সংসদ সদস্য পদ থেকে ‘পদত্যাগ’ করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন তিনি। যদিও মমতা এখনও সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। বিষয়টি জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী নিজেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, আজ বিধানসভায় মমতা বক্তব্য দেওয়ার সময় তার কক্ষে ঢোকেন মিমি। কিছুক্ষণ পর ওই কক্ষে ঢোকেন তৃণমূলের দুই তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী এবং জুন মালিয়া। বক্তব্য শেষ হলে নিজের কক্ষে যান মমতা। তারপর তিনি মিমি এবং বাকিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক থেকে বের হয়ে মিমি বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে এমপি পদ থেকে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তবে মমতা এখনো সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তিনি ভারতীয় লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসবেন।
সম্প্রতি সংসদের দুটি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছে মিমি। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রণালয় এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের যৌথ কমিটির সদস্যও। এই দুটি পদ থেকেই তিনি পদত্যাগ করেন।
এরপর জানা যায়, যাদবপুর লোকসভার অধীন নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপারসন পদও ছেড়ে দিয়েছেন মিমি। তারপর থেকেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়।
প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে যাদবপুর থেকে আবারও কি প্রার্থী হবেন মিমি? নিজের ধারাবাহিক পদত্যাগ প্রসঙ্গে অবশ্য এর আগে তিনি মুখ খোলেননি। আজ জানিয়ে দিলেন, আর এমপি থাকতে চান না তিনি। মিমি বলেন, আমার যা বলার ছিল, দিদিকে (মমতা) বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।
এর ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনো রাজনীতিক হবো না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনো খারাপ কথা বলিনি।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়
অভিনেত্রী তানজিন তিশা ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট নাটক উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয়।
আর
এবার শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায় পাড়ি জমাচ্ছেন অভিনেত্রী তানজিন
তিশা। গণমাধ্যমে বিষয়টি অভিনেত্রী তিশা নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
অভিনেত্রী
তিশা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই টালিউডের বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতার কাছ থেকে
প্রস্তাব পাচ্ছিলাম। কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলায় কাজ করা হয়নি। কখনও শিডিউল নিয়ে জটিলতা
হয়েছে আবার কখনও গল্প কিংবা নির্মাতা পছন্দ হয়নি। এবার সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। আমিও
সম্মতি দিয়েছি কাজ করার জন্য। নির্মাতা কে, আমার সঙ্গে কে অভিনয় করবেন, সেটা এখনই বলছি
না। তবে এতটুকু বলতে পারি, চলতি বছরই পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় আমাকে দেখতে পাবেন দর্শক।
জানা
যায়, কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল কলকাতার সিনেমায় যুক্ত হচ্ছেন অভিনেত্রী তিশা। মূলত
বেশ কয়েকবার কলকাতায় যাওয়া-আসায় গুঞ্জনটি ছড়িয়েছিল। তবে এতে ব্যাপক খুশিই হয়েছিলেন
অভিনেত্রীর ভক্তরা।
মন্তব্য করুন
মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে হলুদের বিশাল সমারোহ। চারদিকে বিরাজ করছে শীত। কুয়াশা ও ঝলমলে রোদের খেলা এখন দিগন্ত বিস্তৃত হলদে বরণ সরিষার ফুলে ফুলে। সরিষা ক্ষেতের মাঝে দাঁড়িয়ে আবার অনেকেই ছবি তুলেন। সেই সব ছবি বেশ কিছু দিন ধরেই অনেকেই সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি। ছবির লোকেশন ট্যাগ দেখে জানা যায় বরিশালের কোন একটি স্থানে ছবিগুলো তুলেছেন পরীমনি। আর সঙ্গে রয়েছেন আরও কয়েকজন বোন।
পরীমণি
ছবিগুলো শেয়ার করে বোনদের উদ্দেশে ক্যাপশনের শুরুতেই লেখেন, তোরা যখন আমার বয়সের হবি
তখন আমার মতো করে তোদের ছোটদের সঙ্গেও এমন সুন্দর কিছু মেমোরি জীবনে বাঁধাই করে রাখিস।
এসব পাগলামি জীবনকে আনন্দে বাঁচায়। ছবিগুলোর পেছনের গল্পও যুক্ত করেছেন এই পোস্টে।
পরীমণি আরও লেখেন, ছবিগুলোর পেছনের গল্পটা অনেক অ্যাডভেঞ্চারাস ছিল। গাড়িতে বাবুকে
(পরীর পুত্র রাজ্য) ঘুমে রেখে একটা আননোন মার্কেটে নাক, মুখ চাদরে ঢেকে নেমে পরলাম
শাড়ি খুঁজতে। পাই না, পাই না, পাই তো পছন্দ মতো হয় না, যাই হোক হলো। হতেই হতো আর কি!
এবার পালা শাড়ির ব্লাউজ! ওহ সেকি কাণ্ড! সেটাও ম্যানেজ করে ফেললাম শেষ মেষ। ওদিকে
রোদ চলে যায় যায়। দুপুরের খাওয়া হয়নি তখনও। পেটে খিদে নিয়ে কি আর এমন সুন্দর মাঠে নেমে
হিহি করা যায়। উড়ে এসে ঘরে ঢুকেই পেট ভরে হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খেলাম। তখন সূর্য গাছের
নিচে! এর মধ্যে আমরা রেডি হয়ে মাঠে হিহি-হাহা করতে করতে এতো সুন্দর কিছু মুহুর্ত ধরে
রাখতে পারলাম।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি মাত্র তিন বছর বয়সে মাতৃহারা হন। ২০১২ সালে তার বাবাও না ফেরার দেশে চলে যান।
মাতৃহারা হওয়ার পর থেকেই নানার কাছেই বড় হয়েছেন তিনি। তবে এবার প্রিয় সেই নানা শামসুল হক গাজীকে হারালেন তিনি।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১১ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ।
এই নির্মাতা আরো জানান, পরীমণির নানার মরদেহ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালীতে নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই পরীর নানির কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হবে।
গেল অক্টোবর মাসের ছিল পরীমণির জন্মদিন। প্রতিবার ঘটা করে দিনটি উদযাপন করলেও এবার নানার অসুস্থতার কারণে আয়োজন থেকে বিরত ছিলেন তিনি।
তখন পরীমণি বলেছিলেন, বেশ কদিন ধরেই নানা বেশ অসুস্থ। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। আপনারা জানেন প্রতিবার জন্মদিনে নানুর হাত ধরে কেক কাটি। আমার নানু আমার জন্য কী সেটা সবাই জানেন। তিনি কদিন ধরেই অসুস্থ। তার অসুস্থতার জন্য আমি শুটিংও বাদ দিয়েছিলাম। তাই এবার জন্মদিনটি পালন করছিনা।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি, মাতৃকালীন ছুটি কাটিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে একের পর এক কাজের খবর দিচ্ছেন তিনি।
প্রথমবারের মতো কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন পরীমণি। সিনেমার নাম ‘ফেলুবকশি’। এই সিনেমার মাধ্যমেই কলকাতায় শুরু পরীমণির নতুন ইনিংস। কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা সোহমের বিপরীতে কাজ করছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) থেকে সিনেমাটির প্রথম ধাপের শুটিং শুরু হয়েছে। শুটিংয়ে অংশ নিতে একদিন আগেই কলকাতা উড়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। কলকাতার প্রথম সিনেমার জন্য দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
পরীমণি বলেছেন, আগে থেকেই কলকাতার সিনেমাতে কাজের প্রতি লোভ ছিল। আমার মনে হয়েছে, তাদের কাজগুলো অনেক গোছানো হয়। শুটিংয়ের আগে–পরে কাজের দারুণ জার্নিও হয়। ফলে কাজটি সুন্দরভাবে শেষ হয়ে মুক্তি পায়। গত বছর ওখানে পুরস্কার গ্রহণকালে বলেছিলাম, কলকাতায় কাজ করতে চাই, এরপর থেকেই আমার হাতে চিত্রনাট্য আশা শুরু হয়। মনে হয়েছে, এটি দিয়ে শুরু করা যায়। এভাবেই শুরু।
জানা যায়, থ্রিলার গল্পে নির্মিত হচ্ছে ‘ফেলুবকশি’। পরীমণির চরিত্রের নাম লাবণ্য, রহস্যময় এক চরিত্র। শুটিংয়ের আগে তিনি পাঁচ দিনের গ্রুমিং ক্লাসে অংশ নেন। এর ফাঁকে কলকাতায় একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংও করেন পরীমণি।
অন্যদিকে, নির্মাণ কাজ শেষের দিকে পরীমণি অভিনীত নির্মিতব্য ‘ডোডোর গল্প-Story of Dodo’ সিনেমার কাজ। অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রেজা ঘটক। সিনেমায় পরীর বিপরীতে আছেন সাইমন সাদিক।
মন্তব্য করুন
দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশের গুণী ও জনপ্রিয়
অভিনেতা অলিউল হক রুমি। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসাপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর নিশ্চিত করা তথ্য হতে আরো জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কোলন
ক্যানসারে ভুগছিলেন এই অভিনেতা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে অভিনেতাকে প্রথমে ভারতের
চেন্নাই নেয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন
অভিনেতা।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, অভিনেতা রুমির শারীরিক অবস্থা প্রথমে স্থিতিশীল ছিল।
চিকিৎসাধীন হয়ে চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তবে হঠাৎই অবস্থার অবনতি হতে শুরু
করে তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন এই অভিনেতা ।
মৃত্যুর আগে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন অভিনেতা।
ক্যানসার জয় করে আগের মতো আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ক্যানসারের
কাছে হেরে গেলেন অভিনেতা।
১৯৮৮ সালে ‘এখন ক্রীতদাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু হয় রুমির। নাটকে
জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’
সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম বড় পর্দায় কাজ করেন।
মন্তব্য করুন
মানুষ আগের মতো এখন আর হলমুখী নেই ।হল মালিকরা তাই নানান সময় নানান
পন্থা অবলম্বন করে থাকেন দর্শকদের হলমুখী করতে কিন্তু এ ব্যাপারে বলা চলে বেশ
ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ
।
১০০ টাকার প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে দর্শকের হাতে বিনামূল্যে এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দিচ্ছেন হলমালিক ।
ব্যতিক্রমী এই বিষয়টি বিনোদনপ্রিয় দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
জানা যায়, ধুনট শহরে ১৯৮৪ সালে ঈসা খান নির্মিত ঝংকার সিনেমা হলটি দিনের পর দিন দর্শক হারাতে থাকে। ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের যুগে হলবিমুখ হয়ে পড়েছেন সিনেপ্রেমীরা। এতে দেশের আর সব সিনেমা হলের মতো ঝংকারেও দর্শক কমতে থাকে। এক পর্যায়ে দর্শক শূন্যতায় সিনেমা হলটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ এক দশক পর ২০ এপ্রিল থেকে আবারও ঝংকার সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শন শুরু করেছে হল কর্তৃপক্ষ।
এক দশক পর শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে দর্শক টানতে সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই খাবারের আয়োজন করেন।
হলটিতে প্রদর্শিত হচ্ছে এ সময়ের নায়ক-নায়িকা আদর আজাদ-পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা ‘লিপস্টিক’।
সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। ঝংকার সিনেমা হলে দর্শকের জন্য ৫০০টি আসন রয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। এবার টিকিটের সঙ্গে প্রত্যেক দর্শকের হাতে ফ্রি এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী এক মাস খাবারের এই ব্যবস্থা চালু থাকবে।
প্রতিদিন দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় সিনেমা হলে ‘লিপস্টিক’ প্রদর্শন করা হচ্ছে। কিন্ত প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রতিদিন দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩টায় দর্শকের উপস্থিতি কম থাকে।
তবে সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় হল ভর্তি দর্শক পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে আশানুরূপ দর্শকের সাড়া মিলেছে। এক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখছেন হলের পরিচালক। সিনেমা হলের দর্শকদের মুখে মুখে এখন ‘লিপস্টিক’-এর সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি এই আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
হলের দর্শকরা জানান, সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি পাওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম। হলে বসে ভালো ছবি দেখার পাশাপাশি বিরিয়ানির স্বাদও নিতে পেরে অনেকে খুশি হয়েছেন। এই ব্যবস্থা চালু রাখলে সিনেমা হলে দর্শক ফিরে আসবে বলে মনে করেন দর্শকরা।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই
সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভর মা খাইরুন নাহার মারা গেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া
ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি
বুধবার রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর নিউরো সাইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল
করেছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক
ও চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
চিত্রনায়ক
জায়েদ খান জানান, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজধানীর শহীদ
বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনকাজ সম্পন্ন হবে।
জানা
যায়, গত ৮ বছর ধরে শুভর ঢাকার বাসায়ই থাকতেন তার মা খাইরুন নাহার। ২০১৭ সাল থেকে সিজোফ্রেনিয়া
নামক রোগে ভুগছিলেন তিনি। এছাড়াও বার্ধক্যজনিক আরও নানান সমস্যা ছিল । কাজের ফাঁকে
মায়ের সেবা-ডাক্তার-ওষুধ নিয়েও ছোটাছুটির মধ্যে থাকতে হতো নায়ক আরিফিন শুভকে।
মন্তব্য করুন
সুচিত্রা
সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে দুই বাংলার জনপ্রিয়
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় আসেন। তাকে স্বাগত জানান ফ্যাশন
ডিজাইনার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক পিয়াল হোসাইন।
পিয়াল
হোসাইন জানান, সুচিত্রা সেন স্মরণে আগামী ২০-২১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের জ্যামাইকা পারফর্মিং
আর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠেয় চলচ্চিত্র উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে শুক্রবার কলকাতা
ফিরে যাবেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা।
এর
আগে, যুক্তরাষ্ট্রে বিচ্ছিন্নভাবে দুই বাংলার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হয়েছে। কিন্তু একটি
পূর্ণাঙ্গ উৎসব এবারই ১ম। ২ দিনব্যাপী ৩৫ ঘণ্টার ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র
উৎসব’-এ দুই বাংলার ১০টি ফিচার ফিল্ম, ৫টি তথ্যচিত্র ও ৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
প্রদর্শিত হবে।
মন্তব্য করুন
অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী
কুইনজী চেং শুটিং সেটে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় মালয়েশিয়ান এ অভিনেত্রীর বয়স ছিল ৩৭
বছর।
গেল
২৮ নভেম্বর অভিনেত্রীর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো
হয়।
চায়না
প্রেসের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, চেং ব্রেন অ্যানিউরিজমে
ভুগছিলেন।
স্থানীয়
আর্টিস্ট চাই জি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সকাল ৮টা সময়ে আমরা দামানসারাতে
উপস্থিত হই। সকালের নাস্তা শেষ করে সাড়ে ৮টার দিকে শুটিং শুরু করি। ওই সময়ে চেং পুরোপুরি
সুস্থ ছিলেন। বিরতি নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফের শুটিং শুরু করি। ওই সময়ে চেং জানান,
তার মাথা ঘুরাচ্ছে, মাথা ব্যথা করছে, বমিবমি লাগছে। এক পর্যায়ে চেং বমি করেন; দ্রুত
অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। চেংয়ের স্টাফরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। চেং যখন জ্ঞান হারান
তখন তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত চলছিল। দ্রুত তার ঠোঁট, হাত-পা বেগুনি বর্ণ ধারণ করে।
কল করার পাঁচ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বেলেন্স ঘটনাস্থলে চলে আসে। মেডিক্যাল টিম এসে তার
জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়; পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানা
যায়, ১৮টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কুইনজী চেং। ২০১৫ সালে ‘ব্যাড স্টুডেন্টস’ সিনেমার
মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন কুইনজী চেং।
মন্তব্য করুন
দুই
বছর আগেই চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি বিয়ে করেছেন। নায়িকা নিজেই সম্প্রতি সেই খবর প্রকাশ্যে
এনেছেন । তার স্বামী সৈয়দ অমি একজন গায়ক। মিউজিক্যাল ফিল্মে কাজের সুবাদে পরিচয় তাদের।
এরপর ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন তারা।
অমির
সঙ্গে পরিচয়ের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে আঁচল জানান, ‘ও জান রে’ শিরোনামে একটি গানের ভিডিও
চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অমির সঙ্গে পরিচয় তার। গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি মডেলও হয়েছিলেন
অমি। অমির সঙ্গে তার অল্প পরিচয়েই হয়েছে বিয়ে। ‘ও জান রে’ গানটি রিলিজের পর সেটির এডিটিং
মুগ্ধ করে আঁচলকে। ধন্যবাদ জানাতে তিনি ফোন করেন অমিকে। তখনই নায়িকাকে ট্রিট দেওয়ার
প্রস্তাব দেন গায়ক।
এক
সপ্তাহ পর একটি রেস্তোরাঁয় আঁচল-আমির দেখা হয়। তখন আঁচলকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন
অমি। আঁচল এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অমির বাড়ি কুমিল্লায়। কুমিল্লার ছেলেদের অনেক
সাহস, আমি একটা নায়িকা, আমাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি শুনে অবাক হয়েছিলাম।
তখন
আঁচল অমিকে বলেছিলেন, ‘প্রেম নয়, বন্ধুত্ব নয় সরাসরি বিয়ে প্রস্তাব, কত বড় সাহস তোমার?
আমরা তো বন্ধু হতে পারি। প্রেম হওয়ার মতো হলে পরে হবে। উত্তরে অমি জানায়, সে আঁচলকে
অনেক আগে থেকেই পছন্দ করে। তার সিনেমার ভক্ত। এ ছাড়াও সব কিছু জেনে বুঝে নিয়ে তার পরিবারের
সঙ্গে কথা বলতে আঁচলকে অনুরোধ করেন অমি।
চিত্রনায়িকা
আঁচল জানান,পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্তের পরই বিয়েটা হয়েছে।
মন্তব্য করুন