রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল আটক। আজ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছেন রমনা থানা পুলিশ।আটকের পর হামিমুল হককে ভবনের বিভিন্ন ত্রুটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া।
তিনি আরও বলেন, তাকে কিছুক্ষণ আগে আটক করা হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার) ভবনটির নিচতলার চুমুক রেস্টুরেন্টের (ছোট রেস্টুরেন্ট) দুজন মালিক ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আটকরা হলেন চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বৈঠকে বসবেন ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়ে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর এবং উপাসনালয় আক্রমণ হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব সময় আছে। আগেও ছিল এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। এখন আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় এবং যাদের বাড়িঘর বা অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করছি।
সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় এবং বাড়িঘরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠক হচ্ছে।
খালিদ হোসেন বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকারীরা দুর্বৃত্ত। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আগামীকাল বিকেলে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে আমরা আরও বিস্তারিত কথা শুনবো। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য কতটুকু করতে পারি সেই বিষয়ে আমরা কালকে সিদ্ধান্ত নেব। এছাড়া মাঝখানে পুলিশের অনুপস্থিতির কারণে আক্রমণটা একটু বেশি হয়েছে। পুলিশ যেহেতু যোগদান করেছে আমরা আশাবাদী এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটবে না।
পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে তথ্য জানানোর জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে টিনশেড ঘরে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের আধা ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে টিনশেড ঘরটিতে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মন্তব্য করুন
প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে এ দীর্ঘসময় সেবা বন্ধ ছিলো ।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় তাই হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে ২ প্লাটুন বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গে দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন ও দর্শনার্থীদের তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। লাঠি, ধারালো অস্ত্র বা জীবনহানি হয় এমন কোনো জিনিস নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছেন। হাসপাতালে আসা রোগীরা টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছেন।
জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, শর্ত সাপেক্ষে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সেবা দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে এবং মূল দাবি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের মারপিট করা দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি আমাদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে সেনাবাহিনী এবং বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। আশা করব, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে।
প্রসঙ্গত
যে, গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা
ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা।
এরই জেরে আজ দিনভর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন ইসলামি দলের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপের সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তী সরকার।
বৈঠক শেষে দলগুলোর প্রতিনিধিরা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আসন্ন দুর্গাপূজায় কেউ যাতে নৈরাজ্য করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ইসলামি দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন এবং নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা।
নেতারা জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানানো হয়। তারা আরও জানান, সংলাপে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য নিশ্চিত করা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক বেশ কিছু সংস্কারের দাবিও উপস্থাপন করেছেন নেতারা।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা যৌক্তিক সময়ে সব কিছুর সমাধান করে দেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। পরে ১২ আগস্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি, ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, শাহ আলমের নেতৃত্বে সিপিবি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মঞ্চ, আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বে বিজেপি, এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর নেতৃত্বে এবি পার্টি, নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদ, হারুন চৌধুরীর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে এনডিএম আলাদা আলাদাভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এরপর ২৯ আগস্ট মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে প্রধান উপদেষ্টা মতবিনিময় করবেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ইজতেমা গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হতে যাচ্ছে ।
বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে। আর ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে ময়দানের প্রস্তুতির কাজ।
মুসলমানদের বৃহত্তম এই সম্মেলন সুষ্ঠু, সুন্দর করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বছর দুইপর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের সম্পূর্ণ মাঠ ইতোমধ্যেই খুঁটি বসানো শেষ হয়েছে। নামাজে দাগ কাটাও প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে ময়দানটি। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশের সামিয়ানা টাঙানোর কাজ প্রায় শেষ। মাইকের জন্য বৈদ্যুতিক তার স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে। তুরাগ তীরের প্রায় ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ইজতেমা ময়দানে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসুল্লিরা এসে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে এরই মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ করেছে মুসুল্লিরা। প্রতি বছরের মতো ইজতেমার নিরাপত্তায় আশপাশে সিসি টিভি বসানোসহ ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠের ভেতর ও বাইরে কাজ করবেন।
মুসুল্লিরা বলছেন, বিশ্বের লাখ লাখ দেশি-বিদেশি মেহমান আসবে ইজতেমা ময়দানে। তাদের থাকা-খাওয়া ও বসার জন্য তারা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের মতো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা করার জন্য প্রয়োজনীয় টয়লেট, পানি সরবরাহ এবং ওজু-গোসলের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, দপ্তরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলছেন, নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ইজতেমা আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন আলাদাভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
সাংবাদিক তুষার হাওলাদারের বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ার কথা ছিল, এদিকে আবার বাসার মূল গেইট বন্ধ হয়ে যায় রাত ১১টাতেই। তাই ছেলের যাতে বাসায় ঢুকতে সমস্যা না হয় সেজন্য বাড়িওয়ালার কাছ থেকে চাবি নিয়ে রেখেছিলেন তুষারের বাবা। রাত থেকে সকাল পর্যন্তও তুষারের মোবাইলে ফোন দিয়ে সাড়া পাননি তার বাবা। পরে পুলিশের ফোনে জানতে পারেন, ছেলের লাশ পড়ে আছে মর্গে।
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে তুষার হাওলাদারের সঙ্গে মারা যান সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীও।বছর চব্বিশের এই দুই সাংবাদিকের মধ্যে তুষার ফেব্রুয়ারি মাসেই দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ ছেড়ে কেস্টারটেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়ায় কাজ শুরু করেন।
আর শ্রাস্ত্রীর দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ ছেড়ে যোগ দেওয়ার কথা ছিল আরেকটি সংবাদমাধ্যমে। দুজনই সব ছেড়েছুড়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।সাবেক দুই সহকর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের কয়েকজন সাংবাদিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে ভিড় করেন শুক্রবার সকালে। তাদের একজন গোলাম রাব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানান।
তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে নিয়ে গেছেন। তবে দুপুর ১টা পর্যন্ত শাস্ত্রীর লাশ নিতে কেউ আসেনি বলে জানান রাব্বানী।
তিনি বলেন, “বার্ন ইন্সটিটিউটে আমাদের সহকর্মী শাস্ত্রীর লাশ আমরা শনাক্ত করেছি। শাস্ত্রির বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কিন্তু তার পরিবারের ফোন নম্বর আমাদের কারো কাছে নাই। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।”শাস্ত্রী ইডেন কলেজের ছাত্রী ছিলেন জানিয়ে রাব্বানী বলেছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তুষার সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করেছেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে, ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন গোড়ানে; তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া গ্রামে।
তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার চাকরি করেন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে। কাজ শেষে প্রায় প্রতিদিনই ছেলে আর তিনি একইসঙ্গে বাসায় ফিরতেন। অফিসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে গতকাল অফিসে তুষারের ব্যস্ততা ছিল বলে জানান দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার।
“রাত ৮টায় তুষারের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল, জানালো বাসায় ফিরতে দেরি হবে। সেজন্য বাড়িওয়ালার কাছ থেকে চাবি নিয়ে রেখেছিলাম। ১১টা পর্যন্ত জেগেও ছিলাম। বেশ কয়েকবার ফোনও করেছিলাম। আজকে সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু কেউ ধরেনি। পরে ওসি ফোন দিয়ে বলে ‘আপনি কি তুষারের বাবা?’ জবাব দিতেই তিনি আমাকে তাড়াতাড়ি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যেতে বলেন।”
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৪৬ জন। সবার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। সকাল থেকে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের মধ্যে ছয়জনকে আর চেনার উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিহতের এই সংখ্যা জানিয়ে বলেছেন, আহত ১২ জনের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ১০ জন ভর্তি আছেন আর ঢাকা মেডিকেলে আছে দুইজন। এই ১২ জনের প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও
ইনস্টিটিউটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের
পাঁচটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে
আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ
করছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকক্ষের
ডিউটি অফিসার লিমা খানম আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে
শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও
তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এরপর দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন
নিয়ন্ত্রণ ও ২টা ৩৯ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণরূপে নির্বাপণ হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার
কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
এদিকে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল
ও ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকের কক্ষের এসি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে
মনে করছেন হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি আরও বলেছেন, আগুনে রোগীদের
কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রোগীদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে
পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের আইসিইউ ভবনে আগুন লাগার তথ্যটি
ভুল। আগুন লেগেছে কার্ডিয়াক বিভাগে। ওই বিভাগের আইসিইউতে থাকা ১৭ জন রোগীকে সরিয়ে
নেওয়া হয়েছে। এ ব্লকের রোগীদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে রোগীদের শিফট করা হবে।
মন্তব্য করুন
রোববার (২৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টঙ্গী হোসেন মার্কেট এলাকার ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের রাস্তাটি তলিয়ে যায়। ঠিক সেই সময় দক্ষিণ দিক থেকে উত্তরের দিকে হাঁটছিলেন ওই নারী। পথচলার সময় তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সড়কের পাশে থাকা একটি ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে যান।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্হা ।
তীব্র তাপদাহে ইতোমধ্যে সারা দেশে বেশ কয়েকজনের হিট অ্যাটাকে মৃত্যুও হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন নগরবাসীকে ব্যাগে পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
তীব্র তাপপ্রবাহের এই পরিস্হিতিতে সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেন ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তা খুঁজে বের করার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটার চেষ্টা সম্পর্কে বুশরা জানান, তার মতে, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো পড়ে আছে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে।
হিট অফিসার আরো বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর ফলে নানা রকম সমস্যার সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রাও। দিন দিন বাড়তে থাকা জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে সংকটে পড়া ঢাকার তাপমাত্রা গ্রামাঞ্চলের চেয়ে বেশি হচ্ছে।
নগরের তাপমাত্রা কমাতে ঢাকায় বনাঞ্চল তৈরির পরিকল্পনার বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ঢাকায় তাপমাত্রা কমানোর জন্য আমরা ‘টু অ্যাবেল ফরেস্ট’ অর্থাৎ দুটি বন করার চেষ্টা করছি। একটা হচ্ছে মিরপুর কল্যাণপুরের দিকে; অন্যটি বনানীর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে।
তিনি বলেন, এই বন দুটি যে শুধু নগরের হিট কমাবে তা নয় পাশাপাশি দূষণ প্রতিরোধেও সহায়তা করবে। একই সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে শহরের ফাঁকা জায়গাগুলোতে গাছ লাগনো হবেও বলে জানান তিনি।
বুশরা বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি- আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে একটা পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখি তাহলে কিন্তু অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
মন্তব্য করুন
সেনাপ্রধান
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
বৃহস্পতিবার
(৫ সেপ্টম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
জানিয়ে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের ব্যক্তিগত কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
সাথে
আরো বলা হয় যে, এ অবস্থায় সেনাবাহিনী প্রধানের পরিচয় বা ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
কোনো ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত পোস্ট দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আইএসপিআর থেকে
অনুরোধ করা হয়।
মন্তব্য করুন