

মো; মাসুদ রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় কলা চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন মিজানুর রহমান নামের এক কৃষক। বর্তমানে তার জমিতে চার শতাধিক কলা গাছ আছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া এলাকায় রাস্তার পাশে কলার বিশাল বাগান করেছেন মিজানুর রহমান। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ২০০ কলার ছড়ি আছে। জমি ইজারা নিয়ে কলা চাষের পাশাপাশি হলুদ,মিষ্টি আলু, লাউ,টমেটে ও নানা জাতের সবজির আবাদ করেছেন তিনি।
অন্য ফসল বিক্রিতে কিছু ঝামেলা থাকলেও কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। খুচরা পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যান। সবরি কলার কাঁদি ৪০০-৫০০ টাকা, সাগর কলার কাঁদি পাইকারি বিক্রি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হয়।
কৃষক মিজানুর রহমান কলা চারা রোপনে ব্যয় হয়েছির মাত্র ১০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে বছর খানেক সময় গেলে তার কলা বাগান থেকে আয় হয় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে কলা বাগনে আরো কলার ছড়া রয়েছে। বর্তমানে বাগানে যে কলা আছে তা ৫০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।
তাছাড়া দুই থেকে তিন ফুট লম্বা কলা গাছের চারা লাগানোর ৮-৯ মাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। কলার চারা একবার রোপণ করলে পুনরায় তা আর রোপণ করতে হয় না। গাছের কলা একবার পূর্ণাঙ্গ বয়স হলে কেটে ফেলার কিছুদিন পর ওই গাছের গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়। কৃষক মিজানুর রহমান কলা চাষ করে নিজের পরিবারের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন তিনি। কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তিনি।
কলা চাষিরা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এক বছর আগে প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে করার আবাদ করি। পাঁচ বছরের জন্য ৭২ শতাংশ জমি ইজারা নিয়ে এ জমিতে কলা চাষের পাশাপাশি সমন্বিত সবজির আবাদ করেছি। কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শে কলার ফলন ভালো হায়েছে। প্রথম ৫০ হাজার টাকার অধিক কলা বিক্রি করি।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিটু মহন সরকার বলেন, কলা চাষ তেমন কোনো খরচ নেই। কলা চাষে লাভের অংশ বেশি। এ উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। কম শ্রম, অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলা চাষ। রাস্তার ধারে কিংবা বাগানের পতিত জায়গাকে ব্যবহার করে কলা চাষই সফলতার হাসি এনেছে চাষী মিজানুর রহমান। ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে কলা চাষ। সম্পৃক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি।
মন্তব্য করুন


রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে ১৬টি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ দুলাল।
তিনি বলেন, রোববার (২৩ জুন) সকাল থেকে দুই দফায় সাপের বাচ্চাগুলো জনসমক্ষে বের হয়ে আসে। প্রথমে সকাল ৯টার দিকে ৯টি। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৭টি সাপের বাচ্চা বের হয়ে আসে। দুই দফায় মোট ১৬টি সাপ বের হয়ে আসে। সাপগুলো মানুষের সামনেই ঘোরাফেরা করে। পরবর্তী সময় সাপগুলো পুলিশ উদ্ধার করে এবং বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বর্ণাঢ্য
আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে
বেলুন উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়।
র্যালিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক ও ক্যাম্পাস
প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়,
পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার
আলী। কেক কাটার পর বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, মাননীয় ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এম শরীফুল করীম।
সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মিশন নিয়ে এসেছি। আমার মিশন হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত রেখে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে যা দরকার তা বাস্তবায়ন করা। আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকবে না, গবেষণা হবে তাদের প্রধান মাপকাঠি। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৩জনের মধ্যে ১০১জন শিক্ষকের প্রোফাইল ব্ল্যাঙ্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাজ শুধু পড়াশোনা করানো নয়। তাই আমরা সকলেই পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গিকার করি।'
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘আজকে এখানে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণ করছে, আমি স্মৃতিচারণের দিকে যাব না। আমি একজন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনের পর এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন হয়েছে। আজকে এই দিনটি দেখার জন্য আমাদের আব্দুল কাইয়ুমের জীবন গেছে এবং আরো অনেকই আহত হয়েছেন। এখন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হচ্ছে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'এবারের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের মনে বিশেষ এক অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। এই অনুভূতির জন্য আমাদেরকে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজকের এই দিনে আসতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের ত্যাগকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেই সাথে আমি প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের একটাই অঙ্গীকার হোক, আমরা সকলেই একে অপরের সহিত মিলেমিশে, কোনো বিভাজন না করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। মনে রাখবেন আপনার সন্তান যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রথম চয়েস না রাখে তাহলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা। তাই চলুন একসাথে কাজ করি, একসাথে এগিয়ে যাই।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'শুরুর দিক থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তবে গত ১৫-১৬ বছর তো আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম, সে ইতিহাস আর কী বলব। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমাদের পক্ষে মাত্র চারটি ভোট পড়তো। সবাই আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করতো, এমনকি পত্র-পত্রিকায়ও এটা নিয়ে লেখা হতো।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এক ঐতিহ্যের ইতিহাস। শুরুতে আমাদের কিছুই ছিল না, বিগত ১৯ বছরে আমাদের ইতিহাস হয়েছে, গৌরব হয়েছে। আমরা পনেরোজন শিক্ষক শুরু করেছিলাম, কারো পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। এখন প্রতিমাসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা অনেক অবহেলার শিকার হয়েছি। আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একটা নতুন মাইলফলক গড়তে চাই।'
অনুষ্ঠানে
আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন
হলের প্রভোস্টগণ সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


রফিকুল
ইসলাম বাবু, চাঁদপুর :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার কিশোর অটোচালক মহিন মিয়াজী (১৭) হত্যা মামলায় ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।
আসামীরা হলেন- মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাব্বি (২৬), মো. জসিম (২৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন (৪৪)।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়। তবে প্রধান আসামী সুজন এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।
হত্যার শিকার কিশোর অটোচালক মহিন মিজি উপজেলার উপাদি উত্তর ইউনিয়নের ডিঙাভাঙা গ্রামের নাছিল উদ্দিন মিয়াজীর ছেলে।
মঙ্গলবার চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার বলেন, অটোচালক মহিন
হত্যার ঘটনায় ১ ডিসেম্বর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার সূত্রধরে মতলব
দক্ষিণ থানার ওসি পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করেন। ওই দলটি তদন্ত করে হত্যায় জড়িত
আসামী মো. রাব্বি ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ২ ডিসেম্বর
অভিযান চালিয়ে আসামী জসিম ও ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং ইসমাইলের হেফাজতে
থাকা অটোবাইকের ৪টি ব্যাটারী উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী সুজনকে
গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে পূর্ব পরিকল্পার আলোকে আসামী সুজন মোবাইল ফোনে কিশোর চালক মহিনকে মতলব ধনারপাড় আসার জন্য। ওই চালক তাদের কথামত বাড়ি থেকে ধনার পাড় চলে আসে। সেখানে আসলে সুজনসহ সকল আসমী তার ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা করে নাগদা, আশ্বিনপুর, নারায়নপুরসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরাঘুরি করে। সন্ধ্যার পরে তারা ঘটনাস্থল উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতি গ্রামের গোলগেইল্যা খালের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা কৌশল করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং অটোরিকশাটি চালিয়ে আসামী ইসমাইলের গ্যারেজে নিয়ে আসে। পরে তারা ব্যাটারীগুলো ২৩ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন


ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কারখানার
স্টাফ, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আশুলিয়ার
শিমুলতলা এলাকার ইউফোরিয়া গার্মেন্টসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় র্যাবের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের
চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে একটি তৈরি পোশাক কারখানায়।
পুলিশ ও র্যাব জানায়, রবিবার বিকেলে
বকেয়া বেতনসহ ১৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছিলো ইউফোরিয়া গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
বিকেলের দিকে স্টাফদের সাথে শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়। তার জেরে একপর্যায়ে রাতে
বেধে যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এ সময় কারখানাটিতে ভাঙচুর শুরু করে বিক্ষুব্ধ
শ্রমিকরা। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারখানার এলাকায় গেলে তাদের সাথেও
সংঘর্ষ হয়। এতে শ্রমিক ছাড়াও আহত হয় বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য। এসময়
শ্রমিকরা র্যাবের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে ।
পরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ বিকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারের পশ্চিম পাশে গাড়ীচালকদের বিশ্রামাগারের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রাস্তার উপর সততা সার্ভিস নামীয় বাস তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোসা: শিল্পী (৪০) ও রিণা আক্তার (২৭) নামীয় সহোদর ০২ বোনকে কে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ছোট ফাউসা গ্রামের মো: নুর ইসলাম এর মেয়ে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ।
গতকাল (৮ মে) বিকালে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই শেখ মফিজুর রহমান
ও সঙ্গীয় ফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাঁচথুবী ইউনিয়নের
পাঁচথুবী পশ্চিমপাড়া রমিজ মিয়ার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ মাদক
ব্যবসায়ী রাসেল ও জামাল কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: কুমিল্লা
জেলার ইটাল্লা (পূর্ব পাড়া) এলাকার মৃত শাহ আলম এর ছেলে রাসেল(২২) এবং একই এলাকার আব্দুর
রহমান এর ছেলে জামাল(৪০)।
উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিদ্যুৎস্পর্শে আল মামুন গাজী নামের একজন জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামে কাজের সময় মারা যান তিনি।
আল মামুন গাজী কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বাকশা তাঁতীপাড়া গ্রামের জাহার আলী গাজীর ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের জামায়াতের দায়িত্বশীল ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, আল মামুন পেশায় একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ছিলেন। শনিবার দুপুরে কাকডাঙ্গা গ্রামের মাওলানা আব্দুল খালেকের বাড়িতে লোহার গেট বসানোর কাজ করছিলেন তিনি। কাজের জন্য বাড়ির মূল লাইন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ওয়েল্ডিং মেশিন ব্যবহার করছিলেন। এ সময় ব্যবহৃত ড্রিল মেশিনে বিদ্যুৎ লেগে যায়। মুহূর্তেই তিনি বিদ্যুৎস্পর্শে পড়ে যান। একই সঙ্গে গেটের ভারী লোহার অংশ পড়ে তার শরীরে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ফিরোজ আহমেদ আজাদী এক শোকবার্তায় আল মামুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
কলারোয়া থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বলে নিশ্চিত হয়েছি।
মন্তব্য করুন


আজ সোমবার ২০ অক্টোবর,চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার আমেরিকা প্রবাসী নুরুল আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বাবলু বড়ুয়াকে (৩৬)- কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১১টায় পটিয়া উপজেলার তেকোটা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাবলু বড়ুয়া বোয়ালখালী উপজেলার উত্তর ভূর্ষি এলাকার দিলীপ বড়ুয়ার ছেলে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম “ মোজাফ্ফর হোসেন” জানান, বায়েজিদ থানার আমেরিকান প্রবাসী নুরুল আলম হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বাবলু বড়ুয়া পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের তেকোটা গ্রামে অবস্থান করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পটিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
নানা
কর্মসূচী পালনের মধ্যদিয়ে কুমিল্লায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। দিবসটিতে
এবছরে প্রতিপাদ্য বিষয়ছিলো গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের
স্বাধীনতা জরুরী। এর মূলবিশ্লেষন হচ্ছে স্বাধীন ও বহুমুখী সাংবাদিকতা চর্চার নিশ্চয়তা
দেওয়া। এই ঘোষণার মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতির গণতন্ত্র বিকাশের
জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা জরুরি। মূলত ৩ মে এই 'উইন্ডহক ডিকলারেশন' ঘোষিত হওয়ায় প্রতি
বছর বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।
কুমিল্লাতে
নানা কর্মসূচী পালনের মধ্যদিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ
পরিষদ, কুমিল্লা দিবসটি পালন করেছে। ৩ মে শনিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও রোটারী
ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংবাদিক সম্মাননার
আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ, কুমিল্লার সভাপতি ওমর ফারুকী তাপসের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- প্রবীণ সাংবাদিক ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের
সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও কালবেলা পত্রিকার
কুমিল্লার ব্যুরো প্রধান মাসুক আলতাফ চৌধুরী, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ লুৎফুর রহমান, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের বর্তমান
সভাপতি ও একাত্তর টিভির নিজস্ব প্রতিনিধি কাজী এনামুল হক ফারুক, দেবিদ্বার প্রেসক্লাবের
সভাপতি এবিএম আতিকুর রহমান বাশার।
এই
বছর গণমাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক
প্রতিবেদনের জন্য কুমিল্লার ৬জন সাংবাদিককে সম্মননা ক্রেষ্ট ও ফুলের মালা গলায়দিয়ে
শুভেচ্ছা জানানো হয়। যারা সম্মননা পেয়েছেন তারা হলেন- এখন টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান
খালেদ সাইফুল্লাহ, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কুমিল্লার ব্যুরো রিপোর্টার মুহাম্মদ আবুল
খায়ের, দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ কামাল উদ্দিন, দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার
স্টাফ রিপোর্টার ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, অনলাইন পোর্টাল
কুমিল্লার জমিন এর সম্পাদক শাহাজাদা এমরান, ও সাপ্তাহিক গোমেতি সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক মোবারক হোসেন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ, কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, দিবসের ওপর বক্তব্য রাখেন যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক পূর্বাশার প্রতিনিধি মোঃ সহিদুল্লাহ, সমতট পত্রিকার সম্পাদক ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক জামাল উদ্দিন দামাল, সাপ্তাহিক চলন পত্রিকার সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কাশেম, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস পত্রিকার প্রতিনিধি অধ্যাপক মাসুদ মজুমদার, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সফি, পেশাজীবী সাংবাদিক সোসাইটির সভাপতি বাবর হোসেন, বুড়িচং প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ লাভলু, সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ, কুমিল্লার সহ সাধারণ সম্পাদক রবিউল বাশার খান ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন।
মন্তব্য করুন


মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই স্লোগানে চাঁদপুরের কচুয়ায় উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫টাকা কেজি দরে স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্যের চাউল বিতরন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ৬২৬ জনের মাঝে এসব চাউল বিতরন করা হয়।
এসময় ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম,ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফ হোসেন, যুবলীগ নেতা অহিদ রাজা ও ইউপি সদস্যবৃন্দরা।
মন্তব্য করুন