সাংবাদিক তুষার হাওলাদারের বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ার কথা ছিল, এদিকে আবার বাসার মূল গেইট বন্ধ হয়ে যায় রাত ১১টাতেই। তাই ছেলের যাতে বাসায় ঢুকতে সমস্যা না হয় সেজন্য বাড়িওয়ালার কাছ থেকে চাবি নিয়ে রেখেছিলেন তুষারের বাবা। রাত থেকে সকাল পর্যন্তও তুষারের মোবাইলে ফোন দিয়ে সাড়া পাননি তার বাবা। পরে পুলিশের ফোনে জানতে পারেন, ছেলের লাশ পড়ে আছে মর্গে।
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে তুষার হাওলাদারের সঙ্গে মারা যান সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীও।বছর চব্বিশের এই দুই সাংবাদিকের মধ্যে তুষার ফেব্রুয়ারি মাসেই দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ ছেড়ে কেস্টারটেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়ায় কাজ শুরু করেন।
আর শ্রাস্ত্রীর দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ ছেড়ে যোগ দেওয়ার কথা ছিল আরেকটি সংবাদমাধ্যমে। দুজনই সব ছেড়েছুড়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।সাবেক দুই সহকর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের কয়েকজন সাংবাদিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে ভিড় করেন শুক্রবার সকালে। তাদের একজন গোলাম রাব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানান।
তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে নিয়ে গেছেন। তবে দুপুর ১টা পর্যন্ত শাস্ত্রীর লাশ নিতে কেউ আসেনি বলে জানান রাব্বানী।
তিনি বলেন, “বার্ন ইন্সটিটিউটে আমাদের সহকর্মী শাস্ত্রীর লাশ আমরা শনাক্ত করেছি। শাস্ত্রির বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কিন্তু তার পরিবারের ফোন নম্বর আমাদের কারো কাছে নাই। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।”শাস্ত্রী ইডেন কলেজের ছাত্রী ছিলেন জানিয়ে রাব্বানী বলেছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তুষার সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করেছেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে, ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন গোড়ানে; তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া গ্রামে।
তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার চাকরি করেন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে। কাজ শেষে প্রায় প্রতিদিনই ছেলে আর তিনি একইসঙ্গে বাসায় ফিরতেন। অফিসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে গতকাল অফিসে তুষারের ব্যস্ততা ছিল বলে জানান দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার।
“রাত ৮টায় তুষারের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল, জানালো বাসায় ফিরতে দেরি হবে। সেজন্য বাড়িওয়ালার কাছ থেকে চাবি নিয়ে রেখেছিলাম। ১১টা পর্যন্ত জেগেও ছিলাম। বেশ কয়েকবার ফোনও করেছিলাম। আজকে সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু কেউ ধরেনি। পরে ওসি ফোন দিয়ে বলে ‘আপনি কি তুষারের বাবা?’ জবাব দিতেই তিনি আমাকে তাড়াতাড়ি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যেতে বলেন।”
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৪৬ জন। সবার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। সকাল থেকে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের মধ্যে ছয়জনকে আর চেনার উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিহতের এই সংখ্যা জানিয়ে বলেছেন, আহত ১২ জনের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ১০ জন ভর্তি আছেন আর ঢাকা মেডিকেলে আছে দুইজন। এই ১২ জনের প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন।
মন্তব্য করুন
দেশে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের অনলাইন, অনলাইনের জন্য নিবন্ধিত এবং নিবন্ধন পেতে
আবেদন করা অনলাইন গণমাধ্যম ছাড়া বাকি সব অনলাইন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার
প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে একেবারে প্রতিষ্ঠিত
গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে। আর রেজিস্টার অনলাইন আছে ২১৩টি। অর্থাৎ মোট ৪২৬টি অনলাইন
আছে। একইসঙ্গে যেগুলো দরখাস্ত করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে সবগুলোর লিস্ট করতে বলা হয়েছে।
এর বাইরে যত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, সেগুলো আমরা সব বন্ধ করে দেব।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দরখাস্ত করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগ পর্যন্ত
বন্ধ হবে না। কারণ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা অনলাইন কিভাবে চলছে সেটা দেখতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারমুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার চমৎকার পরিবেশ এবং মত প্রকাশের
স্বাধীনতার জন্য যা যা উপকরণ লাগে সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী
বলেন, তথ্য অধিকার আইন শেখ হাসিনার আমলেই সংসদে পাশ হয়েছে। তথ্য পাওয়ার যে অধিকার আইনগতভাবে
নিশ্চিত করা হয়েছে সেটাকে বাস্তবে আমরা আরও বেশি নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য সম্প্রচার
মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে আমরা একটা বার্তা দিয়েছি, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। আমরা চাচ্ছি
তথ্য অধিকার আইনকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য কারণ তথ্য প্রবাহকে অবারিত করতে চাই।
জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার বিষয়ে গুরত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণকে তথ্য
দেওয়ার বিষয়টি আমাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। এটাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি প্রশাসনের
প্রত্যেকটি স্তরে। যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। কাজেই কিছু প্রশাসনিক
পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। যেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সাংবাদিকদের
কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারি এবং আপনারা সেটা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেন।
সবাই মিলে তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরো সুনিশ্চিত করণ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যকে
রোধ করতে হবে। ক্লাইমেট ঝুঁকির চেয়ে বেশি ঝুঁকি হচ্ছে অপতথ্যের ঝুঁকি। সোশ্যাল মিডিয়া
বিশেষ করে এখানে কোন ধরনের নীতিমালা না থাকার কারণেই এই অপতথ্যের বিস্তার ঘটছে।
মূলধারার গণমাধ্যমের নীতিমালার গুরত্ব নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন,
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন নীতিমালা না থাকার কারণে এটি জনগণের জন্য হিতকর নয় তাই
সেখানে আমরা একটা নীতিমালার আওতায় আনতে চাচ্ছি। কারণ মিথ্যা খবর কোন ভাবেই সমাজের কল্যাণ
বয়ে আনতে পারে না।
মন্তব্য করুন
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি দূর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে অভিযোজন ও প্রশমন উভয়
ক্ষেত্রে উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ
প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই। এজন্য প্রয়োজন অভিযোজন
সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ
গ্রহণ করা।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)
এক্সপো’ এবং ‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্বের (বিসিডিপি)’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণের কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম
উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবস্থান ০.৪৮ শতাংশের
কম হলেও, এর নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে
আমরা অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো ব্যাপক কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা
বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষা করা
তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি থাকাকালে
অভিযোজন এবং প্রশমন কার্যক্রমে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার
প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। আমার প্রত্যাশা, উন্নত
দেশসমূহ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশসহ জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হুমকিতে থাকা অন্যান্য দেশগুলো যাতে অব্যাহতভাবে আর্থিক,
বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় সেজন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধনী দেশগুলোর
প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আরো কয়েকটি বিষয়
তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- কার্বন-নির্গমনকারী দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি
১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে তাদের নির্গমন হ্রাস করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ
নিতে হবে। উন্নত দেশগুলোর দ্বারা জলবায়ু তহবিলে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ
করতে হবে। অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে
উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি স্থানান্তরের পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধানে এগিয়ে
আসতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সময়, সংশ্লিষ্ট দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার
তাদের ক্ষতি অনুসারে বিবেচনা করা উচিত।
পাশাপাশি যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে, তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয়
করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে, তা
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করুন।
সুনির্দিষ্ট তহবিল ও অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণে ধনী দেশ এবং
আন্তর্জাতিক সকল সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৭ বছরে
ন্যাপের গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন ।
সবশেষে জলবায়ু সমস্যা সমাধানে সকলের সমানভাবে অংশগ্রহণে গুরত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী-ভাঙন, বন্যা এবং খরার
কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সব দেশকে ভাগ করে নিতে হবে ।
মন্তব্য করুন
শনিবার
(২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে
উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন
দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী-এমপির
নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী
বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী
প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া
হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি
বলেন,আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই
নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি
গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
নির্দেশনা
দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের
তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
সংবাদ
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ,
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন,
সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান
গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
সোমবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিমানবন্দরে এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকায় ইউএনডিপির প্রধান উপস্থিত ছিলেন। সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়োহান ফরশেলও ভিক্টোরিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকায় এসেছেন। বিমানবন্দর থেকে ক্রাউন প্রিন্সেস সরাসরি রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান। মঙ্গলবার তিনি খুলনার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ঢাকায় নেমেই প্রথম দিনে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস (রাজকুমারী) ভিক্টোরিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এর আগে দুপুরে প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ‘ইনোভেট টুগেদার ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ডিজিটালে রূপান্তরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এছাড়া এরপর বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি প্রিন্সেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে অনুষ্ঠানটি ঢাকায় অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার-টু-ইনোভেটের (এটুআই) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামীর বাংলাদেশকে ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত করে গড়ে তোলার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে ক্রাউন প্রিন্সেস ডিজিটাল সেন্টার, জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ফ্রিল্যান্সার সাপোর্ট প্রোগ্রামের মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুকরণীয় যাত্রা পর্যবেক্ষণ করেন।
এই উদ্যোগগুলো সমগ্র বাংলাদেশে নাগরিকদের, বিশেষত তরুণ এবং উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করছে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথকে সুগম করছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কিভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিসহ নানা খাতে সুযোগ তৈরি করেছে তা তুলে ধরেন।
এসময় জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরশেল, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সফরের সময় ক্রাউন প্রিন্সেস বাংলাদেশ উন্নয়ন অভিযাত্রার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সমতা, পরিবেশবান্ধব এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি রেখে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং চলমান চ্যালেঞ্জগুলো যাচাই করে দেখবেন। এ সময় তিনি সরকার এবং ইউএনডিপি কর্তৃক বাস্তবায়িত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিতকরণের লক্ষ্যে নারী এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্যোগগুলোও পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশন এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশন প্রচেষ্টার রূপান্তরমূলক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা সুযোগের ওপর জোর দেন। তারা ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ বিশ্ব তৈরিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার বাংলাদেশ সফরকালে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পাশাপাশি ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া তিনি আজ মঙ্গলবার খুলনার সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় কয়রা উপজেলা পরিদর্শনে যাবেন।
ঢাকায় সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর। এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিদর্শন বইয়ে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ বিজয় জনগণের বিজয়, এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে উঠবে ইনশাল্লাহ।
পরিদর্শন বই স্বাক্ষরের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, লাখো শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আর পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। বঙ্গভবনে একই অনুষ্ঠানে শপথ নিয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার
(২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চুক্তি ও
সমঝোতা স্মারক সই হয়। কাতেরের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী।পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তিগুলো
হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক
বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।
বৈঠকে
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ফলে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এর বাইরে শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালন, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কূটনৈতিক
প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
এদিকে
দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন
হামাদ আল থানির সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ
বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
সোমবার
(২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানী ঢাকাকে নিরাপদ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদা তৎপর। পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। প্রত্যেক পেট্রল পাম্পে রাতে একবার হলেও পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে। অবরোধ চলাকালে পুলিশের কর্মকাণ্ড কিন্তু দৃশ্যমান। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অব্যাহত আছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কীভাবে নিরাপদে আমরা সামনের দিনগুলোতে চলতে পারি, এটাই এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলছে। আপনারা জানেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। সবাইকে এটি মেনে নিতে হবে। কারণ আমরা একেকজন একেক দল পছন্দ করি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে,পেট্রল বোমা মারছে, সহিংসতা-নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি, অনেককে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন বললেন ডিএমপি কমিশনার ।
তিনি আরও বললেন নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার নগদ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিরোধ গড়তে হবে, এ ধরনের ঘটনা যাতে তারা না ঘটাতে পারে, বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চে ভাষণের দিনটি স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু এখন আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য। আর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে উদ্বুদ্ধই করেনি, বিজয় এনে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে লন্ডনে যান, সেখানে বসে পূর্ব বাংলায় গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কখনওই ক্ষমতা ছাড়বে না। ওই বৈঠকে ভারতের দু’জন প্রতিনিধিও ছিলেন। এখন আমিই একমাত্র সেই ঘটনার জীবিত সাক্ষী।
প্রধানমন্ত্রী সেদিনের কথা স্মরণ করে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে পাকিস্তানি সেনারা তাদের বইতে লিখেছেন, তারা স্থম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন, কী করবেন বুঝতে পারেননি সেদিন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী চেয়েছিল এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে। তারা ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে এবং ‘জয় বাংলা’শ্লোগানও নিষিদ্ধ করে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে দিতে উদ্যত হয়। কিন্তু ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না আর তারই প্রমাণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি। শুধু তাই নয়, ইউনেস্কো মনে করে এ ভাষণটির মাধ্যমে জাতির পিতাই প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর
যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
রোববার
(৫ মে) মধ্যরাতে মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা
হলেন, কবির হোসেন বেপারী (৫০) ও বাবুল চিশতা
(৪৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে
আসলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
যাত্রাবাড়ী
থানার এসআই আবু সায়েম জানান,
রাত পৌনে ২টার দিকে মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কে একটি পিকআপ ভ্যান ইউটার্ন নিচ্ছিল। তখন তুহিন পরিবহনের একটি বাস পিকআপে
ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমরে-মুচরে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের
পানিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা
পিকআপ ভ্যানের ভিতর থেকে মুমূর্ষু ওই দুইজনকে বের করে রাস্তায় রেখেছে। তাদেরকে
উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা
করেন।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার জাকির হোসেন রাব্বি ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করার রেকর্ড গড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন । তার গ্রামের বাড়ি এলাকায় একজন দানশীল ব্যক্তি নামে পরিচিত ছিলেন। আত্মীয়-স্বজনরা জানতো তিনটি বিয়ের খবর। প্রতিবেশিরাও এতোগুলা বিয়ের খবর শুনে চমকে উঠেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জাকিরের।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৃত পনির হোসেন বেপারীর ছোট ছেলে জাকির হোসেন বেপারী এলাকায় একজন দানশীল ও মার্জিত স্বভাবের ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঢাকায় গিয়ে নাম পরিবর্তন করে জাকির হোসেন বেপারীর স্থলে জাকির হোসেন রাব্বি হয়ে যায়।
জানা যায় তিনি ঢাকায় বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং উচ্চ শিক্ষিত বলে পরিচয় দিতেন। ঈদ ও শীতসহ বছরের বিভিন্ন সময় এলাকায় এসে খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করতেন। গ্রামের অভাবি মানুষজনকে অর্থ সহায়তাও করতেন। এভাবেই জাকির এক সময় গ্রামের মানুষদের প্রিয় মুখ হয়ে যান।
জাকিরের বহু বিবাহের খবর এলাকাবাসী এখনো অনেকেই জানেন না। পোশাক পরিধানে ফিটফাট থাকা জাকিরের ভিতরের মানুষটিকে কখনোই চিনতে ও জানতে পারেনি এলাকার মানুষজন, এমনকি আত্মীয়-স্বজনও। জাকিরের বহু বিবাহের আড়ালে ছিল অর্থ আয় করা। আর ওই অর্থ দিয়েই গ্রামে গড়ে তোলেন দু’চালা টিনের ঘর থেকে পাকা বাড়ি। বোনদের বিয়ে দেয় ভালো ঘর দেখে। সম্প্রতি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করে ছোট বোনেরও বিয়ে দেন জাকির।
প্রায় ১৪ বছর আগে বাবা পনির হোসেন বেপারীর মৃত্যু হয়। আর ৫ বছর আগে মারা যান তার মা। ৪ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে জাকির ছিল সবার ছোট। বাবা ছিলেন কোর্টের মুহুরি। ৪ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই মারা গেছেন। এক ভাই ঢাকায় গার্মেন্টের চাকরি করেন। আর এক ভাই গ্রামের বাজারে মুরগীর ব্যবসা করেন। টানাপোড়েন সংসার। এক সময় বাবার আয়েই চলতো পুরো সংসার। দুচালা টিনের ঘরে গাদাগাদি করে থাকতো তারা।বাবা মারা যাওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া শোনা করা জাকির এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ঢাকা চলে যায়। এক পর শুরু হয় তার কৌশলী জীবনযাপন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে দেখতে সুর্দশন জাকির নিজেকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে নারীদের আকৃষ্ট করে বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যেতেন। আবার নতুন স্থানে গিয়ে পরিচয় গোপন রাখে, আবারও বিয়ে করে। এভাবেই চলতে থাকে তার প্রতারণার গল্প।
অবশেষে ঢাকা মিরপুরের এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় গত ২০১৯ সালে জাকির হোসেন রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। সেই থেকে জেলেই ছিলেন আলিশান জীবনযাপন করা জাকির। পরে একাধিক নারীর করা মামলায় তাকে রিমান্ডে নিলে জবানবন্দিতে ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেন তিনি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রচারিত হলে জাকিরের আসল পরিচয় প্রকাশ পায় ।
তবে জাকিরের প্রতিবেশী হিরন প্রামাণিক জানান, জাকিরকে আমরা গ্রামবাসী ভালো মানুষ হিসেবেই জানি। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে গরীব মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করতো। এতোগুলা বিয়ের খবর আমরা বলতে পারি না।
জাকিরের এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেরুল ইসলাম জানান, জাকির এতোগুলা বিয়ে করেছে, এটি অবিশ্বাস্য। এমন খবর জানা নেই। আমরা জাকিরের ৩টি বিয়ের খবর জানি।
এদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাকির অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে, সে সুস্থ হলে আবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর, ১৮ জানুয়ারি কারাগারে পুণরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে আনা হয়। সেখানেই গত ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জাকির।
মন্তব্য করুন