কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে শনিবার ভ্রাম্যমান আদালত একটি বিশেষ পরিচালনা করে ।
রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দালাল নির্মুলের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযানে জুয়েল নামের এক দালালকে গ্রেফতার করে তার পকেট থেকে একটি ইয়াবা ট্যাবলেট ও সেবনের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও সাধারণ রোগীদের ঠকিয়ে দালালি করার অপরাধে জুয়েল নামের দালালকে ৩ মাসের জেল ও ৫০ টাকা জরিমান করা হয় ।
জরিমানা দিতে ব্যর্থ হইলে আরো সাত দিন জেল খাটতে হবে বলে এই আদেশ দেন এসিল্যান্ড ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।
রোগীদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে সামনের দিনগুলোতেও এমন অভিযান চলমান থাকবে বলে জানা যায়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পর পড়ে প্রতারণায় জড়ানো তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রাতুল (২৪), আসাদুজ্জামান রাজু (২৯) ও মামুন হাওলাদার (২৭)।
দেশে অবস্থান করা এই চাইনিজরা পেতেছেন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থীরা চীনে পড়তে যান, তাদের নিয়ে প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলছেন সেই সব চীনা নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন অ্যাপস খুলে, জুয়ার সাইট চালিয়ে এবং অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি জানায়, ভুয়া সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া চক্রের দুই চাইনিজ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেটির তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে এই চক্রের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তার তিনজন জানিয়েছেন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে অ্যাপ খুলে জুয়ার সাইট চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে জড়িয়েছিলেন তারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চীনে মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের একটা বড় অংশ চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠে এবং চাইনিজ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। আর এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা। তারা ভালো বাংলা বা ইংরেজি বলতে পারেন না। তখন চীনে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেন। তারা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার কাজটি করে আসছেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে, অ্যাপ ও জুয়ার সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। কারণ প্রত্যেকটি প্রতারণার সাইটের অ্যাডমিন চীনে।
চক্রটি চীনেও এসব প্রতারণায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগায়। আবার কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা শিখিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেসব শিক্ষার্থীরা বেনামি সিম সংগ্রহ করে বিকাশ নগদসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়।
এ প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী দুই চাইনিজ গাগা ও চিং চং (Gaga, Chig Chog)। তারা প্রতারণার জন্য চীনে একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। আর সেসব প্রতারণার টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল, রাজু, মামুন বাংলাদেশ থেকে পড়ালেখার জন্য চীনে গিয়ে চাইনিজ ভাষা শিখে প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চীনারা তাদের বলে যে তারা কিছু অ্যাপস তৈরি করেছেন। অ্যাপস ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাদের সেই কার্যক্রমে কিছু বাংলাদেশি সিম, বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জনের আশায় এই প্রতারণায় যুক্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি সিম বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে।
প্রতারণার প্রক্রিয়া সম্পর্কে হারুন বলেন, রাতুল, রাজু, মামুন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, অনলাইন ফিনান্সিং, বেটি সাইট, সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা চাইনিজ প্রতারক চক্রের হয়ে বাংলাদেশি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল। চক্রটি মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা পার্টটাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র।
এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট।
এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন।
এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন।
ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। তখন থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ১৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে যে, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১৮৫টি। এ সময় ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি রিভলভার, ৫৬টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ২৫ টি শটগান, ৫টি পাইপগান, ২০টি শুটারগান, ১৩টি এলজি, ২৫টি বন্দুক, একটি একে-৪৭, দুটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এয়ারগান, চারটি এসবিবিএ, চারটি এসএমজি, দুটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ও দুটি ত্রি-কোয়াটার।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের দুই হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এ ছাড়াও তিন লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি, আট হাজার ৯০৫টি টিয়ারগ্যাস সেল, দুই হাজার ৫৭৬টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৭৫১টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার হয়নি বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ৫১ কেজি গাঁজা ও ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার দিবাগত রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযানটি পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মিরশ্বানী বাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-টু-চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের পূর্ব পাশের নালঘর রাস্তার মাথায় পাঁকা রাস্তার উপর হতে ৫১ কেজি গাঁজা ও ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ছুপুয়া মাদ্রাসার ০৭নং ওয়ার্ড এর ৩নং কালিকাপুর ইউপি নিবাসী মোঃ তাজুল ইসলাম (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত
ঘটনায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঘটেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে বাসের চাপায় নারী-শিশুসহ চার পথচারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিল এলাকায়
মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একুশে পরিবহন নামে একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতুলী এলাকার দিলবাল নেছা (৫০), শাহিনুর আক্তার (২৪), রাইসা (১.৫), সায়মা (৩)।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি, সোমবার রাত ৮ টার দিকে মহাসড়কের পার হচ্ছিলেন যাচ্ছিলেন শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। পরে, শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বিদেশগামী এক ব্যক্তির টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন-মো. রাজু (৫২) ও মো. নাজমুল (৫০)। গ্রেফতার দুইজন পুলিশ পরিচয়ে বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কলমিলতা মার্কেটের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
দুপুরে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। তারা মূলত নিম্নবিত্ত বিদেশগামী যাত্রীদের টার্গেট করেন। যারা শ্রমিক হিসেবে কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যান তারাই এদের মূল টার্গেট। এসব মানুষ সাধারণত সহজ-সরল। তাই এসব মানুষ আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমে তাদের পুলিশ পরিচয়ে ধরেন তারা।
এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেন। সাধারণত তারা অল্প টাকা যেমন ৫০০, ১০০০ টাকা ছিনতাই করেন। কারণ অল্প টাকা ছিনতাই করলে ভুক্তভোগী আর অভিযোগ করেন না।
ওসি মহসীন আরো বলেন, বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে আল আমিন নামের একজন সৌদি আরবগামী ব্যক্তি মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন। এসময় পুলিশ পরিচয়ে তাকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তোলেন রাজু ও নাজমুল। পরে তার কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এসময় আল আমিন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের আটক করে।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
মন্তব্য করুন
আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান
আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ফাঁসির আসামিকে নিয়ে রায় দিয়েছেন
যেখানে বলা হয়েছে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে
নেয়া যাবেনা ।
রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি
জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির
মনির। রুল শুনানি শেষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত
হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২
সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের
তিন কয়েদি। তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির
শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার
আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ
প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা
করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের
সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা
অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির
৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে
আপিল করার সুযোগ পান। হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল
বিভাগে আবেদন করতে পারেন।
আপিল বিভাগের রায়েও মৃত্যুদণ্ড
বহাল থাকলে সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা)
আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যু-দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এই আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর
করেন অথবা দণ্ডিত যদি আবেদন না করেন তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে সরকার।
অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যু দণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দী
রাখা হচ্ছে।
রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ
শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার
আইনগত বিধান নেই। এজন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন
নিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের
১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া
শেষ করতে ১০-১২ বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার
পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে বন্দী রাখা হয়। অথচ অনেকের পরবর্তীতে
সাজা কমে। অনেকে খালাসও পান। রুল শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল।
মন্তব্য করুন
জেলার মোল্লাহাটে বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহতের ঘটনায় কনের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামে কনে পক্ষের হামলায় বরের দুলাভাই নিহত হন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আংড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামের শাহদাত মুন্সি ও তার স্ত্রী পপি বেগম। নিহত আজিজুল হক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে এবং বরের ভগ্নীপতি।
পুলিশ জানায়, মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলের সঙ্গে আংড়া এলাকার শাহাদাত মুন্সির মেয়ের বিয়ের কথা হয়েছিল। বরের পছন্দ হলে বিয়ে হবে এই শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বর পক্ষ। দাতে সমস্যা থাকায় মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বর হাফিজুর রহমান গাজীসহ অন্যরা চলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহত হন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শীলা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বরের বাবা মোহাম্মাদ আলী গাজী বলেন, মেয়ে পক্ষের সঙ্গে কথা ছিল ছেলের যদি মেয়ে পছন্দ হয় তাহলে বিয়ে করবে। ছেলের যখন মেয়ে পছন্দ হয়নি, তখন চলে আসছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমার বড় জামাতা নিহত হয়েছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন
পাবনায় কারাগারে থাকা কয়েদিদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
তারা হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তৌফিক ইমাম খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু, গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মুতাই এবং আসাদুজ্জামান সুইট। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি।
এ ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ পাঁচ আসামিকে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) অন্য জেলার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পাবনা জেলার জেল সুপার মো. ওমর ফারুক বলেন, কয়েকদিন ধরেই কারাগারে থাকা অন্য সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলেন তারা। সবশেষ ৩ মার্চ বিকেলে এই পাঁচ কয়েদি কারাগারের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলেন।
এ ঘটনার পরে শাস্তিস্বরূপ কয়েদি তৌফিক ইমাম, শেখ লালু ও আসাদুজ্জামান সুইটকে রাজশাহী এবং মুতাই ও অন্যজনকে নওগাঁ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
পাবনা জেলার জেল সুপার আরো বলেন, বিগত সময়ে তারা বাইরে যেমন বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলেছেন ও চলেছেন, কারাগারেও তেমনই চলছিলেন। ফলে ঝামেলাটা বাঁধে। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কারাগারে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৪ মার্চ বিকেলে তাদের রাজশাহী ও নওগাঁ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন