চট্টগ্রামের ইছানগরে আগুনে পুড়তে থাকা চিনির গুদাম দেখতে এসে শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলছেন, আগুন নেভার পর দুই দিনের মধ্যে চিনি পরিশোধনে ফিরতে চান তারা।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তীরে এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। ২৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকালেও সেই আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।
এস আলমের ওই চিনিকলের দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতা ২২০০ টন। কারখানার পাশের পাঁচটি গুদামের মধ্যে চারটিতে অপরিশোধিত এবং একটি গুদামে পরিশোধিত চিনি রাখা হয়। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে চিনিকলটির ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে, যাতে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার যখন গুদামে আগুন লাগে, তখন চিনিকলটি চালু ছিল। আগুন লাগার পর কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ওই দিনই এস আলমের কল থেকে বাজারে চিনি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
আগুনে ১ নম্বর গুদাম ভস্মীভূত হলেও অন্য গুদাম বা কারখানায় আগুন ছড়ায়নি। তবে ১ নম্বর গুদামের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে আগুনে পুড়তে থাকা গুদাম দেখতে এলে সাংবাদিকরা সাইফুল আলম মাসুদের কাছে জানতে চান, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব রোজায় চিনির বাজারে পড়বে কি না।
উত্তরে সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, আপনারা জানেন কিছু ব্যবসায়ী আছে, দুয়েকদিনের জন্য করে এরা; এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো দুয়েকদিন হবে আরকি। দুয়েকদিন পর তো আমার ডেলিভারি ঠিক হয়ে যাবে।
এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ আরো বলেন, আমার প্রোডাকশন চালু করব। আমার বানানো মাল আছে। ওইটা দিয়ে এক সপ্তাহ মিনিমাম চলবে। প্রোডাকশনে যাইতে লাগবে দুই দিন। মালেরও সমস্যা নেই। মেইনলি আগুনটা নিভে গেলে হয়ে যাবে আমার।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার এর নির্দেশনায় কুমিল্লার কাঁচা বাজারের বৃহৎ আড়ত বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার পরিচালিত এ অভিযানটি বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দ্বারা সমন্বিতভাবে পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে পাইকারি আড়তদারদের পাকা ভাউচার সংরক্ষণ ও বিক্রি সময় পাকা ভাউচার প্রদান করার জন্য কঠোর সতর্ক করা হয়েছে।
পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ না করা হলে অন্যথায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সময় বিভিন্ন অনিয়মে ০২ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে পুরো রমজান ব্যাপি এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও বুড়িচং থানার পুলিশ।
মন্তব্য করুন
রমজানে সিএনজি স্টেশনগুলো খোলা রাখার নতুন সময় পুনর্নিধারণ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন। এছাড়া, ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলোকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজান মাসে বিদ্যুৎ চাহিদার দৈনিক পিক আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প-চাপ পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে প্রথম রমজান থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধের সময়কাল সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত পরিবর্তন করে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য ৭-১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে স্টেশনগুলো।
এছাড়া ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জ্বালানি সরবরাহের সুবিধার্থে ৭-১৮ এপ্রিল সিএনজি স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বছর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত জিডিপির চূড়ান্ত হিসাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া আরো জানানো হয়েছে , ডলারের হিসাবে কমলেও টাকার অঙ্কে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।
বিবিএস আরো জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২ লাখ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ১৯৯ টাকা। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে টাকায় প্রকাশ করা হয়েছে মাথাপিছু আয়
মন্তব্য করুন
প্রায় দেড় যুগ ধরে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি মধ্য প্রাচ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বাহারি রঙের সুতা আর রেশমার উপরে আঁকা বিভিন্ন নকশাকৃত বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলছে। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পিছনে মুল নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি। মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিপুণ হস্ত শিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি।
জানা গেছে মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে।সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় প্রতিবেশি কমলা বেগমের সাথে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন কলা-কৌশল। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করে প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা। এরপর ২০০৪সালে মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম।তার হাতে বানানো টুপি ২০০৮সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে। হাতে বানানো টুপি তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী মোর্শেদা। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অনান্য নারীরা টুপি বানানো কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সাথে প্রায় ৫ হাজার নারী কাজ করছেন।মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন নাই আশপাশে প্রায় ৪০-৫০ টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।বিভিন্ন বয়সী নারী পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন ।
মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি করা টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহারাইন, সৌদি আরব,দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি।টুপি তৈরির দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপার ভাইজার রেখেছেন। হাতে বানানো প্রকার ভেদে প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০/১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ দেড়শ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০/৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিপুণ হস্ত সম্ভারের টুপি তৈরির পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান,চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন।এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরির কাজ করি।এখান থেকে যা উপার্জন করি।লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না আমার মত বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি।বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদের সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে।এসময় টুপি বানিয়ে জন প্রতি ৮/১০হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।
কুড়িগ্রাম বিসিক এর উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন,পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্য প্রাচ যাচ্ছে এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর।হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোন প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋন অথবা তৈরি টুপির বাজারজাত করণে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি ।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীতে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এসব তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ট্রাক-ট্রলি ও ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাতে ব্যস্ততা দেখা গেছে চাষিদের মাঝেও।
এসব দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ ক্ষেতে। চাষিরা জানান, জেলার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বরি মৌসুমে অল্প সময়ে তরমুজ আবাদ ও লাভজনক হওয়ায় পটুয়াখালীর চাষিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
একই এলাকার চাষি সেলিম হাওলাদার (৪২) বলেন, তরমুজ চাষের জন্য অন্যের কাছে থেকে এক বছরের চুক্তিতে দুই একর জমি লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে চাষযোগ্য ১৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে বীজ ও সার-ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। আর বিক্রি করেছি চার লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরগুলোতে তরমুজ চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ভালো হয়েছে এবং লাভবান হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এ উপজেলায় আট হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসালো ফলটির চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ছয় হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এসব তরমুজ বাজারে বিক্রি দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ও গোলখালী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ। চাষিরা এখন বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি ইউনুচ হওলাদার (৪০) ১৩ বছর ধরে রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে দুই একর জমিতে ফলটি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষেতের কিছু তরমুজ গাছ মারা গেছে, তবুও যা ছিল ফলন ভালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরমুজ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ক্ষেত থেকে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত তরমুজ কেটে নেয়নি।
বৌবাজার এলাকার কৃষক তাসলিমা বেগম মাঝেরচর এলাকায় আট একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ উৎপাদন করে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এখনও ছয় একর জমিতে তরমুজ রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, প্রথমে দাম ভালো ছিল- এখন কিছুটা কম। আজকে রোদের তাপ অনেক, আবহাওয়া এভাবে থাকলে তরমুজের বাড়বে।
সুহুরী ব্রিজ এলাকার কৃষক আলআমিন জানান, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদার ও ব্যাপারীরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদাররা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানীতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন
রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞার আগে সরকার ভারত থেকে আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের (এলসি) ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
দ্রুত পেঁয়াজ আনতে ভারতে বাংলাদেশ দূতবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া দেশে যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটারিং করার জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এ পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। এ পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কীভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
দেশের সর্বত্র যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।
দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের এ জ্যেষ্ঠ সচিব ।
তিনি বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ বেড়ে গেল, এটা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ নয়।
মন্তব্য করুন
আগামী এক সপ্তাহের
মধ্যে ভোজ্যতেলসহ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় হবে বলে আশা প্রকাশ
করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শনিবার (১ মার্চ)
সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভা করে জাতীয়
চাঁদ দেখা কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
সভা থেকে চাঁদ দেখার
বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, রমজান আসলে আমাদের দেশে
পণ্যের দাম বাড়ে। এটা একটা কমন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সরকার এবার সচেতন
রয়েছে। যাতে করে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ে। সেজন্য বেশকিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো
হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন মালয়েশিয়া-সৌদি আরবসহ বিভিন্ন
দেশে রমজানে পণ্যের ওপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দেয়। অথচ আমাদের দেশে
উল্টো।
সরকার এবার সচেতন আছে
জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, বেশকিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। আমাগী এক
সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্যতেলসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামও সহনীয় হবে। ব্যবসায়ী ভাইদের
প্রতি আহ্বান আপনারা নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখুন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয় বিশ্বব্যাংক। বরং বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব বিষয়ে সহায়তা দিয়ে পাশে থাকতে চায় বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। তিনি জানান, আমরা বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জেনেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির সংস্কারে কীভাবে সহযোগিতা করবো সেটিও আলোচনা করেছি। কারণ জটিল কিছু সংস্কার বাংলাদেশের প্রয়োজন। এখানে আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন, বাণিজ্যে সংস্কার প্রয়োজন- আমরা এগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, আমরা এখন এ দেশে বেসরকারি খাতে চাকরির বাজার সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে যুবকরা এখানে বড় সম্পদ। এছাড়া এখানে জলবায়ু পরিবর্তন অনেক বড় ঝুঁকি, সেখানে অন্তর্বর্তীমূলক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক গড়তে কাজ করছি আর আমরা মোটেই বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমি অনেক দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এটি কখনোই আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের স্থবির অর্থনীতিকে চালু করার জন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার বিশ্বব্যাংক তা দেবে। আইএফসি ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছি আমরা। তারা বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য তারা যে কোনো কিছুই করতে পারে। নিয়মকানুন মেনে তারা বিনিয়োগ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থীদের জন্য শোক জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি এ সময়ে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কারেও পাশে থাকবে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
হঠাৎ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হলে শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে কর্মস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ছাড়াও তার নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল।
এদিকে ওসির কর্মস্থল ত্যাগের খবর দেরিতে পেয়ে কমপক্ষে ৩০ জন পাওনাদার বিচ্ছিন্নভাবে থানায় এসে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা জানান, নান্দাইল থানায় ওসি হিসেবে গত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ। এর পর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে তিনি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক রাতেই তুচ্ছ ঘটনায় পাঁচটি অভিযোগ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রেকর্ডভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে এ ওসির বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি চুরি ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার
মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে পুরো উপজেলার আনাচে-কানাচে ইয়াবার কারবার, গ্রেপ্তার
বাণিজ্য চলছিল নির্বিঘ্নে।
বিভেদপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ। অন্যদিকে মামলা নেওয়ার নামে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছিল নিয়মিত।
এমন অবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে তাকে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পেয়ে ওসি ফরিদ সবকিছু গুছিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে চলে যান জেলা শহর ময়মনসিংহে।
এসব বিষয়ে জানতে প্রত্যাহার হওয়া ওসি ফরিদ আহম্মেদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘ওসির কাছে সাধারণ লোকজন টাকা পায়, এটি খুবই দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
আর এক রাতে ৫টি মামলা রেকর্ডভুক্ত
হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে তো দুটির কথা বলা হয়েছিল। বাকিগুলো তো
জানাননি।’
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন
মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম
সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার কোনো উন্নয়ন কাজ বন্ধ করেনি, করবেও না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুইদিনের
বিশেষ সফরে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন,
অনেকেই মনে করেছিলেন কী না কী হয়, প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা কোনো কাজ
বন্ধ করিনি। অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো প্রকল্প গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশ সরকার বিদেশ থেকে যেসব পণ্য
আমদানি করে, তার মধ্যে থেকে ২০-৩০ শতাংশ পায়রা বন্দরের মাধ্যমে করা যায় কি না, সে বিষয়ে
পদক্ষেপ নিতে হবে। তা করতে পারলে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চাপ কমবে। পায়রা সমুদ্র
বন্দরে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে, সেগুলো নিজস্ব গতিতেই চলবে। এছাড়া বন্দরের সার্বিক
উন্নয়ন এবং অগ্রগতির বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
মন্তব্য করুন