

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক ছেড়ে দোকানের ভেতরে ঢুকে বাসযাত্রীসহ ১২ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন, আবদুর রহীম (৫০), গোপাল আশ্চর্য (৫০) ও নজরুল ইসলাম (৩৫)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা টু সোনাইমুড়ী সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ চৌধুরী জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে জেলা শহর মাইজদীগামী যাত্রীবাহী জননী পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারায় নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে। তারপর সড়কের পাশে থাকা মকুলের ফার্সেসী ও রশীদের মুদি দোকানে ঢুকে পড়ে। বাসটি দোকানে ঢুকে গেলে ওষুধ দোকান ও মুদি দোকান ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে দুই দোকানদারসহ ১২জন আহত হন। অপরদিকে,পল্লী বিদ্যুতের দুটি পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বন্ধ আছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসীম কুমার জানান, আহত ৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঁচজনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে হাইওয়ে পুলিশ।
মন্তব্য করুন


গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার দুর্গম চরাঞ্চলে গরু চোর সন্দেহে আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুস সালাম একই ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় দুলালী বেগম (৪৩) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক দুলালী বেগম বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল গণি মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আব্দুস সালাম স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গণি মিয়ার গোয়ালঘরে প্রবেশ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে দুলালী বেগম ও তার স্বামী আব্দুল গণি মিয়া প্রতিবেশীদের খবর দেন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এসে সালামকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে ওই বাড়ির অদূরে পুকুরপাড়ে ফেলে রাখা হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। সব শেষ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাড়ির মালিক আব্দুল গণি মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে তার একটি শ্যালো মেশিন চুরি হয়ে গেছে। গত রাতে আব্দুস সালামকে তার গোয়াল ঘরে দেখে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে তারা এসে সালামকে মারধর করে।
এদিকে নিহতের স্বজনরা দাবি করছেন, সালামের বিরুদ্ধে আগে কখনও চুরির অভিযোগ ওঠেনি। সম্প্রতি আব্দুস সালাম মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তারপর থেকে মানুষের দান-খয়রাতে তিনি জীবনযাপন করতেন। পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল, তাদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্রোহ কুমার কুন্ড জানান, স্বজনদের দাবি নিহত ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন


এমদাদুল হক সোহাগ:
আধুনিক ও স্বচ্ছল বিআরটিসি বিনির্মানের কান্ডারি বিআরটিসির চেয়ারম্যান সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলাম গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। ১৩ জুন জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপ সচিব এটিএম শরিফুল আলম রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
সরকারের দক্ষ্য, চৌকস এই কর্মকর্তা একসময় কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের সচিব, এডিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পুরো প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে ব্যাপক তরান্বিত করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে ডুবতে থাকা বিআরটিসির হাল ধরেন। এক সময় লোকসানের কারনে কর্মীদের বেতন দিতে না পারা বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুড়ে দাড়িয়েছে। হয়েছে উন্নয়নের মডেল। সততা, পরিশ্রম ও যাদুকরি নেতৃত্বে বিআরটিসি আজ সমৃদ্ধি লাভ করছে দিনের পর দিন।
অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এলাকায় একজন সামাজিক, নিরহংকার, পরোপকারী, সদালাপী মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর
অধীনস্থ শাহপুর পোস্টের টহল দল নায়েক ছায়েদুজ্জামানের নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় মাদকদ্রব্য
উদ্ধার, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ বিশেষ টহল পরিচালিত হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) শাহপুর সীমান্ত
দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে মো: মিজান হোসেন ওরফে আনোয়ার হোসেন
(৪০) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তি নোয়াখালী জেলার চাটখিল
উপজেলার রামগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ সাত্তারের ছেলে।
আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুমিল্লার
কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে
নিহত হয়েছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন ২৩ জন যাত্রী ।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা
মহাসড়কের কোতোয়ালি থানার মল্লিকপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী
যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার
অভিযান চালানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর করিমপুর
হাইওয়ে থানার (মাদারীপুর রিজিওন) অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক
হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। রেকারের
সাহায্যে দুর্ঘটনাকবলিত বাস সরিয়ে নিহতদের বাস থেকে বাহির করা হয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের
কর্মীরা উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন।
মো. সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে
আহত ও নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর থানাধীন
মল্লিকপুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ অভিমুখী গ্রিন পরিবহন এবং ঝিনাইদহ থেকে বরিশাল
অভিমুখী খাগড়াছড়ি পরিবহনের মুখামুখি সংঘর্ষ হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোসাঃ শাহানাজকে গ্রেফতার করেছে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলাম। সোমবার দিবাগত রাতে তাকে বারপাড়া ইউনিয়নের তার গ্রামের বাড়ি চারপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে তাকে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ আগস্ট কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে সুলতান মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। ঘটনার দীর্ঘ ১১ মাস পর এ বছর ২৬জুন নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে ৩৩জনের নামে দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার ২৮নাম্বার আসামি হিসাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোসাঃ শাহানাজ কে পুলিশ আটক করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের( ইনচার্জ )ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট গৌরীপুর বাজারে সুলতান মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসাবে তাকে রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মালু মিয়া(৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজি চালক সাগর মিয়া(২৭)কে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) ভোররাতে কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর সড়কের টনকি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত মালু মিয়া নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর গ্রামের মৃত চান্দার আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিমসার বাজার থেকে নিয়ে আসা কাঁচামাল বোঝাই একটি সিএনজি নবীনগরের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আশা গরু বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় সিএনজির যাত্রী কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী মালু মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত সিএনজি চালককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বাঙ্গরা বাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সিএনজি ও ট্রাক দুটি জব্দ করে এবং নিহতের লাশ থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কুমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মালু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের সড়ক ও পরিবহন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারে গভীর শোক নেমে এসেছে। সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানান। তারা দ্রুত সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
"শৃঙ্খলাই জীবন" এ শ্লোগান সামনে রেখে আস্থার স্বাস্থ্যসেবার ব্রত নিয়ে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর মুন্সেফ কোয়ার্টারস্থিত খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটাল (১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল) এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনেযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মিস শারমীন এস মুরশিদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্স এর চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজওয়ানুল কবির, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) এ. বি. এম মশিউজ্জামান, কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মোঃ সারোয়ার আকবর, প্রফেসর হাজেরা মাহাতাব, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, সিরডাপের প্রাক্তন মহাপরিচালক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এটিএম শামসুল হক এর সহধর্মিণী মিসেস রাবেয়া হক, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. এম এ সামাদ।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রাজনৈতিক ব্যক্তি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, ঔষধ কোম্পানির বিপনন প্রতিনিধি, শিক্ষক, এলাকার জনসাধারণ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
ওই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মিস শারমীন এস মুরশিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন- স্বল্প খরচে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে কুমিল্লায় উদ্ভোধন হলো একশত শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হসপিটাল। কুমিল্লায় আধুনিক, সাশ্রয়ী এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই কুমিল্লার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এই হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে কুমিল্লা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান আস্থার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ চিকিৎসকের সমন্বয়ে এ বিশেষায়িত হসপিটাল হবে দেশের অন্যতম সেরা মানবিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এই হসপিটাল দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং সবার জন্য বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, সময়ের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হলেও এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন হয়নি। এই হাসপাতালের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের লোকজন চিকিৎসার জন্য আর ঢাকা যেতে হবে না। এখানে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চেম্বার রয়েছে। ভালো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্ভুল রিপোর্ট দেওয়াই মানুষের আস্থা অর্জনের মূল ভিত্তি। চিকিৎসা খাতে আমরা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। বিশ্বের উন্নত মানের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, টাকার অভাবে কারো চিকিৎসা বন্ধ থাকবে না এবং মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে ভালো সেবা প্রদানই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন- এ ধরনের একটি হসপিটাল কুমিল্লার মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিলো। আজ তা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। একদিন এই হসপিটালটি ১০০ শয্যা হতে ২৫০ শয্যা উন্নতি হবে। এ বিশেষায়িত হাসপাতালে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। তারা বলেন- হাসপাতাল একটি ভবন নয়; এটি একটি মানবেতর প্রতীক। এর মাধ্যমে কুমিল্লার মানুষ সঠিক সেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন), সাবেক সচিব এটিএম শামসুল হকের রুহের মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করেন।
এদিকে, অনুষ্ঠানে দেয়া লিফলেট সূত্রে জানা যায়- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির যৌথ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ১০০ শর্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালে ডায়াবেটিসসহ সকল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ও অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা। এরমধ্যে রয়েছে মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হরমোন, সার্জারি, গাইনী, শিশুরোগ, কিডনি, অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, চক্ষু ও দন্ত বিষয়ক রোগের চিকিৎসাসেবা এবং সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ল্যাবরেটরিতে সুলভ মূল্যে প্যাথলজি পরীক্ষার সুবিধা, কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে মানসম্মত ও নির্ভুলভাবে ইকো, ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, কালার ডপলার, ইসিজি, ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন এবং অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) গাইনোকোলজিক্যাল এন্ড অবস্টেট্রিক্যাল অপারেশনসহ সবরকমের সার্জিক্যাল ও ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশনের সুব্যবস্থা। এছাড়াও থাকছে চোখের বিভিন্ন অপারেশনসহ ২৪ ঘন্টা (দিবা-রাত) জরুরি বিভাগ, এ্যাম্বুলেন্স ও ফার্মেসি সার্ভিস।
মন্তব্য করুন


মো মিজানুর রহমান মিনু:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গু’লিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বায়োজিত হোসেন শুকতা (৩৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টায় কেপটাউনের কিং ভ্যালি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শুকতা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকার কিং শ্রীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মমিন ড্রাইবারের ছেলে।
নিহতের ভাই জাবেদ হোসেন ও বোন সুমি আক্তার জানান, গত ৮-৯ বছর আগে সে দক্ষিন আফ্রিকায় পাড়ি জমান। পরে সেখানে একটি সুপার শপের ব্যবসা শুরু করেন।
গত রবিবার রাত ৯টায় দোকানে ক্যাশে বসা অবস্থায় (আফ্রিকান সময়) সন্ত্রাসীরা বায়োজিত আহমেদ শুকতার উপর ৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় কিং ভ্যালি হাসপাতালে নেয়া হলে টানা তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় কোনো ঘুষ, তদবির বা হয়রানি ছাড়াই ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে ৪৭ জনের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (৩১ আগস্ট ) কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৭ জন সবাই এ পুরুষ । এদের মধ্যে ৪৫ জন সাধারণ কোটায় ও ১ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিকেলে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সের শহীদ আরআই এবিএম আবদুল হালিম মিনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উত্তীর্ণদের বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ মো.গাউছাল আজম এবং চাঁদপুর হাজীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সার্কেল) মুকুল চাকমা সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ঘুষ ছাড়া নিয়োগ দেওয়া সম্ভব, আমরা সেটিই প্রমাণ করেছি। এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা সবাই মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, তারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
চলতি বছরের জুন মাসে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স মাঠে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মোট আবেদন পড়ে ১ হাজার ৮৯১টি। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৬৩৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪৭ জন। এর মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন ৭৫ জন।
এ বিষয়ে চাকরি পাওয়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণের এমরান হোসেন নামে এক তরুণ বলেন, ‘কোনো টাকা লাগে নাই, কেউ চায়ও নাই।দালালের খপ্পরে ও পড়ি নাই।আমার বাবা একজন সিএনজি চালক।বাবা-মায়ের দোয়ায় আমার স্বপ্ন ছিলো দেশের সেবা করার জন্য আল্লাহ আমার ডাক কবুল করেছে।
মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ বদলাচ্ছে।’
নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সজিব বলেন, ‘এখন বিশ্বাস হচ্ছে, যোগ্যতা থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে সবাই অবাক!’
চাকুরি পাওয়া এমরান হোসেনের পিতা সদর দক্ষিণ রামপুর গ্রামের সিএনজিচালক মো.এরশাদ মিয়া বলেন, ‘ছেলের চাকরির জন্য বাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবছিলাম। আল্লাহর রহমতে কিছুই লাগেনি, শুধু পরিশ্রম আর প্রার্থনা।
মন্তব্য করুন