাওহীদের সভাপতি মাসুদ রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মো. মাসুদ রানা মিয়াজী,আশ্রাফপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম সহ আহলে হাদীসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা ভাড়া বাসায় খুন হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নিহতদের স্মরণে আগামীকাল (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। একই দিন দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আদর্শ
সদর আর্মি ক্যাম্প ও পুলিশের সমন্বয়ে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় একটি
যৌথ তল্লাশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে যানবাহনের
কাগজপত্র যাচাই করা হয়।
তল্লাশিকালে
দুইটি মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মোট ৬,০০০ (ছয় হাজার) টাকা জরিমানা আদায়
করা হয়। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় উক্ত দুইটি মোটরসাইকেল
জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেনাবাহিনী
ও পুলিশের এ যৌথ অভিযান এলাকায় শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
মন্তব্য করুন