

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা গ্রামে ফেসবুকে মন্তব্য (কমেন্ট) নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে নিজকুঞ্জরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে। আহতরা সবাই ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
আহতরা হলেন— জাহিদুল ইসলাম সামিম (১৭), ইমরান হোসেন (১৮), আরমান হাসান (১৭), রাফি, আরাফাত ও অনিক। এদের মধ্যে সামিম, ইমরান ও আরমানকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সামিমের পেটে ও বুকে সাতটি, ইমরানের শরীরে ১৮টি এবং আরমানের শরীরে নয়টি সেলাই দিতে হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, স্থানীয় মহিপাল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাহাত উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার সহযোগীরা এ হামলার নেতৃত্ব দেন।
তারা জানান, কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। সেখানে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন, যিনি রাহাতের ছোট ভাই, একটি আপত্তিকর মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ফাহাদ ফোনে বড় ভাই রাহাতকে বিষয়টি জানায়।
রবিবার দুপুরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডাকা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই রাহাত ও তার কয়েকজন সহযোগী ছুরি, খুর ও ছাপাতি নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে অন্তত ছয়জন আহত হন।
ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়। সেখানে প্রত্যেক আহতকে চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং মামলা না করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
একজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সভায় বলা হয় যেহেতু ঘটনাটি স্কুলের ভেতরে ঘটেছে, তাই বিষয়টি এখানেই মীমাংসা করা হোক। পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।”
আহত সামিম বলেন, “আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম কেন বাজে মন্তব্য করেছ। কিন্তু স্কুলে গিয়ে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে বারৈয়ারহাট হাসপাতালে নেয়নি, শেষে ছাগলনাইয়ায় চিকিৎসা নিতে হয়।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, “সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষার্থীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই ঘটনাটি ঘটে। উভয় পক্ষের অভিভাবক ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। ফাহাদের বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।”
তবে আহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে দাবি করেন।
ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লুৎফুল কবির বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। স্কুলের অফিস কক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাহাত উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “ঘটনাটি ছোটদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও স্কুল প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়েছে। আমি কোনো হামলার নেতৃত্ব দিইনি।”
তবে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, “বিষয়টি এখনো জানি না। এ ধরনের ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল:
কুমিল্লা টমছম ব্রিজ বাজারে অনিয়মের
অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা।
আজ ডিমসহ নিত্যপণ্যের বাজারে তদারকি
কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় অনিয়মের অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
করা হয় এবং একটি পরিমাপক যন্ত্র বিনষ্ট করা হয়। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট
ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
এ তদারকি কার্যক্রমে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের প্রতিনিধি, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন


২৮ এপ্রিল (রবিবার) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা, দিনব্যাপী লিগ্যাল এইড মেলা ও ২০২৪ সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কারসহ ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ নাসরিন জাহান এর সভাপতিত্বে এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব এফ এম শেফায়েত ছালাম এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা বিশেষ জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিশেষ জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) বেগম সামছুন্নাহার, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ ও দায়রা জজ) মোছাঃ মরিয়ম-মুন-মুঞ্জুরী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রম আদালত কুমিল্লার চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) হাবিবুর রহমান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন, যুগ্ম জেলা জজ তাওহীদা আক্তার, যুগ্ম জেলা জজ মোঃ ইমাম হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান বিপিএম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার সোনিয়া হক, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, অতিরিক্ত জিপি সাহিদা আনোয়ার, সিনিয়র তথ্য অফিসার নাছির উদ্দিন ও সিনিয়র জেল সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন প্রমুখ।
সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ নাসরিন জাহান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২৮ এপ্রিল রবিবার দেশের আপামর জনসাধারণকে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৪ উদযাপিত হবে।
তিনি অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি আইনগত সহায়তা কার্যক্রম ও জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি কার্যকরভাবে পালন করতে সকলকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
সভায় বিজ্ঞ বিচারকগণ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, সিনিয়র জেল সুপার, সিনিয়র তথ্য অফিসারসহ রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ দিবসটি সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপনসহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সার্বিক সহযোগীতার অঙ্গীকার করেন।
মন্তব্য করুন


‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (০৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
ড. ইউনূস বলেন, ৮ মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদতবরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. উইনূস বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় নিহত হয়েছেন একজন।
নিখোঁজ রয়েছেন একাধিকজন। এ ছাড়াও চার শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফুলগাজী, পরশুরাম
ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট
ও বসতবাড়ি। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বন্যাদুর্গতরা। এ দিকে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি।
ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর,
মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম ও পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া,
বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়া ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর, রাধানগর,
শুভপুর ইউনিয়নসহ তলিয়ে গেছে পুরো উপজেলার রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু এলাকায়
মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চাল ছুঁয়েছে বন্যার পানি। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় খুঁজছেন
বাসিন্দারা। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বুধবার (২১ আগস্ট) পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ভয়াবহ এ বন্যায় স্থানীয় পৌরসভা ও উপজেলার
প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। দিনের প্রথম
প্রহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় নৌকা দিয়ে লোকজনকে
উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে
উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার জন্য সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের
সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন লোক নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের
পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ ও আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার
এবং ৫০ টন চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
তানিয়া ভূইয়া বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের প্রায়
অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট)
থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় নৌকা দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার
করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায়
৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সহায়তায় উদ্ধার কাজ
শুরু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পানির উচ্চতা সময়ের সঙ্গে
সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ ও
আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৮ টন চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয়
প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে স্থানীয় যুবসমাজের আয়োজনে পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সেঙ্গুয়া একাদশ ও পালাখাল মুযক্তিযোদ্ধা একাদশ খেলোয়ারদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার। খেলায় সেঙ্গুয়া একাদশকে ০১ গোলে হারিয়ে পালাখাল মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বিজয়ী লাভ করে। পরে বিজয়ী খেলোয়ারদের মাছে চ্যাম্পিয়ান ট্রফি তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। খেলাটি আয়োজন করেন স্থানীয় যুবক নাসির হোসেন,আমান উল্যাহ,মোহাম্মদ হোসেন সহ অন্যান্যরা। এদিকে খেলাটির রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো. ছিদ্দিকুর রহমান।
এসময় বিএনপি নেতা মাহবুব আলম,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান,ছাত্রদল নেতা রানা আহমেদ সহ ইউনিয়ন বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


মানিকগঞ্জে টনসিলের
অপারেশন করতে এসে চিকিৎসকের অবহেলায় জেসমিন আক্তার (৩৭) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
পাওয়া উঠেছে। মানিকগঞ্জের বেসরকারি ইউনাইটেড জেনারেল হাসপাতালে দুইজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
এই অভিযোগ উঠেছে।
জেসমিন আক্তার জেলার
দৌলতপুর উপজেলার উলাইল এলাকার মো. রেজাউল করিমের স্ত্রী। তাঁর ৭ মাস বয়সী একটি কন্যা
সন্তান ও ১০ বছর বয়সী একটি পুত্র্ সন্তান রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার
ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় ইউনাইটেড জেনারেল হাসপাতালে
টনসিল অপারেশনের জন্য জেসমিন আক্তারকে নেওয়া হয়। এরপর বিকেলে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক
জিয়াউল হক এবং ডা. এনামুল হকের তত্ত্বাবধায়নে অপারেশন রুমে নেওয়া হয়। এরপর টনসিল অপারেশনের
জন্য অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার পর রোগীর অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। একপর্যায়ে রোগীকে
আইসিইউ সেবা দেওয়ার জন্য রোগীর স্বজনদের ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেয় হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ।
সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স
করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক
জেসমিন আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখান থেকে পুনরায় মরদেহ নিয়ে ইউনাইটেড জেনারেল
হাসপাতালে নেয় ভুক্তভোগী পরিবার। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভুক্তভোগী পরিবারের
ঘণ্টাব্যাপী বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে
পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ভুক্তভোগী জেসমিন
আক্তারের বড় ভাই আতাউর রহমান বলেন, অপারেশন রুমে আমার বোনের জ্ঞান ফিরছে না, এই খবর
কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়ার পর আমরা তাদের পরামর্শে বোনকে অচেতন অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাই।
সেখানকার ডাক্তার আমার বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। অ্যানেস্তেশিয়া ডাক্তারের অবহেলায় আমার
বোনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার
করে হাসপাতালের ম্যানেজার আবু রায়হান আল বেরুনী ওরফে রাজা বলেন, যে কোনো রোগীর টনসিল
অপারেশন করতে গেলে তাকে পুরোপুরি অজ্ঞান করে নিতে হয়। অপারেশন করার আগে রোগী যেসব পরীক্ষানিরীক্ষা
করা দরকার সবগুলো করা হয়েছে এবং সেগুলোর রিপোর্ট ভালো ছিল। তবে জেসমিন আক্তারের ক্ষেত্রে
হিডেন কোনো সমস্যা থাকতে পারে। এছাড়া যে অ্যানেস্তেশিয়া এবং অপারেশন করেছেন তারা খুবই
অভিজ্ঞ চিকিৎসক। ওনাদের দিক থেকে কোনো অবহেলা নাই। রোগীকে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা
হয়। কিন্তু জ্ঞান না ফেরার কারণে রোগীকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর কথা বলা হয়। কিন্তু
ওনারা ঢাকা মেডিকেলে না গিয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। এখানে আমাদের হাসপাতালের দায়িত্বরত কোনো চিকিৎসকের
অবহেলা নেই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সদর হাসপাতালের অ্যানেস্তেশিয়া কনসালটেন্ট ডা. জিয়াউল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
আরেক চিকিৎসক ডা. এনামুল হক বলেন, ‘আমার অপারেশনের ক্ষেত্রে কোনো ভুল বা অবহেলা নেই। অপারেশনের পর কেন রোগীর জ্ঞান ফিরলো না, সে বিষয়ে যিনি অ্যানেস্তেশিয়া করেছেন তিনি ভালো বলতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ১২পিচ স্বর্ণের বারসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
শনিবার রাত ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে এ স্বর্নের চালানটি আটক করা হয়। এসময় ১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম (১১৯.৯৮ ভরি) ওজনের ১২পিচ স্বর্ণের বার এবং ০১টি মোটর সাইকেলসহ ৩ জন আটক।
আটককৃতরা হলো, বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের আজমীর, জালাল ও নুরুজ্জামান।
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার পিএসসি, জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি স্বর্ণের একটি চালান বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তের দৌলতপুর বিওপি’র একটি টহল দল মেইন পিলার ১৭/৭ এস এর ১৭০ আর পিলার হতে আনুমানিক ৭.৬ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দৌলতপুর গ্রামস্থ রাস্তার পার্শ্বে গোপনীয়তার সাথে অবস্থান নেয়।
কিছু সময় পর বিজিবি টহল দল বেনাপোল হতে দৌলতপুর অভিমুখে ০১টি মোটর সাইকেল আসতে দেখে এবং টহল দলের নিকটবর্তী আসলে মোটর সাইকেল থামার সংকেত দিলে না থেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের তল্লাশী করে ০১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম ওজনের ১২ পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আটককৃত স্বর্ন ১,২৫,৯৮,০০০/- টাকা এবং মোটর সাইকেল ১,৫০,০০০/- টাকা। উক্ত স্বর্ণের বারগুলো ট্রেজারী অফিসে এবং আসামী ও মোটর সাইকেল বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুরের কচুয়ায় পরিস্কার পরিচ্ছনতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে পরিষ্কার-পরিছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিস্কার পরিচ্ছনতা কার্যক্রমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাহিদ ইসলাম, একাডেমি সুপারভাইজার কেএম সোহেল রানা, আইসিটি অফিসার মোশারফ হোসেন, সহকারী সমাজসেবা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ উল্যাহ সহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে এক ঝাঁক স্বেচ্ছাসেবীদের সক্রিয় অংশগ্রহনে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পরিষ্কার-পরিছন্নতা কার্যক্রম। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কচুয়া উপজেলার নেতৃবৃন্দ,পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম, পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম, দগ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের পুর্নবাসন কার্যক্রম এর সুবিধাভোগী তরুণ-তরুণীদের এবং বেসরকারী এতিমখানার প্রতিনিধি পরিস্কার পরিচ্ছনতা কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন। । তাছাড়া জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণের মাধ্যমে পরিছন্ন কচুয়া উপজেলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে উক্ত পরিছন্নতা কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কীভাবে বা কখন তাদের মৃত্যু হয়েছে—সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডা থানার ওসি হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল এলাকার ৩ নম্বর রোডের ২ নম্বর গলির একটি বাসা থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতরা হলেন সাইফুল ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী শাকিলা। সাইফুল ওই ভবনের দারোয়ান হিসেবে কাজ করতেন এবং শাকিলা একই বাসায় রান্নার কাজ করতেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ২৫ অক্টোবরের পর কোনো এক সময় তাদের মৃত্যু হতে পারে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালে বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে আশপাশের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রাথমিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন কুমিল্লার সুপরিচিত ডায়াবেটিস, হরমোন ও মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার অজিত কুমার পাল।
তিনি কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা ডায়াবেটিক হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
অধ্যাপক অজিত কুমার পাল ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বারডেম একাডেমি থেকে এন্ডোক্রিনোলজিতে এমডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০১৪ সালে এমআরসিপিএস (গ্লাসগো) এবং ২০২০ সালে এফআরসিপি (গ্লাসগো) এবং এফআরসিপি (এডিন) লাভ করেন।
তিনি আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস (এফএসিপি) এবং ২০১৫ সালে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি (এফএসিই) থেকে ফেলোশিপ অর্জন করেছিলেন। ২০২৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে অধ্যাপক ডাঃ আব্দুস সালেক মোল্লা এবং ড. মো. আব্দুল মালেকের তত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য।
তিনি অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট বাংলাদেশ (এসিইডিবি) এর সহ-সভাপতি। তিনি ৮৪টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রিনোলজি সম্পর্কিত ৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক মৌখিক এবং পোস্টার উপস্থাপন করেছেন। রোগীদের আন্তরিক ও যাদুকরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক কুমিল্লা সহ বৃহত্তর কুমিল্লার নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ডা. অজিত কুমার পাল বলেন, সুগার স্বল্পতা ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণ একটি সমস্যা। ডায়াবেটিস নীল বা সুগার স্বপ্লতা হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। রোগীরা যদি সচেতন থাকেন এবং এ বিষয়ে আগে থেকে ধারনা রাখে তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জটিলতা এড়ানো সম্ভব। তিনি পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পাশাপাশি কুমিল্লাবাসী সহ অগনিত রোগীদের কাছে দোয়া প্রার্তনা করেছেন।
মন্তব্য করুন