

নতুন নীতিমালার আওতায় যেসব গ্রাহকের নামে বর্তমানে ছয় থেকে ১০টি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও ধাপে ধাপে সিমের সংখ্যা কমিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটিতে সীমাবদ্ধ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো অনিয়ম ও অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনা। তবে মোবাইল ফোন অপারেটররা আগের মতোই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে।বিশ্বব্যাপী সিম ব্যবহারের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ বর্তমানে নবম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের নিচে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মতো দেশ।বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত দেশে মোট মোবাইল সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি ৫৯ লাখ, রবির ৫ কোটি ৭৫ লাখ, বাংলালিংকের ৩ কোটি ৭৯ লাখ এবং টেলিটকের প্রায় ৬৬ লাখ ৭০ হাজার।বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত মোট সিমের সংখ্যা প্রায় ২৬ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে সক্রিয় সিম রয়েছে আনুমানিক ১৯ কোটি, আর অবশিষ্ট সিমগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে।এর আগে গত আগস্ট মাসে এক ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম থাকলে সেগুলো ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাতিল অথবা মালিকানা হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, সে সময় প্রায় ৬৭ লাখ সিম এমন অবস্থায় ছিল। পরবর্তী তিন মাসে প্রায় ১৫ লাখ সিম গ্রাহক স্বেচ্ছায় বাতিল করলেও এখনো আনুমানিক ৫০ থেকে ৫৩ লাখ সিম বাতিল প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব সিম নিষ্ক্রিয় না করায় সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ।
এ দিনের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রীতি অনুযায়ী রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাষাসৈনিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজপথ ও দেয়াল বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। চারুকলার শিক্ষার্থীরা রাত-দিন খেটে রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিবাদের নানা ভাষা। শহীদ মিনারের বেদি, কালো রাজপথ, দেওয়াল সেজে উঠছে বর্ণিল আল্পনায়।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য
নিজ নিজ অবস্থান থেকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী।
আজ
শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, আমাদের নেত্রী
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করছি-আল্লাহ
তাআলা যেন তাকে পুরোপুরি সুস্থতা দান করেন।
রিজভী
জানান, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় করছেন,
যা চিকিৎসা কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে এবং অন্যান্য রোগীদের জন্যও সমস্যার তৈরি
করছে।
তিনি
বলেন, নেত্রীর প্রতি আপনাদের আবেগ স্বাভাবিক। আপনারা তাকে দেখতে চান, তার সুস্থতার
জন্য মোনাজাত করেন-এটা ভালোবাসা থেকেই আসে। কিন্তু এই ভিড়ের কারণে চিকিৎসা ব্যাহত
হচ্ছে। তাই আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে তার জন্য দোয়া
করেন।
রুহুল
কবির রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে পথের কাঁটা মনে করতেন শেখ হাসিনা। সেই কারণে অতীতে
তাকে ‘দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার’ সব রকম চেষ্টা হয়েছে। অনেকে বলেন,
জেলখানায় তার খাবারে ‘বিষ মেশানো হয়েছিল’।
রুহুল
কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে ক্ষমতা ভোগ করেছেন নিজের,
ছেলে ও পরিবারের স্বার্থে। তিনি দাবি করেন, ‘স্বর্ণ কিনে মজুদ করা’,
‘লোকজন দিয়ে ব্যাংক লুট করে টাকা পাচার করানো’, এমন নানা অনিয়মের মাধ্যমেই দেশ পরিচালিত
হয়েছে। তার অভিযোগ, ‘সব ছেড়ে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তবে জমানো স্বর্ণ নিয়ে
যেতে পারেননি’।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল
এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
মন্তব্য করুন


‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’এই প্রতিপাদ্য অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। এছাড়াও বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
এ সময় আরও
অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস রুটিন প্রকাশ করেছে । ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক শিফট ও দুই শিফটের স্কুলের জন্য আলাদা রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
২৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মাউশি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরির স্বাক্ষরিত এ রুটিন প্রকাশ করা হয়, যা প্রণয়ন করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন প্রকাশ করেছে ।
মাউশির প্রকাশ করা মাধ্যমিকের নতুন রুটিন অনুযায়ী, এক শিফটের স্কুলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের স্কুলগুলো চলবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রথম শিফট সাড়ে ১২টায় শেষ হয়ে দ্বিতীয় শিফট শুরু হবে।
নতুন এ রুটিনে আরো বলা হয়েছে, বিশেষ প্রয়োজনে একই দিনের বিষয়গুলোর পিরিয়ড পারস্পরিক পরিবর্তন করা যাবে।
তবে রুটিনে দশম শ্রেণির অংশ ফাঁকা রাখা হয়েছে। স্কুলগুলোকে দশম শ্রেণির রুটিনের বিষয়গুলো নিজেদের মতো করতে হবে।
এদিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ধারাবাহিকতায় আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে।
আর নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে শিক্ষার্থীদের ছয় পিরিয়ড ক্লাস হবে। তবে আগের শিক্ষাক্রমের দশম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে ৭ পিরিয়ড।
মন্তব্য করুন


হুমায়ুন
কবীরের বাড়িতে চলছে বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য অনুদানে পাওয়া টাকার গণনা। শনিবার, ৬ ডিসেম্বর
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনই মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর
স্থাপন করেন হুমায়ুন কবীর।
সেইদিনই
তিনি জানিয়েছিলেন যে, বাবরি মসজিদ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। তবে টাকা
নিয়ে চিন্তা করছেন না হুমায়ুন, কারণ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিই নাকি ৮০ কোটি
টাকা অনুদান দেন বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য। আরও বহু মানুষ টাকা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে অনলাইনে
প্রায় ৯৩ লাখ টাকা এবং নগদ অর্থে ১১টি ট্রাংকভর্তি অর্থ জমা পড়েছে নির্মাণ ব্যায়ের
জন্য। এত বিপুল পরিমাণ অর্থ নির্ভুলভাবে গোনার জন্য ৩০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে এবং
আধুনিক মেশিনের ব্যাবহার করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন,পুরো গোনার কাজ চলছে সিসিটিভির
কড়া নজরদাড়িতে।
বিধায়ক
হুমায়ুন কবির জানান, স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই টাকা গোনার সম্পূর্ণ কাজ ফেসবুকে লাইভে
দেখিয়েছি। তিনি বলেন,মানুষের দানেই তৈরি হবে আমার বাবরি মসজিদ। কারো রাজনৈতিক দলের
ফান্ডিং এ নয়। তাই সব প্রমাণ নিয়েই লাইভ করেছি। এখন পর্যন্ত ৭টি ট্রাংক খোলা
হয়েছে, যেগুলো থেকে ৩৭ লাখ টাকা নগদ পাওয়া গেছে। উপস্থিত আলেম-উলামা এবং ৩০ জন গণকর্মী
সাঁট মেশিন ব্যবহার করে টাকা গণনা করছেন।
হুমায়ুন
দাবি করেছেন, এখন পর্যন্ত এক কোটি ১০ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ হয়েছে এবং আরও অনেকে এই
প্রচেষ্টায় যুক্ত হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে দুটি পৃথক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন এবং তার জীবনের সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
একটি পোস্টে কনকচাঁপা উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়াকে “দেশজুড়ে কোটি কোটি সন্তান” মনে করেন। সোমবার আরও একটি সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন, “ফি আমানিল্লাহ! খালেদা জিয়াকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আল্লাহর রহমতের জন্য দোয়া করুন।” এই পোস্টের পরে অনেকেই খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া জানিয়েছেন।
এর আগে কনকচাঁপা দীর্ঘ একটি পোস্টে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন, ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং কারাবাসের সময়ের কঠিন অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছিলেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ছোট বয়সে পরিবার হারানো, রাজনীতির চূড়ান্ত সময়ের গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় কারাগার, স্লো পয়জনিংয়ের ভয় এবং মৃত্যুভয়—সব পরিস্থিতিতেই খালেদা জিয়া ছিলেন অবিচল ও সাহসী।
কনকচাঁপা আরও বলেন, “অসুস্থ সন্তানের কাছে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও দেশের মানুষকে ভেবে তিনি তা ত্যাগ করেছেন। গুরুতর অসুস্থতা সত্ত্বেও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রস্তাবও গ্রহণ করেননি। তিনি শুধু তার সন্তানের মা নন, সারা দেশে কোটি কোটি মানুষের প্রিয় সন্তান।”
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস লুটপাট হওয়া সম্পদ ও অর্থ পুনরুদ্ধারের পর সেই
সম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি তহবিল গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ
সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, লুটপাট হওয়া অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তহবিল
গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, যা জনকল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
এর
আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের অগ্রগতি নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত
হয়।
সভায়
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
প্রেস
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, এই তহবিল বর্তমান আইন অনুযায়ী
গঠিত হবে। তবে প্রয়োজনে তহবিল গঠনের জন্য আইন সংশোধন করা হবে।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, আমি আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে এই তহবিল গঠন
করা সম্ভব হবে। তবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকে তা চালিয়ে নিতে হবে।
মন্তব্য করুন


গাইবান্ধার
গোবিন্দগঞ্জে কোরআন মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় মাওলানা ফরিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক বক্তা
মৃত্যুবরণ করেছেন।
সোমবার
(৮ ডিসেম্বর) ভোরে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ
করেন। এর আগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া এলাকায় মাহফিলে
বয়ান করার সময় ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মঞ্চে ঢলে পড়েন তিনি।
স্থানীয়
একটি জামে মসজিদের উন্নয়নকল্পে আয়োজিত কোরআন মাহফিলে তিনি তৃতীয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য
শুরু করার পরই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি
হলে পরে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
সোমবার ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মাওলানা ফরিদুল ইসলাম গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাটলীপুরের
খামারগোবিন্দপুর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে।
তিনি
গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি ঘোষপাড়া
জামে মসজিদের পেশ ইমাম হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন। সোমবার সকাল ১১টায় মহিমাগঞ্জ আলিয়া
মাদ্রাসা মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নিজ গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক
কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি আড়াই বছর বয়সী এক পুত্র ও স্ত্রী রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, মাহফিল চলাকালে একজন আলেমের এভাবে চলে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আজ পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ঘন কুয়াশার কারণে ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে কুলাউড়া–জুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের আছুরীঘাট এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
নিহতরা হলেন—জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গীরাই গ্রামের মো. দুলু মিয়ার ছেলে জাবেদ আহমেদ (১৯) এবং একই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মো. নুরু মিয়ার ছেলে রিয়াদুল ইসলাম (১৯)। তারা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলযোগে তারা কুলাউড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী পিকআপভ্যান মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। প্রচণ্ড সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুই তরুণের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর থেকেই এলাকায় ঘন কুয়াশা বিরাজ করছিল, যার ফলে সড়কে যান চলাচল ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দৃশ্যমানতা কম থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া দুর্ঘটনার সময় পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেল—উভয় যানবাহনের গতি তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল বলেও জানান তারা।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্যা জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের
পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ুর পাশাপাশি নারীর প্রজনন
হার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে, পাশাপাশি বেড়েছে বাল্য বিয়ে এবং শিশু
মৃত্যুর হার। আবার এ জরিপে উঠে এসেছে- দেশে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বিয়ে না করা পুরুষের
সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। বয়স্ক পুরুষের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। কিছুটা হলেও কমেছে বিবাহিত
দম্পতির মধ্যে তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা।
গত
দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ক্রমান্বয়ে
প্রায় দশ শতাংশ কমেছে।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ডঃ মোঃ মঈনুল ইসলাম জানান, সরকারি এই রিপোর্টে
যা উঠে এসেছে তাতে মূলত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের করুণ চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। এর
ফলে বাংলাদেশ যে 'ট্রিপল জিরো কমিটমেন্ট', অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার
অপূর্ণ চাহিদা (শতভাগ দম্পতিকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসা), মাতৃমৃত্যু ও বাল্য বিবাহ-সহ
জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যতে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার করেছিল তার অর্জন দুরূহ হয়ে
উঠতে পারে বলে মনে করেন।
কেনিয়ার
নাইরোবিতে ২০১৯ সালে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তিতে এই ট্রিপল জিরো অঙ্গীকার
করেছিলো বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত,
বিবিএস যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে সে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালে। জরিপটি দেশ
জুড়ে ৩ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি পরিবার ও বিবাহিত নারীদের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে। তারা
এই জরিপের সাথে তার আগের বছরের তথ্যও প্রকাশ করেছে।
সূত্র- বিবিসি বাংলা
মন্তব্য করুন