নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রাথমিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন কুমিল্লার সুপরিচিত ডায়াবেটিস, হরমোন ও মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার অজিত কুমার পাল।
তিনি কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা ডায়াবেটিক হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
অধ্যাপক অজিত কুমার পাল ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বারডেম একাডেমি থেকে এন্ডোক্রিনোলজিতে এমডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০১৪ সালে এমআরসিপিএস (গ্লাসগো) এবং ২০২০ সালে এফআরসিপি (গ্লাসগো) এবং এফআরসিপি (এডিন) লাভ করেন।
তিনি আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস (এফএসিপি) এবং ২০১৫ সালে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি (এফএসিই) থেকে ফেলোশিপ অর্জন করেছিলেন। ২০২৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে অধ্যাপক ডাঃ আব্দুস সালেক মোল্লা এবং ড. মো. আব্দুল মালেকের তত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য।
তিনি অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট বাংলাদেশ (এসিইডিবি) এর সহ-সভাপতি। তিনি ৮৪টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রিনোলজি সম্পর্কিত ৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক মৌখিক এবং পোস্টার উপস্থাপন করেছেন। রোগীদের আন্তরিক ও যাদুকরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক কুমিল্লা সহ বৃহত্তর কুমিল্লার নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ডা. অজিত কুমার পাল বলেন, সুগার স্বল্পতা ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণ একটি সমস্যা। ডায়াবেটিস নীল বা সুগার স্বপ্লতা হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। রোগীরা যদি সচেতন থাকেন এবং এ বিষয়ে আগে থেকে ধারনা রাখে তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জটিলতা এড়ানো সম্ভব। তিনি পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পাশাপাশি কুমিল্লাবাসী সহ অগনিত রোগীদের কাছে দোয়া প্রার্তনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি।
সেপকসের পৃষ্ঠপোষক, লেডিস ক্লাব ও চিলড্রেন ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সারাহনাজ কমলিকা জামান আজ জলসিঁড়ি এলাকার শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে প্রধান অতিথি থেকে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সেপকসের এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, এ ধরনের মানবিক কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, সেপকসের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক শাখাসমূহের মাধ্যমে দেশব্যাপী শীতার্ত গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সেনাসদরে কর্মরত ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সহধর্মিনীগণ, সেপকস ঢাকা অঞ্চলের সভানেত্রী, সেপকস ঢাকা অঞ্চলের পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যগণ, অফিসারগণ; অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ; বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ ।
মন্তব্য করুন
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪৭ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সময় সংবাদকে জানান, চল্লিশের বেশি পঞ্চাশের কম সংখ্যক ইউএনওকে আজ বদলি করা হতে পারে।যারা এক বছরের বেশি ইউএনও হিসেবে কর্মস্থলে ছিলেন তাদেরই বদল করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সব ইউএনওকে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।সে নির্দেশনার আলোকেই ৪৭ ইউএনওর বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করে। এরপর নির্বাচন কমিশন বদলির অনুমোদন দেয়।
জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্বাচন কমিশন আমাদের যা করতে বলবেন, আমরা তা-ই করব বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০০ জনের মতো ইউএনও বদলি হতে পারেন। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলির বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে।
গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায়। এতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যে সব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থল এক বছরের বেশি চাকরিস্থল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বরের) মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।
গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়েছে, বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এবং আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে দেশের যেসব জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে বলে । সেই সাথে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং উত্তরাঞ্চলে তা বৃদ্ধি পেতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে এর সাথে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের
বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তার কাছে প্রশ্ন ছিল, সরকার কেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ
করতে পারছে না?
জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আগে
যে সিন্ডিকেট ছিল তা নিয়ন্ত্রণ করত আওয়ামী লীগ সরকার, কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে ছিল
ব্যবসায়ীরা। এখন তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলে আশ্রয়
নিয়েছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
“কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে
জড়িত অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহযোগিতা করতে
হবে। কারণ, দলগুলো যদি আগের সেই প্রাকটিসে ঢুকে যায়, তাহলে এতগুলো মানুষের জীবন দেওয়ার
কোনো দরকার ছিল না। এখন দলগুলোর মধ্যে একটা পজিটিভ বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। দলগুলো কর্মীদের
বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আশা করি তৃণমূলেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেবে। তাহলে
স্থানীয় চাঁদাবাজি কমে আসবে। সরকারি পর্যায়েও এ বিষয়ে আমরা কঠোর হব। দুর্গাপূজা নিয়ে
একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে, সিন্ডিকেটের
বিরুদ্ধে ড্রাস্টিক অ্যাকশনে যাব। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় ইনভলব। বন্যার
কারণে শাকসবজির সরবরাহ কমেছে। পর পর দুটো বন্যা হয়ে গেছে। সেই বিষয়টি আমাদের মাথায়
রাখতে হবে। তবে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদেরকে হার্ডলাইনে যেতে হবে। যেসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান
সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দাম বাড়াবে তাদেরকে অ্যারেস্ট করব।
মন্তব্য করুন
১২ বছর বয়সী নুরে জারিন নুদার। বর্তমান সময়েরর ছেলে-মেয়েদের থেকে একটু আলাদা। যে বয়সে মেয়েরা মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত। ওই বয়সে ক্ষুদে এ শিক্ষার্থী হাতে কোরআন লিখে পার করছে ব্যস্ত সময়। তার গল্প শুনলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। এই মাদরাসা শিক্ষার্থীর কোনো ক্লাসে পড়তে হয়নি প্রাইভেট। মাত্র ১০ মাসে নির্ভুল ভাবে সে পুরো আল-কোরআন হাতে লিখেছেন। তার দৃষ্টিনন্দন হাতের লেখা দেখলে যে কারো চোখ আটকাবে। মনে হবে এটি কম্পিউটারে ছাপা লেখা। চোখ জুড়ানো হাতের লেখায় পবিত্র কোরআন লিখে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সে।
বর্তমানে নুদার বসুরহাট দারুল ইহসান গার্লস মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ২০২২ সালের সেপ্টম্বর মাসের ঘটনা। তখন ১০ বছর বয়সী নুদার বাড়ির পাশের ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। একদিন হঠাৎ মেয়ের সুন্দর আরবি হাতের লেখা চোখে পড়ে বাবার। এরপর তিনি মেয়েকে উদ্বুদ্ধ করেন পবিত্র কোরআন হাতে লিখতে। যে কথা, সেই কাজ। মেয়েকে প্রথমে এক রিম খোলা সাদা কাগজ এনে দেন তিনি। সেই থেকে শুরু। এরপর আস্তে আস্তে ১০ মাসে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নুদার কোরআন লিখে শেষ করেন। এরপর তার বাবা হাতে লিখা কোরআন শরীফ নিয়ে নুদারের মাদরাসার আরবী শিক্ষক মুফতি মুহা.আবদুল্লাহ আল নোমান শরনাপন্ন হন। সেই থেকে নুদারের লেখা শেষে তিনি বানান সংশোধন করে পুনঃনিরীক্ষণ করে দিতেন। তার উৎসাহে ও সহযোগিতায় নুদারের লেখা আরও গতি পায়। পরবর্তীতে পান্ডুলিপি থেকে ১০ পারা করে তিন ভাগে পুর্ণাঙ্গ কোরআন বাঁধাই করা হয়। কোরআন লিখতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬১১টি এ ফোর সাইজের সাদা কাগজ ও ৫৫টি বলপেন কলম। মেয়ের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মা-বাবা,দাদা-দাদী সহ এলাকাবাসী। মা-বাবার আশা মেয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশবাসীর কল্যাণে দ্বীনি শিক্ষা প্রসারে কাজ করবে। নুরে জারিন নুদার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মওদুদ স্কুল এলাকার ছেলামত মঞ্জিলের মো.নুরুল হুদা মামুনের মেয়ে।
নুরে জারিন নুদার বলেন, বাবা-মায়ের উৎসাহে আমি চতুর্থ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় পবিত্র কোরআন মাজিদ লেখা শুরু করি। এরপর পঞ্চম শ্রেণিতে উঠলে আমার লেখা শেষ হয়। আমার এ লেখা দেখে মা-বাবা আমাকে মাদরাসায় পড়া লেখার পাশাপাশি এখন হিফজ বিভাগে ভর্তি করে দেয়। আমি দেশ বাসীর কাছে দোয়া চাই।
নুদারের বাবা মো.নুরুল হুদা, আমি প্রথমে আমার মেয়ের সুন্দর আরবি হাতের লেখা দেখে খুব আনন্দিত হই। আমারও তার শিক্ষকদের উৎসাহে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সে কোরআন নিজ হাতে লেখা শুরু করে। যখন এক পারা লেখা সম্পন্ন হতো তখন ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার শিক্ষক মুফতি মুহা.আবদুল্লাহ আল নোমান আরবি বানান গুলো যাচাই বাচাই করে পুনঃনিরীক্ষণ করে দিতে। এভাবে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পুরো কোরআন লিখে শেষ হয়। পরে পুনরায় আবার বানান পুনঃনিরীক্ষণ করে ১০ পারা করে তিন ভাগে বাধাই করা হয়। মেয়ের এমন কাজে আমি গর্বিত। এমন কাজে অন্য ছেলে মেয়েরা উদ্ধুদ্ধ হবে বলেও আমি আশা করি।
মা বিবি ফাতেমা বলেন, আমার মেয়ে নিজ হাতে কোরআন লিখেছে, আমরা তাকে উৎসাহ দিয়েছি। লেখার সময় অনেক সময় মনমানসিকতা অন্য রকম হয়ে যেত, তো লিখবো, লিখেনা। আবার মনমানসিকতা ঠিক করে আগ্রহ দিয়ে লিখতে বসত। বিশেষ করে ভালো কাজে শয়তানের প্ররোচনা থাকে। খাতা-কলমে দাগ টানা সহ বিভিন্ন ভাবে তাকে আমি সহযোগিতা করেছি। চার বছর বয়স থেকে সে নিয়মিত নামাজ পড়ে।
ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার নাজেমে তালিমাত, মুফতি মুহা.আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, কোরআন লেখার যে প্রাচীন নিয়ম রয়েছে। সে অক্ষরে অত্যন্ত সুনিপুন ভাবে নুদার ১০ মাসের প্রচেষ্ঠায় কোরআন হাতে লিখে সম্পন্ন করেন। ওই সময় আমি তার লেখার তত্বাবধান করি। বোঝার উপায় নেই, এটি হাতে লিখা না, না কম্পিউটারে লিখা। তার লেখা কোরআন পুরোটাই আমি পুনঃনিরীক্ষণ করি।
ইকরা আরাবিয়া মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা মোতালেব হোসেন পারভেজ বলেন,নুরানী বোর্ডের সমাপনী পরীক্ষায় নুদার পুরো বাংলাদেশে দশম স্থান অর্জন করে। সে একজন মেধাবী ছাত্রী। তার স্বহস্তে কোরআন লেখার এ কৃতিত্বকে আমরা স্বগত জানাই।
বসুরহাট পৌরসভা ৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম ছিদ্দিক বলেন, পবিত্র কোরআন হাতে লেখার উদ্যোগ নিয়ে সম্পন্ন করার কাজটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এতো সুন্দর ভাবে কোরআন লিখলেন সেটি আসলেই অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। আমি তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চার দিনের ছুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রজ্ঞাপনটি ভুয়া বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।এ বিষয়ে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই প্রজ্ঞাপনটি সঠিক নয়।
আগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শুধু ভোটের দিন ৭ জানুয়ারি (রোববার) নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি থাকবে বলেও জানিয়েন জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখার একজন কর্মকর্তা।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৫ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি সব সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কওমি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারী/ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে ও দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সারা দেশে নির্বাচনকালীন ছুটি ঘোষণা করা হলো। ছুটি ঘোষণা অবহেলাকারীদের প্রতি আর্থিক জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৮ ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপনমূলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/ সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে সারা দেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রজ্ঞাপনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হচ্ছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৫-৮ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা সংক্রান্ত একটি বানোয়াট প্রজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত নয়। উক্ত বানোয়াট প্রজ্ঞাপনটি আমলে না নেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি সারা দেশে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ওই দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গত ২৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারা দেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিরিজ অ্যান্ড ডিভিশনস এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক এই ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নিজের হাতে থাকা ২৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের
জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১২) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে ব্রিফ
করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
জনপ্রশাসন সচিব জানান, সব মন্ত্রণালয়ের
কাজ দ্রুত চালু করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ জন্য সাত দিন সময় দিয়ে এখন
থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। গত কয়েক বছর যারা পদোন্নতি থেকে
বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের দাবিগুলো শুনে শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে। মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরগুলোকে
দ্রুত ফাংশনাল করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, যেসব মন্ত্রণালয়ে
আগে মন্ত্রী ছিলেন সেসব মন্ত্রণালয়ের কাজ যাতে স্থবির হয়ে না যায়, সচিবরা সেসব কাজ
নিজ উদ্যোগে যাতে শুরু করেন তা নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সার, বিদ্যুৎ, কৃষি, জ্বালানি,
বন্দর, খাদ্যসহ জরুরি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে সাত দিনের মধ্যে তালিকা করে কাজ শুরু করতে
হবে এবং তালিকাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি
আজ (১ অক্টোবর ২০২৪) ইসিবি চত্ত্বরে ঢাকা জেলার জন্য স্থাপিত মেডিকেল ডিসপেনসারিতে
উপস্থিত হয়ে ভিডিও টেলি কনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন
করে স্থাপিত আরও ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারির শুভ উদ্বোধন করেন।
এরপর তিনি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময়
করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের
কল্যাণার্থে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড কর্তৃক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী,
বিমান বাহিনী এবং সেনাকল্যাণ সংস্থার অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩১টি মেডিকেল
ডিসপেনসারি পরিচালিত হচ্ছে।
আজ আরও ৩০টি নতুন মেডিকেল ডিসপেনসারির কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে দেশের ৬১টি জেলায় অবসরপ্রাপ্ত ১,৫৫,২৬৪ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তদ্বীয় পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর হবে।
উল্লেখ্য, অবশিষ্ট ৩টি জেলায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত মেইন ড্রেসিং স্টেশন (এমডিএস) হতে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তদ্বীয় পরিবারবর্গ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল ডিসপেনসারি স্থাপনের ফলে তাদের অর্থ ও সময় উভয়ই বাঁচবে এবং দূর-দূরান্ত থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের ঔষধ সংগ্রহের সমস্যাও অনেকাংশে লাঘব হবে। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবায় সিএমএইচ সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক এ বিষয়ে আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও পরিবারবর্গের জীবনযাত্রার মান বহুলাংশে উন্নত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন জেলার বেসামরিক প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ (ভিটিসির মাধ্যমে), সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের একদিন
আগে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে International Convention for the Protection of
All Persons from Enforced Disappearance (ICPPED) যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের
সভায় গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক
সনদটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পর ২০১০ সালে
এ সনদের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এ সনদে যুক্ত হয়েছে।
গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের লক্ষ্য
হলো: গুম বন্ধের পাশাপাশি এ অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের
সহায়তা দেওয়া।
মন্তব্য করুন