আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। যত বাধাই আসুক,
গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত
এ ট্রেন কোথাও থামবে না।
শুক্রবার
(১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির
রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে
ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। যত বাধাই আসুক,
গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত
এ ট্রেন কোথাও থামবে না ৷ বিএনপি
দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও
তাদের ১৫ জন কেন্দ্রীয়
নেতাসহ ৩০ জন সাবেক
এমপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনকে
ঘিরে বহুদিন পর একটা উৎসবমুখর
পরিবেশ সারা দেশে লক্ষ্য
করা যাচ্ছে। ২/১টা রাজনৈতিক
দল নির্বাচনে অংশ নিল কি
না তারচেয়ে জনগণের অংশগ্রহণটা কেমন সেটা বেশি
করে ভাববার বিষয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
মন্তব্য করুন
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ বন্ধ হবে বলে সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ বন্ধ হবে বলে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) যে নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটির সংশোধনী দেওয়া হচ্ছে।
একইদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানায়, পরিবর্তন এসেছে অধিদপ্তরের জারি করা ওই নির্দেশনায়।
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সংক্রান্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশোধিত চিঠিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকেরা সেসব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন।
মন্তব্য করুন
গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যেই মামলা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়- এমন প্রশ্নও করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। সে জন্য নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি।’
মন্তব্য করুন
আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১নভেম্বর সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা।
শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা । এসময় ৩ বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয়েছে করুণ সুর।
এরপর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা ও তিন বাহিনীর প্রধানরা।
বিকেলে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
অবৈধ মজুদদারি এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১০) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবৈধ মজুদদারি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। আমরা চাই কৃষক ভালো দাম পাবে। কিন্তু অবৈধ মজুদদারি এবং চাঁদাবাজি বন্ধে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদের নজর দিতে হবে। কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে। নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি আছে। দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করবো। কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এ জোয়ারেও জিততে না পেরে একে ওকে দোষারোপ করে লাভ নেই।
মন্তব্য করুন
আজ বাংলা নববর্ষ । বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে পহেলা বৈশাখে একটি বিশেষ স্থান দখল
করে আছে।
উৎসবমুখর এই দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুভ নববর্ষ
১৪৩১। বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পয়লা বৈশাখ বাংলা সনের
প্রথম দিন । এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে।
আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সমগ্র জাতি নতুন অঙ্গীকারে নবপ্রাণ
স্পন্দনে জেগে ওঠে । সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে
সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।
নববর্ষ এর সূচনালগ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের সূচনা হয় মূলত মোগল সম্রাট
আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ফসলি সন হিসেবে বাংলা সন গণনার
যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক
উৎসবে পরিণত হয়েছে। পয়লা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদ্যাপন আমাদের শিকড়ের
সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।
নববর্ষ আর বাঙ্গালি জাতি একই সুতার বাঁধনে বাঁধা । বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে
এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পয়লা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। আজকের এই দিনটিকে কেন্দ্র করে
হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ
বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজন হয় ।
এ আয়োজনগুলোর গুরত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসবের মধ্য দিয়ে যেমন আমাদের
আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায়, তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও
কুটির শিল্প ও সমৃদ্ধ হয়, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে ।
পয়লা বৈশাখ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ
ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পয়লা বৈশাখকে
গুরত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করে আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে
আর এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে
উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল
শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের এ আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি সারা বিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক,
উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন, তার মূলমন্ত্র
জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। এ কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ
করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল
থেকে কালান্তরের পথপরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার
দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ
করতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ।
নতুন বছরের সংকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা,
অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়,
আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বিজয় সরণিতে নবনির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল ১০টায় এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।এই প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে দেশের ইতিহাস আরও ভালোভাবে জানা যাবে। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার স্বপ্ন ছিল প্রতিটি মানুষের ঘর থাকবে, চিকিৎসা ও শিক্ষা পাবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রূপান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না,উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সারাদেশে ওয়াইফাই সুবিধা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ আধুনিক সব প্রযুক্তি স্থাপনা করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশের মানুষ। বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যেতে পারছে। বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে,বৃত্তি পাচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা দরিদ্র মায়েদের মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে। শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিশুরা দেশকে আরও উন্নত-সমৃদ্ধ করবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া এবং ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদকে ভূষিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য শান্তিকালীন কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিকালীন পদক দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবার কল্যাণ কামনা করি, শান্তি কামনা করি। আমি জানি অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কীভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটা করতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ ও ১৪-এর পর এখন আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে?. এদের চেতনা ফিরে আসুক, আমি এটাই চাই।
তিনি বলেন, একজন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার হয়। জনগণ পাশে থাকতে হয়। জনগণের কল্যাণ করতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না।
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ বছরের জন্য টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিতে যাচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে টেলিফোন পেলেন যারা- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সামন্ত লাল সেনকে মন্ত্রী পদে শপথ নিতে কল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তারা বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন যারা- সিমিন হোমেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
বুধবার (জানুয়ারি ১০) রাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব নাম ঘোষণা করেন। শপথ নেওয়ার পর পরই তাদের দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্তব্য করুন
আজ রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী যেখানে যাচ্ছে, সেখানেই আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও তারা অবদান রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সেনাবাহিনীকে আধুনিক, স্মার্ট ও যোগ্য বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী যোগ্য হয়ে উঠুক, সেটিই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
মন্তব্য করুন
আজ বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শেখ হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন