আজ পবিত্র আশুরা। বিশ্বের মুসলমানদের
জন্য অত্যন্ত শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ একটি দিন।
হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম ফোরাত নদীর
তীরে কারবালার প্রান্তরে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন
(রা.) সপরিবারে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাতবরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে এই মর্মন্তুদ
বিয়োগাত্মক ঘটনা ছাড়াও মহররম মাসের ১০ তারিখ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কাছে শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ
ও মহিমান্বিত একটি দিন। এজন্যই দিনটি গুরুত্বসহকারে পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
‘আশুরা’ নামটি আরবি শব্দ ‘আশারা’ থেকে
এসেছে। যার অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। আর মহররম অর্থ সম্মানিত বা পবিত্র। ইসলামী
পরিভাষায়, হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে ‘আশুরা’ বলে। সৃষ্টির শুরু
থেকে মহররমের ১০ তারিখে অর্থাৎ পবিত্র আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
হিজরি ৬১ সনের এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে
কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার
পরিবারের সদস্যরা শহীদ হয়েছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁদের আত্মত্যাগ মানবতার
ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এই দিনটি একদিকে যেমন শোকের, তেমনি
অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।
তবে কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে এই দিনে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা
ঘটেছে।
মুসলমানদের বিশ্বাস, হজরত মুসা (আ.)
ফেরাউনের জুলুম থেকে এই দিনে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন তার অনুসারীদের নিয়ে। ইব্রাহিম
(আ.) নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে এই দিনে মুক্তি পান। এমন অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছিল
এই দিনে। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ,
দানখয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে এই দিনটি পালন করেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ইসলাম শান্তি
ও সম্প্রীতির ধর্ম। পবিত্র আশুরার এ দিনে সাম্য, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার
পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অগ্রগতি কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তার বাণীতে বলেন, আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জাতীয় জীবনে সত্য প্রতিষ্ঠায় জনকল্যাণমুখী
কাজে অংশ নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা,কচুয়া প্রতিনিধিঃ
মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর নামাজ আদায় হচ্ছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল উদযাপন করার লক্ষে ওই সব গ্রামের মুসল্লিরা নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মূলত বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। হাজীগঞ্জের পীরের অনুসারী হিসেবে ১৯২৮ সাল থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নির্ধারিত তারিখের এক দিন আগেই ঈদ উদযাপন করছেন। বুধবার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বর্তমান পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা ৯৫ বয়সি আব্দুল হামিদ বলেন, আমি জন্মের পড় থেকে সাদ্রা দরবার শরীফে ঈদের নামাজ করছি। আমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখি, আবার চাঁদ দেখে ঈদের নামাজ আদায় করি।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, জাকনী, প্রতাপপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুরের মুসল্লিরা এক দিন আগে ঈদ পালন করেন।
এ ছাড়া মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি পাঁচানী, সাতানী, লতুরদী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন মুসল্লিরা।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পাঁচ মাসে কোরআনে হাফেজ হলেন ৯ বছরের শিশু তাহসিন মাত্র ১৪৮ দিনে সম্পূর্ণ কোরআনে কারিম হিফজ সম্পন্ন করার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে ৯ বছর বয়সী তাহসিন।
তাহসিনের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দশনাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ ইমাম হোসেন। সে শহরে অবস্থিত ব্যতিক্রমী ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহরাস্তি দারুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র।
সোববার (১ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে তাহসিনের হিফজ সম্পন্ন হয়।
কোরআনে হাফেজ হতে মা-বাবা ও শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া পেয়েছেন বলে জানান তাহসিন। তার মাও অনেক খুশি।
শাহরাস্তি দারুল কোরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম (অধ্যক্ষ) হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান বুলবুলি বলেন মাদ্রাসায় ৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। হিফজ শুরু করার পরই আমরা তাহসিনের মধ্যে ভিন্নরকমের প্রতিভা অনুভব করি। সে মাত্র ১৪৮ দিনে হিফজ সমাপ্ত করেছে-আলহামদুলিল্লাহ। তবে সে খুব চঞ্চল প্রকৃতির ছেলে, যদি একমনে সময় কাজে লাগাত তাহলে তার পক্ষে আরও অল্প সময়ে হাফেজ হওয়ার সম্ভবানা ছিল। কেননা শেষ দিকে সে প্রতিদিন ১০পৃষ্ঠা পর্যন্ত মুখস্থ শুনিয়েছে। ভালো হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি তাহসিন ভবিষ্যতে বড় হক্কানী আলেম হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করতে চায়। মাদরাসার পরিচালক হাফেজ হোসাইন আহমেদ চাঁদপুরী বলেন। তিনি তাহসিনের জন্য এবং তার মাদরাসার জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন, তাহসিনের ঐকান্তিক ইচ্ছা, শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং তার পরিবারের সহযোগিতায় আল্লাহ তাকে খুব শৈশবেই এই মহা পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। এজন্য আমরা সবাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান জানান আলহামদুলিল্লাহ মাত্র ১৪৮ দিনে হেফজ সম্পন্ন করায় তাহসিন একজন হক্কানী আলেম হওয়ার দোয়া করেন এবং হক্কানী আলেম হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে বলেন আশাবাদ ব্যর্থ করেন।
মন্তব্য করুন
২৩ অক্টোবরের মধ্যেই সৌদি আরবে আগামী হজ পালনের জন্য গমনেচ্ছুদের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ করতে হবে। এ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অণুবিভাগ।
রোববার (১৩ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে মিনা ও আরাফাতের ময়দানে তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর হতে শুরু হবে। তাঁবু বরাদ্দ প্রদান করার ক্ষেত্রে ‘আগে এলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। এ কারণে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ না হলে মিনা ও আরাফাতের ময়দানে কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। তাবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ হতে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা কিংবা নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাঁটতে হবে, যা তাদের জন্য কষ্টকর হবে।
সে কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজগমনেচ্ছু ব্যক্তিদের ৩ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় অনুরোধ করেছে।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের মক্কা নগরে পবিত্র হজের
আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের হজে ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক, লাব্বাইকা
লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে মিনা, আরাফাতের ময়দান ও মুজদালিফা।
আজ হিজরি ১৪৪৫ সালের জিলহজ মাসের ৮
তারিখ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। এরপর ৯ জিলহজে
অবস্থান করতে হয় আরাফাতের ময়দানে। আর ১০ জিলহজে পশু কোরবানি করেন হাজিরা। পশু কোরবানি
শেষে আরও দুদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। হজ সম্পন্ন করতে সব মিলিয়ে পাঁচদিন
সময় লাগে। সূত্র: আলজাজিরা।
প্রথম দিন হজযাত্রীরা (পুরুষ) সেলাই
ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। এদিন আরও কিছু
নিয়ম নীতি মানতে হয়।
ইহরাম পরার পর দলে দলে হাজিরা মিনায়
যান। মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। ফজরের
নামাজ আদায় করার পর তারা রওনা দেবেন ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরত্বের আরাফাতের ময়দানের
উদ্দেশ্যে।
আরাফাতের দিবসকে ধরা হয় মূল হজ হিসেবে।
মিনা থেকে ৯ জিলহজ ভোর থেকেই হজযাত্রীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের
ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে
মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ বাতাস। দুপুরে হজের খুৎবা শুনবেন তারা। তারপর এক আজানে হবে
জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন
নয় কিলোমিটার দূরের মুজদালিফার পথে। সেখানে আবার তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও
এশার নামাজ। এ রাতে মুজদালিফায় তারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।
এসময় তারা মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ
করবেন জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য। এরপর শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের পর জামারায়
প্রতীকী বড় শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করবেন হজযাত্রীরা। এরপর
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন। কোরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম
খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ (চক্কর)
করবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়। এর পরদিন এবং তার পরদিন অর্থাৎ টানা দুদিন দ্বিতীয়
ও ছোট শয়তানকে পাথর মারার মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস
সালামকে (আ.) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন তার সবচেয়ে প্রিয় কিছু আল্লাহর জন্য কোরবানি
করেন। হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সবচেয়ে প্রিয়। মিনার এ
স্থানে তিনি আল্লাহকে খুশি করতে যখন নিজের সবচেয়ে প্রিয় পুত্রকে নিয়ে যান, তখন সেখানে
উপস্থিত হয় শয়তান। যেটি নবী ইব্রাহিমকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচনা দিচ্ছিল।
ওই সময় ইব্রাহিম (আ.) শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এখন হাজিরা এ স্থানে প্রতীকি
শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর মারেন। ইব্রাহিম (আ.) যখন তার পুত্রকে কোরবানি করতে যান তখন
সেখানে আল্লাহ তায়ালা একটি ভেড়াকে এনে দেন।
মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজিরা মক্কায়
ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।
দেশে
ফেরার আগে বেশিরভাগ হাজি মদিনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
(সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যৌতুকবিহীন ৭২টি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বিয়ে পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমায় যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর আম বায়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা।আজ বাদ আসর ৭২টি বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতের আগের দিন যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়। এ বছরও বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এবার ১৪২ জন নারী-পুরুষের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থান
ছাড়াও সুফি মাজারে যেকোনো বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী
সরকার। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে
কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে পাঠানো
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত কয়েকদিনে কিছু দুর্বৃত্তের
দেশের সুফি মাজারগুলোতে হামলা চালানোর বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে। অন্তর্বর্তী
সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা এবং সুফি মাজার সম্পর্কিত যেকোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য
এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায়
আনা হবে। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধর্মীয় উপাসনালয়
ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের
দেশ। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা
সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করবে।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী রাজীবপুর উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্মিলিতভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর ) দিনব্যাপী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজীবপুর থানাধীন বিভিন্ন পূজা মন্ডপসমূহ সরজমিনে পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক জনাব নুসরাত সুলতানা ও পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে পূজা মন্ডপ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে নিরাপত্তা সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন ও উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়াও পূজা চলাকালীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন যাতে অটুট থাকে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান সহ সকলকে সরকারি নির্দেশনা সমূহ মেনে চলার আহ্বান জানান। পাশাপাশি যথাসময়ে পূজা বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব সমাপ্তির আহ্বান সহ সকল পূজা মন্ডপ শতভাগ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় রাজীবপুর উপজেলায় বডার হাট পরিদর্শন করেন।
এ সময় রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সার্কেল অফিসার মমিনুল ইসলাম রাজীবপুর অফিসার ইনচার্জ, বিজিবি,রাজীবপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ হাই সরকার, বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মন্ডল, রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরুন মোহাম্মদ ইলিয়াস, রাজীবপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রস্তম মাহমুদ লিখন,সহ আনসার বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ইজতেমা গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হতে যাচ্ছে ।
বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে। আর ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে ময়দানের প্রস্তুতির কাজ।
মুসলমানদের বৃহত্তম এই সম্মেলন সুষ্ঠু, সুন্দর করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বছর দুইপর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের সম্পূর্ণ মাঠ ইতোমধ্যেই খুঁটি বসানো শেষ হয়েছে। নামাজে দাগ কাটাও প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে ময়দানটি। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশের সামিয়ানা টাঙানোর কাজ প্রায় শেষ। মাইকের জন্য বৈদ্যুতিক তার স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে। তুরাগ তীরের প্রায় ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ইজতেমা ময়দানে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসুল্লিরা এসে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে এরই মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ করেছে মুসুল্লিরা। প্রতি বছরের মতো ইজতেমার নিরাপত্তায় আশপাশে সিসি টিভি বসানোসহ ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠের ভেতর ও বাইরে কাজ করবেন।
মুসুল্লিরা বলছেন, বিশ্বের লাখ লাখ দেশি-বিদেশি মেহমান আসবে ইজতেমা ময়দানে। তাদের থাকা-খাওয়া ও বসার জন্য তারা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের মতো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা করার জন্য প্রয়োজনীয় টয়লেট, পানি সরবরাহ এবং ওজু-গোসলের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, দপ্তরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলছেন, নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ইজতেমা আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন আলাদাভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আগামী ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। বিমানভাড়া চূড়ান্ত করে ওই দিন হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে হজযাত্রী পরিবহনে বিমানভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিমানভাড়া নির্ধারণ হয়েছে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিমানভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে এখনও একটু বিবেচনার বিষয় রয়েছে। তাই, এখনও আমরা চূড়ান্তভাবে বলতে পারব না। বিমানভাড়া কমানোর জন্য আমরা কাজ করছি। আরও কমানোর চেষ্টা করছি।
হজের খরচ কত কমছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খালিদ হোসেন বলেন, হজ প্যাকেজে কত কমছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সৌদি আরবের খবরটা (খরচের হিসাব) এখনও আমাদের কাছে আসেনি।
অন্য বছরের মতো এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস হজযাত্রী পরিবহন করবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এবার হজ প্যাকেজ কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, এবার ভালো প্যাকেজ দেবো। গতবারের চেয়ে খরচ কম হবে, ইনশাআল্লাহ।
২৬ সদস্যের হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভাপতি ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা। এ কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে আছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আগামী ৩০ অক্টোবর নির্বাহী কমিটির সভা বসবে। হজ প্যাকেজ নির্ধারণের দায়িত্ব এ কমিটির।
আগামী বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পবিত্র হজ হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে হজ চুক্তি হবে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। বিশেষ হজ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অন্যদিকে, বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হয় ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।
মন্তব্য করুন
নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন