বিশ্বজুড়ে
মেটার আওতাধীন ফেসবুকের সার্ভার ডাউন হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
লগইন সমস্যায় পড়েছেন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ রিপোর্ট পাওয়া
গেছে ডাউন ডিটেক্টরে। এক্সের ট্রেন্ডিং ফিডেও ফেসবুক সার্ভার ডাউনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার
( ৫ মার্চ) রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা
জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।
প্রযুক্তি
ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টরও ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার কথা নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবহারকারীরা
জানান, হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগ আউট হয়ে যায়। পরে তারা লগ ইন করতে গিয়ে
সমস্যায় পড়েন।
ফেসবুকের
একটি সূত্র ডেইলি মেইলকে জানিয়েছে, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সিস্টেমও ডাউন হয়ে গিয়েছিল।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ দুই জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন - পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে ও পরীক্ষার্থীর ভাই আব্দুল জলিল।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরু হলেও এক ঘণ্টার পরীক্ষা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে থাকেন। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। পরে সদর ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করত। এটি একটি বিশাল চক্র। তিনি তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করেন। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আটকের চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন
দেশে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের অনলাইন, অনলাইনের জন্য নিবন্ধিত এবং নিবন্ধন পেতে
আবেদন করা অনলাইন গণমাধ্যম ছাড়া বাকি সব অনলাইন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার
প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে একেবারে প্রতিষ্ঠিত
গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে। আর রেজিস্টার অনলাইন আছে ২১৩টি। অর্থাৎ মোট ৪২৬টি অনলাইন
আছে। একইসঙ্গে যেগুলো দরখাস্ত করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে সবগুলোর লিস্ট করতে বলা হয়েছে।
এর বাইরে যত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, সেগুলো আমরা সব বন্ধ করে দেব।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দরখাস্ত করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগ পর্যন্ত
বন্ধ হবে না। কারণ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা অনলাইন কিভাবে চলছে সেটা দেখতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারমুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার চমৎকার পরিবেশ এবং মত প্রকাশের
স্বাধীনতার জন্য যা যা উপকরণ লাগে সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী
বলেন, তথ্য অধিকার আইন শেখ হাসিনার আমলেই সংসদে পাশ হয়েছে। তথ্য পাওয়ার যে অধিকার আইনগতভাবে
নিশ্চিত করা হয়েছে সেটাকে বাস্তবে আমরা আরও বেশি নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য সম্প্রচার
মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে আমরা একটা বার্তা দিয়েছি, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। আমরা চাচ্ছি
তথ্য অধিকার আইনকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য কারণ তথ্য প্রবাহকে অবারিত করতে চাই।
জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার বিষয়ে গুরত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণকে তথ্য
দেওয়ার বিষয়টি আমাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। এটাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি প্রশাসনের
প্রত্যেকটি স্তরে। যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। কাজেই কিছু প্রশাসনিক
পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। যেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সাংবাদিকদের
কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারি এবং আপনারা সেটা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেন।
সবাই মিলে তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরো সুনিশ্চিত করণ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যকে
রোধ করতে হবে। ক্লাইমেট ঝুঁকির চেয়ে বেশি ঝুঁকি হচ্ছে অপতথ্যের ঝুঁকি। সোশ্যাল মিডিয়া
বিশেষ করে এখানে কোন ধরনের নীতিমালা না থাকার কারণেই এই অপতথ্যের বিস্তার ঘটছে।
মূলধারার গণমাধ্যমের নীতিমালার গুরত্ব নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন,
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন নীতিমালা না থাকার কারণে এটি জনগণের জন্য হিতকর নয় তাই
সেখানে আমরা একটা নীতিমালার আওতায় আনতে চাচ্ছি। কারণ মিথ্যা খবর কোন ভাবেই সমাজের কল্যাণ
বয়ে আনতে পারে না।
মন্তব্য করুন
শনিবার (২ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ধীরগতিতে ইন্টারনেট সেবা মিলবে।
কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকবে। তবে কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো চালু থাকবে।
বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সময় গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করবে কনসোর্টিয়াম। এ কাজের জন্য ২ মার্চ শনিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ফলে বিএসসিপিএলসির গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন
রোববার (২১ জানুয়ারি) স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে ,দেশে ব্যবহৃত অবৈধ মোবাইল ফোন শিগগির নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে ।
এতে বলা হয়, বিটিআরসি জাতীয় পরিচিতি ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ বা প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এনইআইআরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে শুরু হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত সম্ভব হবে। পাশাপাশি মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এনইআইআরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করে শিগগির অবৈধ মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে ,মোবাইল কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD ও ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা যাবে ।
১৬ জানুয়ারি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন ।
ওইদিন তিনি বলেন, দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। মোবাইল ফোনের ডেটাবেজ এবং অটোমেটিক রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা বিটিআরসির রয়েছে।
মন্তব্য করুন
৬৫
কোটি আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই রহস্যময় বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। সেই তরঙ্গের
মধ্যে দিয়ে একটি রহস্যময় সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে পৃথিবীতে।
সেই
সঙ্কেতের রহস্যভেদ করতে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।মহাকাশে এক
মৃত নক্ষত্রের সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে শোরগোল পড়ে
গিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
তেমনই
এক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে গত বছর পৃথিবীতে এসেছে। ২০২৩ সালের
মে মাসে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গের হদিস পান। আর সেই তরঙ্গেই লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সঙ্কেত।
তবে
অনেক সময় তারাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিস্ফোরণের। বিজ্ঞানীদের ভাষায়
এই বিস্ফোরণকে সুপারনোভা বলে। সেই বিস্ফোরণের ফলেও মৃত্যু হয় তারাদের।
তারাদের
মৃত্যু। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও মহাকাশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মতো তারাদেরও
জন্ম-মৃত্যু রয়েছে। মহাকাশেই তারাদের জন্ম হয়, সেখানেই মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর
থেমে যায় না তারারা। কৃষ্ণগহ্বরের আক্রমণেই মৃত্যু হয় তারাদের।
নিউট্রন
তারা কী? এই সব তারা পুরোটাই নিউট্রন কণা দিয়ে তৈরি হয়। এদের ভর সাধারণত সূর্যের ভরের
দেড় থেকে দু’গুণ হয়। এই সব নক্ষত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের
থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি হয়। এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই চর্চা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেখান থেকেই মেলে নতুন নতুন তথ্য।
বিজ্ঞানীদের
মধ্যে এই দুই গ্রহও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।তারাদের মৃত্যু। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও
মহাকাশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মতো তারাদেরও জন্ম-মৃত্যু রয়েছে। মহাকাশেই তারাদের
জন্ম হয়, সেখানেই মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর থেমে যায় না তারারা। কৃষ্ণগহ্বরের আক্রমণেই
মৃত্যু হয় তারাদের
সম্প্রতি
মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত দুই গ্রহের সন্ধান পেয়েছে
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। জানা যায়, এই দুই গ্রহ মহাকাশে দুই মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ
করে চলেছে। এই দুই গ্রহের ভর বেশ কয়েকটি বৃহস্পতি গ্রহের সম্মিলিত ভরের সমান।
তেমনই
এক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে গত বছর পৃথিবীতে এসেছে। ২০২৩ সালের
মে মাসে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গের হদিস পান। আর সেই তরঙ্গেই লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সঙ্কেত।
মহাবিশ্বকে
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতীতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দ্বারা বয়ে আনা বার্তার রহস্যভেদ করা খুবই কঠিন ছিল। তাই
মহাকাশে ঘটে চলা অনেক কিছুই অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এখন সেই সব তরঙ্গ অধ্যয়ন
করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন অনেক অজানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে আসা জিডব্লিউ২৩০৫২৯
নামক তরঙ্গ থেকে এমন কিছু জানা যাবে, যা মহাকাশের এক নতুন দরজা খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের
মতে, নিউট্রন তারা এবং এক অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেস ম্যাকআইভার এই বিষয়টি নিয়ে বলেন,
‘‘নিউট্রন তারা এবং কম ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষের হার আমরা আগে যা
ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’’
ম্যাকআইভার
এ-ও জানান, নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের
উৎপত্তির মতো ঘটনা বিরল। তাই এই তরঙ্গে যে সঙ্কেতের আভাস মিলেছে তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে।
তেমনই এক মৃত নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গের। তবে এই তরঙ্গের সঠিক উৎস নির্ধারণ করতেও সময় লাগে বিজ্ঞানীদের। পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তরঙ্গের উৎসস্থল সম্পর্কে ধারণা মেলে বিজ্ঞানীদের।
এক নক্ষত্রের মৃত্যু এবং তা থেকে আসা অজানা সঙ্কেতই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের। কী ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? অ্যালবার্ট আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে, মহাকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিশাল বস্তুগুলি প্রায়ই নিজেদের গতি পরির্তন করে থাকে। সে সময়ই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই সব তরঙ্গ আলোর গতিতে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মৃত্যুর
আগে শেষ বার্তা পাঠাল দূরের নক্ষত্র, রহস্যময় সঙ্কেত চমকে দিল বিজ্ঞানীদের
মহাকাশে
এক মৃত নক্ষত্রের সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে শোরগোল
পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। সেই তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে একটি রহস্যময় সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে
পৃথিবীতে। সেই সঙ্কেতের রহস্যভেদ করতে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
এক
নক্ষত্রের মৃত্যু এবং তা থেকে আসা অজানা সঙ্কেতই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের।
৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই রহস্যময় বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে।
কী
ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? অ্যালবার্ট আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে,
মহাকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিশাল বস্তুগুলি প্রায়ই
নিজেদের গতি পরির্তন করে থাকে। সে সময়ই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই সব তরঙ্গ আলোর
গতিতে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মহাবিশ্বকে
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতীতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দ্বারা বয়ে আনা বার্তার রহস্যভেদ করা খুবই কঠিন ছিল। তাই
মহাকাশে ঘটে চলা অনেক কিছুই অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এখন সেই সব তরঙ্গ অধ্যয়ন
করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন অনেক অজানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে আসা জিডব্লিউ২৩০৫২৯
নামক তরঙ্গ থেকে এমন কিছু জানা যাবে, যা মহাকাশের এক নতুন দরজা খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের
মতে, নিউট্রন তারা এবং এক অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেস ম্যাকআইভার এই বিষয়টি নিয়ে বলেন,
‘‘নিউট্রন তারা এবং কম ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষের হার আমরা আগে যা
ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’’
ম্যাকআইভার
এ-ও জানান, নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের
উৎপত্তির মতো ঘটনা বিরল। তাই এই তরঙ্গে যে সঙ্কেতের আভাস মিলেছে তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে।
নিউট্রন
তারা কী? এই সব তারা পুরোটাই নিউট্রন কণা দিয়ে তৈরি হয়। এদের ভর সাধারণত সূর্যের ভরের
দেড় থেকে দু’গুণ হয়। এই সব নক্ষত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের
থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি হয়। এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই চর্চা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেখান থেকেই মেলে নতুন নতুন তথ্য।
তেমনই
এক মৃত নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গের।
তবে এই তরঙ্গের সঠিক উৎস নির্ধারণ করতেও সময় লাগে বিজ্ঞানীদের। পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের
পর তরঙ্গের উৎসস্থল সম্পর্কে ধারণা মেলে বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি
মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত দুই গ্রহের সন্ধান পেয়েছে
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। জানা যায়, এই দুই গ্রহ মহাকাশে দুই মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ
করে চলেছে। এই দুই গ্রহের ভর বেশ কয়েকটি বৃহস্পতি গ্রহের সম্মিলিত ভরের সমান। বিজ্ঞানীদের
মধ্যে এই দুই গ্রহও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে তার সঙ্গে রওনা হয়েছেন।
বাংলাদেশে চার দিনের সরকারি সফর শেষে জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক আজ দেশে ফিরেছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন জানান, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরাফাত আজ বিকেলে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর ত্যাগ করেন।
ইফতেখার বলেন, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে সড়ক পথে ভুটানে গিয়েছেন এবং রোববার তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
আইসিটি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উভয় দেশ যৌথভাবে সাইবার ড্রিল এবং সক্ষমতা উন্নয়নের কর্মশালার অয়োজন করবে।
২১ আগস্ট সোমবার ভারতের নয়া দিল্লিতে সার্ট ইন্ডিয়ার প্রধান কার্যালয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (সার্ট ইন্ডিয়া) মহাপরিচালক ড. সঞ্জয় বাহলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
একই দিনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিংসহ নানা ডিজিটাল সেবা প্রধানকারী আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল এর নয়া দীল্লির গীতা নগরিতে অবস্থিত কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (ইউডিএআই) এর প্রধান নির্বাহী কর্নেল নিখিল সিনাহার সঙ্গে বৈঠক করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আধার সিস্টেমের কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকরা, নাগরিক সেবা গ্রহণের পাশাপাশি কীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের এনআইডি সিস্টেমকে আরো ভবিষ্যতমুখী এবং অধিকতর ভাল্যু অ্যাডেড সল্যুশন অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়েও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক মতামত ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)
দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ইন্টারনেট সেবা
পেতে বিঘ্নতা পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে ।
বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও
কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে গ্রাহকরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।
দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের
(সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকায় দেশের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সঠিকভাবে
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না যা আগামী দুই তিন দিনের আগে ঠিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা
নেই ।
ইন্টারনেটের সেবা পেতে বিঘ্নতার
কারণ নিয়ে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল কাঁটা পড়ায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন
ক্যাবল সিমিউই-৫ দিয়ে ১৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যান্ডউইথ সরবরাহ
স্বাভাবিক হতে দুই-তিন দিন লাগবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন
ক্যাবল কোম্পানির এমডি মির্জা কামাল আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সমস্যা মোকাবিলায়
সিমিউই-৪ সাবমেরিন কেবল দিয়ে বিকল্পভাবে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
এআই ডিপফেক হল এমনই একটি প্রোগ্রাম, যা দ্বারা অডিও, ভিডিও ও ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয়, যা দেখে আসল কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যারা কাজ করে থাকেন তারা আগে থেকেই এআই ডিপফেক নামটির সঙ্গে পরিচিত। অত্যাধুনিক এআই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে যে কোনও মানুষের চেহারা ও আওয়াজসহ সবকিছুই অবিকল অনুকরণ করা যায়। এখন পর্যন্ত সেই ডিপফেক শুধু সেলিব্রেটিদের নিশানা করলেও নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই যে টার্গেট লিস্টে ভবিষ্যতে আপনি থাকবেন না।
ডিপফেক যেভাবে তৈরি করা হয়,
ডিপফেকের অ্যালগরিদম দু’টি মুখের অর্থাৎ আসল ভিডিও’র মুখ এর পরিবর্তে যে মুখ সেখানে বসানো হবে দু’টির মধ্যে মিল খুঁজে বের করে। তারপর তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারজন্য এমনই ভিডিও খুঁজে বের করা হয়, যেখানে ক্লোজ আপ শট প্রায় থকেনা বল্লেই চলে। ডিপফেক ভিডিও’র দৈর্ঘ্য খুব একটা বড় হয় না কারণ এই প্রযুক্তির পক্ষে বড় ভিডিওকে একেবারে হুবহু এডিট করা প্রায় অসম্ভব।
ডিপফেক ভিডিও যেভাবে বুঝবেন,
ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির তাকানো কিংবা মুখের এবং শরীরী ভঙ্গিমাতে অসঙ্গতি থাকে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কথা বলা কিংবা কাজের সঙ্গে তার চাহনির মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্যক্তির মুখ এবং আশপাশের আলোতে সামঞ্জস্যের অভাব থাকে।
অডিওর মানও আর পাঁচটা স্বাভাবিক ভিডিওর চেয়ে আলাদা তকে। তাই কোনও ভিডিও নিয়ে সন্দেহ হলে সেই ভিডিওর অডিওর মান যাচাই করে নিতে হবে। ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির হাত-পা কিংবা মুখের আদল বেশ খানিকটা বদলে যায়। অর্থাৎ দেখতে লম্বাটে কিংবা চ্যাপ্টা লাগে। ভালো করে দেখলে এই বিকৃতভাব চোখে পড়বে।
সূত্র : দ্য ওয়াল।
মন্তব্য করুন
প্রতিবন্ধীরা অন্যদের চেয়ে বেশি পরিশ্রমী উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সুস্থ্য স্বাভাবিক তরুণ-তরুণীদের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সেবা প্রদান করছে প্রতিবন্ধীরা।
শনিবার কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতাসম্পন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের চাকরি মেলা ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে আমাদের।
প্রতিবন্ধীদের জন্য উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হবে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তাদের জন্য শুধু চাকরির মেলা নয়, প্রতিবন্ধীরা উদ্যোক্তা হয়ে আরও হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
ঘরে বসেই যেনো প্রতিবন্ধীরা দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন সেজন্য (এম্পোরিয়াডটগভডটবিডি) পোর্টাল ব্যবহারে আহ্বান জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একই সময়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এনজিওগুলোতেও যেনো প্রতিবন্ধীদের চাকরি দেয়া হয় সেজন্য এনজিও ব্যুরো মহাপরিচালককে অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, সিএসআইডি এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম, বিসিসি এর প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ২০১১ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিনামূল্যে আইসিটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করে। এরইধারাবাহিকতায় প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের জন্য চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ২০১৫ সাল থেকে চাকরি মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চাকরি মেলার মাধ্যমে প্রায় ১হাজার ৬০০ জন আইসিটিতে দক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কম্পিউটারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ চাকরি প্রত্যাশীরা এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এবার মেলার মাধ্যমে প্রায় ৫০ জনকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও, ২ শতাধিক চাকরিপ্রার্থীকে পরবর্তীতে নিয়োগের লক্ষ্যে সাক্ষাতকারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাদের পর্যায়ক্রমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন