

মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম অগ্রনায়ক,
রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গভীর
শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করে পরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়া বদরুদ্দীন উমর ছিলেন আমাদের মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতি সংগ্রামের
এক উজ্জ্বল বাতিঘর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা, গবেষণা, ঔপনিবেশিক মানসিকতার
বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শনের প্রতি তাঁর অবিচল নিষ্ঠা আমাদের
বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
তিনি ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের পরিবর্তনের
জন্য গোড়া থেকেই গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেছেন এবং জুলাই আন্দোলনকে উপমহাদেশের একটি অভূতপূর্ব
গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
ড. ইউনূস বলেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন
উমর শুধু একজন তাত্ত্বিক ছিলেন না, ছিলেন একজন সংগ্রামী, যিনি আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে
সোচ্চার থেকেছেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের
জন্য লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে সরকার।
বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি
উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাশীল মানুষদের জন্য তাঁর
লেখনী ও জীবনদর্শন এক অনন্য পথনির্দেশ হিসেবে কাজ করবে।
শোকবার্তায় বদরউদ্দীন উমরের শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত
৯৪ বছর বয়সী বদরুদ্দীন উমর আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা
যান।
মন্তব্য করুন


পূর্বানুমতি
ছাড়া চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে গ্রেপ্তার না করার সুপারিশ করেছে
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।
সুপারিশে
বলা হয়েছে, বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ প্রোফেশনাল
কাউন্সিল ইত্যাদির পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা
প্রদানকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণযোগ্য হবে, তবে তা অভিযোগ দাখিলের নব্বই দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন স্বাস্থ্যখাত
সংস্কার কমিশন কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনের ১১নম্বর সুপারিশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি
তুলে ধরা হয়। 
চিকিৎসা
সেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে, সেবা গ্রহীতার অভিযোগ
নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে একটি আধুনিক ডিজিটাল অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে
হবে।বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ পোফেশনাল কাউন্সিল
ইত্যাদির আইনগত ক্ষমতা ও কাঠামোকে আরও কার্যকর করতে হবে। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট
ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য মেডিকেল প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স চালু
করতে হবে, যাতে কর্মজীবনে আইনি ঝুঁকি বা অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও সামাজিক
সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
জরুরি
পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের
অধীনে একটি নির্দিষ্ট ইউনিট থাকবে যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সংরক্ষিত কিছু পুলিশ থাকবেন
(যাদের মেডিকেল পুলিশ বলা যেতে পারে) যারা জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা, হুমকি ও সহিংসতা
প্রতিরোধে এই ইউনিট কাজ করবে। 
সরকার
২০২৪ সালের নভেম্বরে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রধান
হিসেবে রয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ
খান। 
কমিশনের
সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও
হেলথ ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মুহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, শিশু নিউরো
বিজ্ঞান বিভাগের নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নাইলা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার
হাসপাতালের স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ
সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল
হক, আইসিডিডিআরবি’র
বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ আহসানুর রহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ওমায়ের আফিফ।
মন্তব্য করুন


জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করতে পারবে বলে জানিয়েছেন- সংস্থাটির প্রধান প্রসিকিউটর (কৌঁসুলি) করিম এ এ খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর ছাত্র-জনতার বিপ্লবে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া, রোহিঙ্গা সংকট, ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে অধ্যাপক ইউনূস জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান। এ অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের নৃশংসতার শিকার হয়ে অন্তত ৭০০ মানুষ মারা গেছেন এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আইসিসি-তে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ-ভিত্তিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে। তবে আইসিসি-তে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।
বৈঠকে করিম খান অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসির রোহিঙ্গা নির্বাসন নিয়ে তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করে করিম খান বলেন, এসব প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন করে গতি আনবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন এবং সমাধানের উপায় বের করা, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের জন্য শক্তিশালী যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা এবং ২০১৭ সালে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার অপরাধের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চালানোর প্রস্তাব দেন।
এ তিনটি প্রস্তাবকে
নিখুঁত- বলে মন্তব্য করেন করিম খান। 
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎকালে, সেনাপ্রধান
দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান
উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। পাশাপাশি, দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য সেনাবাহিনী গৃহীত
বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেন।
আলোচনাকালে, সেনাপ্রধান তাঁর সাম্প্রতিক
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এই সফরটি দুই
দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সেনাপ্রধান
আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, সদ্য সমাপ্ত বিবিধ বঞ্চিত সেনা
কর্মকর্তাদের সুবিচার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের মূল্যায়ন ও সুপারিশ এবং
বিবিধ কারণে চাকরিচ্যুত জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনা সদস্যদের চলমান উচ্চপদস্থ পর্ষদ-এর
অগ্রগতির বিষয়ে সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত
ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও তাঁকে অবহিত
করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর ভূমিকা
ও অবদানের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা
প্রদান করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। 
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (সেপ্টেম্বর ২৫) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন


ঢাকার সাহ্রি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে এ সময়সূচি। ২ মার্চ প্রথম রোজার সাহ্রির শেষ সময় ভোর ৫টা ৪ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬টা ২ মিনিট।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আরও জানায়, দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট যোগ করে অথবা ৯ মিনিট বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সাহ্রি ও ইফতার করবেন।
রোজা  | মার্চ  | বার  | সাহরি শেষ  | ফজর শুরু  | ইফতারের সময়  | 
*০১  | ২ মার্চ  | রোববার  | ৫-০৪ মি.  | ৫-০৫ মি.  | ৬-০২ মি.  | 
০২  | ৩ মার্চ  | সোমবার  | ৫-০৩ মি.  | ৫-০৪ মি.  | ৬-০৩ মি.  | 
০৩  | ৪ মার্চ  | মঙ্গলবার  | ৫-০২ মি.  | ৫-০৩ মি.  | ৬-০৩ মি.  | 
০8  | ৫ মার্চ  | বুধবার  | ৫-০১ মি.  | ৫-০২ মি.  | ৬-০৪ মি.  | 
০৫  | ৬ মার্চ  | বৃহস্পতিবার  | ৫-০০ মি.  | ৫-০১ মি.  | ৬-০৪ মি.  | 
০৬  | ৭ মার্চ  | শুক্রবার  | ৪-৫৯ মি.  | ৫-০০ মি.  | ৬-০৫ মি.  | 
০৭  | ৮ মার্চ  | শনিবার  | ৪-৫৮ মি.  | ৪-৫৯ মি.  | ৬-০৫ মি.  | 
০৮  | ৯ মার্চ  | রোববার  | ৪-৫৭ মি.  | ৪-৫৮ মি.  | ৬-০৬ মি.  | 
০৯  | ১০ মার্চ  | সোমবার  | ৪-৫৬মি.  | ৪-৫৭ মি.  | ৬-০৬ মি.  | 
১০  | ১১ মার্চ  | মঙ্গলবার  | ৪-৫৫ মি.  | ৪-৫৬মি.  | ৬-০৬ মি.  | 
১১  | ১২ মার্চ  | বুধবার  | ৪-৫৪ মি.  | ৪-৫৫ মি.  | ৬-০৭ মি.  | 
১২  | ১৩ মার্চ  | বৃহস্পতিবার  | ৪-৫৩ মি.  | ৪-৫৪ মি.  | ৬-০৭ মি.  | 
১৩  | ১৪ মার্চ  | শুক্রবার  | ৪-৫২ মি.  | ৪-৫৩ মি.  | ৬-০৮ মি.  | 
১৪  | ১৫ মার্চ  | শনিবার  | ৪-৫১ মি.  | ৪-৫২ মি.  | ৬-০৮ মি.  | 
১৫  | ১৬ মার্চ  | রোববার  | ৪-৫০ মি.  | ৪-৫১ মি.  | ৬-০৮ মি.  | 
১৬  | ১৭ মার্চ  | সোমবার  | ৪-৪৯মি.  | ৪-৫০ মি.  | ৬-০৯ মি.  | 
১৭  | ১৮ মার্চ  | মঙ্গলবার  | ৪-৪৮ মি.  | ৪-৪৯মি.  | ৬-০৯ মি.  | 
১৮  | ১৯ মার্চ  | বুধবার  | ৪-৪৭ মি.  | ৪-৪৮ মি.  | ৬-১০ মি.  | 
১৯  | ২০ মার্চ  | বৃহস্পতিবার  | ৪-৪৬ মি.  | ৪-৪৭ মি.  | ৬-১০ মি.  | 
২০  | ২১ মার্চ  | শুক্রবার  | ৪-৪৫মি.  | ৪-৪৬ মি.  | ৬-১০ মি.  | 
২১  | ২২ মার্চ  | শনিবার  | ৪-৪৪ মি.  | ৪-৪৫মি.  | ৬-১১ মি.  | 
২২  | ২৩ মার্চ  | রোববার  | ৪-৪৩ মি.  | ৪-৪৪ মি.  | ৬-১১ মি.  | 
২৩  | ২৪মার্চ  | সোমবার  | ৪-৪২ মি.  | ৪-৪৩ মি.  | ৬-১১ মি.  | 
২৪  | ২৫ মার্চ  | মঙ্গলবার  | ৪-৪১মি.  | ৪-৪২ মি.  | ৬-১২মি.  | 
২৫  | ২৬ মার্চ  | বুধবার  | ৪-৪০ মি.  | ৪-৪১মি.  | ৬-১২মি.  | 
২৬  | ২৭ মার্চ  | বৃহস্পতিবার  | ৪-৩৯ মি.  | ৪-৪০ মি.  | ৬-১৩মি.  | 
২৭  | ২৮মার্চ  | শুক্রবার  | ৪-৩৮ মি.  | ৪-৩৯ মি.  | ৬-১৩মি.  | 
২৮  | ২৯মার্চ  | শনিবার  | ৪-৩৬ মি.  | ৪-৩৮ মি.  | ৬-১৪মি.  | 
২৯  | ৩০ মার্চ  | রোববার  | ৪-৩৫ মি.  | ৪-৩৬ মি.  | ৬-১৪মি.  | 
৩০  | ৩১ মার্চ  | সোমবার  | ৪-৩৪ মি.  | ৪-৩৫ মি.  | ৬-১৫মি.  | 
রমজানের সাহ্রি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ রোববার (৩ আগস্ট) নৌবাহিনী সদর দপ্তরে ‘নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
নৌবাহিনী
সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন হতে কমডোর, কমান্ডার হতে
ক্যাপ্টেন ও লেঃ কমান্ডার হতে কমান্ডার এবং বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন হতে এয়ার
কমডোর, উইং কমান্ডার হতে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং স্কোয়াড্রন লীডার হতে উইং কমান্ডার পদবিতে
কর্মকর্তাদের পদোন্নতির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের
সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত এ পর্ষদ, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তা নির্বাচন করবেন।
অনুষ্ঠানের
শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে সংঘটিত মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে
১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আন্তঃবাহিনী
জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
নির্বাচনী
পর্ষদ-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সেনা, সকল শ্রেণি-পেশার
মুক্তিকামী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে
আত্মত্যাগকারী সকল শহীদকে। 
তিনি
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস, সংগ্রাম ও বীরত্বের কথা স্মরণসহ শান্তিকালীন
সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং জাতীয় প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ভূয়সী
প্রশংসা করেন।
তিনি
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও নানা সংকটে বিশেষত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র
জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের নিরাপত্তা সংকটে আপামর জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা
নিয়ন্ত্রণ, দেশ গঠনে উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে দেশের মানুষের ভালোবাসা ও
পরম নির্ভরতা অর্জন করায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা দেশের সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ ও আহরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন,
ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র গভীর সমুদ্র বন্দরের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর
অবদান এবং সার্বিকভাবে সুনিল অর্থনীতির বিকাশে প্রয়োজনীয় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার ব্যাপারে
নির্দেশনা প্রদান করেন। একইসাথে তিনি দেশের সুনীল অর্থনীতির বিকাশে চলমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ড,
মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমআইডিএ) প্রতিষ্ঠা, উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নসহ
দেশের সার্বিক উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের 
ওপর আলোকপাত এবং এক্ষেত্রে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী কর্তৃক দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ
অবদানসহ দেশমাতৃকার সেবায় ও সুরক্ষায় বাহিনী দ্বয়ের ভূমিকা ও সর্বোপরি সশস্ত্র বাহিনীর
আধুনিকীকরণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী দেশের সংবিধান
সমুন্নত রেখে যে কোন রাষ্ট্রীয় সংকটে এবং দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবায় জনগণের পাশে
দাঁড়ানোর এই ধারা ভবিষতেও অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
তিনি
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক, মেধাবী, দক্ষ, পেশাদার, সৎ,
মানবিক এবং নৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন যোগ্য কর্মকর্তাদের নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী পর্ষদকে
যথাযথ নির্দেশনা দেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি,
এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান,
বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি তাঁকে স্বাগত জানান।
নির্বাচনী
পর্ষদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
নৌবাহিনী
ও বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা
ও দিকনির্দেশনা নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সকল সদস্যের কর্মস্পৃহা ও মনোবল বৃদ্ধি
করেছে বলে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও,
প্রধান উপদেষ্টার মূল্যবান দিকনির্দেশনায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে নেতৃত্ব প্রদানে
দেশপ্রেম, পেশাগত দক্ষতা, মানবিক ও অধিনায়কত্বের গুণাবলির মাপকাঠিতে দক্ষ ও উপযুক্ত
কর্মকর্তা নির্বাচনের মাধ্যমে সুদক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন বাহিনী
প্রধানগণ ।
অনুষ্ঠানে
সংশ্লিষ্ট সামরিক ও বেসামরিক উধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান
উপদেষ্টা নৌবাহিনী সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষরোপণ করে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী
ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন ।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয়
অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি
নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করলে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন
আহমেদ।
সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর
রহমান খান বৈঠকে অংশ নেন।
এ সময় বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা—বিশেষ করে
স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্বে ছিলেন এমন কর্মকর্তাদের—আসন্ন
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানান বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলের ক্ষেত্রে
নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যও প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে জানান,
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের
যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের
ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত স্থানে
নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা।
নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই
ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও
নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।”
বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া নিয়েও
কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের
সম্পৃক্ত করায় এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করতে
পারায় সরকারকে অভিনন্দন জানায় বিএনপি।
এর পাশাপাশি, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায়
সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এসব
ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানান তাঁরা।
চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল
বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটির সঙ্গে ৯ মার্চ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আছে। পরিস্থিতি ভালো আছে।
তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সব জায়গা থেকে চাহিদা এসেছে সেখানে বেশি ফোর্স দিয়েছি। অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটও দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের মূল্যায়ন পরিবেশ ভালো। আশাকরি নির্বাচন ভালোভাবেই হবে। আমাদের প্রস্তুতি সব দিক থেকেই ভালো।
তিনি বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়টা হলো আমাদের প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। জনবল রাখা হয়নি। এজন্য নিয়মিত কর্মকর্তাদের দিয়েই বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। আমাদের আর্থিক, জনবলের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য অনেকগুলো ইভিএমই কাজ করছে না। অচল হয়ে যাচ্ছে। ইভিএম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো সচল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোই ব্যবহারের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
সিটি ভোটে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না, সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটের ক্ষেত্রে উত্তেজনা থাকেই। সব প্রার্থীই চায় নির্বাচনে জেতার জন্য। তবে এরকম কোনো ইয়ে নাই ওখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে, এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নাই। তারপরও সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে তারা যে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে সেভাবে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা বন্ধ না করলে আমরা (কমিশন) বন্ধ করে দেবো।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন চার উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন চার উপদেষ্টার শপথ গ্রহণ শেষে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।
নতুন উপদেষ্টাদের দপ্তর বন্টনসহ হলো বর্তমান উপদেষ্টাদের দপ্তর দায়িত্বেও পুন:বন্টন ।
নতুন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন লে. জে. জাহাংগীর আলম চৌধুরী।
মন্তব্য করুন


সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন । 
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)জানায়, কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফের আমন্ত্রণে এ কুয়েত সফর করেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
এর আগে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফের আমন্ত্রণে সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুয়েত সফরে যায়।
আইএসপিআর আরো জানায়, সফরকালে সেনাপ্রধান কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল পাইলট সাবাহ জাবের আল আহমেদ আলসাবাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. আব্দুল্লাহ মেশাল মোবারক আব্দুল্লাহ এ. আলসাবাহ ও কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার হাসেম আব্দুল রাজ্জাক আল-রিফাইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, কুয়েতের আমির উপসাগরীয় যুদ্ধে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং পরে অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সেনাপ্রধান এর কুয়েত সফর নিয়ে আইএসপিআর আরও জানায়, সফরকালে সেনাপ্রধান কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টস (বিএমসি) সদর দফতর পরিদর্শনসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। তিনি বাংলাদেশি মিলিটারি কন্টিনজেন্টের অফিসার এবং অন্য পদবির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে অফিসার্স অ্যাড্রেস এবং দরবার নেন। এছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধান সফরকালে কুয়েত আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ পরিদর্শন করেন।
 
মন্তব্য করুন