

সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফরিদপুরের বিভিন্ন গ্রামে আজ থেকে রোজা শুরু হয়েছে।রবিবার(১০ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেছেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তাই সোমবার থেকে রোজা রাখব আমরা।
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী বলেছেন, সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন করছি। বর্তমানে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর হয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ঈদ উদযাপন করছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রেখেছেন।
গতকাল রাতে ২ উপজেলার ৯টি মসজিদে একযোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তারাবির নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর এবং হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।
মসজিদগুলো হলো, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্ত বাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের দায়রা বাড়ি কাছারিঘর, হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফ।
নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের মুসল্লি আবু তাহের বলেছেন, আমার দাদারা পালন করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা তারাবির নামাজ আদায় করলাম। এটাই আমাদের আনন্দ।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামের ৩ সহস্রাধিক বাসিন্দা আজ থেকে রোজা শুরু করবেন। রবিবার তারা প্রথম তারাবির নামাজ আদায় করেন।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল, সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ভুলবাড়িয়া, এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ ১৩টি গ্রামের হাজারো মানুষ গতকালের তারাবি নামাজে অংশ নেন।
আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক। তিনিই মূলত এ সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ কলকাতার মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। সেই হিসেবে সৌদি আরবে রোজা শুরু হওয়ায় আমাদের তেরো গ্রামেও রোজা শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আগামীকাল জানা যাবে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার কত । ১৪৪৫ হিজরি সনের (২০২৪) সাদাকাতুল ফিতরের হার নির্ধারণে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি সভায় বসছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন জানিয়েছেন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্যরা থাকবেন ।
সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
ইসলামী শরীয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, গম, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন।
নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।
গত বছর (২০২৩ সাল) এর নির্ধারিত ফিতরার হার ছিল উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ১১৫ টাকা, যবের ক্ষেত্রে ৩৯৬ টাকা, কিসমিসের ক্ষেত্রে এক হাজার ৬৫০ টাকা, খেজুরের ক্ষেত্রে এক হাজার ৯৮০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬৪০ টাকা। অর্থাৎ গত বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ দীর্ঘদিন
যাবৎ শান্তি ও সৌহার্দ্যের মধ্যে বসবাস করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীস্থ
বেইলি রোডে সিদ্ধেশ্বরী শ্রী শ্রী কালী মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত
ও পূজারীদের উদ্দেশ্য এ কথা বলেন।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়
পোদ্দার বলেন, সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উৎসবের সঙ্গে পালন করে
আসছে। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্রের কাছে সকলেই সমান। অনেকে আশঙ্কা করেছিল দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে
পালন করা যাবে কিনা । এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে, কোন অসুবিধা হচ্ছে না। দুর্গাপূজা
সুন্দরভাবে পালন করা হচ্ছে। যদি আমরা সম্প্রীতি ও সংহতি ধরে রাখতে পারি, তাহলে দুষ্কৃতিকারীরা
তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি
নিবাস চন্দ্র মাঝি, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র, উদযাপন পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির
চেয়ারম্যান তপন মজুমদার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক
প্রমিতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা দু:স্থদের মধ্যে বস্ত্র
বিতরণ করেন।
মন্তব্য করুন


বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়
দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ । প্রথম প্যাকেজের
খরচ নির্ধারন করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ নির্ধারন করা
হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালের হজের সাধারণ প্যাকেজের
খরচ কমেছে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর
বিজয়নগরে একটি হোটেলেহাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম হাবের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের
‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা’ করেন ।
এদিকে ১৫ নভেম্বর
থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রী থেকে নিবন্ধনের টাকা জমা
দিতে পারবেন। নিবন্ধনের টাকা জমা নেওয়া হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ধর্ম মন্ত্রণালয়
থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে
সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার
জন হজ পালন করতে পারবেন ।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, এ বছর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা পালন করতে পারবেন। উৎসব ঘিরে সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার বাংলাবাজার এলাকার একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা সার্বজনীন উৎসব। মানুষ যেন ভয়ভীতি ছাড়াই আনন্দের সঙ্গে পূজা করতে পারে, সে জন্য সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব হলো সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আইজিপি জানান, পূজার প্রস্তুতি পর্বে কিছু এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কয়েকটি ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা কোনো কিছু অবহেলা করছি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি পূজায় কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাহারুল আলম বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। রাজধানীসহ সারাদেশের পূজা কমিটির সঙ্গে ইতোমধ্যেই মতবিনিময় হয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মাধ্যমে আগাম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
বলেছেন, এ দেশ আমাদের সকলের। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও উজ্জ্বল করার দায়িত্বও সকল ধর্মের
মানুষের।
আজ (১০ অক্টোবর) বিকেলে শারদীয় দুর্গাপূজা
উপলক্ষে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত ও পূজারিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, আমরা
একটি পরিবারের মতো। আমাদের সকলের সাংবিধানিক অধিকার সমান। দেশের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট
না হয় সেবিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে
সকল ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ,
আনসার-ভিডিপি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ধর্ম
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। কোন দুর্বৃত্ত পূজামণ্ডপে হামলা
কিংবা প্রতিমা ভাংচুর করতে আসলে তাদেরকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে
হবে। সরকার প্রচলিত আইনে এই দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করবে। আমাদের অন্তর
সংকীর্ণ। আমরা সকলেই প্রচন্ড রকম আত্মকেন্দ্রিক। আমরা অন্যদেরকে আমাদের অন্তরে স্থান
দিতে পারিনা। আমাদের অন্তরকে বড় এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। আমাদের পারস্পরিক
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। আগের সরকারগুলো দুর্গাপূজাতে পূজামণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা
করার জন্য সাধারণত দুইকোটি টাকা বরাদ্দ দিতো।
কিন্তু বর্তমান সরকার এবছর চার কোটি টাকা বরাদ্দ
দিয়েছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে ধর্মীয়
ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে সেবিষয়ে
সরকার সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বহু ধর্ম ও গোত্রের মানুষের সমন্বয়ে
একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। একটি বাগানে নানা প্রজাতির ফুল থাকলে বাগানটি যেমন দৃষ্টিনন্দন
ও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠে। বাংলাদেশও ঠিক মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও ক্ষুদ্র
নৃগোষ্ঠীর সম্মিলনে বৈচিত্র্যময়। আমরা এই সৌন্দর্যকে লালন করতে চাই। আমরা পারস্পরিক
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে দৃঢ় করতে চাই। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা
অর্জন করেছি। আমাদের সকলের অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের
সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা
বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন,
ধর্মসচিব মু.আ. হামিদ জমাদ্দার, গুলশান বনানী পূজা ফাউন্ডেশনে সাধারণ সম্পাদক
অসীম কুমার জোয়ার্দারসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে
শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ গতকাল শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।"
শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ইতিহাস থেকে যেন কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, "শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।"
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে
শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ শাহজাহান মিয়া।
মন্তব্য করুন


পবিত্র হজ পালন শেষে এখন
পর্যন্ত ৫১ হাজার ৯৮১ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজ পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়, চলতি বছর ৬০ জন
বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইসমাইল হোসেন (৬৪) নামে একজন হাজি
মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, মৃত্যুবরণকারী এসব হাজির মরদেহ সৌদি আরবেই দাফন করা হবে। প্রখর
তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী,
মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা
শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪৩ জন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর মারা গেছেন। সবার নাম-পরিচয়
প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৪৭ জন মক্কায় মারা গেছেন।
মসজিদুল হারামে তাদের জানাজা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া হজ পালনের বিভিন্ন পর্যায়ে মদিনায় চারজন, মিনায় সাতজন ও জেদ্দায়
দুজন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, মোট ১২৭টি ফ্লাইটে
৫০ হাজারের বেশি হাজি দেশে ফেরার তথ্য জানানো হয় বুলেটিনে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইনস ৫৩টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪৮টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইটে হজ পালন
শেষে তারা দেশে ফেরেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে হজ পালন
করতে যান।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির তৃতীয় সভায় তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারিখ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। বিশ্ব ইজতেমা কীভাবে ভালোভাবে হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, বিশ্ব ইজতেমায় এখন দুটি গ্রুপ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে মতেরও পার্থক্য আছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসব, যাতে তারা সবাই ঐকমত্যে এসে ভালোভাবে (ইজতেমা) করতে পারে। এটি খুবই ভালো একটা আয়োজন, আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বিরাট অনুষ্ঠান। এখানে বহু হুজুর যান এবং বহু দিকনির্দেশনা আসে। আমরা তাদের অনুরোধ করব। আমরা তাদের বলব, আপনাদের নিজেদের মধ্যে যে সমস্যাটা রয়েছে, তা নিজেরা সমাধান করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো। আর যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারেন, তাহলে আমরা বসতে পারি, কীভাবে সমাধান করে আয়োজনটি ভালোভাবে করা যায়, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়; বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়; সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ; অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সচেষ্ট হওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম জোরদার করা, বিভিন্ন অপরাধী ও আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ ছাড়াও রাস্তায় সমাবেশ না করে দাবি-দাওয়া সংশ্লিষ্ট সরকারি কমিটি বা কমিশনে পেশ করা, জনভোগান্তি দূর করতে শাহবাগের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা ও সমাবেশ আয়োজন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের এ বিষয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জনসাধারণকে জানানো, জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা অপরাধে লিপ্ত হলে দ্রুত গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নেওয়া ইত্যাদি সিদ্ধান্ত হয়।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা এবং কমিটির আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন । আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যরা এতে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই দেশ আমাদের সবার, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশ
সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন
সর্বজনীন উৎসব।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে
প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দু
ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের
উৎসবই নয়, এটি এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের
আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ
আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশ সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী
নির্বিশেষে সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত
ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে
বাংলাদেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থান
ছাড়াও সুফি মাজারে যেকোনো বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী
সরকার। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে
কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে পাঠানো
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত কয়েকদিনে কিছু দুর্বৃত্তের
দেশের সুফি মাজারগুলোতে হামলা চালানোর বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে। অন্তর্বর্তী
সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা এবং সুফি মাজার সম্পর্কিত যেকোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য
এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায়
আনা হবে। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধর্মীয় উপাসনালয়
ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের
দেশ। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা
সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করবে।
মন্তব্য করুন