

জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
২০ আগস্ট দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে কাছারি মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কাছারি মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এইচ এম বাবুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন,কুড়িগ্রাম জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মজিদ রিপন,উপজেলা বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার, উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান হাসু,উপজেলা সেবক দলের সাবেক সভাপতি আরাবুর রহমান পাশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল খালেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সিনিয়ার যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় বক্তারা, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। সেই সাথে সামনে নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের পাশে এসে ভালো কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন


ঢাকাসহ দেশের ২০ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (৪-জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, ময়মনসিংহ, বগুড়া, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা বাদশা মিয়ার
বাজার ও চকবাজারে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে
নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) এ অভিযানে দুটি
দোকানের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং প্রায় ২০২
কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব পালন
করেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
মো: ফরিদুল ইসলাম এবং মাহমুদা আক্তার জ্যোতি।
অভিযানে প্রসিকিউশনের দায়িত্ব পালন
করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ রায়হান মোর্শেদ
এবং পরিদর্শক চন্দর বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উক্ত কার্যালয়ের
হিসাবরক্ষক তোফায়েল আহমেদ মজুমদার এবং জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের কার্যক্রম
ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ
নাজমুল হাসান দিগান (১৪) গত রবিবার (১৩ এপ্রিল ) সকাল ৮ টায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের
২১নং ওয়ার্ড শাকতলা উত্তর পাড়া নিজ বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ এর ঘটনায় সোমবার
(১৪ এপ্রিল) সদর দক্ষিণ থানায় জিডি করা হয়।
নিখোঁজ ডাইরীর ভিত্তিতে বিবাড়ীয়া জেলাধীন আখাউড়া রেলস্টেশনের পাশে সিএনজি স্টেশন হতে
সকাল ১০ টার সময় মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ নাজমুল
হাসান দিগান(২৩)কে এসআই নিয়াজ মোহাম্মদ খান ও তাহার পরিবারের সহায়তায় উদ্ধার পূর্বক
তাহার অভিভাবকের নিকট বুঝিয়ে দেন। তাকে পেয়ে তাহার পরিবারের লোকজন অনেক খুশি।
নাজমুল হাসান দিগানের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় আপেল বরই কিংবা কুল চাষে সফল হয়েছেন শহীদ বেপারী। প্রথমবারই সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি। প্রতিদিন বিক্রি করছেন বাগানের বরই। কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়া উৎপাদিত এ বরইয়ের বেশ চাহিদা আছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, পালাখাল গ্রামের নয়াবাড়ির অধিবাসী কৃষক শহীদ বেপারী ২২ শতক জায়গায় গড়ে তোলা বরই বাগান পুরোটা নেট দিয়ে ঘেরা। ভেতরে প্রবেশ করে গাছে ঝুলতে দেখা যায় সবুজ-হলুদ ও লালচে থাই-বলসুন্দরী বরই। বিক্রির জন্য শহীদ বেপারীসহ কয়েকজন গাছ থেকে বরই তুলে ব্যাগে রাখছেন। আকারে বড় ও স্বাদে সুমিষ্ট হওয়ায় বাগানেই বিক্রি হয়ে যায় সব বরই।
কৃষক শহীদ বেপারী বলেন, অনেক বছর ধরে কৃষিকাজ করছি। বাড়ির পাশে প্রথমে ২২ শতক জায়গায় বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই গাছ লাগাই। সাতক্ষীরা থেকে চারা সংগ্রহ করেছি। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার বরই বিক্রি করেছি। গাছে যে পরিমাণ বরই আছে, আশা করছি লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কম খরচ ও পরিচর্যায় বেশি ফলন পাওয়ায় বরই চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের। বলসুন্দরী ও থাই জাতের বরই অনেক সুস্বাদু। শহীদ বেপারী এ জাতের বরই চাষ করে প্রথম বছরই সফল হয়েছেন। বরই চাষে কোনো কৃষক আগ্রহ হলে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদন:
কুমিল্লার সুপরিচিত সমাজসেবক ও দক্ষিণ চর্থার স্থায়ী বাসিন্দা মো. আবুল হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক,দৈনিক আজকের জীবনের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি নেকবর হোসেনের বাবা মরহুম আবুল হোসেন ২০১৩ সালের ৩০শে নভেম্বর ৬৪ বছর বয়সে হঠাৎ করেই দুনিয়ার মায়া ছাড়েন। পরিবারের ভাষ্য মতে, মৃত্যুর সময় তিনি কোনো কষ্ট পাননি, কাউকেও কষ্ট দিয়ে যাননি—যা তাঁর সৎ, সরল ও শান্ত জীবনযাপনেরই প্রতিফলন।
জীবদ্দশায় তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর্থা এলাকায় শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি নিজ কর্মজীবনে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এবং অবসর সময় সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত রাখতেন। তাঁর সাদামাটা জীবনযাপন ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা আজও এলাকাবাসীর মনে গভীরভাবে জায়গা করে রেখেছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর পরিবার দক্ষিণ চর্থা এলাকার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি তিনটি এতিমখানার ছাত্রদের জন্য দুপুরের খাবারের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমাজসেবামূলক সংগঠন ‘মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এবং রক্তের বাঁধনে চর্থাবাসীর উদ্যোগে বাদ আসর দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রয়াত মো. আবুল হোসেনের রূহের মাগফিরাত কামনায় পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া সৎ পথের দৃষ্টান্ত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
শিক্ষকতা শেষে গাড়িতে চড়ে অবসরে গেলেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নরেশ চন্দ্র সাহা। প্রিয় শিক্ষকের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দিয়েছেন রাজকীয় সংবর্ধনা। বৃহস্পতিবার ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বিদায় ও সংবর্ধনা শেষে বিকেলে গাড়িতে চড়ে শাহরাস্তি উপজেলার উপলতা গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌঁছান এ শিক্ষক। এসময় স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গাড়ির পিছনে মোটরসাইকেল নিয়ে শিক্ষককে বাড়িতে পৌঁছে দেন। একই দিনে ওই বিদ্যালয়ের কর্মচারী শোভা রানীকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। পরে বিদায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীকে উপহারস্বরূপ পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দান করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর পর সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করেন। অবসরজনিত কারণে চলতি বছরের ১৮ জুন শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্ত ঘটে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, তিনি অনেক ভালো ও উদার মনের মানুষ। শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ প্রিয় ছিলেন। কখনো রাগ বা ক্ষোভ দেখিনি। পিতার মতো শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছেন। আমাদের কর্ম জীবনে এমন শিক্ষক পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তিনি এতো উদার মনের মানুষ, কোনো শিক্ষকের বিপদ হলে সঙ্গে সঙ্গে যেতেন এবং খোঁজ খবর নিতেন। স্যার অবসর জনিত কারণে বিদায় নিয়েছেন। এটি সবাইকে মানতেই হবে। আমরা স্যারের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করছি।
ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমান ও সেলিম হোসেনের যৌথ পরিচালনায় বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার, বিদায়ী শিক্ষক নরেশ চন্দ্র সাহা,পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম,সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম,সাধারন সম্পাদক এমদাদ উল্যাহ,বিশিষ্ট সমাজসেবক রুহুল আমিন চৌধুরী,আব্দুল্লাহ আল মামুন,সহকারী শিক্ষক মানিক সরকার,আব্দুল মবিন মজুমদার,মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ। এসময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও বিদায়ী শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রফুল্ল রাখতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের নৃত্য পরিবেশ করেন। পরে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
মৃত্যুর
আগ পর্যন্ত কামলা হয়ে কুমিল্লা-৩ আসনের মানুষের
পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান
ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এবং পাঁচবারের সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
তিনি
বলেন, ‘অতীতে আমি আপনাদের কামলা হয়ে যেভাবে পাশে ছিলাম, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেভাবে
কামলা হয়ে থাকতে চাই। নেতা হিসেবে নয়, আমি আপনাদের কামলা হিসেবেই থাকতে চাই।’
শনিবার বিকালে কুমিল্লার বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জনসভায়
বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান কায়কোবাদ বলেন, ‘আমরা কি চিন্তা করতে পেরেছিলাম
বাঙ্গরা হাইস্কুল মাঠে আমরা আজকে সমাবেশ করতে পারব? আমরা কি চিন্তা করতে পেরেছিলাম
শেখ হাসিনার দেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যাবে? আমরা কি চিন্তা করেছিলাম সেই স্বৈরাচারদের
অনেকে জেলখানায় যাবে এবং বিচারের মুখোমুখি হবে। এসব ব্যবস্থা করেছে আল্লাহ।’
এসময়
আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানানোর জন্য সবাইকে একবার সূরা ফাতিহা পাঠ করান তিনি।
অন্তর্বর্তী
সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাকে এই সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছে আল্লাহ। এই আওয়ামী লীগ সরকার আর কিছুদিন থাকলে অনেকের মত
আপনাকেও জেলখানার স্বাদ গ্রহণ করতে হতো। আল্লাহ আপনাকে সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিয়েছে।
এজন্য আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন এবং জনগণের আশাকে পূরণ করার চেষ্টা করুন।’
তিনি
বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনগণের একটিই আশা, সেটি হল নির্বাচন। সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে এই
সংস্কারের মাধ্যমে বড়লোকদের উপকার হবে গরিবদের কোনো উপকার হবে না। আপনাদের সংস্কারের
প্রয়োজন নেই। সংস্কার ছেড়ে দিন তাদের ওপরে, যারা জনপ্রতিনিধি হবে। তাদের কাছে পরামর্শ
রেখে যান। আপনাদের পরামর্শকের সামনে রেখে এই সেই সরকার এগুলো পালন করার চেষ্টা করবে।
কাজী
শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ আরও বলেন, ‘যেভাবে বাংলাদেশের জনগণ একত্রিত হয়ে আন্দোলন
করেছিল, সেই আন্দোলনের ফসলকে ইউরোপ-আমেরিকা সমস্ত পৃথিবী একসেপ্ট করে নিয়ে স্বাগত
জানিয়েছে। আগে অনেকে অনেক কথা বলেছি অনেকে অনেক ভাষায় কথা বলেছে, কারো কথা শুনে নাই।
কিন্তু এই আন্দোলনের মাধ্যমে যখন বাংলাদেশের নারীরা, যুবকেরা ও মেহনতি মানুষ একত্রিত
হয়ে ঢাকা শহরের রাস্তায় নেমে পড়ল তখন তারা সবাই একযোগে চিৎকার করে বলে উঠল আমরা
তোমাদের সঙ্গে আছি। এরপর সবাই বলল এই স্বৈরাচারের বিচার হবে, বিচার করতে হবে। কিন্তু
এর আগে কিন্তু এই বিচারের কথা কেউ বলে নাই।
তিনি
বলেন, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে যেমনিভাবে এই স্বৈরাচারকে পতন করিয়েছি, এমনিভাবেই একত্রিত
থাকতে হবে যেন আমাদের দাবি আদায় ও সুন্দর নির্বাচন আদায় করতে পারি।
এসময়
সৃষ্টিকর্তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে আমাদের বলতে হবে, চাইতে হবে যেভাবে
স্বৈরাচার সরকারকে আমাদের মাঝখান থেকে বিদায় করেছে সেভাবেই একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা
করে দাও।
নারীদের
প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বিএনপির জনপ্রিয় এই নেতা বলেন, ‘যতবার নির্বাচন করেছি ভোটের
সেন্টারে গিয়ে দেখেছি মহিলাদের লাইনটা অনেক বড়। আর এ কারণেই দেখা যেত ভোটের যে রেজাল্ট
এখানে আমাকেই আল্লাহপাক বেশি ভোট দিয়েছে।’
এসময়
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলে হিন্দু ভোট আওয়ামী লীগের, আমাদের আন্দিকুট ইউনিয়নে কয়েকটা
গ্রাম আছে যেখানে হিন্দু মুসলমানের চেয়েও বেশি। ওই সেন্টারে আল্লাহ পাক আমাকে সমসময়
আমাকেই জিতিয়েছে।
জনসভা
বিকেল ৪টায় শুরু হলেও দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে সভাস্থলে এসে জমায়েত
হোন। নেতাকর্মীদের নানা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। বিকেল চারটার আগেই পরিপূর্ণ
হয়ে পড়ে জনসভাস্থল। জনসভায় উপস্থিত জনতার মধ্যে পুরুষের সঙ্গে নারীদের উপস্থিতিও
ছিল চোখে পড়ার মতো।
কুমিল্লা
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি
ছিলেন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার,সদস্য সচিব তারেক মুন্সী, যুগ্ম
আহ্বায়ক তৌফিক আহমেদ মীর, সাবেক মেজর মো. শাজাহান, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম
আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা
আক্তার রুবি,উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি কাজী তাহমিনা আক্তার, মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের
আহ্বায়ক সোহেল সামাদ,মুরাদনগর উপজেলা হিন্দু পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দয়ানন্দ
ঠাকুর প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৪ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল
ও ২৪ ক্যান বিয়ারসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ জহিরুল
ইসলাম কামরুল এবং ২। মিজান নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ৪ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ২৪ ক্যান বিয়ার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত
একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ জহিরুল ইসলাম
কামরুল (২৪) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার টামটা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্না এর ছেলে
এবং ২। মিজান (৩১) একই গ্রামের মৃত সামসু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা, ফেন্সিডিল ও বিয়ার সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


রফিকুল ইসলাম বাবু , চাঁদপুর :
চাঁদপুর জেলায় পরপর চারবার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন মতলব দক্ষিণ থানার চক্ষুষ অফিসার ইনচার্জ মোঃ সালেহ আহাম্মদ । আগষ্ট ,সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের ২০২৪ এর পরপর টানা চারবার জেলায় শ্রেষ্ঠ অর্জন করেন।
৭ ডিসেম্বর চাঁদপুর পুলিশ লাইন সম্মেলন কক্ষে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভায় পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল রকিব পিপিএম সালেহ আহমেদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইয়াসিন আরাফাত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রাশেদুল হক চৌধুরী , সিনিয়র সহকারী পুলিশ,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, মতলব সার্কেল, মোঃ খাইরুল কবির, হাজিগঞ্জ সার্কেল পংকজ কুমার, কচুয়া সার্কেল, সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট ইন্সপেক্টর, অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা।
উল্লেখ্য,সালেহ আহাম্মদ দির্ঘদিন যাবত মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ২০ আগস্ট একই থানায় তাকে অফিসার হিসাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তিনি আগষ্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে পর পর টানা চারবার জেলায় শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসাবে নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে মতলব দক্ষিন থানার অফিসার ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম ও সিনিয়র অফিসারসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন