ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ , বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা আশুলিয়ার ঘোষবাগ পূর্বপাড়ায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী চক্র চাঁদাবাজি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে আসছিল। সেনাবাহিনী গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সক্রিয় ( তিন ) সদস্যকে আটক করে।
অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ( ০১ অত্যাধুনিক শটগান, ১৩টি ধারালো চাপাতি, ৪টি ছোরা এবং চাঁদাবাজির টাকাসহ ) বিভিন্ন অপরাধমূলক আলামত উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. বিশাল (২০), নাজমুল (২০) ও শিপন (২২)।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ঘোষবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছিল। সেনা অভিযানের পর এলাকায় স্বস্তির বাতাস ফিরে এসেছে। আটক সন্ত্রাসী ও উদ্ধারকৃত অস্ত্রসমূহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) “ আব্দুল হান্না “ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর এ সহযোগিতা প্রশংসনীয়।’
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামে এক যুবককে দুটি খুঁটির সঙ্গে
বেঁধে গান গেয়ে পিটিয়ে মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিশ
সেকেন্ডের সে ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে উড়ালসড়কের নিচে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা
হয়েছে। এ সময় গান গেয়ে তাকে মারধর করতে দেখা যায় কয়েকজন তরুণকে।
তবে ঘটনাটি গত ১৪ আগস্টের হলেও সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে যুবককে মারধর
করা হয়, সে যুবকের নাম মো: শাহাদাত হোসেন (২৪)। তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পাঁচবাড়িয়া
গ্রামের ২নং নদনা ইউনিয়নের মিয়া জান ভুঁইয়া বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। শাহাদাত
থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি এলাকার বয়লার কলোনিতে। তিনি নগরের
ফলমণ্ডির একটি দোকানে চাকরি করতেন।
তবে যে স্থানে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল
সেটি চট্টগ্রাম নগরীর আখতারুজ্জামান উড়াল সড়কের নিচে ২নং গেট মোড় এলাকায়। গত ১৪ আগস্ট
রাতে নগরে প্রবর্তক এলাকা থেকে পুলিশ শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন শাহাদাতের
চাচা মো: হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি
করা হয়। কিন্তু কেন এ হত্যাকাণ্ড কিংবা কার সঙ্গে বিরোধ, তা এজাহারে উল্লেখ নেই।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ আগস্ট রাতে প্রবর্তক
এলাকা থেকে ক্ষতবিক্ষত ও অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে
ওই ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা
তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার চাচা ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে থানায় এসে মামলা করেন। তবে মারধরের
শিকার ব্যক্তি যে শাহাদাত, সেটি জানা গেছে তার স্ত্রীর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে
শনাক্ত করার পর।
মামলার এজাহারে নিহত শাহাদাতের চাচা
মো: হারুন উল্লেখ করেছেন, ১৩ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের
হন শাহাদাত। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফোন করলে কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় চলে আসবেন বলে তার
স্ত্রীকে জানান শাহাদাত। গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী বাসায় ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করেন
স্ত্রী শারমিন। সে সময় শাহাদাতের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গেল ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকে
বাদী দেখতে পান, নগরের প্রবর্তক মোড়ের অদূরে বদনা শাহর মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে
তার ভাতিজা শাহাদাত হোসেনের মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে এদিন রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাদাতের লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী শারমিন আক্তার
ও বাদী।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার
ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শাহাদাতের স্ত্রী মারধরের শিকার ব্যক্তি
শাহাদাত বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে যারা মারধর করছেন, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
সাতক্ষীরার শ্যামনগর
থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মোঃ বশির শেখ (৩৮) নামে এক সদস্যকে অস্ত্র,গাড়ি
সহ আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত দুইটার দিকে শ্যামনগর -কালিগঞ্জ রোডের জাহাজঘাটা নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের মোঃ হোসেন আলী শেখের পুত্র।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার নেতৃত্বে ৫/৬ জন সদস্যর ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্ততির কালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মোঃ বশির শেখকে একটি মিনি ট্রাক সহ আটক করা হয়েছে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নিকট ও নম্বর বিহীন একটি মিনি ট্রাক তল্লাসি করে ২টি বড় হাসুয়া, ১টি বড় কাতারি, ১টি শাবল, ৫টি বাঁশের লাঠি, ১টি লোহার রড, ৩টি হাতুড়ী, ১টি লোহার পাইপ, ৯টি সেলাই রেঞ্জ, ৩টি ছোট-বড় প্লাস, ১টি ছোট কাতারী, ১টি কাঁচি, ৩টি স্ক্রু ড্রাইভার, ৮টি রিং রেঞ্জ, ৩টি টর্চ লাইট, ১৬টি ডাল রেঞ্জ, ৯টি কস টেপ, ৬০ ফিট লম্বা রশি, গাড়ীর নম্বর প্লেট দুটি ও ১টি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করার সময় নিজেই ট্রাকের চালক সেজে পুলিশের গাড়ীকে খাদে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। তার নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, রাহাজানি সহ অন্যান্য ১৪টি মামলা রয়েছে।
শ্যামনগর থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ইতিহাস ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির বাতিঘর বলা হয় কুমিল্লাকে। কুমিল্লা পুরনো নাট্য কয়েকটি নাট্য সংগঠনের মধ্যে যাত্রিক অন্যতম। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভিন্নধর্মী পরিবেশনা নিয়ে কুমিল্লা মাতিয়ে এসেছে দলটি। জানা যায়, সত্তর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয় যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠীর। বর্তমানে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর চলছে সংগঠনটির। এই অর্ধশত বছর উদযাপনকে কেন্দ্র বিভিন্ন আয়োজন করে যাচ্ছে যাত্রিক। এবার বিশ্বকবি রবী ঠাকুরের হৈমন্তী মঞ্চায়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে দলটি। আয়োজকদের সূত্রে জানা যায়, হৈমন্তী কুমিল্লায় প্রথম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। এর আগে কখনো হৈমন্তী মঞ্চায়ন হয়েছে বলে জানা নেই তাদের।
যাত্রীকের আহবানে নাটকটি নির্মাণের জন্য এগিয়ে এসেছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচিত্র নির্মাতা, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার হোসেন আলম। আগামী তিন মাস ব্যাপি চলবে "হৈমন্তী"র নির্মাণ কাজ।
নাটকটির মঞ্চায়ন নিয়ে শুক্রবার ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। এতে যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি রোটারিয়ান অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক, সাধারণ সম্পাদক প্রনব কুমার সাহা নান্টু, সহসভাপতি নাছের মিয়াজি বাবু, ট্রেজারার তপন সেন গুপ্ত প্রমুখ।
নির্মাতা আনোয়ার হোসেন আলম জানান, কুমিল্লা আমার প্রাণের শহর। এই শহরের কাছে আমি অনেক ঋণী। যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠী অনেক পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী একটি দল। অতীতে তারা দারুণ দারুণ কাজ করে কুমিল্লাবাসীর আস্থা ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। আশা করছি হৈমন্তী অনেক ভালো মঞ্চ নাটক হবে এবং চমৎকার সাড়া ফেলবে সংস্কৃতিকর্মীদের মাঝে।
যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি রোটারিয়ান অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক জানান, আমাদের সংগঠনের ৫০ বছর চলছে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক পরিবেশনা ও কাজ করেছে। হৈমন্তী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পের মধ্যে অন্যতম ও আলোচিত। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাটকটি মঞ্চায়ন করবো। আগামি তিন মাসের মধ্যে নাটকটি মঞ্চে আসবে বলে বিশ্বাস।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খনন করা
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) আশা করছে এ
থেকে দৈনিক এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে ।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি
নিশ্চিত করে বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল
ইসলাম বলেন, ওয়াছেকপুর গ্রামে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের
অস্তিত্ব। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজের পর ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে
সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাস
আছে। এ টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত থাকা মোট গ্যাসের পরিমাণ।
বাপেক্স সূত্রে আরো জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা
হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৯২১ থেকে এক হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, দুই
হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে দুই হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং তিন হাজার ৮১
মিটার থেকে তিন হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তর থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন
ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে
ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেট চারটি জোনের মধ্যে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে
গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।’
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির বলেন, ‘প্রাকৃতিক
গ্যাসের সন্ধানে বাপেক্স দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে
খনন কাজ শুরু এ বছরের ২৯ এপ্রিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায়
আমাদের খনন কাজেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দিনশেষে আমরা সফল হতে পেরেছি।’
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. প্রিন্স আল
হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার
লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু
আশা করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটি খনন করতে আমাদের নানা
প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা আজ আলোর মুখ দেখছি।
একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন
তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
এর আগে, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো
থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং
সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক
সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ
খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মুরাদনগরে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতের শব্দে অজ্ঞান হয়ে এক শিক্ষার্থী
প্রাণ হারিয়েছে। তার নাম সিয়াম । বয়স হয়েছিলো ১৪ বছর ।
শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উত্তর ত্রিশ এলাকার বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিয়াম মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের প্রবাসী
হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
জানা যায়, সকালে সিয়াম বন্ধুদের সাথে নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে ত্রিশ গ্রামের
বালুর মাঠে গিয়েছিলো। তাদের খেলা চলাকালিন সময়ে মাঠে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে সিয়াম
মাঠেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর কর্তব্যরত
চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক বলেন,
‘সকালে বাড়ির পাশের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে যায় সিয়াম। এ সময় আচমকা ঝড়-বৃষ্টি
ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে কিশোর সিয়াম গুরুতর আহত হয়। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সিয়ামের শরীরে পুড়ে যাওয়ার মতো কোনো
চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) করার পর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত
হয়েছি।’
১৫ নম্বর নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন বলেন,
‘সিয়াম কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বজ্রপাতের শব্দে
ঘটনাস্থলেই সে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।’
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনীর
সার্বিক সহযোগিতায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর
যৌথ অভিযানে মাহিন সুপার আইসক্রিম কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও লক্ষাধিক
টাকার মালামাল জব্দসহ আগুনে পুড়িয়ে ও পুকুরে ফেলে ধ্বংস করা হয়েছে।
গত
মঙ্গলবার (১৭ জুন ) বিকালে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের গোডাউন বাজার এলাকায়
এ অভিযান পরিচালিত হয়।
স্যানিটারী
ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পলাশবাড়ী গাইবান্ধার মোস্তাফিজার
রহমান জানান, আইসক্রিম তৈরির কারখানার কোন বি এস টি আই এর অনুমোদন না থাকায় মাহিন আইসক্রিম
ও দই তৈরির কারখানাকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী
২৯ এর ক ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনুমোদনহীন আইসক্রিম,দইসহ আইসক্রিম ও
দই তৈরির মালামাল ঘটনাস্থলে ধ্বংস করা হয়েছে।
জনস্বার্থে
এতদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
অভিযোনে
গাইবান্ধা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রোমেন পাল, ভোক্তা অধিকার গাইবান্ধা'র সহকারী
পরিচালক,পরেশ চন্দ্র বর্মন ও গাইবান্ধা সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন রুবায়েদ হোসাইনে'র নেতৃত্বে
সেনাবাহিনীর একটি আভিযানিক দল উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ কুমিল্লার দেবীদ্বার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী ও পুলিশের হামলায় নিহত হন পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদশা রুবেল (৪৩), স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) ও আব্দুস সামাদসহ মোট ১২ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক, এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আবুবকর মানসিক ভারসাম্য হারান।
৪ আগস্ট বানিয়াপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রুবেল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার তখন ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত¦া। নিহতের এক মেয়ে ও পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া এক ছেলে রয়েছে। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল পেশায় বাস টালক ছিলেন।
৫ আগস্ট থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির পরিবার চালাতেন ভ্যান চালিয়ে। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ছাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। একই ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সামাদ। তিনি দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ মার্চ ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আহত শিক্ষার্থী আবুবকর এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছে।
দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১২ শহীদের রক্তে লালিত গণআন্দোলন। সংগ্রামী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারও জেগে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে জাগরণ থেমে গেছে গুলির আওয়াজে, রক্তাক্ত হয়েছে শহরের রাজপথ। এ পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ১২ জন শহীদ গণআন্দোলনের অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আন্দোলনের করুণ ইতিহাস।
নিম্নে উল্লেখিত ৩ জন ছাড়া বাকী ৯ জনের শহীদদের নাম, পরিচয় ও শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সরকার’র পুত্র ফয়সাল সরকার (২৪)। সে ঢাকায় একটি পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালের মাথার খুলি উড়ে যায়, পরে হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লা’র পুত্র মো. সাগর মিয়া(১৯), তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন মিয়া (১০), সে পেশায় পপকর্ন বিক্রেতা ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে চিটাগং রোডে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের মৃত: মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাদির হোসেন সোহাগ (২২), তিনি পেশায় চাকরি জিবী(পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস)। ২০ জুলাই ঢাকা গোপীবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত শাহআলম সরকার’র পুত্র জহিরুল ইসলাম রাসেল। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ আগস্ট ঢাকা গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (৩৫)। পেশায় একজন ব্যবসায়ি ছিলেন। ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ি গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়।
উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রায়হান রাব্বি। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়। উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম রানার পুত্র সাইফুল ইসলাম তন্ময়। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ আবুল কায়েসের ছেলে নাজমুল হাসান। ঢাকার মধ্য বাড্ডায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন মরদেহ মাদারীপুরে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
শনিবার
(২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ২৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ জামাতা ও শাশুড়িকে আটক
করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
আটককৃতরা
হলো- দর্শনা থানার মোহাম্মদপুর এলাকার মাদকবিক্রেতা আরিফের স্ত্রী চায়না খাতুন (৩৭) ও ঝিনাইদহ জেলার
মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর ফার্ম (কারিনচা) এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে রাজা মিয়া (জামাতা)।
জানা
গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হাসান খান ও সেনাবাহিনীর ৫৫
পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দর্শনা মোহাম্মদপুর এলাকার আরিফের ভাড়া বাসায় শনিবার অভিযান চালায়। অভিযানকালে ওই বাড়ি থেকে
২৮০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ শাশুড়ি চায়না ও জামাতা রাজাকে
আটক করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হাসান খান জানায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক সাহারা
খাতুন বাদী হয়ে আটককৃত ওই দুজনের বিরুদ্ধে
দর্শনা থানায় মাদক মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন,ভোটে অনিয়মের ছবি প্রকাশ হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
আসনটিতে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের দিন দুপুরে দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। ভোটের পরদিন গতকাল সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া আসনটিতে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে ‘জাল ভোটের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে একজনকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে বিরামহীনভাবে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এসময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাকে সিল মারতে দেখা যায় তাকে।
এরপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা আজাদকে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই দিনে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙল প্রতীকে পান ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২
টি পাইপগান ও
৫ রাউন্ড গুলিসহ ০১
জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব- ১১,
সিপিসি-২।
র্যাব জানায়,
আজ সকালে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল
থানাধীন উলুরচর এলাকায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে
মোঃ আরমান
হোসেন (২৬)
নামক ০১
জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে।
এ সময়
আসামীর হেফাজত হতে
০২ টি
পাইপ গান
ও ০৫
রাউন্ড গুলি
উদ্ধার করা
হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ
আরমান হোসেন
(২৬) কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল
থানার উলুরচর গ্রামের মৃত
মোবারক হোসেন
এর ছেলে।
র্যাব-১১,সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। এ বিষয়ে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন