

বুধবার (২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে। সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপ রেখা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই ও তারপরে নতুন যোগদান করবেন তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভূক্ত করেছে সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৩ মার্চ জারি করা এসআরও (নং-৪৭-আইন/২০২৪) এর মাধ্যমে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভূক্ত করেছে সরকার।
এছাড়া ১৩ মার্চ জারি করা এসআরও (নং-৪৮-আইন/২০২৪) এর মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপ রেখা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে।
তবে, যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান দেওয়া কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কম সংখ্যক স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। উক্ত ব্যবস্থায় কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসাবে এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন, কিন্তু মাসিক কোনো পেনশন প্রাপ্য হন না।
ফলে অবসরোত্তর জীবনে প্রায় ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। কর্মচারীদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করেছে। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, যাহা কম হয় তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে।
এরপর উভয় অর্থ ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং ওই ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসাবে জমা করা অর্থের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদ্যমান সিপিএফ ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ প্রদান করে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১.৬৭ শতাংশ বেশি। প্রত্যয় স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক দুই হাজার ৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর চাঁদা প্রদান করলে তিনি অবসর গমনের পর অর্থ্যাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা হারে পেনশন প্রাপ্য হবেন।
তবে এ ক্ষেত্রে ৩০ বছর ধরে মাসিক দুই হাজার ৫০০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ নয় লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ নয় লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী মিলিয়ে সর্বমোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। তিনি যদি ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তবে ১৫ বছরে পেনশন প্রাপ্য হবেন এক কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। যা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ জমার ১২.৪৭ গুণ।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ডাকা সমাবেশে
যোগ দিতে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার
পর থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন।
এদিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিলো। তবে দুপুর দুইটার সময় অনুষ্ঠানিকভাবে
শুরু হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর কাকরাইল,
নাইটিংগেল মোড়, মৎস্যভবন, পল্টন, ফকিরাপুল, আরামবাগে নেতাকর্মীরা মিছিল করছেন। তারা
বিভিন্ন ইউনিট থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের
মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য
দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন দলটির
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মন্তব্য করুন


টানা ৮ দফা বাড়ানোর পর অবশেষে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। এবার ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ
ছাড়া দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেছে মন্ত্রণালয়টি।
আজ
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে গৃহীত হালনাগাদ
প্রস্তুতি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে ঢাকায়
বিদেশি দূতাবাসগুলোকে অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন পদ্মায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায়
নির্বাচন কমিশন বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবেন বলে কূটনীতিকদের বলা
হয় এবং তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রেরণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে ঢাকায়
দূতাবাসগুলোর প্রায় চল্লিশ জন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


জুলাই
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার
মন্ত্রণালয়।
তথ্য
ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আজ রোববার (১৩ জুলাই) পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ
কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। প্রকাশিত ১০টি পোস্টারের সবগুলোই
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক।
পোস্টার
ও পোস্টকার্ড প্রকাশ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের
পোস্টকার্ড 'নোটস্ অন জুলাই'-এ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
উপদেষ্টা
আশা প্রকাশ করে বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ পোস্টকার্ডে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-সম্পর্কিত
স্মৃতি ও মতামত প্রদান করবেন। এসব পোস্টকার্ড গুরুত্বসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।
জুলাই
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার
কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নের
পাশাপাশি মন্ত্রণালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে
তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মাঠপর্যায়ে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা তথ্য অফিসসমূহ
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, পোস্টার বিতরণ ও প্রদর্শনসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন
করছে। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির সকল কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর
গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা ও মন্ত্রণালয়ের
দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ।
(সূত্র-বাসস)
মন্তব্য করুন


মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মির চলমান সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তে। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় এখনো আতঙ্ক কাটেনি। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দীর্ঘ সময় ধরে গোলাগুলি চলাকালে ছোড়া কিছু গুলি বাংলাদেশের অংশে এসে বসতবাড়িতে আঘাত হানে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা রাতভর আতঙ্কে সময় কাটান। একদিন পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি; রাতের বেলায় গুলির শব্দ শোনায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ শহর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চল প্রায় দুই বছর ধরে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতাও রয়েছে। এর ফলে মাঝেমধ্যেই কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। অনেক সময় সংঘর্ষের গুলি এপারে এসে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে।টেকনাফের এক জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী জানান, শনিবার টানা গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে বহু পরিবার শিশুদের নিয়ে ঘরের ভেতর নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। ভয়ের কারণে সারা রাত অনেকেই ঘুমাতে পারেননি। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে মাছ ধরতেও যেতে পারেননি তিনি।হোয়াইক্যং বালুখালির বাসিন্দা সরওয়ার আলম বলেন, শনিবারের গোলাগুলির সময় একটি গুলি তার বাড়িতে এসে পড়ায় পরিবারের সবাই চরম আতঙ্কে পড়েন। এখনও যেকোনো মুহূর্তে আবার গুলি আসতে পারে—এমন আশঙ্কা কাজ করছে বলে তিনি জানান। মধ্যরাতেও কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে।এ বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমার অংশে শনিবার ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একদিন পার হলেও ভীতি পুরোপুরি কাটেনি। রোববার মধ্যরাতে আবার গুলির শব্দ ভেসে আসায় স্থানীয়রা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তবে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, নাফ নদীসংলগ্ন এলাকায় ভয়ের কারণে মানুষ চিংড়িঘের, কৃষিজমি কিংবা নদীতে যেতে পারছেন না। কয়েকটি বসতবাড়িতে গুলি লেগে টিনের চাল ফুটো হয়েছে এবং তাজা গুলির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। অধিকাংশ গুলি চাষের জমি ও ঘেরে গিয়ে পড়ে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইনামুল হাফিজ নাদিম জানান, সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়টি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজারের
চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে নিহত শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩)
এর পিতা-মাতা আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল
ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ
সময় শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর পিতা-মাতা সন্তান হারানোর বেদনায় আবেগ
আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
দাবি জানান।
সেনাবাহিনী
প্রধান শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের
আইন অনুযায়ী বিচার নিশ্চিতে সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গিকার করেন।
উল্লেখ্য,
এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৭ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে চকরিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর
করে এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল (৫ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জাতীয়
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন।
বাংলাদেশ
টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন
কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের
পক্ষে এই সনদ গ্রহণ করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলটির জন্য বরাদ্দকৃত প্রতীক
হচ্ছে ‘শাপলা কলি’।
আজ
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
(সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ
ইসলাম নির্বাচন সংক্রান্ত আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনীকে সাধুবাদ জানান। একইসঙ্গে,
তিনি এই সংস্কার বাতিলে চাপ সৃষ্টি এবং আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
নিবন্ধনের
শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বলে জানান এনসিপি নেতা
নাহিদ। নির্বাচন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার
হওয়ার পরে অবশেষে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। শাপলা কলি প্রতীকে এনসিপি এবারের নির্বাচনে
অংশ নেবে।
নাহিদ
উল্লেখ করেন, প্রত্যেক দলকে স্ব স্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে এই প্রস্তাবনা থেকে
ইসিকে সরে না আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। একটি বিশেষ দল সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে
চাপ দিয়েছে এক মার্কায় নির্বাচনের জন্য এবং আদালতকে ব্যবহার করে এখন এই সংস্কার প্রস্তাবনা
বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এনসিপি এই বিষয়ে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার জন্য বলেছে।
গণভোটের
প্রশ্ন যেন সঠিক প্রচার হয়, সেই বিষয়েও ইসিকে সতর্ক করেছে এনসিপি। নাহিদ ইসলাম বলেন,
গণভোটের প্রশ্ন সঠিকভাবে প্রচার না হলে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাবে না। এছাড়া নির্বাচনে
অপতথ্য বা ভুল তথ্যের বিস্তার রোধে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান
জানানো হয়েছে।
নির্বাচনে
অর্থ ও ক্ষমতার প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এনসিপি। নাহিদ বলেন, হলফনামায়
প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য ইসিকে বলা হয়েছে। এছাড়া অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে ইসি
যেন কঠোর অবস্থান নেয়। যারা কালো টাকা ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া
হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত শহিদুল ইসলাম (৩৭) বা শহিদের মরদেহ সাত দিন পর দেশে ফেরত এসেছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ মরদেহটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করে।
বিজিবির পক্ষে মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান মরদেহ গ্রহণ করেন। জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস জানান, দীর্ঘ সাত দিন পর মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে শহিদের বাবা নস্কার আলীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাহেদুল ইসলাম গত ২৯ নভেম্বর গয়েশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত হন। তিনি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের নস্কার আলীর ছেলে। ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা পাঁচ সহযোগী পালিয়ে যান, তবে শহিদুল গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে কৃষ্ণগঞ্জের গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন


সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। এ সময় বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে এই বৈঠক হয়। সাক্ষাৎকালে দু'দেশের মধ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ, কৃষি পুনর্বাসন ও বীমা, পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন ও সংস্কার, মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত এ মুহূর্তে উপদেষ্টার অগ্রাধিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার ও চ্যালেঞ্জ। উপদেষ্টা এসময় কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা মানবপাচার প্রতিরোধে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকদের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে কৃষি ক্ষেত্রে বীমা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের কৃষকগণ এখনো এ বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। ভবিষ্যতে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছ। যে কারণ বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানে কৃষকদের নিকট গ্রহণযোগ্য ও উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, পুলিশ সংস্কার ও পুনর্গঠনে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সুউচ্চ ও সমুন্নত রাখতে সুইজারল্যান্ডের সহায়তা চান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে সহযোগিতা করবে সুইজারল্যান্ড।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন
সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। সঠিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত
ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন