ঐতিহাসিক
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার
(এপ্রিল ১৭) সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর
প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
প্রথমে
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর
স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি
হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে যান এবং সেখানে
বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন
ইউনিটসহ দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের বিরাট অবদান
রয়েছে। তাছাড়াও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
মঙ্গলবার
দুপুরে গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন মানুষ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ ৫ জেলায় জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২১ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জনসভাগুলোয় ভাষণ দেবেন তিনি।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে রংপুরের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহীর নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
তার আগে বুধবার সিলেটে জনসভার মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের (২০২৪) হজ কার্যক্রম উদ্বোধন
করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর আশকোনায়
হাজি ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের
সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেন।
হজযাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে পবিত্র
হজ পালন শেষে আপনজনদের কাছে ফিরে আসতে পারেন সেই জন্য দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রী। একই
সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে হজ পালনকালে হজযাত্রীদের দেশ ও জনগণের জন্য দোয়া করার
আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮
এর নির্বাচনের ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আজকে তা বাস্তবায়ন
হয়েছে। ঘরে বসেই আজ সব কাজ করতে পারেন। কোনোরকম হয়রানির শিকার হতে হয় না। হজের রেজিস্ট্রেশন
সরাসরি অনলাইনে করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি,
সেখানেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জন্য এই সুযোগ সৃষ্টি করে
দিচ্ছে।
এ বছর বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের
নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০
মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
একই দিন দুপুর ১ টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস
এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হযরত শাহ জালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা হজ অফিসের আইটি ইনচার্জ কাজী মো.
মুরাদ ই আলম গণমাধ্যমকে জানান, এ বছর মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন।
তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন ব্যক্তিগত
ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে ইতোমধ্যে চার হাজার
৩১৪ হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন এবং ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় হজ পালন
করতে ৭৮ হাজার ৮৯৫ হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন।
আগামী ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জাতীয়
পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৭টি হজ পূর্ব ফ্লাইটে করে ৪৫ হাজার ৫২৫ জন এবং
মে মাস থেকে ১২ জুনের মধ্যে সৌদি আরবে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৪৩টি হজপূর্ব ফ্লাইটে করে
বাকি হজযাত্রীদের হজ পালন করতে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে
চায় বাংলাদেশ, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি
সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’
উদ্বোধন শেষে দরবারে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক, আমরা
সেটা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি
সর্বদা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে যুদ্ধ করা হচ্ছে। সেজন্য দেশে
আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন ও
সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে
স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও
প্রশিক্ষিত হবে এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের
পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
আজ বাংলা নববর্ষ । বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে পহেলা বৈশাখে একটি বিশেষ স্থান দখল
করে আছে।
উৎসবমুখর এই দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুভ নববর্ষ
১৪৩১। বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পয়লা বৈশাখ বাংলা সনের
প্রথম দিন । এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে।
আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সমগ্র জাতি নতুন অঙ্গীকারে নবপ্রাণ
স্পন্দনে জেগে ওঠে । সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে
সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।
নববর্ষ এর সূচনালগ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের সূচনা হয় মূলত মোগল সম্রাট
আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ফসলি সন হিসেবে বাংলা সন গণনার
যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক
উৎসবে পরিণত হয়েছে। পয়লা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদ্যাপন আমাদের শিকড়ের
সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।
নববর্ষ আর বাঙ্গালি জাতি একই সুতার বাঁধনে বাঁধা । বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে
এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পয়লা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। আজকের এই দিনটিকে কেন্দ্র করে
হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ
বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজন হয় ।
এ আয়োজনগুলোর গুরত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসবের মধ্য দিয়ে যেমন আমাদের
আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায়, তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও
কুটির শিল্প ও সমৃদ্ধ হয়, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে ।
পয়লা বৈশাখ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ
ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পয়লা বৈশাখকে
গুরত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করে আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে
আর এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে
উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল
শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের এ আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি সারা বিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক,
উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন, তার মূলমন্ত্র
জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। এ কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ
করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল
থেকে কালান্তরের পথপরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার
দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ
করতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ।
নতুন বছরের সংকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা,
অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়,
আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এই ফলাফল বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আপনার নেতৃত্ব এবং নিষ্ঠার কথাই বলে। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার অভিনন্দন বার্তায় আরও বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের স্বল্প-আয়ের থেকে একটি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের যাত্রা, যা জনগণের মঙ্গলের প্রতি আপনার অঙ্গীকারেরই প্রমাণ। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার উল্লেখ করেন, ‘আপনি যখন আপনার পরবর্তী মেয়াদ শুরু করবেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, বাংলাদেশ তার উন্নতি অব্যাহত রাখবে, নতুন মাইলফলক অর্জন করবে এবং সুশাসনের জন্য বৈশ্বিক মানদ- স্থাপন করবে। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে আপনাকে এবং আপনার প্রশাসনকে সমর্থন দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় আছি। ’
সবশেষে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘আবারও এই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আমি আপনার সার্বিক সাফল্য কামনা করি এবং আবারও আপনার সাথে দেখা করার জন্য আমি অপেক্ষায় আছি। ’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ এখন অতটা খারাপ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডলারের সংকট এখন ঠিক সেরকম নেই, রপ্তানি আয়ও খুব একটা কমেনি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় পড়ে গেলাম। ফলে আমাদের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের কিছু খরচের ব্যাপারে মিতব্যয়ী হতে হয়েছে, কিছুটা সংকুচিত করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা এখন অতটা খারাপ নেই। ডলারের সংকট যথেষ্ট ছিল, এখন ঠিক সেরকম সংকট নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা মনিটরিং বাড়িয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে যতটা প্রয়োজন নয়, তার চেয়ে বেশি দিয়েও অনেকেই এলসি খুলে, কিন্তু ওই টাকাটা ফেরত আসে না। এ কারণে সরকার পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্লুমবার্গের মূল্য তালিকা দেখে, তা মনিটর করে এলসি খুলতে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগে যেভাবে যখন-তখন এলসি খোলা হতো। এখন ইচ্ছেমতো হচ্ছে না, সেটাতে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি আয় খুব একটা কমেনি। যেসব দেশে আমরা রপ্তানি করি, এমনকি যেগুলো খুব ধনী দেশ, তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, বাজার সংকুচিত হয়েছে, সেখানে অর্ডার কমেছে। অর্থনৈতিকভাবে তারা খুব চাপে আছে, তাদের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তারই ফলে হয়তো কিছুটা কমেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি আয় বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিকল্প বাজার খুঁজে বেড়ানো, রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে ব্যবস্থা নিয়েছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃষক যথাযথ উৎপাদিত পণ্যের মূল্য না পেলে সমস্যা হবে। মূল্য বাড়লে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কষ্ট পাবে।
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ বছরের জন্য টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিতে যাচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে টেলিফোন পেলেন যারা- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সামন্ত লাল সেনকে মন্ত্রী পদে শপথ নিতে কল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তারা বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন যারা- সিমিন হোমেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
বুধবার (জানুয়ারি ১০) রাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব নাম ঘোষণা করেন। শপথ নেওয়ার পর পরই তাদের দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্তব্য করুন
দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (জানুয়ারি ২৩) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন, কারণ আমাদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশ দারিদ্র্য, বন্যা ও খরার দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল, যা এখন ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, তৃণমূলে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশের প্রতিটি গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, গ্রামীণ জনপদ অনেক পরিবর্তিত হয়েছে এবং দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ইতোমধ্যে শহর এলাকায় শুরু হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অবশ্যই তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে। তারা এখানে মাদক চোরাচালান, অস্ত্র ও মানব পাচারের মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি তাদের চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের চতুর্থ প্রজন্ম এখানে বসবাস করছে। পাকিস্তান তাদের আর ফিরিয়ে নেবে বলে মনে হয় না। আমরা তাদের স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি গ্যাস কোম্পানিকে বাংলাদেশের গ্যাস খাতে এবং গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ জানান।
তাঁরা এয়ারবাস ক্রয় ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণসহ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়েও আলোচনা করেন।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁর একটি অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হস্তান্তর করেন।
২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, এই সফরগুলো দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে।
জলবায়ু সমস্যা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ পেতে সহায়তা করবে এবং তারা বাংলাদেশকে এই তহবিল ব্যবহারে অগ্রণী হিসেবে দেখতে চায়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ একটি উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশকে সবুজ শক্তি উত্তরণে সহায়তা করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ ব্লুইকোনমি এবং সাইবার নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
মন্তব্য করুন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের সময়সীমা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় ছিল।
আবেদন ফরম পূরণের পর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন