তিস্তা নদীতে ভেসে আসা মেহেদি রাঙা হাত বাঁধা সেই কিশোরীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। সে মরদেহটি নববধূ জোসনা বেগমের (১৫)। সে নীলফামারীর ডিমলা থানার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী।
এরআগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার চর থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
মরদেহটি পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় ছিল। মেহেদি-রাঙা হাতে লেখা ছিল ‘আই লাভ ইউ’।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, ২০ দিন
আগে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় স্কুলছাত্রী জোসনার। গত শুক্রবার চাচাতো বোনের বিয়ের
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসেন তিনি। ওই দিন বিকেলে সেখান থেকে
নিখোঁজ হন নববধূ জোসনা বেগম। তখন পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন বিয়ের আগের প্রেমিকের
হাত ধরে চলে যেতে পারে জোসনা। সেই ধারণা থেকে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন তার পরিবার।
এদিকে গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে
মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদরাসা এলাকায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে ভেসে আসা তরুণীর মরদেহ
দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। মেহেদি রাঙা হাতে আই লাভ ইউ লেখা এবং দু'হাত ওড়না দিয়ে পেছন
দিক থেকে বাঁধা। মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া ছিল। পরে খবর পেয়ে সোমবার সকালে জোসনার পরিবারের
সদস্যরা এসে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর ডিমলা থানায় মামলা থাকায়
মরদেহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে আদিতমারী
থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন,
মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আদিতমারী
থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
নাঙ্গলকোটে আলোচিত গণধর্ষনের ঘটনায় জড়িত একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ০৯/০১/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর ১ টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন নুরপুর সাকিনস্থ সেবাখোলা বাজারের খোকন স’মিলের টিনের ঘরের ভিতর দুই নারীকে গনধর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম লাকি বেগম (৪০) বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি গনধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৯ জানুয়ারী দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ধামতী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী মোঃ খোকন (৪২), পিতা-আলী মিয়া, সাং-করের ভোমরা, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম মায়া খাতুন (২০) এর সাথে ১ নং আসামী
সহিদ (২৬) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার দিন সকালে আসামী সহিদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে
ভিকটিমকে দেখা করার জন্য আসতে বলে। তখন ভিকটিম মায়া খাতুন তার সাথে অন্য ভিকটিম লাকি
বেগম (৪০)’কে নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজারে গেলে আসামী সহিদ ভিকটিমদ্বয়কে নিয়ে অটোরিক্সাযোগে
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিম মায়া খাতুন’কে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব
দেয়। ভিকটিম মায়া উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরবর্তীতে
আসামী সহিদ সুযোগ বুঝে ভিকটিমদ্বয়কে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং তার পরিকল্পনা মোতাবেক
সেখানে পূর্ব থেকে ৭-৮ জন অবস্থান করছিল। ভিকটিমদ্বয়কে সেখানে নেয়ার পর আসামী সহিদ’সহ
অন্যান্য ৭-৮ জন আসামী মিলে ভিকটিমদ্বয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ
করে এবং কাউকে কিছু না বলার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা
গ্রেফতার এড়াতে আত্নগোপনে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজা সহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা।
গতকাল (১৫জানুয়ারী) জেলা গোয়েন্দা শাখা কুমিল্লায় কর্মরত এসআই (নিঃ) আরিফুল ইসলাম, এএসআই গিয়াস উদ্দিন, এএসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চট্টগ্রাম-টু-ঢাকা গামী মহাসড়কের মিয়া বাজার সাকিনস্থ প্রতাপপুর রাস্তার মাথায় একটি পুরাতন কাভার্ডভ্যান গাড়ী আসতে দেখে গাড়ীটি থামানোর জন্য চালককে সংকেত দিলে চালক সহ গাড়ীতে থাকা অপর একজন ডিবি পুলিশকে চিনতে পেরে চালক উক্ত স্থানে গাড়ীটি থামিয়ে কৌশলে গাড়ীর দরজা খুলে দ্রুত পালিয়ে যায় এবং গাড়ীর ভিতরে চালকের পাশের সিটে বসা মোঃ লাবলু কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: মোঃ লাবলু (২৯), পিতা-মৃত নুরুন্নবী, মাতা-মনোয়ারা বেগম, গ্রাম-মির্জানগর (জয় মিয়ার বাড়ী), থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমান ঠিকানা- গ্রাম-তারাবৌ ভরাবৌ বাজার (আতাউর রহমান এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ। কাভার্ডভ্যান গাড়ীটি তল্লাশী করে গাড়ীর পিছনের বডিতে ৩টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রাখা সর্বমোট ৫২কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা কর্তৃক ৫২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি পিকআপ উদ্ধার।
গত সোমবার রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/ নাসিম উল হক ইমরান সঙ্গীয় এএসআই/সজীব বড়ুয়া, এএসআই/জনি দেবদাস ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানাধীন পূর্ব নগরপাড় সাকিনস্থ গকুলনগর গামী রাস্তার পশ্চিম পাশ্বে জনৈক দুলাল মিয়ার মাঠে পৌঁছালে একটি রেজিঃ নম্বরবিহীন নীল রংয়ের পিকআপ গাড়ী পার্কিং করা অবস্থায় দেখে।
উক্ত গাড়ীর নিকট থাকা চালকসহ ০২/০৩ জন লোক ডিবি পুলিশ হিসেবে চিনতে পেরে তারা এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আশপাশ হতে আগত উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় পলাতক আসামীদের পার্কিং করা রেজিঃ নম্বরবিহীন নীল রংয়ের পিকআপ গাড়ীটি তল্লাশী করে গাড়ীর পিছনের বডিতে বিশেষ কায়দায় তৈরী সেটিং বক্সের ভিতরে লুকানো অবস্থায় খাকী স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ছোট-বড় মোট ১৭টি পোটলায় সর্বমোট ৫২ কেজি গাঁজা সহ ০১টি পিকআপ গাড়ী উদ্ধার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় মুরাদনগর থানায় এজাহার দায়ের করলে মুরাদনগর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৩/১১/২০২৩খ্রিঃ, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১৯(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষে শ্রেনি পাঠদান কক্ষ ও সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষানুরাগী মো. মাহবুব আলম। সোমবার তিনি ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনি কক্ষ পরিদর্শন করেন এবং বৃক্ষ রোপন করেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার মান নিয়ে আরো কীভাবে সমৃদ্ধি করা যায় এ নিয়ে সার্বিক আলোচনা করেন।
শিক্ষাথীদের উদ্দেশ্যে মো. মাহবুব আলম বলেন, ভালো শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, মানবিক, সৃজনশীলতা পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করার সম্ভব। আমাগী দিনগুলোর পরীক্ষাতে অসুদাপায়ের সম্ভবনা নেই। নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অংশগ্রহন করলে মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব। শিক্ষার মাধ্যমে একটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করা যায়। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদানের পরামর্শ দেন শিক্ষকদের।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় অযত্ন ও অবহেলা পড়ে আছে রায় বাহাদুর শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী জমিদার বাড়ি। এক সময়ের খ্যাত জমিদার বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত ভূতুড়ে বাড়িতে পরিনত হয়েছে। বাড়িটির চারদিকে খসে পড়ছে পলেস্তরা, জমে আছে শ্যাওলা। ভিতরে ময়লা আবর্জনায় জমে এখন জরাজীর্ণ অবস্থায়।
জানা যায়, বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্য। তারই মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ কচুয়া উপজেলা। কচুয়া সদর থেকে প্রায় ১৮ কি.মি. দূরে অবস্থিত এ জমিদার বাড়িটি। উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের পাথৈর গ্রামে প্রায় ২শ বছর আগে নির্মিত হয় এ জমিদার বাড়ি। জমিদার শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী ছিলেন এই বাড়ির নির্মাতা। দোল মন্দির, শিব মন্দির, দুর্গা মন্দির সহ বিশাল এক দীঘি আছে জমিদার বাড়ির আঙ্গিনায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জমিজমা ও বিশাল সহায় সম্পত্তি রেখে ভারতে চলে যান জমিদার শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরী ও তার পরিবার। ওই সময়ের বাসিন্দাদের এমন কেউ ছিলো না যে তখনকার জমিদার রায় বাহাদুর শরৎ চন্দ্র চৌধুরীকে চিনতেন না।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জমিদার বাড়ি এখন পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অথচ বাড়িটিকে ঘিরে রয়েছে পুরোনো ইতিহাস। এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল দিঘি, মাঠ এবং কারুকার্য জমিদার বাড়ি। এই ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি অবহেলিত থাকলেও শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আনাগোনা থাকে সব সময়। অথচ সংস্কারের মাধ্যমে এটা হতে পারে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। জমিদার বাড়ির শিলালিপি থেকে জানা গেছে, প্রায় ২শ বছর পূর্বে শরৎ চন্দ্র সেন চৌধুরীর হাত ধরে ইট, পাথর আর সুড়কির গাঁথুনিতে নির্মাণ করা হয় জমিদার বাড়িটি। বাড়ির মূল প্রবেশপথের পশ্চিম পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরটিতে রয়েছে সুন্দর একটি ঘাট। জমিদার বাড়িটি পুরানো হওয়ার কারণে বাড়ির চারদিকের পলেস্তরা খসে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিন মিয়া, মোস্তাক মিয়া, বিষ্ণপদ আচার্য্য ও আবুল কাসেম বলেন, আমাদের জন্মের পরে থেকেই এই জমিদার বাড়িটি দেখছি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের কাছে শুনেছি প্রজাকল্যাণ ও বিভিন্ন ধরনের জনহিতকর কাজে জমিদার পরিবারের সদস্যদের খ্যাতি ছিল। তবে আজ সেই জমিদার বাড়ির জমিদারি নেই, নেই কোনো উত্তরসূরিও। বর্তমানে প্রাসাদের অনেকাংশ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, ভবনগুলো শ্যাওলা পরে আছে।
এখানে এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ ঘুরতে আসছে। কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন। স্থানটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কারের ব্যবস্থা নিলে এটি রক্ষা করা সম্ভব হবে। আর না হয় একসময় হারিয়ে যাবে পাথৈর গ্রামের এই জমিদার বাড়িটি।
মন্তব্য করুন
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অন্যতম এবং নওগাঁ জেলার বারবার
প্রথম স্থান অধিকারী নওগাঁর ধামইরহাটের ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চকময়রাম
সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এসএম খেলাল ই রব্বানীকে হাতির পিঠে চড়ে
বিদায় জানিয়েছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
হাতির পিঠে চড়ে প্রধান শিক্ষকের রাজকীয় বিদায় জানানোর
দৃশ্য এক নজর দেখতে রাস্তার দুই পাশে হাজারো শিক্ষার্থী ও নারী-পুরুষ ভিড় জমায়।
গতকাল শনিবার দুপুরে হাতির পিঠে চড়ে ৩৯ বছরের শিক্ষকতা
জীবনের ইতি টানেন প্রথিতযশা এই গুণী শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে
দাতা সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
এসএম খেলাল ই রব্বানীর বিদায় সংবর্ধনার শুভ সূচনা করা হয়।
পরে প্রাক্তন শিক্ষার্থী কলেজ শিক্ষক হারুন-অর-রশীদ
ও মুমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা
অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, একাডেমিক সুপারভাইজার কাজল কুমার সরকার সহ আরও অনেকে।
এ সময় প্রধান শিক্ষক ছাড়াও সহকারী শিক্ষক খোরশেদা আক্তার, ফয়জুল ইসলাম, অসীম চন্দ্র কুণ্ডু, রেজাউল করিম ও অফিস সহকারী আব্দুস সাত্তারকে বিদায় সম্মাননা জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম,কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন ও উপজেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটিতে যুবদের অন্তর্ভুক্তি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্তৃক চাইল্ড নট ব্রাইট (সিএনবি) প্রোজেক্টের আয়োজনে, মহিদেব যুব সমাজকল্যাণ সমিতি (এমজেএসকেএস)-এর বাস্তবায়নে এবং এনআরকে টেলিথন ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সিএনবির টেকনিক্যাল অফিসার ইলিয়াস আলীর সঞ্চালনায় কর্মশলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুম,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মাহামুদুল হাসান,
সিএনবি প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার ইলিয়াস আলী,ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর কুড়িগ্রাম জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছাবেদ আলী, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, পুরোহিত সুনীল চন্দ্রসহ আরো অনেক।এ সময় মহিদেব যুব কল্যাণ সমিতির চাইল্ড নট ব্রাইট প্রকল্পের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আফরোজা হ্যাপী, শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের রনজিৎ রায়সহআরো অনেকে।
আলোচনা সভা শেষে বাল্যবিয়ে বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ প্রচার, তরুণদেরকে যুব সংগঠনে সম্পৃক্তকরণ নারী নেতৃত্ব, ক্ষমতায়ন ও সেচ্ছাসেবী কাজে অসামন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮ জন কে সম্মাননা ক্রেস্ট ও একটি করে ছাতা প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানেন চান্দিনা থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মো. অহিদ উল্যাহ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সহকর্মীরা তাকে দিয়েছেন রাজকীয় বিদায়। মো. অহিদ উল্যাহকে থানা থেকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দিনা থানায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মো. অহিদ উল্যাহ কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৩ সালে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপপরিদর্শক পদ লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকরিজীবনের সায়াহ্নে এসে নিজের পার্শ্ববর্তী থানা চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন।
সহকর্মীদের এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে অহিদ উল্যাহ জানান, বাংলাদেশ পুলিশে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। এই ইউনিফরম আমার পরিচয়, আর মানুষের সেবা ছিল আমার অঙ্গীকার। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মান আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
বিদায় অনুষ্ঠানে ওসি জাবেদুল ইসলাম জানায়, মো. অহিদ উল্যাহ একজন সৎ ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার পেশাদারি এবং সদাচরণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন
সনাতন
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা উৎসব পালিত
হয়।
গত
বুধবার (১৫ নভেম্বর) কুমিল্লা মহানগরীর কালিয়াজুরীতে বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা
ইউনিট এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর একমাত্র মেয়ে অর্পিতা
সরকার তার একমাত্র ছোট ভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর কপালে চন্দন দিয়ে ফোঁটা এঁকে ছড়া
কেটে বলেন "ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে
ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা।" এভাবেই
ভ্রাতৃদ্বিতীয়া যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন বোন।
এ
বিষয়ে রিতা রাণী মজুমদার বলেন, শুভ দিনের পরম পবিত্র লগ্নে ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কের
পুনঃ নবীকরণ করে নেওয়া হয় প্রতি বছর। শৈশবের হারিয়ে যাওয়া মধুর এই দিনটিতে বড় বেশি
করে মনে পড়ে যায়। ভাই-বোনের স্নেহ ভালোবাসার সম্পর্কের প্রকাশ ভাইফোঁটা আচার অনুষ্ঠানটি
মন কেড়ে নেয়। একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে চিরন্তন আবেগ অনুভূতিই জীবন্ত হয়ে ওঠে। কার্তিক
মাসের শুক্লপক্ষে দ্বিতীয় তিথিতে বোন তার ভাইকে পরম যত্ন সহকারে একটি সুন্দর আসনে বসিয়ে
হেমন্তের শিশির ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে হাতের তিন আঙ্গুলের সাহায্যে বোন তাঁর ভাইয়ের
কপাল ধুয়ে দেয়। এরপর বোন তার কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে একইভাবে চন্দন তিলক এঁকে দিয়ে ছড়া
কেটে বলে "ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে
ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা।"
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে পালাখাল মডেল ইউনিয়ন ও রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে কলেজ মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে, একটি বণার্ঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে যায়। পরে সেখানে আলোচনা সভায় অংশ নেয় নেতাকর্মীরা।
ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইমরান মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাহপারন ও সাধারন সম্পাদক জুয়েল হোসাইন হিমেলের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কচুয়া উপজেলা উত্তর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও কচুয়ার সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক এজিএস মো. ইউসুফ মিয়াজী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলম,ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির তালুকদার লিটন,উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন পাটোয়ারী,ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল হোসেন বাবুল,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল প্রধান আবেগ,সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
এসময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আল আমিন,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জাবের হোসেন,এনামুল হাছান,সাংগঠনিক সম্পাদক সোলাইমান পাটোয়ারী,বিতারা ইউনিয়ন পশ্চিম ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার পাটোয়ারী,যুগ্ন আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সরকার সহ ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়।
মন্তব্য করুন