

মো: মিজানুর রহমান মিনু :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩০০ গ্রাম গাঁজা ও ১২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মো: সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সোনা মিয়া (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত সাইফুল উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের ঝিকড্ডা পশ্চিম পাড়ার মৃত এন্তু মিয়ার ছেলে।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মো: শরীফুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মো: জাকির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ রোববার বিকাল সাড়ে তিনটায় উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের ঝিকড্ডা পশ্চিম পাড়া এলাকায় সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সোনা মিয়ার বাড়ীতে তার টিনশেড বসতঘরে অভিযান চালিয়ে পেপারে মোড়ানো ৩০টি গাঁজার রোল (ওজন ৩০০ গ্রাম) ও নীল রঙের বায়ুনিরোধক পলিপ্যাকে সংরক্ষিত ১২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, রোববার বিকালে থানা পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
১৯৬ বোতল ফেন্সিডিল’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন বলদাখাল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ আব্দুল সালাম (২৮) নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৯৬ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল সালাম (২৮) খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার নাজিরহাট গ্রামের দুলাল হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের
নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২৮.৫ কেজি গাঁজাসহ তিনজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (১৪ নভেম্বর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি মডেল থানাধীন বলদাখাল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী ১। মোঃ সুয়েল রানা (২৭); ২। মোঃ সোহেল রানা (২০) এবং ৩। মোঃ সোহেল রানা (২৬) নামের তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২৮.৫ কেজি গাঁজা ও মাদকদ্রব্য পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ সুয়েল রানা (২৭) পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার উত্তর বগুড়া পাড়া গ্রামের মোঃ জমিনুল ইসলাম টুটুল এর ছেলে, ২। মোঃ সোহেল রানা (২০) একই জেলার তেতুলিয়া থানার আজিজ নগর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে এবং ৩। মোঃ সোহেল রানা (২৬) একই জেলার বোদা থানার বৈরাতি গ্রামের মৃত সোলাইমান আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মিনি ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
১০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর)
বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বাঁশমঙ্গল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত
অভিযানে আসামী ১। মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এবং ২। মোঃ পাভেল আহমেদ ফয়সাল নামের দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (১৯) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার ধর্মপুর গ্রামের মোঃ
হালিম মিয়া এর ছেলে এবং ২। মোঃ পাভেল আহমেদ ফয়সাল (২৪) একই গ্রামের শাহিন মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত অটোরিক্সা ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ সাব্বির
হোসেন সহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় পাসপোর্ট,
পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লীপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ সর্বমোট
১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে কাছ থেকে ৪ টি
পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২,৬০০ টাকা সহ পাসপোর্ট
সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ হলোঃ-
১। মোঃ সাব্বির
হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-হাড়াতলী, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২। মোঃ সাফি মাহমুদ
(২৮), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ সুজন
(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-ছোটরা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৪। তানজিদ হাসান
(৩০), পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শিকারপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৫। মোঃ জয়নাল
আবেদীন (৫৩), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৬। মোঃ ইমরুল
হক (৩২), পিতা-মোঃ মঞ্জুরুল হক, সাং-মোনসেফ বাড়ী, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৭। মোঃ আলী (২৭),
পিতা-সুলতান আহমেদ, সাং-মোহনপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা।
৮। মোঃ শাহাদাত
হোসেন প্রিন্স (২৮), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন রোমান, সাং-নতুন চৌধুরী পাড়া, থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৯। মোশারফ হোসেন
সাকিব (২০), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১০। মোঃ রনি
(২৩), পিতা-মোঃ রুক মিয়া, সাং-শংকরপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১১। ফয়সাল আহমেদ
ইমন (২১), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-রাজাপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১২। জহির আহম্মেদ
(২৬), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-দক্ষিণ ধনপুর, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
১৩। পারভেজ (২২),
পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বরহাতুয়া, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা।
১৪। সিয়ামুল ইসলাম
সৈকত (২০), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং-মানিকারচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান,
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে
সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
মূলতঃ তারা ৩টি গ্রুপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে
পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের
অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী
স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী
করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট
অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল।
উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানেন চান্দিনা থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মো. অহিদ উল্যাহ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সহকর্মীরা তাকে দিয়েছেন রাজকীয় বিদায়। মো. অহিদ উল্যাহকে থানা থেকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দিনা থানায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মো. অহিদ উল্যাহ কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৩ সালে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপপরিদর্শক পদ লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকরিজীবনের সায়াহ্নে এসে নিজের পার্শ্ববর্তী থানা চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন।
সহকর্মীদের এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে অহিদ উল্যাহ জানান, বাংলাদেশ পুলিশে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। এই ইউনিফরম আমার পরিচয়, আর মানুষের সেবা ছিল আমার অঙ্গীকার। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মান আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
বিদায় অনুষ্ঠানে ওসি জাবেদুল ইসলাম জানায়, মো. অহিদ উল্যাহ একজন সৎ ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার পেশাদারি এবং সদাচরণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দক্ষিণে বন্যাকবলিত এলাকার বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ফুরিয়ে আসছে ।
আর উঁচু জায়গার বাজারগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে শুকনো খাবারের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এতে টান পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ প্রায় সব পণ্যের। বন্যার কারণে সরবরাহ ঠিকমতো নেই। সে কারণে বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বললেই চলে।
এছাড়াও জরুরি ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। যার কারণে দূর-দূরান্তের বাজারগুলো থেকে চড়া দামে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক এবং সাধারণ মানুষদের।
চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামের আবুল বাশার জানান, এ উপজেলা ফেনী লাগোয়া। কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত এলাকা চৌদ্দগ্রাম। এখনো ৮০ শতাংশ গ্রাম পানির নিচে। ফেনীর উত্তরাংশ লাগোয়া অনেক গ্রামে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের জীবন কীভাবে চলছে বোঝা যাচ্ছে না। ওইসব এলাকার বাজারগুলোও পানির নিচে। টাকা থাকলেও তারা আজ অসহায়।
নাঙ্গলকোটের করপাতি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, কোনো বাজারেই খাবার নেই। অনেক দূরে লাকসাম বাজারে গিয়ে শুকনো খাবার সংগ্রহ করছি। সেখানেও চড়া দাম। নাঙ্গলকোটের অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। প্রবাসী ও স্থানীয় পেশাজীবীরা সহযোগিতা করছেন। এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি। বাজারেও পণ্য না থাকলে এভাবে আর চালিয়ে নেওয়া যাবে না।
এ উপজেলার আইটপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেন বলেন, শহরের কাছাকাছি এলাকায় মানুষ যথেষ্ট ত্রাণ পাচ্ছেন। আমাদের এলাকা দূরবর্তী হওয়ায় বাইরে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের অনেক অনেক ত্রাণ দরকার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও মনোহরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটারের মতো পানি কমেছে ওইসব এলাকায়। অপরদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বুড়িচংয়ের পর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। গোমতীর পানি ঢুকছে দেবিদ্বার উপজেলাতেও।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা
আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় আজ সকালে স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
এ
সময় তিনি বলেন ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট এই স্থানেই ছাত্র-জনতার উপর নির্মম হামলা চালানো
হয়েছিল। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এখানে স্থাপিত হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’। এতে প্রতিটি শহীদের নাম
যুক্ত থাকবে। এছাড়াও যেসব এলাকায় শহীদরা নিহত হয়েছেন,সেসব স্থানে নির্মাণ করা হবে
‘রোড মেমোরি স্ট্যান্ড’।”
জেলা
প্রশাসক জানান, প্রতিবছর ৫ আগস্ট স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ শ্রদ্ধা
নিবেদনের আয়োজন করা হবে।
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ নাজির আহমদ খান, মহানগর বিএনপির সভাপতি
উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম, সিভিল
সার্জন ডা. মোঃ আলী নূর মোহাম্মদ বশির, এনসিপি নেতা মাছুমুল বারী কাউসার,উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহানসহ জেলা প্রশাসনের
বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি
সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক আল আমিন। দোয়া পরিচালনা
করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আইসিটি মাস্টার ট্রেইনার আব্দুল্লাহ নোমান।
শহীদদের
স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভ কুমিল্লার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে, এমনটিই
প্রত্যাশা সকলের।
মন্তব্য করুন


দেশ ও জাতি গঠনে সুস্থ রাজনৈতিক বিকাশ অপরিহার্য— এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণার দাবীতে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো সুধীজনের মতবিনিময় সভা।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটে এ সভার আয়োজন করে সচেতন রাজনৈতিক ফোরাম, কুমিল্লা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ড. শাহ মোঃ সেলিম।
সভায় বক্তারা বলেন— ঐতিহাসিক, ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কুমিল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই কুমিল্লাকে প্রশাসনিক কাঠামোয় বঞ্চিত রাখা হয়েছে। তাই অবিলম্বে কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার দাবি জানান তাঁরা।
এসময় কুমিল্লার উন্নয়ন ও নাগরিক স্বার্থে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা।
বক্তাদের মধ্যে ছিলেন: ২৪’ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং এনসিপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সমবায়ী ও সমবায় ব্যাংকের সভাপতি সিরাজুল হক, ড. আলী হোসেন চৌধুরী— নজরুল গবেষক ও সাহিত্যিক, সাহিত্যিক ও ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল, সাবেক সভাপতি কুমিল্লা প্রেসক্লাব, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল হাসনাত বাবুল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন— বদরুল হুদা জেনুয়া, সাইদুল রহমান তামান্না, লায়ন শেখ ফরিদ উদ্দিন, লায়ন মাহবুব আলম ইকবাল, এনামুল হক বাবলু, সাজ্জাদুর কবীর, নিখিল রায়, আবুল কাশেম, কাজী শারমিন আক্তার— শহীদ সাদমানের মাতা, মিয়া মোঃ তৌফিক, জুনায়েদ রায়হান, রাসেল খান, খায়রুল আনাম রায়হান এবং শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়নে একাত্মতা ঘোষণা করেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং ফেনী জেলার প্রতিনিধিবৃন্দ।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন— “বঞ্চিত কুমিল্লার অধিকার আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কুমিল্লার ঐতিহাসিক মর্যাদা রক্ষায় কুমিল্লা নামেই বিভাগ ঘোষণা করতে হবে।”
সভায় মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সচেতনতার সমন্বয়ে কুমিল্লাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১২৫০ পিস ইয়াবা’সহ একজন মহিলা
মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী কহিনুর
বেগম নামের একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামী কহিনুর বেগম (৪৫) কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানার গোমতী নদীর চর গ্রামের নজরুল ইসলাম এর স্ত্রী।
র্যাব জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে
আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা
সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে
বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত
থাকবে। আটককৃত মহিলা আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
শিশু পরিবারের বাচ্চাদের সাথে নিয়ে ফল উৎসব ও এক সাবেক নিবাসীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন করছে রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া, দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি।
বুধবার বিকেলে নগরীর সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারে ফল উৎসব ও সেলাই মেশিন বিতরন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক শরফুন নাহার মনি, রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার সাবেক সভাপতি রোটারিয়ান শাহ জাবেদুল হক সাগর, রোটারিয়ান আবদুল্লাহীল বাকী, রোটারিয়ান মাহফুজুর রহমান বাবুল, পরিচালক রোটারিয়ান মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী,
সাংবাদিক আরিফুর রহমান মজুমদার, মাইনুল হক স্বপন, শিক্ষিকা রোজি বেগম, আম্বিয়া খাতুনসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, সঙ্গীতা দে, উখি মারমা ও ওয়াইনু মারমা।
এ সময় আম, আমড়া, মালটা, আখ, আমলকী, জাম্বুরা ফল দিয়ে শিশুদের আপ্যায়ন করা হয়।
ফল উৎসব আয়োজনের জন্য শিশু পরিবারের সদস্যরা আয়োজক প্রতিষ্ঠান রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া, দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি এর সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক শরফুন্নাহার মনি বলেন, শিশু পরিবারে প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌসুমী ফল খাওয়া হলেও এক সাথে এত ফল খাওয়ানো হয় না। এক সাথে এত ফল খাওয়ানো বাচ্চাদের জন্য ব্যতিক্রম। ফলের পাশাপাশি সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে বাচ্চাদের আলাদা আনন্দ দান করেছে।
রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার পরিচালক মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী, পরিচালক বলেন, বাচ্চাদের পুষ্ঠির কথা চিন্তা করে ফল উৎসবের আয়োজন। পাশাপাশি একজন অসহায় পরিবারের আয়ের উৎস তৈরীতে সহায়তা করার জন্য সেলাই মেশিন বিতরন করা।
মন্তব্য করুন