ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।

বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।  

নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

১০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সংগৃহীত

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অভিযানে ১,০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী  গ্রেফতার।

৩১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ রাতে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন অশোকতলা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ শাহ আলম শাহজাহান (৪০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 এ সময় আসামীর কাছ থেকে  ১,০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত নগদ ৪,১৮,০৮০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহ আলম শাহজাহান (৪০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শুভপুর গ্রামের মোঃ আলী মিয়া এর ছেলে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ মাদক কারবারিরা গ্রেফতার

ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ মাদক কারবারিরা গ্রেফতার
সংগৃহীত

কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহৎ পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে। 


এই অভিযানে চার জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


বুধবার রাত ৩.২৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত এসআই মোঃ শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ০৪নং শশীদল ইউনিয়নের বাল্লক রামচন্দ্রপুর সাকিনে ভারত সীমান্ত হতে রামচন্দ্রপুরগামী রাস্তায় চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে একটি মাইক্রোবাস থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এই সময় মাইক্রোবাসে যাত্রা করছিলেন চার জন মাদক ব্যবসায়ী, যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেন।


গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৪), মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ জুয়েল মিয়া (২৯) ও মোঃ শাহপরান (২০)। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।


এ সম্পর্কে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতিক উল্লা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

শতাধিক নারীপাচার

শতাধিক নারীপাচার
সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ফেসবুকে সহজে বিদেশে চাকরির প্রলোভনের ফাঁদ পাতা নারী ও শিশুপাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে । রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে দুই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে নেমে এ চক্রের সন্ধান পান গোয়েন্দারা।


চক্রের মাস্টারমাইন্ড আনারুল। আর তার অন্যতম সহযোগী তার আপন বড়ভাই কবির হোসেন। আনারুল এলাকায় গরুর খামারের আড়ালে এ চক্রটি চালিয়ে আসছিলেন। আর কবির গাড়িচালক বেশে চক্রের সংগ্রহ করা নারী ও শিশুদের পাচার করতেন। চক্রটি অন্তত শতাধিক নারীকে পাচার করেছে বলে দাবি করেছে ডিবি।


গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ভারতীয় সীমান্তের জিরোপয়েন্ট লাগোয়া গ্রাম কেরাগাছি এলাকার আব্দুল হামিদের দুই ছেলের নেতৃত্বে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কম বয়সী নারী ও শিশুদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্ত দিয়ে পাচার করে আসছিল। কবির হোসেনকে গ্রেফতার করলেও চক্রের মাস্টারমাইন্ড আনারুল পলাতক।


পাচার হওয়া থেকে উদ্ধার হয়েছেন খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার কালিবাড়ি এলাকার জনি হাওলাদারের স্ত্রী সিমা আক্তার ও তার ১০ বছর বয়সী ছেলে নবাব শেখ। মা-ছেলেকে পাচার চক্রের সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গেলেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ ফজলে এলাহী ও তার টিমের দক্ষতায় বেঁচে যান তারা।


জানা গেছে, সিমাকে ফেলে স্বামী অন্যত্র চলে যাওয়ায় একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শুরু করেন জীবন সংগ্রাম। তিনি ভোমর তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। এই কাজ করে যা আয় হতো তা দিয়ে জীবন বাঁচলেও ছেলের পড়াশোনা করাতে পারছিলেন না। হঠাৎ একদিন ফেসবুকে পড়াশোনাসহ কোনো যোগ্যতা ছাড়াই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় চাকরির একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান। যোগাযোগ করলেও জানানো হয় পাশের দেশ ভারতে তাকে বাসা বাড়িতে কাজ দেওয়া হবে পাশাপাশি তার ছেলেকে পড়াশোনাও করানো হবে।


আর এভাবেই আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় যেতে বলা হয়। আর ঘটনাক্রমে চাকরির প্রলোভনে মানবপাচার চক্রের ফাঁদে পড়েন সিমা ও তার ১০ বছর বয়সী ছেলে নবাব শেখ।


উদ্ধার হওয়া সিমা আক্তার বলেন, তার স্বামী অনেক আগে ছেড়ে চলে গেছেন। হঠাৎ একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন। পরে ভারতীয় একটি নম্বর থেকে একজন ফোন দিয়ে জানতে চায় চাকরি করবো কি না। কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে সেই ব্যক্তি সিমাকে বলেন, আপনাকে একটি বাসায় কাজ দেওয়া হবে। আর আপনার ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করা হবে। মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। পরে আমাকে সাতক্ষীরা থেকে ফোন দিয়ে একজন যেতে বলে। আমি গেলে তারা আমাকে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে ডিবি আমাকে উদ্ধার করে ।


পাসপোর্ট, ভিসা ও কোনো ধরনের টাকা ছাড়াই পাচার চক্রের ফাঁদে পা দেওয়া সিমা আরো বলেন, ফোনে তাদের বলেছি আমি টাকা দিতে পারবো না। আমার পাসপোর্ট নেই। কীভাবে যাবো? তখন তারা বলেছে, আপনি আসেন। আমরা সব কিছুর ব্যবস্থা করবো। আপনি ভারত যাওয়ার পর চাকরি করে মাসে মাসে যা পারেন দিয়েন।


এ চক্রের বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে সম্প্রতি দুই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তে নেমে আমরা একটি মানবপাচার চক্রের সন্ধান পাই। যারা ফেসবুকে সহজে টাকা-পয়সা ছাড়াই চাকরি দেওয়ার নামে নারী ও শিশুদের পাচার করে আসছে। এমনকি চক্রের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে খুলনা থেকে এক নারী তার সন্তানকে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার সীমান্ত এলাকায় চলে গেছেন।


তিনি আরো বলেন, চক্রের সদস্যরা তাকে পাচারের উদ্দেশ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার কার হয়। তবে যে মামলার তদন্তে নেমে এই চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে সেই দুই মেয়েকে আগেই পাচারকারীরা পাচার করে দিয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের অন্যতম হোতা সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার কেরাগাছি এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে কবির হোসেনকে। এরপরই বেরিয়ে আসে চাকরির বিজ্ঞাপনের আড়ালে মানবপাচার চক্রের পরিচয়। দুই ভাই মিলে শতাধিক নারীকে পাচার করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।


ডিবি আরো জানিয়েছে, কবিরের বিরুদ্ধে তিনটি মানবপাচার মামলা রয়েছে ।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১
সংগৃহীত

কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)  ৫১ কেজি গাঁজা ও ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

সোমবার দিবাগত রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযানটি পরিচালনা করে। 

উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মিরশ্বানী বাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-টু-চট্টগ্রামগামী  মহাসড়কের পূর্ব পাশের নালঘর রাস্তার মাথায় পাঁকা রাস্তার উপর হতে ৫১ কেজি গাঁজা ও ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ছুপুয়া মাদ্রাসার ০৭নং ওয়ার্ড এর ৩নং কালিকাপুর ইউপি নিবাসী মোঃ তাজুল ইসলাম (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।

উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

আইন সচিব হলেন গোলাম রব্বানী

আইন সচিব হলেন গোলাম রব্বানী
সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বুধবার তাকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ বিভাগের চলতি দায়িত্ব পালনের ১০ দিনের মাথায় তিনি পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একই বিভাগে তিনি যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) পদে ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় বদলি করে আনা হয়। তিনি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি দায়িত্বে ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দেড় মাস আগে জেলা ও দায়রা জজ করে পাঠানো হয়েছিল চট্টগ্রামে। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। তখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে আলোচনা ছিল।

এ বিভাগের আগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওএসডি করা হয়েছিল।

বিভিন্ন জেলায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করা নতুন আইন সচিব গোলাম রব্বানী ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৫ সালে তৈরি করা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পদটি রাষ্ট্রের পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সচিবের সমপর্যায়ের। এর আগে তিনি ছিলেন হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, যে পদটি মর্যাদার দিক দিয়ে সচিব পর্যায়ের।

আগের সরকার এ বছর ১ জুলাই তাকে রেজিস্টার জেনারেল পদ থেকে সরিয়ে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি করে। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র গোলাম রব্বানী ১৯৯১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ পেয়ে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জামালপুরের যুগ্ম জেলা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন শাখায় দায়িত্ব পালন করা গোলাম রব্বানী ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

র‍্যাব-১১ এর অভিযানে ৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২

র‍্যাব-১১ এর অভিযানে ৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২
৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিল

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ অভিযানে ৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ।

শনিবার রাতে (০১ জুন ২০২৪ ইং) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ ফারুক (৩২) ও  মোঃ ফাহিম (২১) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ ।

এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।


প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মোঃ ফারুক (৩২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ঘোষতল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে এবং মোঃ ফাহিম (২১) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার খামারগাও গ্রামের মোঃ চান মিয়া এর ছেলে।

গ্রেফতারকৃদের  হতে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ
সংগৃহীত

অপহরণের জগতে এ যেন এক নতুন মোড়।


রাজধানীর হাজারীবাগের নিউ মডেল টাউন এলাকায় থাকেন নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশাচালক। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে তাবাসসুম ও আড়াই বছর বয়সী ছেলে তাওসীন খেলতে যায়।এসময় শিশুদের সঙ্গে যায় তাদের নানী। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পরা নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।এর কিছু সময় পর বাচ্চাদের রেখে বাসার ভেতরে যান নানী। এই সুযোগে বোরকা পরা ওই নারী শিশুদের ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেন। চিপস নিয়ে তাবাসসুম বাসায় ফিরে গেলেও তাওসীনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যান তিনি। এভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশু তাওসীন।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে শিশু অপহরণ চক্রের বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর এই চক্রটি নিঃসন্তান কোনো দম্পতির কাছে বাচ্চার অর্ডার পেয়ে শিশু অপহরণ করতো। এরপর শিশুটিকে বিক্রি করে দিতো তারা। তারা হলেন অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২) ও তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) এবং ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)। বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লার লালমাই ও বরুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।



তাওসীন অপহরণের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে শাহজাহানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। শাহজাহান ৫০ হাজার টাকায় সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে ওই শিশুকে কিনে নিয়েছিলেন।


ডিবি জানায়, চক্রটি নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণের জন্য মাঠে নামতো। পরে চাহিদামতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে শিশু চুরি করে বিক্রি করতো। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোরকা পরে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে তাদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। 


ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা

কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা
সংগৃহীত

কেউ গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, কেউ দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা পুরাতন মালামাল ক্রেতা কিংবা রাজমিস্ত্রী। আছে সবজি বিক্রেতাও। কিন্তু ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা-পরিচয়। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ।


এসব ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। প্রত্যেকেই জেল খেটেছেন। বেরিয়ে আবারো জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।


পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ।


গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব এবং লেভেল হাই এর অন্যতম মূলহোতা মো. শরিফ ওরফে মোহন ও চাঁন গ্রুপ,মাউরা ইমরান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন লেভেল হাই, ৬ জন চাঁন গ্রুপ, ৫ জন লও ঠ্যালা গ্রুপ, এবং ৭ জন মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।


র‌্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র‌্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।


র‌্যাব-২ অধিনায়ক আরও বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এসব গ্রুপের গ্রেফতাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদক সেবনসহ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।


গ্রেফতারদের পেশা সম্পর্কে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।


অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব পাটালি গ্রুপ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিল।


গ্রেফতার রানা শিকদার, জুয়েল মিয়া ও সাগর গ্রেফতার ফর্মা সজীবের সহযোগী। তারা গ্রেফতার পাটালি গ্রুপ এর ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।


র‌্যাব-২ এর সিও আরও বলেন, গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহন লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতো। সে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল।


টাকলা হায়াতের অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার দুলাল, সোহাগ ও তারেক তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। তারা গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


গ্রেফতার সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছে।


২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে চাকরির সময়ে চাঁন গ্রুপ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৩টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকের কারবারে গ্রেফতার ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।


২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং মাউরা ইমরান গ্রুপ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


মুরগী রাকিব লও ঠ্যালা গ্রুপের সদস্য । র‌্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান আরও বলেন, রাকিব ওরফে মুরগী রাকিবের জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি ও ডিসের লাইনে চাকরি করতো। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির সময় লও ঠ্যালা গ্রুপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত দুটির অধিক মামলায় কারাভোগ করেছে। 


গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

পাচারের ৩০ বছর পর উদ্ধার হলেন নারী

পাচারের ৩০ বছর পর উদ্ধার হলেন নারী
সংগৃহীত

আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।

৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় । 

আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন। 

কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।

গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল। 

শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে। 

এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।

এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।

১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।

রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।

আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।  

যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।  

দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।

কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।

রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।

রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।

রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে ৯ নারী-পুরুষ গ্রেপ্তার

সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে ৯ নারী-পুরুষ গ্রেপ্তার
সংগৃহীত

শনিবার  রাত পৌনে বারোটার দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের হোটেল সবুজ বিপনির আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পালবাড়ি এলকার আলাউদ্দিনের পুত্র সারোয়ার খান (২৫), নগরীর বন্দর বাজার পুরান লেনের জয়নাল আবেদীনের পুত্র ইয়ামিন (২৫), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র খসরু মিয়া (৩৫), একই উপজেলার চিকার কান্দি এলাকার মৃত লিম্বর আলীর পুত্র ও হোটেল স্টাফ রইচ আলী (২৮), জামালগঞ্জ উপজেলার মশালঘাট এলাকার বদরুল আলমের পুত্র ও হোটেল স্টাফ মোঃ রুমেল আহমদ (২৮), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ধরা এলাকার ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার জান্নাত (২৫), বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার সিয়ার এলাকার মৃত. আমজাদ হোসেনের মেয়ে মোছাঃ মেঘনা আক্তার (২৬), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পূর্ব ছিলাপাড়া শেরপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সালমা বেগম (২৬), রংপুর জেলার কোতোয়ালী থানার তাজহাট এলাকার মোঃ নাজির হোসেনের মেয়ে মোছাঃ নাজমা বেগম (২৮)।


বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির মিডিয়া অফিসার এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান- গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে নিয়মিত মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০