

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার জাকির হোসেন রাব্বি ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করার রেকর্ড গড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন । তার গ্রামের বাড়ি এলাকায় একজন দানশীল ব্যক্তি নামে পরিচিত ছিলেন। আত্মীয়-স্বজনরা জানতো তিনটি বিয়ের খবর। প্রতিবেশিরাও এতোগুলা বিয়ের খবর শুনে চমকে উঠেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জাকিরের।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৃত পনির হোসেন বেপারীর ছোট ছেলে জাকির হোসেন বেপারী এলাকায় একজন দানশীল ও মার্জিত স্বভাবের ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঢাকায় গিয়ে নাম পরিবর্তন করে জাকির হোসেন বেপারীর স্থলে জাকির হোসেন রাব্বি হয়ে যায়।
জানা যায় তিনি ঢাকায় বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং উচ্চ শিক্ষিত বলে পরিচয় দিতেন। ঈদ ও শীতসহ বছরের বিভিন্ন সময় এলাকায় এসে খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করতেন। গ্রামের অভাবি মানুষজনকে অর্থ সহায়তাও করতেন। এভাবেই জাকির এক সময় গ্রামের মানুষদের প্রিয় মুখ হয়ে যান।
জাকিরের বহু বিবাহের খবর এলাকাবাসী এখনো অনেকেই জানেন না। পোশাক পরিধানে ফিটফাট থাকা জাকিরের ভিতরের মানুষটিকে কখনোই চিনতে ও জানতে পারেনি এলাকার মানুষজন, এমনকি আত্মীয়-স্বজনও। জাকিরের বহু বিবাহের আড়ালে ছিল অর্থ আয় করা। আর ওই অর্থ দিয়েই গ্রামে গড়ে তোলেন দু’চালা টিনের ঘর থেকে পাকা বাড়ি। বোনদের বিয়ে দেয় ভালো ঘর দেখে। সম্প্রতি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করে ছোট বোনেরও বিয়ে দেন জাকির।
প্রায় ১৪ বছর আগে বাবা পনির হোসেন বেপারীর মৃত্যু হয়। আর ৫ বছর আগে মারা যান তার মা। ৪ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে জাকির ছিল সবার ছোট। বাবা ছিলেন কোর্টের মুহুরি। ৪ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই মারা গেছেন। এক ভাই ঢাকায় গার্মেন্টের চাকরি করেন। আর এক ভাই গ্রামের বাজারে মুরগীর ব্যবসা করেন। টানাপোড়েন সংসার। এক সময় বাবার আয়েই চলতো পুরো সংসার। দুচালা টিনের ঘরে গাদাগাদি করে থাকতো তারা।বাবা মারা যাওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া শোনা করা জাকির এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ঢাকা চলে যায়। এক পর শুরু হয় তার কৌশলী জীবনযাপন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে দেখতে সুর্দশন জাকির নিজেকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে নারীদের আকৃষ্ট করে বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যেতেন। আবার নতুন স্থানে গিয়ে পরিচয় গোপন রাখে, আবারও বিয়ে করে। এভাবেই চলতে থাকে তার প্রতারণার গল্প।
অবশেষে ঢাকা মিরপুরের এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় গত ২০১৯ সালে জাকির হোসেন রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। সেই থেকে জেলেই ছিলেন আলিশান জীবনযাপন করা জাকির। পরে একাধিক নারীর করা মামলায় তাকে রিমান্ডে নিলে জবানবন্দিতে ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেন তিনি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রচারিত হলে জাকিরের আসল পরিচয় প্রকাশ পায় ।
তবে জাকিরের প্রতিবেশী হিরন প্রামাণিক জানান, জাকিরকে আমরা গ্রামবাসী ভালো মানুষ হিসেবেই জানি। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে গরীব মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করতো। এতোগুলা বিয়ের খবর আমরা বলতে পারি না।
জাকিরের এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেরুল ইসলাম জানান, জাকির এতোগুলা বিয়ে করেছে, এটি অবিশ্বাস্য। এমন খবর জানা নেই। আমরা জাকিরের ৩টি বিয়ের খবর জানি।
এদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাকির অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে, সে সুস্থ হলে আবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর, ১৮ জানুয়ারি কারাগারে পুণরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে আনা হয়। সেখানেই গত ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জাকির।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায়
করা মামলায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশার ছয় দিন ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারের তিন দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
তাদেরকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে
রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.
সহিদুল ওসমান মাসুম।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী
পাবলিক প্রসিকিউটর হারুন-অর-রশিদ রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে আদালত আসামি আয়েশার ছয় দিন এবং তার স্বামী
রাব্বি শিকদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি
উপজেলায় ফুফু শাশুড়ির বাড়ি থেকে আয়েশা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮
ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ ডিসেম্বর আসামি
আয়েশা বাদী আজিজুল ইসলামের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত ৮
ডিসেম্বর সকাল ৭টার সময় তিনি নিজের কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থল থেকে তিনি
স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তিনি
নিরুপায় হয়ে সকাল ১১টার সময় বাসায় ফেরত আসেন। এসে দেখেন, তার স্ত্রীর গলাসহ শরীরের
বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং মেয়ের গলার ডান
দিকে কাটা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে তারা। ওই অবস্থা দেখে
মেয়েকে উদ্ধার করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো. আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসার সিসিটিভি
ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখতে পান— আসামি গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার
জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় তার মেয়ের একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ,
স্বর্ণালংকার ও অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা
করে বাদী নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে সকাল ৭টা ৫১ থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো
সময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে
হত্যা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পর পড়ে প্রতারণায় জড়ানো তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রাতুল (২৪), আসাদুজ্জামান রাজু (২৯) ও মামুন হাওলাদার (২৭)।
দেশে অবস্থান করা এই চাইনিজরা পেতেছেন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থীরা চীনে পড়তে যান, তাদের নিয়ে প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলছেন সেই সব চীনা নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন অ্যাপস খুলে, জুয়ার সাইট চালিয়ে এবং অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি জানায়, ভুয়া সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া চক্রের দুই চাইনিজ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেটির তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে এই চক্রের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তার তিনজন জানিয়েছেন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে অ্যাপ খুলে জুয়ার সাইট চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে জড়িয়েছিলেন তারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চীনে মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের একটা বড় অংশ চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠে এবং চাইনিজ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। আর এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা। তারা ভালো বাংলা বা ইংরেজি বলতে পারেন না। তখন চীনে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেন। তারা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার কাজটি করে আসছেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে, অ্যাপ ও জুয়ার সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। কারণ প্রত্যেকটি প্রতারণার সাইটের অ্যাডমিন চীনে।
চক্রটি চীনেও এসব প্রতারণায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগায়। আবার কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা শিখিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেসব শিক্ষার্থীরা বেনামি সিম সংগ্রহ করে বিকাশ নগদসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়।
এ প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী দুই চাইনিজ গাগা ও চিং চং (Gaga, Chig Chog)। তারা প্রতারণার জন্য চীনে একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। আর সেসব প্রতারণার টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল, রাজু, মামুন বাংলাদেশ থেকে পড়ালেখার জন্য চীনে গিয়ে চাইনিজ ভাষা শিখে প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চীনারা তাদের বলে যে তারা কিছু অ্যাপস তৈরি করেছেন। অ্যাপস ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাদের সেই কার্যক্রমে কিছু বাংলাদেশি সিম, বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জনের আশায় এই প্রতারণায় যুক্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি সিম বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে।
প্রতারণার প্রক্রিয়া সম্পর্কে হারুন বলেন, রাতুল, রাজু, মামুন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, অনলাইন ফিনান্সিং, বেটি সাইট, সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা চাইনিজ প্রতারক চক্রের হয়ে বাংলাদেশি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল। চক্রটি মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা পার্টটাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন


১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা করে ট্রাফিক
বিভাগ। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষে শুধু মিনিবাস চালকের সাজা হয়।
ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আ.জলিলের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়, ১৯৯২ সালের ১৪
অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় তেজগাঁও পলিটেকনিকের কাছে সাতরাস্তার মহাখালী রোডে একটি মিনিবাস
দ্রুতগতিতে ও বেপরোয়াভাবে চালিত হয়ে একটি বেবিটেক্সিকে ধাক্কা দেয়। এতে বেবি চালকসহ
যাত্রীরা আহত হন। এক যাত্রী ও চালক হাসপাতালে ভর্তি হন। মিনিবাস চালক পালিয়ে
যায়।
মামলার তদন্তকালে বেবি চালক কলিমউদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। তদন্ত শেষে মিনিবাস চালক
সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
সেই সাজা থেকে রেহাই পেতে আপিল ও রিভিশন করেন বাস চালক সেলিম। ৩২ বছর শেষে অবশেষে
হাইকোর্ট তার সাজা বহাল রাখেন।
২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়টি দিয়েছেন বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট
বেঞ্চ। সম্প্রতি এই রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো.আশেক মোমিন,
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার।
তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
শওকত আলীর আদালত রায় দেন। রায়ে সেলিমকে পৃথক ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক
হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। জামিনে থাকা সেলিম রায়ের সময় পলাতক
ছিলেন।
পরে মহানগর দায়রা আদালতে আপিল করা হয়। ৩৫৬৯ দিন পর এ আপিল করা হয়। ২০০৫ সালের
৩০ নভেম্বর আপিলটি গ্রহণ না করে সরাসরি খারিজ করেন মহানগর দায়রা জজ মো.মমিন উল্লাহ।
পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন সেলিম। শুনানি শেষে ২০২৩
সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে রিভিশন খারিজ করে হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বহাল রাখেন।
রায় পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আসামিকে
গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২টি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭টি স্টেশনে থামবে।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৫ দিন এই রুটে অন্তত ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সড়ক পথের উপর বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা কমবে। স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা জানিয়েূছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
যে সকল স্টেশনে ট্রেন থামবে:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
পথে ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রাম অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ঈদ যাত্রায় সেটি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
ঈদে বিপুল এ যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এতে ঈদযাত্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি থামবে ৭ টি স্টেশনে ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই টিকিট মিলবে শতভাগ ।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেবে । এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার গণভবনে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি। এসব আসনে দলটির মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন এক হাজার ৫৪৯ জন। যার ফলে প্রতিটি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩২ জন।
মন্তব্য করুন


এদিকে বিকেল জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেছেন, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসঙ্গে কাজ করি। দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত হোন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়েছি।
তিনি বলেন, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন। চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে।
এর আগে সোমবার দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনাকে নিয়ে উড্ডয়ন করেন। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানাও সঙ্গে ছিলেন।
অপরদিকে দুপুরে সেনা সদরদপ্তরে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ের শুরুতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। প্রথম সপ্তাহ রাজধানীর শাহবাগ ঘিরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলে। ১৪ জুলাই পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। এরপর দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সারাদেশে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে আন্দোলন। বাড়তে থাকে প্রাণহানি। অবশেষে সরকার পতনের এক দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে ছাত্র-জনতা।
মন্তব্য করুন


পবিত্র রমজান মাসে সিন্ডিকেট
করে বাজার অস্থিতিশীল না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।
রোববার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর
মিরপুর ১৪ পুলিশ লাইনসে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ঘুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেছেন, যারা অস্থিতিশীল করবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর হবে সরকার।
পাশাপাশি রমজান মাসে সবাইকে
সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গেল বছরের তুলনায় বাজার স্থিতিশীল,
অস্থির যাতে না হয় সেদিকে নজর আছে সরকারের।
মন্তব্য করুন


প্রচণ্ড গরমে দেশব্যাপী জারি রয়েছে তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট
অ্যালার্ট। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও এদিন ছিল
৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দাবদাহে দেশের বিভিন্ন
স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা
সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর
কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না।
এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার
তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি,
তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে
২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬
ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং
ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব
আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জর্ডানের রাজধানী
আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের
রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি,
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
অন্য সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি এবার মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে
যাচ্ছে। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে
দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
একনজরে দেখে নিন হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো
প্রচণ্ড মাথাব্যথা : হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এ
ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিটস্ট্রোকের অন্যতম একটি
লক্ষণ হতে পারে।
বেশি তৃষ্ণা অনুভব ও অতিরিক্ত ঘামানো : হিটস্ট্রোকের আগে অনেক বেশি তৃষ্ণা অনুভব হবে, সেইসঙ্গে
ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব হতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত
ঘাম তৈরি করতে পারে।
হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।
শ্বাসকষ্ট : হিটস্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী
শ্বাস-প্রশ্বাসও।
দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া : তীব্র গরমের কারণে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। এতে শরীরে
ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিটস্ট্রোকের
লক্ষণ।
পেশিতে ব্যথা : হিটস্ট্রোকের আগ মুহূর্তে পেশিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যদিও
সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
কথা জড়িয়ে যাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো কথা
জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে।
বমি বমি ভাব : মাথাব্যথা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের
অভাব ইত্যাদির কারণে হিটস্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
বিরক্তি-বিভ্রান্তি : মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ
করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে
করতে পারে।
ঘাম না হওয়া : হিটস্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া।
সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল
প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।
চিকিৎসকদের মতে, হিটস্ট্রোক এড়াতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প
নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে।
সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করা। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ
পানি পান করতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর
মোহাম্মদপুর থানার শাহজাহান রোডের একটি বাসায় মালাইলা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা
বিনতে আজিজকে (১৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে গৃহকর্মী তাদেরকে
হত্যা করে পালিয়েছে।
জানা
গেছে, নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণি শিক্ষার্থী ছিল।
আজ
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ খবর পেয়ে শাহজাহান রোডের একটি বাসার ৭তলায় গেছে।
বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ
আল মামুন। তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাসার গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত
হওয়া যায়নি। আমরা কাজ করছি।
মো.
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতরা ভবনের ৭ তলায় বসবাস করতেন। গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম
সকালে কাজের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এরপর দুপুর ১২টার দিকে এসে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে
রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। মেয়ে নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও হাসপাতালে নেওয়ার
পর মারা যায়।
ঘটনাস্থলে
থানা পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ওই গৃহকর্মীর নাম আয়েশা। সে হত্যার উদ্দেশ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ধারালো ছুরি বাথরুমের বালতির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
৫৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলার ডিবি (দক্ষিন)।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান পিপিএম এর নির্দেশনায়, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ সাইদুল ইসলাম (অফিসার ইনচার্জ ডিবি (দক্ষিন), ঢাকা জেলা এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৯/১০/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ ২০.১৫ ঘটিকায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মাসুকুর রহমান (৪৫), পিতা-মৃত একরাম হোসেন, সাং-মৌটুপী, থানা-ভৈরব, জেলা-কিশোরগঞ্জ‘কে ৩৫০ (তিনশত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং হাওয়া (৩৬), পিতা-মোঃ মনু মিয়া, মাতা-আমেনা বেগম, সাং-কলাতলী, থানা-করিমগঞ্জ, জেলা-কিশোরগঞ্জ‘কে ২০০ (দুইশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন