নাটোরে ঘন কুয়াশার কারণে একসঙ্গে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন ট্রাকচালক নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলায় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক নারী নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার নওপাড়া ডালসড়ক এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জুটমিলের সামনে একসঙ্গে ছয়টি ট্রাকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এরপর মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত ট্রাকচালক হলেন- মো. হুসাইন (৩৫)। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নিত্যানন্দ গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে। অপর দিকে নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
নাটোর সড়ক বিভাগ বলছে, সড়কের ওপর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে বনপাড়া থেকে রেকার আনা হচ্ছে। রেকার পৌঁছালে ট্রাক সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) মো. মাহাবুর রহমান জানান, সোমবার সকালে ঘন কুয়াশা থাকায় কম দূরত্বের বস্তুও দেখা যাচ্ছিল না। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জুটমিলের সামনে প্রথমে বিপরীতমুখী দুইটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এরপর একে একে ছয়টি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এক ট্রাকের চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় আহত হন অন্তত সাতজন। এসময় পাঁচটি ট্রাক দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর এ মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনের চেষ্টা চলছে। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। অনেকগুলো ট্রাক একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তাই এসব সরাতে সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব এসব ট্রাক সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে পবা হাইওয়ে থানার উপ-পরির্শক (এসআই) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, সকালে নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় নাটোর-রাজশাহী সড়কে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ইতিমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার ঘটনায় রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া অপর এক পোস্টে জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৈঠকে নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা। নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন, উদ্যানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা; উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শিশু পার্ক এমন এক জায়গায় যেখানে আনাগোনা সব বয়সী মানুষের হয়, ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।
শিশুরা এসে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এখানে অনেক রাইড,দোলনা সহ অনেক কিছু যেমন আছে বয়সী ব্যক্তিরা এসেও যেন এখানে দু'দন্ড গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারে তেমন পরিবেশ রয়েছে।
সারা দেশের দেয়ালগুলো শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিতে সুন্দরভাবে সেজে উঠেছে।
কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই শিশু পার্কের দেয়ালগুলো এর ব্যতিক্রম নয়।
বর্ণিল ক্যালিগ্রাফি আর গ্রাফিতিতে ভরে উঠেছে শিশু পার্কের প্রবেশের তোরণ।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার,প্রতিবেদক:
আগামীকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) হতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলাধীন সুলতানাবাদ ইউনিয়নস্থিত কোয়রকান্দি যুব সংঘের আয়োজনে প্রয়াত সুভাষ মাষ্টার বাড়ীতে স্থাপিত শ্রী শ্রী রাধা-গোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গণে দেশমাতৃকা ও বিশ্ব জননীর সকল সন্তানের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় ১৬ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন, লীলা কীর্তন ও মহোৎসব।
তদুপলক্ষে রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে মতলব উত্তর উপজেলাধীন তিতারকান্দি হতে আগত শ্রী হরিপদ গোস্বামীর পরিচালনায় শুভ অধিবাস কীর্তন ও মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা শেষে নরসিংদী থেকে আগত শ্রী অজিত চক্রবর্তী'র পরিবেশনায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ এবং সোমবার (৬ জানুয়ারি) ব্রহ্মমূহুর্ত হতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) অরুণোদয় পর্যন্ত শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম মহাযজ্ঞ।
শেষদিন বুধবার (৮ জানুয়ারী) দুপুর ১২টায় মহাপ্রভুর ভোগরাগ অন্তে ভোগারতি এবং শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দের লীলাকীর্তন ও মহোৎসব শেষে বিকেলে উৎসবে আগত ভক্ত শ্রোতার মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ। সবশেষে নগর কীর্তন, কুঞ্জভঙ্গ, জলকেলি ও মহন্ত বিদায়।
এতে নামসূধা পরিবেশন করবেন- বরিশাল হতে আগত শ্রী শ্রী বৃন্দাজি সম্প্রদায়, সাতক্ষীরা শ্রী শ্রী ব্রজগোপি সম্প্রদায়, নীলফামারী শ্রী শ্রী সোনার গৌর সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জ শ্রী শ্রী মা বিজয় লক্ষ্মী সম্প্রদায়, সাতক্ষীরা শ্রী শ্রী ব্রজ সখী সম্প্রদায় ও শ্রী শ্রী কৃষ্ণ কাঙ্গাল সম্প্রদায় এবং স্থানীয় শ্রী শ্রী লোকনাথ যুব সেবা সংঘ।
ওই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সকলের উপস্থিতি ও আর্থিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক পৃথক দুটি অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা সহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
বুধবার কোতয়ালী
মডেল
থানায়
কর্মরত
এসআই
(নিঃ)
নুরুল
হাকিম
এবং
সঙ্গীয়
ফোর্স
সহ
থানা
এলাকায়
মাদকদ্রব্য
উদ্ধার
ও
ওয়ারেন্ট
তামিল
ডিউটি
করাকালে
গোপন
সংবাদের
ভিত্তিতে
কোতয়ালী
মডেল
থানাধীন
০৫নং
পাঁচথুবী
ইউনিয়নের
চানপুর
ব্রীজের
উত্তর
পাড়ে
শ্রীপুর
সাকিনের
মসজিদের
সামনে
রাস্তার
উপর
তল্লাশি
করে
১০
কেজি
গাঁজা
সহ
মাদক
ব্যবসায়ী
১.
বিজয়
সূত্রধর
(২৭),
পিতা-দুলাল সূত্রধর, স্থায়ী: (সাং- খাড়েরা (মিস্ত্রি বাড়ি) , উপজেলা/থানা- বুড়িচং, জেলা –কুমিল্লা। ২. মোঃ রবিন (২৮), পিতা-কাজী জামসেদ, মাতা-হেলেনা বেগম, স্থায়ী: গ্রাম- মাশরা (কাজী বাড়ি), উপজেলা/ থানা- বুড়িচং, জেলা -কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত
ঘটনায়
কোতয়ালী
মডেল
থানায়
এজাহার
দায়ের
করলে
কোতয়ালী
মডেল
থানার
মামলা
নং-২, তারিখ- ০১ নভেম্বর, ২০২৩; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৯(ক)/৩৬(১) সারণির ১৯(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়।
অপর
একটি
অভিযানে
এসআই(নিঃ) মোঃ শাহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ কোতয়ালী মডেল থানাধীন ০২নং ওয়ার্ড ছোটরা ফৌজদারী মোড় পূর্ব চৌমুহনী সংলগ্ন রোজ গার্ডেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তল্লাশি করে ১০ কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল রানা(৩৮), পিতা মৃত-কানু মিয়া, সাং-ভরাসার বাজার(মুহুরী বাড়ী), পোষ্টঃ ইছাপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লাকে গ্রেফতার করেন।
উক্ত
ঘটনায়
কোতয়ালী
মডেল
থানায়
এজাহার
দায়ের
করলে
কোতয়ালী
মডেল
থানার
মামলা
নং-৩, তারিখ- ০১ নভেম্বর, ২০২৩; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৯(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
জেলা তথ্য অফিস, কুমিল্লার আয়োজনে লাকসাম উপজেলার দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন: ২০৪১, সরকারের অর্জিত সাফল্য ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মাদক, গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপপ্রচার, অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সহকারী তথ্য অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মাজহারুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুমন চন্দ্র দেবনাথ ও দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল কমিটির সভাপতি মো: আবুল কাশেম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্ব জিত চন্দ্র সাহা। নারী সমাবেশের পূর্বে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আপনারা পাচ্ছেন। এখন স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম যেতে হয় না। বাড়িতে বসে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা চলে আসে, স্কুলে উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে চলে আসে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম, শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীর ভূমিকা অপরিসীম। অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, অপপ্রচারকে প্রতিরোধ করতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন ও বিনা মূল্যে বই বিতরণসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বক্তাগন মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ এর প্রতি জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মানুষকে এই অপারাধ গুলির বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
মৃত্যুর আগেই নিজের চল্লিশার আয়োজন
করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন মারফত আলী (৭০) নামের এক বৃদ্ধ। মানুষ মারা যাবার পর
তার পরিবারের স্বজনরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও চল্লিশার আয়োজন
করে থাকে। কিন্তু প্রচলিত প্রথার ব্যতিক্রম ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত
ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে।
কৃষক মারফত আলী (৭০) মৃত্যুর আগেই পাঁচ
শতাধিক লোকের আয়োজনে নিজের চল্লিশা করেছেন।
গত সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর
গ্রামে বাসিন্দা মারফত আলী নিজ বাড়িতে এই চল্লিশার আয়োজন করেন।
এতে অতিথিদের খাওয়ানোর জন্য ১ লাখ ২০
হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু ও ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি খাসি জবাই করা হয়েছে।
স্থানীয় বড়হিত ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের
সদস্য মো. আব্দুস সালাম জানান, এলাকায় বিত্তশালী কৃষক মারফত আলী দুই বিয়ে করেছেন। তার
দুই সংসারে তিন মেয়ে ও ছয় ছেলে রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা
কেউ বিয়ে করে হয়েছেন আলাদা, আবার কেউ করছেন পড়াশোনা। এখন মারফত আলী তার নিজের জমি-জমা
সন্তানদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়ার চিন্তা করছেন। এর মধ্যে তার মাথায় আসে তিনি
মারা গেলে সন্তানরা যদি চল্লিশা না করেন, তাই জীবিত অবস্থায় তিনি নিজেই নিজের চল্লিশা
করেছেন। এ জন্য তিনি বাড়ির ভেতরে ডেকোরেটর দিয়ে সামিয়ানা টাঙিয়ে ৫ শতাধিক নারী-পুরুষকে
দাওয়াত খাইয়েছেন।
মারফত আলী জানান, এখন যুগ পাল্টে গেছে।
মারা যাবার পর কেউ মনে রাখে না। ইদানিং শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছি। নামাজ ছাড়া এখন
তেমন কোনো কাজকর্ম করি না। তাই মরার আগে নিজের চল্লিশা নিজেই করেছি।
দাওয়াত খেতে আসা আব্দুল কদ্দুস জানান,
জীবিত ব্যক্তি নিজের চল্লিশার আয়োজন করেছেন, এটা আগে আমি কোথায় দেখিনি। তবে খেয়ে তৃপ্তি
পেয়েছি।
মারফত আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়া জানান,
বাবার ইচ্ছা তিনি জীবিত অবস্থায় চল্লিশা করবেন। তাই আমরাও সম্মতি দিয়ে এই চল্লিশার
আয়োজন করেছি। তবে বাবা না থাকলেও আমরা তার আত্মার শান্তির জন্য এটা করতাম।
মারফত আলীর মেয়ে রেনুয়ারা জানান, তিনি
নিজেই নিজের চল্লিশার আয়োজন করে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে খাইয়েছেন। এতে আমাদের সবার
সম্মতি ছিল।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ
২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ।
বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত
১১টায় জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা
করে।
উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের
ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ৫নং পাঁচতুবি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ডুমুরিয়া
চাঁনপুর ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তার উপর
হতে ৫২(বায়ান্ন) কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মামুন মিয়া (৫২) ও মোঃ সুজন
মিয়া (৩৩)কে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১০২ কেজি গাঁজাসহ ৫ জন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি
থানাধীন হোসেনপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ দেলোয়ার হোসেন,
২। সুমন, ৩। মোঃ আব্দুল হালিম, ৪। মোঃ জাহিদ হাসান রতন এবং ৫। আব্দুর রব হাওলাদার নামের
৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১০২ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার এবং একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী মোঃ দেলোয়ার
হোসেন (৩০) খাঁগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানাধীন মাটিরাঙ্গা গ্রামের মৃত বাবুল মিয়া
এর ছেলে, ২নং আসামী সুমন (৩৭) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন আলমপুর গ্রামের মৃত
জসীম এর ছেলে, ৩নং আসামী মোঃ আব্দুল হালিম (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন
মাদলা গ্রামের মৃত সিরাজ আলী এর ছেলে, ৪নং আসামী মোঃ জাহিদ হাসান রতন (৪৫) ঢাকা জেলার
বংশাল থানাধীন আলু বাজার গ্রামের আব্দুল ছাত্তার এর ছেলে এবং ৫নং আসামী আব্দুর রব হাওলাদার
(৭০) ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানাধীন বিন নারায়ণ গ্রামের মৃত আব্দুল আজীজ হাওলাদার এর
ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত
প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন
মন্তব্য করুন
৭ই
নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লায়
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
আজ
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা টাউন হলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির
উদ্যোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ - ড্যাব কুমিল্লার সদস্যবৃন্দ। সকাল থেকেই চিকিৎসা
সেবার বুথ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে আসেন শত শত মানুষ। পাশাপাশি তাদের বিনামূল্যে
ঔষধ প্রদান করা হয়। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির
সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু ও বিএনপি নেতা নিজামুদ্দিন কায়সার অনুষ্ঠানের সূচনা
করেন।
ফ্রি
মেডিকেল ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ ডায়বেটিস, চর্ম, নাক, কান, গলাসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায়
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারছেন। সকাল থেকে কুমিল্লা টাউন হলে বিভিন্ন শ্রেণী
পেশার ও নানান বয়সের মানুষ ভিড় করে চিকিৎসা সেবা নেন।
মহানগর
বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লায় ফ্রি
মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। চাহিদা সম্পন্নরা কুমিল্লা টাউন হল মাঠের চিকিৎসা
সেবা বুথ থেকে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে বিনামূল্যে সেবা পেতে পারবেন। এই কর্মসূচিতে ড্যাব কুমিল্লা শাখার চিকিৎসকরা ছাড়াও
অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ অংশ নিচ্ছেন।
বিএনপি
নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, আমরা চেষ্টা
করছি সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে। যে কারণে কেন্দ্রীয়
কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লাতেও চালু হয়েছে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর
বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
জানা
গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপি'র ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা
বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন এই কার্যক্রমের সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধান করছেন।
মন্তব্য করুন