

বন্যার পানি কমে এলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ, মানুষের কষ্ট।
গৃহহীন মানুষগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
এ মানুষগুলোর ঘরবাড়ি পুনর্বাসনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
কুমিল্লায় স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যায় অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিবেক যেটি হলো মানবতার তরে কাজ করা সামাজিক সংগঠন মানুষদের আশ্রয়স্থল পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১১সেপ্টেম্বর বিবেক এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু এর নেতৃত্বে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের নমষোদ পাড়া ও ইন্দ্রবতি গ্রাম এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বালেশ্বর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের মাঝে গৃহ পূর্ণনির্মাণের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয় ।
অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস নিয়ে বিবেকের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাকে স্যার ভাবার দরকার নেই। আমাকে স্যার বলারও দরকার নেই। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আমার ছবি যত কম প্রচার করা যায় তো ভালো।
রবিবার (১৮ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে
তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ
বলেন, নিরপেক্ষ সংবাদ এবং স্বাধীন গণমাধ্যম নিয়ে আমাদের খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। কারণ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের অন্যতম একটি পিলার বলা যায়। কাজেই আমরা যদি গণতন্ত্র চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণমাধ্যমে কী ধরনের বাধা রয়েছে কিংবা এর সমাধান নিয়ে গণমাধ্যমের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেই মূলত আমরা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে আমরা সেন্সর বোর্ডকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।
এ সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যার প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করে তদন্তে সহায়তা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রহসন করা হয়েছে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও জানান তথ্য উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানোর
মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে। আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত
হয়েছি। আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই
সনদ প্রস্তুত করতে পারবো।
আজ
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক
দলগুলোর দ্বিতীয় দফা সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, সরকার আশা করে যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ
ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
প্রধান
উপদেষ্টা নিজে ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি খুব খুশি যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জাতীয়
ঐকমত্য গড়ে তুলতে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন।
কমিশনের
সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, কমিশনের মেয়াদ ২০২৫ সালের আগস্টে শেষ হচ্ছে এবং
এর আগেই জুলাই মাসে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ওপর
অর্পিত এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে অবশ্যই সফল হতে হবে।
জাতীয়
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপ আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে
শুরু হয়েছে।
উক্ত
সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় জড়িত অংশীজনরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপাকে (মাহিয়া মাহি) নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে তলব করেছে ।
শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যার (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদ তাকে তলব করেন।
মাহিয়া মাহিকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাচ্ছেন মাহি শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
এছাড়া নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি আরো জানতে পারে ওই দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার শুরু করেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চান।
চিঠিতে আরো বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(ঘ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন শারমিন আক্তার নিপা (মাহি)। যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


চলতি
বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি
বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক
হবে।
আজ
বুধবার (২৮ মে) জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ
লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে
গেলে তিনি এ কথা বলেন।
চার
দিনের সরকারি সফরে প্রধান উপদেষ্টা আজ দুপুরে টোকিও পৌঁছান। সফরকালে তিনি নিক্কেই ফোরামে
অংশগ্রহণের পাশাপাশি জাপানি নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু তারো আসো, যিনি জেবিপিএফএলের সভাপতির
দায়িত্ব পালন করছেন, অধ্যাপক ইউনূসকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর
করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সাধারণ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি প্রধান বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে—সংস্কার, খুনিদের বিচার ও
সাধারণ নির্বাচন আয়োজন।
তিনি
আরও বলেন, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং
ঋণ পরিশোধে সরকার উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
'পূর্ববর্তী
সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, যার ফলে তরুণ সমাজের মধ্যে বিদ্রোহ
সৃষ্টি হয়েছে। সেই তরুণরাই আমাকে এই বিশৃঙ্খলা দূর করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে,' বলেন তিনি।
তিনি
বলেন, 'গত ১০ মাসে জাপান আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে আন্তরিক
ধন্যবাদ জানাই। এক অর্থে, এটি একটি কৃতজ্ঞতা সফর।'
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস তারো আসোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যাতে তিনি নিজের চোখে
পরিবর্তনগুলো দেখতে পারেন।
সাক্ষাতের
সময় তারো আসোর সঙ্গে থাকা কয়েকজন জাপানি সংসদ সদস্য বলেন, ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট
(ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ
পদক্ষেপ হতে পারে।
বাংলাদেশ
আগামী আগস্টের মধ্যে আলোচনার কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে ইপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা
করছে।
এই
চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে জাপান হবে বাংলাদেশে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।
প্রধান
উপদেষ্টা রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি সম্পর্কে জাপানি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন এবং
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি
বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট অন্যান্য শরণার্থী সংকটের থেকে ভিন্ন, কারণ তারা অন্য
কোনো দেশে যাওয়ার জন্য অনুনয় করছেন না, বরং নিজ দেশে ফেরার দাবি করছেন।
বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
মন্তব্য করুন


বিএনপি
যে কোনো সময়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির
সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ
সোমবার (৪ আগস্ট) গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন
আহমদ বলেন, জুলাই সনদ হাতে পাওয়ার পরে ৩০ তারিখেই কিছু সংশোধনসহ জবাব দিয়েছে বিএনপি।
সনদ বাস্তবায়নে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে বলেও জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন
আহমদ আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক মূল্য আছে। ঘোষণাপত্রের যে প্রস্তাব
দেওয়া হয়েছিল তা ফেব্রুয়ারিতেই জবাব দিয়েছে বিএনপি। প্রস্তাবে ২৬ মার্চকে উপস্থাপন
করতে চাননি আর এরসঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। এছাড়া রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতি
চতুর্থ তফসিলের মাধ্যমে দেওয়া হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রের ক্ষেত্রে বিএনপি যে সংশোধনী দিয়েছে
তা মেনে না নেওয়া হলে ঘোষণাপত্র পাঠের পর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি।
মন্তব্য করুন


ইন্টারপোলের ৯৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে মরক্কো গেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) তিনি মরক্কোর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
আগামি সোমবার (২৪ নভেম্বর) থেকে ইন্টারপোলের সদস্যভুক্ত বিশ্বের ১৯৬ দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মরক্কোর মারাকেশে ৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সম্মেলন শেষ হবে। আইজিপি সম্মেলন শেষে আগামী ৩০ নভেম্বর দেশে ফিরবেন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সম্মেলনে ৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম। তিনি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এসব অনুষ্ঠানে ইনফরমেশন শেয়ারিং (তথ্য আদান-প্রদান), যৌথ কার্যক্রম, সক্ষমতা উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করবেন। ইন্টারপোলের সাধারণ অধিবেশন বৈশ্বিক পরিসরে পুলিশি সহযোগিতার সর্ববৃহত আয়োজন। সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, সাইবার অপরাধ দমন, মানবপাচার, অর্গানাইজড ক্রাইম (সংঘবদ্ধ অপরাধ), ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সীমান্তপারের অপরাধ), পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়সহ গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্টারপোলের বার্ষিক সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে সংস্থাটির নীতি, কার্যপদ্ধতি, বাজেট এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ইন্টারপোলের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক অংশীদারত্ব আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন
কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ভোটের মাঠে তিন স্তরে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা
মোতায়েন থাকবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ।
আজ
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক
শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
ইসি
সচিব বলেন, এখন থেকে প্রয়োজনে বিচ্ছিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সঙ্গে বসা হবে। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষার মূল দায়িত্বে থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যান্য বারের মতো তারাই নীতিমালা
ও দিকনির্দেশনা (কীভাবে কাজ করবেন, কী করবেন না) প্রদান করবে। সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ
ও সমন্বয় করবে নির্বাচন কমিশন। এজন্য একটি পর্যবেক্ষণ সেল গঠন করা হবে। তিনি বলেন,
অপতথ্য মোকাবিলায় ইউএনডিপির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের পাশাপাশি তথ্য মন্ত্রণালয়, সিআইডি
এবং অন্যান্য তথ্যযাচাই সক্ষম সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। যোগাযোগ কৌশলে দ্বিমুখী
প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। ওপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে ওপরে। অর্থাৎ তৃণমূল থেকেও তথ্য
উপরে যাবে এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে; শুধু নির্দেশনা ওপর থেকে নিচে নয়।
আখতার
আহমেদ জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন পরিকল্পনাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে—
স্থায়ী মোতায়েন, কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মী এবং বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী বা অস্থায়ী
চেকপোস্ট (মোবাইল চেকপোস্টসহ)। মোবাইল ইউনিটগুলো ঘুরে ঘুরে নজরদারি করবে। একটি ইউনিট
কতটি কেন্দ্র দেখবে, তা সংশ্লিষ্ট বাহিনী ভৌগোলিক অবস্থান, সড়কসংযোগ ইত্যাদি বিবেচনায়
নির্ধারণ করবে। কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স প্রধান রিজার্ভ শক্তি হিসেবে প্রস্তুত থাকবে।
এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স দ্রুত চলাচল ও প্রতিরোধমূলক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রস্তুত
থাকবে। এনটিএমসি এবং পূজার সময় ব্যবহৃত সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কাজে লাগানো হবে।
ইসি
সচিব বলেন, সবসময় একটি বিকল্প পরিকল্পনা (‘এ’ কার্যকর না হলে) প্রস্তুত রাখতে হবে,
যাতে একই সঙ্গে দুই-তিনটি স্থানে সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের
মতো সীমিত নেটওয়ার্কের স্থানে ইন্টারনেট সুবিধা সেবাদাতাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। হারানো বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে
গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে। সন্ত্রাসীদের নজরদারি করে প্রয়োজনে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি
আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি, বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
থাকবে। সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং তারা তা
প্রয়োগ করবে। বিদেশ থেকে আসা পোস্টাল ভোটের জন্য এয়ারপোর্ট ও তেজগাঁও ডাক বাছাই কেন্দ্রে
দ্বিগুণ নিরাপত্তা দিতে হবে। বাছাই থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছানো, সংরক্ষণ
ও গণনা—সব পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইসি
সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে যেন কোনো
আপ্যায়ন গ্রহণ না করেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে যানবাহনের
সংকট মোকাবিলায় দপ্তরের যানবাহন অধিগ্রহণ বা ভাড়ায় সংগ্রহের বিষয়ে বাহিনী বাস্তবসম্মত
সমাধান দেবে।
মন্তব্য করুন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ইতিমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার ঘটনায় রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া অপর এক পোস্টে জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৈঠকে নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা। নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন, উদ্যানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা; উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন


আইন, বিচার ও সংসদ
বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের
ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা শঙ্কার কারণ নেই।
আজ রবিবার সকালে
রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় রাজশাহী আদালতের
বিচারকবৃন্দ ও পিপি-এপিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব করার
কোনো কারণ নেই। এটি নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর
পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দীর্ঘ ১৬-১৭ বছরে কোনো জাতীয় নির্বাচন না হওয়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা
উদ্বেগ থাকাটা স্বাভাবিক। এই সময়ে প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারেননি। তাই আসন্ন
নির্বাচন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষদের মধ্যে ভোট নিয়ে উৎসাহ সৃষ্টি
হয়েছে। তারা অধীর আগ্রহে ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে।
উপদেষ্টা ড. আসিফ
লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শন করে জানান, আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার জন্য
একজন বিচারকের জায়গায় এখন তিনজন বিচারক দায়িত্বে থাকবেন। এতে মামলার চাপ কমবে।
তিনি বলেন, আদালত
সংস্কারে আমরা নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। এর সুফল জনগণ অবশ্যই পাবে।
মন্তব্য করুন