"মাদককে না বলি, মাদক ছেড়ে খেলা ধরি" এই মূল প্রতিপাদ্যে যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার উদ্যোগে কুমিল্লার মুরাদনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈষম্য বিরোধী শহীদদের স্মরণে টিভি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
গতকাল বিকেলে মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভূইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে খেলা শেষে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ তৌফিক আহামেদ মীর। বক্তব্য রাখেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক শাহআলম সরকার, ২নং আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল শিমুল, এডভোকেট আলী আশরাফ তাজু, ব্যবসায়ী আব্দুস ছাত্তারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
টুর্নামেন্টে ৬ জন শহীদের নামানুসারে ৬টি দল অংশগ্রহণ করে। ফাইনালে শহীদ শাকিল পারভেজ একাদশ ও শহীদ হোসাইন একাদশের মধ্যকার খেলায় নির্ধারিত সময়ে গোল শূন ড্র হয়। পরে ট্রাইব্রেকারে শহীদ শাকিল পারভেজ বিজয়ী এবং শহীদ হোসাইন একাদশ রানারআপ হয়।
খেলায় অংশগ্রহণ করা অন্য দলগুলো হলো শহীদ আবু সাইদ একাদশ, শহীদ ফয়সাল একাদশ, শহীদ হোসাইন একাদশ ও শহীদ শাকিল পারভেজ একাদশ।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলিতে নিহত কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ১১জন শহীদের বাড়ি বাড়ি যান কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় তিনি প্রথমে উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের নিহত কাদির হোসেন সোহাগের বাড়িতে যান। ওখানে সোহাগের মা ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। পরে গত ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের চিটাগং রোডে পুলিশের গুলিতে নিহত ১০ বছরের শিশু মোঃ হোসাইন গ্রামের বাড়ি উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন। সেখান থেকে এক এক করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে দেবিদ্বার উপজেলার ১১ নিহতদের বাড়িতে যান হাসনাত আবদুল্লাহ এবং তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেন।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহদুপুরে যান দেবিদ্বার সদরে গুলিতে নিহত সেচ্ছাসেবকদল নেতা রুবেল মিয়ার বাড়িতে। সেখানে নিহত রুবেলের নবজাতক সন্তানকে কোলে তুলে নেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দেবিদ্বারে আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী নাজমুল হাসান নাহিদ, মুক্তাদির জারিফ সিক্ত, শরীফ আল বান্না, সাজেদুল রাসেদ রাফসান, সিয়াম ইসলাম ও ডাঃ আল আমিন সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত লার্নিং সেশনে উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিজেএ সাউদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক।
লার্নিং সেশনের শুরুতে সভাপতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার বর্তমান ও অতীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে অবহিত করেন। সিজিএম মাদক মামলার জব্দ তালিকা প্রস্তুত, সাক্ষী গ্রহণ ও স্বাক্ষ্য প্রদান এবং বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক ও মাদকের ক্ষতিকর দিক লেখা সম্বলিত বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ লিটন মিয়া (৪৫) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯ টায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটককৃত লিটন মিয়া (৪৫) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের সিতুলিয়া এলাকার মো: আবদুল হাকিমের ছেলে।
অভিযান পরিচালনাকালে ৫২.৫ কেজি গাজা, ২০০ পিস ফেনসিডিল বোতল জব্দ করা হয়েছে।
আসামি এবং মাদকদ্রব্যসমূহ উক্ত ব্যক্তিকে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সোমবার (২ জুন) আলেখারচরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ অভিযান
পরিচালিত হয়েছে।
দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে এলাকায় অবৈধ যান চলাচল রোধে কার্যকর তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানকালে মোট ১টি সিএনজি, ১টি পিকআপ ও ৪টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এবং নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট
২২,৫০০ (বাইশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া ১টি মোটরসাইকেল ও ১টি পিকআপ জব্দ করে হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর
করা হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী
ও পুলিশের এই যৌথ তৎপরতা এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা তৈরি করেছে। স্থানীয়রা
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলমান রাখার আহ্বান
জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংয়ের এক তরুণীর সঙ্গে কুমিল্লার
নাঙ্গলকোটের আরিম নামে এক তরুণের ৬ মাস আগে রং নাম্বারে পরিচয় হয় । তারপর ঢাকায় বিয়ে
করে।
এরপর স্ত্রীকে নিয়ে আরিফ কুমিল্লার
নাঙ্গলকোটে তার গ্রামের বাড়িতে আসলে পরিবার এ বিয়ে মানতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বাড়ি
থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে রেলস্টেশনে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী আরিফ। স্ত্রীর দাবি নিয়ে
সেই তরুণী এখন অনশন করছে স্বামীর বাড়িতে।
প্রেমিক আরিফ (২১) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট
উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাউল গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী জানান,
৬ মাস আগে রং নম্বরে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের দেখা হয়। তারপর প্রেম। আরিফের
সঙ্গে তার বাড়িতে যান তিনি। কিন্তু আরিফের বাবা তাদের দুজনকে বের করে দেয়। এরপর প্রেমিক
তাকে নিয়ে রেলস্টেশনে যায়। সেখানে রেখে পালিয়ে যায় আরিফ। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে
অনশনে বসেছেন তিনি। স্ত্রীর অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।
আরিফের মা সেলিনা বেগম জানান, মেয়েটি
যদি বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন তারা।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী
বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন তেলিকোনা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী শাহীন নামক একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন
কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী শাহীন (৬০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার গাজীপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত
সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে
কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে
বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত
থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে
জখম করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর)
রাতে উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা
মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর)
সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম বাবুল
মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। বাবুলের
আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই
বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে
অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ির
লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার
একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের
সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল
মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর,
রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
তারা অপর পক্ষের ওপর
হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে
গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে
ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার
করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি
হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির
হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬১০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে ধ্বংস করা হয়েছে শতবর্ষী ২টি পুকুর ও ২২ একর প্রাকৃতিক জলাশয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও পলাতক, হত্যা মামলার আসামী আবু জাহের রাতের আঁধারে গোমতী নদীর মাটি কেটে এই জলাধার ও পুকুর ভরাট করেন—যা পরিবেশ আইন ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
আইনের অপমান
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, খাল, নদী কিংবা প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু কারাগারের অভ্যন্তরের পুকুরসহ ২২ একর জলাশয় বুলডোজারের নিচে চাপা পড়েছে নিরব প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে।
ঐতিহাসিক জলাধার, আজ শুধু স্মৃতি
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬৭ একর জমির মধ্যে দুটি পুকুর ও একটি ২২ একরের বিশাল জলাশয় রয়েছে। একসময় এ জলাশয়ে হাজারো অতিথি পাখির সমাগম হতো। পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছিল। এসব পুকুরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দও গোসল করেছিলেন—স্মৃতি হিসেবে সেই ছবিও সংরক্ষিত আছে।
কিন্তু এখন সেই পুকুরগুলোর দুটি সম্পূর্ণভাবে ভরাট, অপরটি আংশিকভাবে ভরাটের প্রক্রিয়ায়। আর বিশাল জলাশয়টি রাতারাতি মাটি ফেলে সমতল করা হয়েছে।সেখানে গড়ে উঠেছে দশতলা চারটি ভবন।
ক্ষমতার ছত্রছায়ায় কাজ
সূত্র মতে, কারাগারের এই উন্নয়ন কাজটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাব খাটিয়ে সাবেক এমপি আবু জাহের ও তার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জলাধার ভরাটের ঠিকাদার ছিলেন আবু জাহের নিজেই। অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের অধিকাংশ অর্থাৎ কোটি কোটি টাকার কাজ তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখলে রেখেছেন।অধিকাংশ কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর নির্লিপ্ত?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুসাব্বির হোসেন মোহাম্মদ রাজিব জানান, “আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ পর্যন্ত গিয়েছে। কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত আছে, তবে তারা আমাদের অনুমতি না নিয়েই জলাশয় ভরাট করেছে।”
গণপূর্ত বিভাগ দায় এড়ালো
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্পটি তাদের তত্ত্বাবধানে হলেও জলাধার ভরাটের বিষয়ে তিনি বলেন,খতিয়ান নাল জমি উল্লেখ আছে। “পুকুর ভরাটের জায়গার কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে, তবে কারা কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।”
কর্তৃপক্ষের নীরবতা
সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে রিজার্ভ গার্ডের প্রধান কারারক্ষী জানান, তিনি ব্যস্ত। পরে তাঁর সরকারি নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একইভাবে জেলার আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নম্বরেও যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি।
এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষার দাবিতে পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।
কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মায়ের অভিযোগে তানভির হাসান হৃদয় (২৯) নামে এক মাদকসেবীকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ শত টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (৭ অক্টোবর ) দুপুরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারহানা পৃথা তাকে কারাদন্ড দেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাইঘর গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে তানভির হাসান হৃদয় মাদক খেয়ে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় পিতা-মাতা ও ভাইকে মারধর করে এবং বিরক্তকর আচরণ করায় তাকে হাতেনাতে আটক করে।
এসময় তার মা রাশেদা বেগম উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারহানা পৃথা উপস্থিত হয়ে মাতাল তানভির হাসান হৃদয়কে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ২শত টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন