মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩জন আটক ও ডাকাতির ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ও সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার বাতাপুকুরিয়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বাইছারা গ্রামের আব্দুল জলিল ভূঁইয়ার ছেলে শরীফ ভূঁইয়া(৩৪),বুধুন্ডা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে বাদশা মিয়া (১৯) ও মফিজুল ইসলামের ছেলে মো. নাঈম হোসেন (২০)।
কচুয়া থানার ওসি এম আবদুল হালিম জানান, সোমবার রাতে বাতাপুকুরিয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নেয় অজ্ঞাত ডাকাতদল। পুলিশ গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম
সরোয়ার নির্জন হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় অন্যতম আসামি মো: সাদেককে
গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)
দিনগত রাতে চকরিয়া থানার ফাসিয়াখালি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়ার
মাইজপাড়া এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে—
এমন সংবাদে লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জনের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে
যায়। এরপর একজন ডাকাতকে আটক করলে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তার ওপর হামলা করে ডাকাত
দল।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লেফটেন্যান্ট
তানজিম সরোয়ার নির্জনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
রবিউল আউয়াল মাসের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন লক্ষে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে কলেজের আয়োজনে কিরাত নাত,হামদ ও হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনীর উপর কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সিহাদ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন মোল্লা,আবুল খায়ের,ফজলুল হক,প্রভাষক আবু জাফর ও হাসিনা আক্তার সহ আরো অনেকে। এসময় কলেজের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন,ইয়ার আহমেদ মজুমদার,বিল্লাল হোসেন,সেলিম হোসেন,প্রভাষক ইফনুছ মোল্লা,সাইফুল ইসলাম সবুজ,ইয়াছিন মিয়া,লায়লা আরজুমান,নিগার সুলতানা,কবরি হোসেন সহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ধর্মপুর এলাকা হতে দলনেতাসহ সাতজন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৩ জুলাই) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ধর্মপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট হতে
৪ টি কুড়াল, ১ টি চাপাতি ও ৩ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আসামীরা হলো: ১। তাজুল ইসলাম সুমন (১৯), পিতা-মোঃ আব্দুল মালেক, সাং-হায়দারগঞ্জ, থানা-রায়পুর, জেলা-লক্ষীপুর এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ২। মোঃ মাসুদ (১৭), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, সাং-রংপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ রিমন (১৭), পিতা-হারুনুর রশিদ, সাং-মোগড়া, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা; ৪। ফাহিম হোসেন সিফাত (১৫), পিতা-জামাল হোসেন, সাং-পশ্চিম বাগিচাগাও, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৫। তয়বুর রহমান তুহিন (১৭), পিতা-মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, সাং-ছাইচাপাড়া, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা; ৬। আব্দুল কাদের জিলানী (১৬), পিতা-মোঃ আব্দুল হানিফ, সাং-রসুলপুর, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা এবং ৭। অর্পন দাস (১৫), পিতা-গৌতম দাস, সাং-বাগিচাগাও, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী ও
আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং এর
সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতির
মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির মাধ্যমে
ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল
বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের বিরুদ্ধে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার তিতাসে ভারী ভর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যার প্রবল স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে গোমতী নদীর উপর ইস্পাত ও কাঠের সংমিশ্রণে নির্মিত অস্থায়ী সেতু।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার আসমানিয়া বাজার সংলগ্ন ওই সেতুটি ভেসে যাওয়ার দৃশ্যটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সেতুটির উপর দিয়ে পারাপাররত মানুষগুলোকে দিকবিদিক ছুটতে দেখা যায়। সেতুটি প্রথমেই পূর্বদিকে হেলে যায়, তারপর কিছুক্ষণ ভেসে তা নদীতে বিলিন হয়ে যায়।
সেতুটি ভেসে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ২২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এতে করে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাসীর মাঝে। দুর্বল অবকাঠামোয় নির্মাণ ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে সেতুটি এনিয়ে দুই বার ভেঙে যায় বলে জানান তারা।
পথচারীরা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। বিকল্প নৌকায় যাতায়াত করতে গেলে এখন টাকা ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও দেখেছি, এখনো পরিদর্শনে যেতে পারিনি। প্রবল স্রোতে ও কচুরিপানার চাপে সেতুটি ভেসে যায়। তাছাড়া নতুন ব্রিজের কাজ চলমান হওয়ায় নদীর দুপাশ সরু হওয়ায় ওই অংশে স্রোতের চাপ বেড়ে যাওয়ায় অস্থায়ী সেতুটি ভেসে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অস্থায়ী সেতুটি পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের
‘শ্লীলতাহানি’র ঘটনার আন্তঃজেলার তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার
সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত হওয়া তিনটি মোবাইল
ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিত (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকার সাভার উপজেলার টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান (২৮)।
এ বিষয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.
মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএর মাধ্যমে তিনি জানান, এ ঘটনায় দায়িত্ব
অবহেলার কারণে মির্জাপুর থানার এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বাসে ডাকাতির ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার ভোর রাতে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিক রোড রয়েলস্
পরিবহনের ঢাকা কোচটি (ময়মনসিংহ-ব-১১-০০৬১) ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে
রাজশাহীর নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় বাসটিতে ৩০ থেকে
৩৫ জন যাত্রী ছিল। পরে রাত ১২টার দিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার সেখানে
থেকে আরও ১০ থেকে ১২জন যাত্রী নিয়ে বাসটি পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে। পরে
বাসটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা বাইপাসে পৌঁছালে চা-বিরতির জন্য
থামে। সেখান ১০ থেকে ১৫ মিনিট চা বিরতির সময় চন্দ্রা বাইপাস থেকে আরও তিন থেকে চার
জন নতুন যাত্রী নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে বাসটি। বাসটি ওইদিন রাত দেড়টার
দিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন হাইটেক সিটি পার্ক সংলগ্ন খাড়াজোড়া
ফ্লাইওভার ব্রিজ অতিক্রম করার ৫ থেকে ৬ মিনিট পর হঠাৎ যাত্রীবেশে থাকা বাসে ৮ থেকে
৯ জন ডাকাত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় এবং ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার
ভয় দেখিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলে। এসময় তাদের মধ্যে তিনজন অজ্ঞাতনামা ডাকাত
গাড়িচালকের গলায় ধারালো চাকু ধরে টানা হেঁচড়া করে কিলঘুষি মেরে তাকে উঠিয়ে নিয়ে
পেছনে উল্টা করে রাখে। ডাকাতদের মধ্যে থেকে একজন চালকের আসনে বসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ
নেয় এবং বাসটি চালিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা হয়। পরে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়া
সাকিনস্থ ফুটওভার ব্রিজের প্রায় ১০০ গজ পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের
ওপর পৌঁছালে ডাকাতদলের ৬ থেকে ৭ জন সদস্য গাড়িতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের ধারালো
চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এসময় যাত্রীদের বলে, ‘তোদের সঙ্গের টাকা
পয়সাসহ যার যা কিছু আছে সব দিয়ে দে’। এসময় যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন,
স্বর্ণালংকার ও রূপাসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা মির্জাপুরের
নাটিয়াপাড়া নাছির গ্লাসের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা করে। তারা দুই
থেকে আড়াই ঘণ্টা গাজীপুরের কালিয়াকৈর, কোনাবাড়ীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরায়
এবং এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
একপর্যায়ে দুই নারীর ‘শ্লীলতাহানি’ করা হয়।
এজহারে আরও বলা হয়েছে- সব যাত্রীদের টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট
করে রাত ৪টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাড়ইপাড়া এলাকার নন্দন পার্কের
সামনে গাড়িটি টাঙ্গাইল অভিমুখে থামিয়ে চালককে ভয় দেখিয়ে বলে, ‘১০ কিলোমিটারের
মধ্যে গাড়িটি কোথাও থামালে তোকে জানে মেরে ফেলবো, আমরা তোদের গাড়ির পেছনে পেছনে
আছি’ এই বলে ডাকাতদলের সদস্যরা মালামাল ও টাকা পয়সাসহ গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়।
পরে চালক গাড়ি নিয়ে চন্দ্রা মোড়ে গেলে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা জাতীয়
জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানালে কিছুক্ষণের মধ্যে টহল পুলিশ
সেখানে উপস্থিত হয়। তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ডাকাতির বিষয়ে বিস্তারিত জানালে
কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকার টহলরত পুলিশ মির্জাপুর থানায় যাওয়ার পরামর্শ
দিলে চালক গাড়ি নিয়ে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। তখন কয়েকজন যাত্রী ও গাড়ির
সুপারভাইজার মির্জাপুর থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করলে
মামলা না নেওয়ায় তারা পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে নাটোর জেলার
বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে গেলে গাড়ি থেকে তিন থেকে চার যাত্রী নেমে স্থানীয় লোকজনের
সহায়তায় গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহে
গাড়িটি আটক করে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার
১৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাতদলের তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার
করেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে হাজির করে
পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলায় মির্জাপুর থানার ডিউটি
অফিসার উপ পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মৃত্যুর ১৫ বছর পর কবরে মিললো অক্ষত
মরদেহ। চারপাশে চিকচিক করছিল বালু। কাফনের কাপড়টুকুতেও লাগেনি সামান্য দাগ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে রংপুর মহানগরীর নব্দীগঞ্জ গোদা-শিমলা এলাকায় এ ঘটনাটি
ঘটেছে। বিরল এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে
রংপুর মহানগরীর নব্দীগঞ্জ গোদা-শিমলা এলাকায় গ্যাসের সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ চলছিল।
এ কারণে সেখান থেকে কয়েকটি কবর স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন স্বজনরা। দুইদিনে ৪টি কবর স্থানান্তরের
পর আরেকটি কবর খুড়তেই ঘটে আশ্চর্যজনক ঘটনা। দেখা গেল, অক্ষত অবস্থায় ধবধবে সাদা কাপড়
দিয়ে মোড়ানো আছে লাশ।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ২০১০ সালে
সেখানে কবরস্থ করা হয়েছিল মরহুম আব্দুস সামাদকে। ১৫ বছর আগের সেই পুরোনো কবরটি স্থানান্তর
করতে গিয়ে এ ঘটনায় অবাক তারা। দ্বিতীয়বার স্বচোক্ষে অবিকল অভিভাবককে দেখতে পারায় অবাক
মরহুমের স্বজনসহ পুরো গ্রামবাসী।
জানা গেছে, ১০৫ বছর বয়সে সম্পূর্ণ সুস্থ
অবস্থায় নিজ বাড়িতে মারা যান আব্দুস সামাদ। ছিলেন কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। তিনি আট ছেলে
ও চার কন্যাসন্তানের জনক। এরমধ্যে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে মারা গেছেন।
আব্দুস সামাদের ছেলে জানান, আমার বাবা
যেদিন মারা যান, সেদিন বাড়ির পাশের পুকুরে একাই তিনি গোসল করেন। এরপর তিনি পুকুর থেকে
উঠে এসে চেয়ারে বসলে ওই অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ধার্মিক মানুষ ছিলেন। কবর থেকে
মরদেহ উত্তোলনের পর তাকে পাশে অন্যদের সাথে দাফন করা হয়। তার শরীরের সবকিছুই স্বাভাবিক
মনে হয়েছে। শুধু শরীরের চামড়াটা শুকিয়ে গেছে।
আব্দুস সামাদের আরেক ছেলে জানালেন,
তার বাবার শরীরের কোথাও কোনো পচন ধরেনি। এমনকি কাফনের কাপড়ও নষ্ট হয়নি। তাকে কোনো কিছুই
স্পর্শ করেনি। হজের ইহরামের কাপড় দিয়ে তাকে কবরস্থ করা হয়েছিল। যেভাবে তাকে কিবলামুখী
করে রেখেছিলাম সেভাবেই কবরে ছিল। আলহামদুলিল্লাহ এটা আল্লাহর বান্দার প্রতি তার রহমত
ছাড়া আর কিছুই নয়।
স্থানীয়রা জানান, ১৫ বছর আগে আমরা তাকে
কবরস্থ করার সময় যেভাবে দাফন করেছিলাম। সেদিন ওই অবস্থায় তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন
করা হয়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য লাশের হাত-পায়ের সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি।
ধাপ সাতগাড়া বায়তুল মোকাররম মডেল কামিল
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনম হাদিউজ্জামান জানান, এ ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়, যারা
দুনিয়াতে সবকিছু ভুলে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলেন তাদেরকে কবরে সুসংবাদ দেওয়া হয়।
কবর পোকা-মাকড়ের ঘর হলেও তাদের কোনো কিছুই স্পর্শ করে না। শুধু তাই নয় ইসলামের পথে
থাকা ওইসব ব্যক্তির দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ নিজের। আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে তার ভালো কাজের
জন্য পুরস্কার হিসেবে এটা দিয়েছেন। কারণ এটা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন
যারা আল্লাহর হয়ে যান, আল্লাহ তার হয়ে যান।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আদর্শ সদর উপজেলার সদর হাসপাতাল রোড এলাকায় রবিবার (১ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটি অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে “পদ্মা মেডিকেল সার্ভিসেস” নামক একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মূল্য তালিকার চেয়ে অধিকমূল্যে রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন টেস্টের ফি আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে “তাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস”-এ সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রিএজেন্ট সংরক্ষণ না করা এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানসম্মত সেবা প্রদান না করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
সবমিলিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতে সেবার মান বজায় রাখতে ও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি সহযোগী দল।
মন্তব্য করুন
বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ছয়টি স্বর্ণের বারসহ মনোর উদ্দিন (৩১) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মনোর উদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পুটখালি গ্রামের কদর আলীর ছেলে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ি বিজিবি চেকপোস্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি।
বিজিবি জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পুটখালি গ্রামে দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য বিপুল পরিমাণ একটি স্বর্ণের চালান যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন একটি ইজিবাইক আরোহীকে গতিরোধ করা হয়। এ সময় ইজিবাইক ও তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান তার পায়ুপথে ছয় পিচ স্বর্ণের বার আছে। পরে তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে স্ক্যানিং করলে তার সত্তাতা পাওয়া যায়। এবং স্বর্ণের বার গুলো উদ্ধার করে তাকে আটক করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ লাখ টাকা বলে তারা জানায়।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার জানান, জব্দ করা স্বর্ণের চালানটি যশোর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়ার সফিবাদ ফোরকানীয় নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মাদ্রাসা মিলনায়তনে সফিবাদ আল ফালাহ্ সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেন্ট কালেক্টর ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. সাজেদুল হাসান কামালের সভাপতিত্বে ও আওয়ামীগ নেতা শরীফ হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম রনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মজুমদার জয়, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মোল্লা,মাদ্রাসার সভাপতি ডা. সফিকুল ইসলাম লনি,যুবলীগ নেতা সোহেল মাহমুদ সহ আরো অনেকে।
পরে চিকিৎসা সেবা সহায়তা, ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মজুমদার,বিশিষ্ট সমাজসেবক সাজেদুল হাসান কামাল ও সোহেল মাহমুদকে সন্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি। এদিকে সফিবাদ আল ফালাহ্ সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি রফিকুল ইসলাম রনির হাতে সন্মননা ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
এসময় সফিবাদ আল ফালাহ্ সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের সাংগঠনকি মো. জামাল হোসেন মোল্লা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গনি মাষ্টার, রুবেল বেপারী, আওয়ামী লীগ নেতা মামুন সরকার ও যুবলীগ নেতা মামুন খন্দকার, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সৌরভ সহ মাদ্রাসার শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় রাতের আঁধারে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নে নোয়াদ্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মাছগুলো পানিতে ভেসে উঠলে ভুক্তভোগী মৎস চাষি মানিক ও রাসেল হোসেন বুঝতে পারেন। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষসিাধন হয়েছে বলেও জানান ভূক্তভোগীরা। ওইদিন মানিক মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মান্নান মিয়া,রুবেল,শামীম হোসেন ও আব্দুল জলিলকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি লিভিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন নামের দুই মামাতো ও ফুফাতে ভাই ওই প্রজেক্টে মাছের চাষ করছেন। স্থানীয় এনজিও থেকে ঋন নিয়ে প্রায় বছর খানেক পূর্বে মাছের পোনা চাষ করেন। কিন্তু রাতের আধাঁরে বিষ প্রয়োগে দুই ভাইয়ের স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল শুত্রুতার জেরে দিবাগত রাতে মাছের প্রজেক্টে বিষ দেয়। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের।
ভূক্তভোগী মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। মাছ চাষ করে জীবিকা-নির্বাহ করি। বিষ প্রয়োগে আমাদের সব স্বপ্ন মাটি হয়ে গেছে। গত বছর ব্যাংক ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নেই। এখন আমরা কীভাবে টাকা পরিশোধ করবো, কিছুই বুঝতেছি না। যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তাদের আইনের আওতা এনে শাস্তির দাবি জানাই।
কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম বলেন, নোয়াদ্দা গ্রামে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন