মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে ফলন কাটতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে এবার এ উপজেলা ৪ হাজার ৮শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে এ বছর ৩০৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে আমন ধানের। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর আমন ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন করেছেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ধানক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেতের ধানই পেকে গেছে। অনেকে আবার আগাম লাগানো রোপা ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন।
জানা যায়, কচুয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মূলত আগাম ধান লাগানো হয়। সাধারণত এসব অঞ্চলের মাটিতে বছরে ৩-৪টি ফসল চাষাবাদ করেন কৃষকরা। এবার নানান প্রতিকূলতার মধ্যে আমন ধান লাগাতে হয়েছে। সময়মতো বর্ষার পানি না পাওয়া এবং তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছিলেন তারা। এতে খরচ বেশি হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় আশায় বুক বাধছেন কৃষকরা।
আমন ধান কাটার পরে এই জমিতে আলু চাষ করা হবে। দোয়াটি গ্রামের কৃষক বাবুল ও সজিব হোসেন বলেন, এবার ধান চাষের সময় বৃষ্টির পানি না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে চারা রোপণ করতে পারিনি। তারপরও ফলন ভালো হয়েছে। প্রায় জমির ধান পেকে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু করবো।
পালাখাল গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক, শাহজালাল, ইমান হোসেন বলেন, জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। শুরুর দিকে বর্ষার পানি ছিল না। পরে আমন চাষের জন্য যথেষ্ট পানি পেয়েছি। আল্লাহর রহমতে ফসল খুব ভালো হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কচুয়ায় চলতি মৌসুমে রোপা ও বোনা আমন ধান লক্ষমাত্রা হেক্টর চেয়ে বেশি চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ বছর কচুয়াতে আমান ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন মুদাফরগঞ্জ এলাকা হতে ২০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখ দুপুরে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন মুদাফরগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার নানরা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে মোঃ সাগর ইসলাম (২৬), মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার কাটাখালী গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে ফয়সাল আহমেদ এবং কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার গাসিয়াল গ্রামের আব্দুল লতিফ এর ছেলে মোঃ সবুজ (২৫)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পৃথক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলা সদরের ঝিলংজায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধসে দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে পাহাড় ধসের পৃথক দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
দিবাগত রাত ২টার দিকে ঝিলংজার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুলে এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি আকতার (২৫) এবং তার দুই শিশু কন্যা ময়না আকতার (৭) ও মায়া আকতার (২)।
নিহতের স্বজনরা জানান, ভারী বর্ষণের কারণে গভীর রাতে মিজানুরের বাড়ির ওপর পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ে। মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তার স্ত্রী ও দুই সন্তান মাটি চাপা পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাদের মরদেহ বের করে আনা হয়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার দোলন আচার্য বলেন, তিনজনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে।
রাতে উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ব্লক ই-২ তে পাহাড় ধসে দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- আব্দুর রহিম (৩০) আব্দুল হাফেজ (১০) ও আব্দুল ওয়াছেদ (৮)।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসে তিনজন নিহত হয়েছেন। এখানে দুইজন শিশু রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লাস্থ চাঁদপুর জেলা আইনজীবীদের বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৪ মে ) বিকেলবেলা কুমিল্লা গোমতী নদীর পাড় সংলগ্ন ডুমুরিয়া চান্দপুর গোমতী টাচ্ রিসোর্টে কুমিল্লাস্থ চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই অনুষ্ঠানে শুরুতেই ফোসকা, চটপটি ও চা-কফি খাওয়া পর সাংগঠনিক আলোচনা শেষে নৈশভোজ এর আয়োজন করা হয়। এছাড়াও মিষ্টি থেকে শুরু করে বাহারি রকমের মুখরোচক খাবার পরিবেশন করা হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন- কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির প্রথম মহিলা অ্যাড. সামছুন নাহার বেগম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র অ্যাড. মোঃ নজরুল ইসলাম (৫), জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোঃ সামছুর রহমান ফারুক, সিনিয়র অ্যাড. জসীম উদ্দিন চৌধুরী (শিশু), জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক রিক্রিয়েশন সেক্রেটারি অ্যাড. মোঃ ইলিয়াছ মিন্টু, কুমিল্লা মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা অ্যাড. শাহীন আফরোজ বিজলী, অ্যাড. আয়েশা বেগম, অ্যাড. শামীমা আক্তার জাহান, অ্যাড. মোঃ মফিজুল ইসলাম, কুমিল্লা আদালত অঙ্গনের পরিচিত মুখ অ্যাড. তাপস চন্দ্র সরকার, অ্যাড. এ.এন.এম আহসান শাহরিয়ার, অ্যাড. সুরঞ্জিত পাল ও অ্যাড. মোঃ জাকির হোসেন নয়ন এবং শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোঃ শাহ এনামুল হক কমল প্রমুখ। এছাড়াও অতিথি হিসেবে অংশ নেন- মিসেস ইলিয়াছ মিন্টু, শামীমা আক্তার জাহান এর স্বামী, মিসেস অ্যাড. মোঃ মফিজুল ইসলাম, মিসেস শাহরিয়ার, মিসেস নয়ন ও মিসেস কমল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খনন করা
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) আশা করছে এ
থেকে দৈনিক এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে ।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি
নিশ্চিত করে বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল
ইসলাম বলেন, ওয়াছেকপুর গ্রামে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের
অস্তিত্ব। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজের পর ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে
সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাস
আছে। এ টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত থাকা মোট গ্যাসের পরিমাণ।
বাপেক্স সূত্রে আরো জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা
হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৯২১ থেকে এক হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, দুই
হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে দুই হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং তিন হাজার ৮১
মিটার থেকে তিন হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তর থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন
ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে
ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেট চারটি জোনের মধ্যে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে
গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।’
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির বলেন, ‘প্রাকৃতিক
গ্যাসের সন্ধানে বাপেক্স দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে
খনন কাজ শুরু এ বছরের ২৯ এপ্রিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায়
আমাদের খনন কাজেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দিনশেষে আমরা সফল হতে পেরেছি।’
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. প্রিন্স আল
হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার
লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু
আশা করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটি খনন করতে আমাদের নানা
প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা আজ আলোর মুখ দেখছি।
একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন
তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
এর আগে, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো
থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং
সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক
সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ
খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকার
ছাত্র-জনতার স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে ।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ রবিবার জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
আদেশ বাস্তবায়নে স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষদের নির্দেশনা দিয়ে আদেশে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
আরো বলা হয়, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা
বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা
বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে ওই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মন্তব্য করুন
রোববার সকালে চট্টগ্রামে ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, তুমব্রু সীমান্তে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। বিজিবিকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ সদস্যরা।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তাদের ছোড়া গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে।এ ঘটনায় ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা ফসলি জমিতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।এদিকে বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১৪ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
গত রাতে বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আবারও মর্টার শেলের বিস্ফোরিত অংশ বাংলাদেশে এসে পড়েছে। এছাড়া গত রাতে সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সীমান্তের ওপারে প্রায় সারা রাত গুলির শব্দ শোনা গেছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় তারা।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
আইজিপি বলেন, আমরা বিজিবির সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি। বিজিবি আমাদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাবে, আইনানুগভাবে আমরা সেই সহযোগিতা বিজিবিকে দেবো।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষা ও সকল ক্ষেত্রে যদি আল্লাহ’র দাসত্ব করতে পারি, তাহলেই ইসলামের শান্তি কায়েম হবে। তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও বৈষম্যমূলক একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী সমাজ গঠিত এবং পরিচালিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ও দেশ এবং জনগনের সমৃদ্ধির জন্য জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বারবার রক্ত দেয়া হয়েছে কিন্তু মানুষের সেই কাঙ্খিত আশা এখনো পূরন হয়নি। ছাত্র-জনতার প্রানের বিনিময় ও রক্ত-চোখের পানির বিনিময়ে নতুন বিপ্লব হয়েছে। এ বিপ্লব পূর্বের বিপ্লবের মতো কোনো ধরনের নস্যাৎ করা যাবে না। তাই আল্লাহ’র বিধান অনুযায়ী এদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
তিনি শুক্রবার বিকালে কচুয়া ৭নং সদর দক্ষিন ইউনিয়নে ঘাগড়া বাজারে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে পধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুস ছামাদ আযাদীর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন মিয়াজীর পরিচালনায় বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও হাজীগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী,উপজেলা আমীর এ্যাডভোকেট আবু তাহের মেসবাহ,নায়েবে আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, শাহ মুহাম্মদ জাকির উল্যাহ শাজুলী,সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সহ-সেক্রেটারী হাফেজ দেলোয়ার হোসেন,মাওলানা আমিনুল হক মীর আযাদী প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় গর্তে ঢুকিয়ে
এক তরুণীকে পুড়িয়ে মেরেছে ফারহান রনি নামে এক যুবক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার
করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায়
উপজেলার গাজীর বাজার এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের ধারণা, পুরো শরীর পুড়ে যাওয়ায়
এবং মাথা না থাকায় নারী নাকি পুরুষ তা নির্ধারণ করতে পারেনি পুলিশ। তবে হাতে চুড়ি থাকায়
দেহটি তরুণীর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উপজেলার গাজীর
বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকালে এনামুল ও রোমান
নামে দুই ভাই হাঁস খুঁজতে শাহনেওয়াজ ভুইয়ার বাড়ি গেলে পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে ধোঁয়া
উঠতে দেখে তারা। তখন সেখানে থাকা ফারহান রনি জানায়, সে পাতা পুড়িয়েছে। এ কথায় বিশ্বাস
না হলে এনামুল, রোমান ও তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে গেলে ফারহান তাদের হত্যার
হুমকি দেয়। এতে সন্দেহ হলে গ্রামের লোকজন নিয়ে ঘরে গেলে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে
পায় সবাই। তখন তারা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মাটি খুড়ে লাশ বের করে। এলাকাবাসীর ধারণা
পুড়িয়ে মারা হয় এক তরুণীকে। আটক ফারহান রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ
সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভুইয়ার ছেলে। সে চিহ্নিত মাদককারবারি।
আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনূর
ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একজনকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তার দেহের বেশিরভাগ অংশ
পুড়ে গেছে। সে পুরুষ না মহিলা তা বুঝা যাচ্ছে না। পরিচয় সনাক্তে সিআইডি ও পিবিআইকে
খবর দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চকবাজার এলাকায় সাধারণ পোলাও
এর চালকে "চাষী ভাই সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল" ব্রান্ডের নামে প্যাকেটে
ভরে বিক্রি করা সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি টিমের হাতে ধরা পড়ল।
আজ (৩০মে) কুমিল্লার চকবাজার এলাকায়
অভিযানের সময় দেখা যায়, মেসার্স এস আর রাইছ এজেন্সি নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাজার
থেকে কেনা মদিনাসহ অন্যান্য সাধারণ চিনিগুড়া চাল স্কয়ার কোম্পানির "চাষী"
ব্রান্ডের আদলে "চাষী ভাই" নামের প্যাকেটে নিজেরাই মোড়কীকরণ করে
বিক্রয় করছে। ভোক্তাদের সাথে এমন প্রতারণা করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৬০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়। এ সময় অনুমোদনহীন নকল মোড়ক জব্দ করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি এমন
কাজ আর করবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন।
এছাড়াও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে
আজ চকবাজার এলাকার বিভিন্ন মসলার বাজারও তদারকি করা হয়। নানা অনিয়মের অভিযোগে
মোট তিন প্রতিষ্ঠানকে ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
অভিযান পরিচালনা করার সময় চকবাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রবল বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের উখিয়ার
৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন
স্থানীয়।
বুধবার (১৯ জুন) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার বালুখালীর ৮ নম্বর
রোহিঙ্গা শিবিরের মো: আনোয়ারের ছেলে মো: হারেজ (৫), ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসরত
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কেরানীহাটের আলী জহুরের ছেলে মো: হোসেন আহম্মেদ (৫০), একই শিবিরের
রোহিঙ্গা আলী জোহারের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮), জামালের ছেলে মো. সালমান (৩), ১০ নম্বর
বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের আবুল কালাম (৫৭), মতির রহমানের মেয়ে সলিমা খাতুন (৪২), আবুল
কালামের ছেলে আবু মেহের (২৪), শরিফ হোসেনের মেয়ে জানু বিবি (১৯) ও থাইংখালীর ১৪ নম্বর
রোহিঙ্গা শিবিরের শাহা আলমের ছেলে আব্দুল করিম (১২)।
কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ
ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: শামসু দ্দৌজা বলেন, প্রবল বর্ষণের কারণে উখিয়ার ৪টি রোহিঙ্গা
শিবিরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন