মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চিত্র ও শিক্ষার্থীদের ত্যাগ স্মরণ করতেই দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হচ্ছে গ্রাফিতি। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছেন এই কাজে। ছাত্র আন্দোলনে জড়িতদের ত্যাগ মানুষের মাঝে স্মরণীয় রাখতেই এ উদ্যোগ বলছেন গ্রাফিতি অংকনে আসা শিক্ষার্থীরা। এদিকে পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদের উদ্যোগে ওই কলেজের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হচ্ছে গ্রাফিতি।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাফিতি ও দেশ সংস্কারের বিভিন্ন স্লোগান এবং গণ অভ্যুত্থানের বর্ণিল চিত্র আঁকছেন শিক্ষার্থীরা। এতে গ্রাফিতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের পটভূমি ও উৎসাহ মূলক নানা চিত্র। গ্রাফিতিতে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে বদলে যাওয়া নতুন বাংলাদেশের গল্প ও আন্দোলন অভ্যুত্থানের নানা ঘটনাপ্রবাহ।
পালাখাল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ,তানিয়া আহমেদ,আখি আক্তার,তুলি ও খাদিজা সহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র আন্দোলনে নিহতের স্মরন ও মূল্যবোধ জাগাতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ছাত্র আন্দোলন ও ত্যাগের মহিমা তুলে ধরতেই সবাই মিলে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাছাড়া সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে আমাদেরকে ঐক্যের শক্তি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি অংকন অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তারা।
মন্তব্য করুন
পুশির
হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি
এক ডাকাতের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
নাসিরনগরে ছদ্মবেশে জীবন মিয়া নামে এক ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ।
ডাকাত জীবন মিয়া ছাড়া পাওয়ার জন্য পুলিশের হাতে কামড় দিতে থাকলেও হাল ছাড়েননি এসআই
রুপন নাথ।
শুক্রবার
(২৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি জমি থেকে তাকে গ্রেফতার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত
জীবন মিয়া হরিপুর গ্রামের হুরন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি
মামলা রয়েছে। সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করে আসছিলেন।
পুলিশ
জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবন মিয়ার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। জীবনকে
গ্রেফতারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের এসআই রুপন নাথ আরও একজন কর্মকর্তা
ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের
দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে জীবন ও তার
সঙ্গীদের কাছে ইফতার করার জন্য পানি চান। তখন একপর্যায়ে জীবনকে আটক করে পড়ানো হয় হাতকড়া।
এসময় জীবন মিয়া পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই
দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরাও ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে। একপর্যায়ে
এএসআই মো. কামরুল ডাকাত সদস্যকে কাঁধে তুলেনেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায়
করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ
ব্যাপারে এসআই রূপন নাথ সাংবাদিকদের জানান, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। ডাকাত
জীবন খুবই চতুর। সে পালানোর চেষ্টা করেছিল। একপর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে
আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত আহত হন।
এ
ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, ডাকাত জীবন খুবই চতুর প্রকৃতির।
তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
ছাগলে গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করেছে। এতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাগুয়ান ঘুন্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সাগুয়ান গ্রামের আব্দুল লতিব মনিরুল ইসলাম (৪০), তার ভাই রবিউল ইসলাম (২০), মনিরুলের ছেলে সিফাত (১৮)।
জানা যায়, ছাগলে গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে নিজাম মেম্বারের সঙ্গে আজিজুলের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে রুহুল আমিন (৩৮) নামের এক কৃষক নিহত হন। তিনি সাগুয়ান গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রুহুল আমিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তাহন্তর করেছে পুলিশ।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, আটককৃত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন
ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫ এর রেজিষ্ট্রেশনের কার্যক্রমের উদ্বোধন
করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের হল রুমে
শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ৩৭টি ব্যাচের (১৯৮৮-২০২৪) তাইমিয়ান্স মডারেটর ও ছাত্র-ছাত্রীদের
উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
আগামী ১০ জানুয়ারী ২০২৫ এ কুমিল্লা
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এই রিইউনিয়ন আয়োজনের লক্ষ্যে রেজিষ্ট্রেশন চলবে
আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।
বাকী বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় তাইমিয়ান্স গ্রুপের এডমিন
আলমগীর এইচ রিপনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইবনে
তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মু. শফিকুল আলম হেলাল, প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ মোছলেহ উদ্দিন, তাইমিয়ান্স
বদরুল ইসলাম খান, ইশতিয়াক শাহীন, ও মাজহারুল হক। এছাড়া বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষকদের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম, ইউনুস সরকার, কামারুজ্জামান, ইসরাফিল, মাওলানা মোছলেহ
উদ্দিন, কামাল হোসেন, আমাতুস সালাম শিরিন, হাজেরা বেগম, উম্মে হাবিবা, এবং রাবেয়া আক্তার।
বক্তারা বলেন, ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড
কলেজের ৩৭ টি ব্যাচের তাইমিয়ান্সদের অংশগ্রহনে গ্র্যান্ড রি-ইউনিয়নের মাধ্যমে প্রাক্তন
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের সেতুবন্ধন তৈরি হবে। এতে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের
ইতিহাস-ঐতিহ্য দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে উপস্থিত
তাইমিয়ান্স সদস্য ও মডারেটরগণ একটি সফল অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রেজিষ্ট্রেশন
ওয়েবসাইট এবং মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে অনুস্থানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন
এম এ হান্নান, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
সোমবার রাত ৩টায় এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতাবাজারসংলগ্ন আজাহার মাঝির বাড়িতে।
নিহত যুবকের নাম মনির বয়াতি।
নিহত মনির বয়াতি ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের বাতিরখাল এলাকার বাসিন্দা। আহত একজন হলো ফিরোজ ও অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন, লমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল আলম।
পুলিশ সূত্র জানায়, জনতাবাজারসংলগ্ন আজাহার মাঝির বাড়িতে সোমবার রাত ৩টার দিকে মনির বয়াতি ও ফিরোজ বোমা তৈরির সময় তা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মনির বয়াতি, ফিরোজসহ আরও একজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পথে মনির বয়াতি মারা যান। আহত দুই যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ওসি মাহাবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের দাপট। বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম জেলা। কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অপর দিকে ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত উপেক্ষা করে বাড়ী থেকে বের হলেও কাজ পাচ্ছে না অনেকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। এ সময় উওরীয় হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ - শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মিরাজুল বলেন, এই ঠান্ডায় বাইরে কাজ করতে যাচ্ছি। খুবই সমস্যা হচ্ছে,দুদিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছি। শীতকালে ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় সংসার চালানোয় মুসকিল হয়েছে। অভাবের সংসার, ছেলেদের গরমের কাপড় কিনবো তাও পারছি না।
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান বলেন, ধরলা নদী বেষ্টিত এই ইউনিয়ন। এখানকার মানুষ বেশীরভাগ দিনমজুর। এখানে এ যাবত সরকারিভাবে ৩১০ টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৫ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে হারুন অর রশিদ (৩৬) নামে এক শিক্ষককে অপহরণ করে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার শ্বশুরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে র্যাব-৪, সিপিসি- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান ঘটনাটির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: শাহজাদপুর থানার বড়মহারাজপুর গ্রামের তার শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, একই জেলার মো. ইদ্রিস মোল্লা (৪০) ও মো. মুকুল মোল্লা (৪৬)।
হত্যার শিকার হারুন অর রশিদ শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের গাজী মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।পাবনার আমিনপুর থানাধীন রতনগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন হত্যার শিকার হারুন অর রশিদ।
র্যাব-৪ জানায়, দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী রেখা খাতুন পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় তালাক দেন শিক্ষক হারুন অর রশিদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলার বড় মহারাজপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ এর শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, চাচা শ্বশুর দুলাল মোল্লা ও ইউপি সদস্য হাশেমের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দিন নিহতের বাবা গাজী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-৪, সিপিসি- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, শিক্ষক হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে হত্যার পর আসামিরা পলাতক ছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির সময় গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে আশুলিয়ার ডেইরি গেট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা হতে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক সর্বমোট ১,৭৪,৬৫০/- (এক লক্ষ চুয়াত্তর হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা মূল্যের ভারতীয় গাঁজা জব্দ।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত চোরাচালানী ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১২: ৪৫ ঘটিকায় যশপুর বিওপি’র আওতাধীন লক্ষীপুর পোষ্টের বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল কর্তৃক সীমান্ত শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বলের ডেবা নামক স্থান হতে মালিক বিহীন অবস্থায় অবৈধ ৪৯.৯০০ কেজি ভারতীয় গাঁজা জব্দ করা হয়। যার সর্বমোট মূল্য- ১,৭৪,৬৫০/- (এক লক্ষ চুয়াত্তর হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবদল নেতাসহ তিনজনের।
গতকাল
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার আদর্শ সদর,দেবিদ্বার
ও বুড়িচং উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
দলীয়
কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় আদর্শ সদর উপজেলার রত্নবতী
এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন কুমিল্লা সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক
মো. কবীর হোসেন (৪৮)। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায়
ঢাকায় নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা
যান।
তার
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল
ইসলাম।
অপরদিকে,
মোটরবাইকে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বুড়িচং উপজেলার
শংকুচাইল এলাকায় ছিটকে পড়ে নিহত হন হ্যাপি ভৌমিক (৪৫) নামে এক নারী।
স্বজনরা জানান, ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে কালভার্টে উঠতে গিয়ে তিনি মোটরবাইক থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে নগরীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে,
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক
মহাসড়কে ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন সিএনজিচালক মনির
হোসেন (৩৯)।মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে মীরপুর হাইওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, ঘাতক ট্রাকটি জব্দ
করা হয়, চালক পালিয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজশাহীর কাটাখালী এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং ‘জনি বাহিনী’র প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করেছে র্যাব। রাজশাহীর ভয়ংকর কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত জনি বাহিনী।
শনিবার (৮ জুন) দিনগত রাতে জনি বাহিনীর ৯ জনকে আটক করা হয় কাটাখালীর শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া থেকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো চাকু ও ৩টি টিপ চাকু উদ্ধার করেছেন র্যাব।
র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের ৯ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো: জনি বাহিনীর প্রধান জনি ইসলাম (২৩), আবদুল মান্নান খাঁ (২০), আবু হানিফ (১৯), কুরমান আরী (২২), মাসুম আলী (২৭), মো. সাগর (২০), টিপু সুলতান (২০), নুরমান ইসলাম (২০) ও সুজন আলী (৩০)।
রোববার দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটককৃতরা চাঁদাবাজি, জমিদখল ও ভাড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। এলাকায় তারা ‘জনি গ্যাং’ বা ‘জনি বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত। অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে বাহিনীর প্রধান জনির বিরুদ্ধে।
র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জনি বাহিনীর সদস্যরা শনিবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় খবর পেয়ে জনি বাহিনী’র প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যায় র্যাব।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার দুপুরে তাদের কাটাখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃতদের নামে মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মাদারীপুরের শিবচরে নিজ ক্লিনিকের নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আপেল মাহমুদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চান মিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিতেন। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সেদিন বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে আপেল মাহমুদ জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান।
সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ। এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী পরিবার।
আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার এসআই রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক আপেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়
শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ (পিপিএম) বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আপেল মাহমুদের নামে এর আগেও শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলায় রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন