

দেশ ও জাতি গঠনে সুস্থ রাজনৈতিক বিকাশ অপরিহার্য— এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণার দাবীতে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো সুধীজনের মতবিনিময় সভা।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটে এ সভার আয়োজন করে সচেতন রাজনৈতিক ফোরাম, কুমিল্লা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ড. শাহ মোঃ সেলিম।
সভায় বক্তারা বলেন— ঐতিহাসিক, ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কুমিল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই কুমিল্লাকে প্রশাসনিক কাঠামোয় বঞ্চিত রাখা হয়েছে। তাই অবিলম্বে কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার দাবি জানান তাঁরা।
এসময় কুমিল্লার উন্নয়ন ও নাগরিক স্বার্থে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা।
বক্তাদের মধ্যে ছিলেন: ২৪’ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং এনসিপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সমবায়ী ও সমবায় ব্যাংকের সভাপতি সিরাজুল হক, ড. আলী হোসেন চৌধুরী— নজরুল গবেষক ও সাহিত্যিক, সাহিত্যিক ও ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল, সাবেক সভাপতি কুমিল্লা প্রেসক্লাব, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল হাসনাত বাবুল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন— বদরুল হুদা জেনুয়া, সাইদুল রহমান তামান্না, লায়ন শেখ ফরিদ উদ্দিন, লায়ন মাহবুব আলম ইকবাল, এনামুল হক বাবলু, সাজ্জাদুর কবীর, নিখিল রায়, আবুল কাশেম, কাজী শারমিন আক্তার— শহীদ সাদমানের মাতা, মিয়া মোঃ তৌফিক, জুনায়েদ রায়হান, রাসেল খান, খায়রুল আনাম রায়হান এবং শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়নে একাত্মতা ঘোষণা করেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং ফেনী জেলার প্রতিনিধিবৃন্দ।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন— “বঞ্চিত কুমিল্লার অধিকার আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কুমিল্লার ঐতিহাসিক মর্যাদা রক্ষায় কুমিল্লা নামেই বিভাগ ঘোষণা করতে হবে।”
সভায় মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সচেতনতার সমন্বয়ে কুমিল্লাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন


সারাদেশের মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধীনে ৬ জেলার কলেজগুলোতে আজ রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) পরীক্ষা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে,
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়
৬ টি জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী
৪৮ হাজার ৪৭১ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী ৬৪ হাজার ৮১৯ জন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলেদের
তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৪৮ জন বেশি।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,
চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪৩২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায়
অংশগ্রহন করেছেন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, বোর্ডে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর
সংখ্যা কুমিল্লা জেলায়। এখানে ১৬৩টি কলেজের ৩৯ হাজার ৪৯২ জন। নোয়াখালী জেলায় ৫৫টি কলেজের
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯হাজার ৭৮৯ জন, ফেনী জেলায় ৪২ কলেজের ১১ হাজার ৮০ জন, লক্ষ্মীপুর
জেলায় ৪০টি কলেজের ১১ হাজার ৩৪৮ জন, চাঁদপুর জেলায় ৬৭টি কলেজের ১৬ হাজার ২৩২ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলায় ৬৫টি কলেজের ১৫ হাজার ৩৫৯ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় এই তিন বিভাগের মধ্যে মানবিকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক
পরীক্ষার্থী এবার অংশ নিচ্ছেন। মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৪ জন,
বিজ্ঞান বিভাগে ২৮ হাজার ৯২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২ হাজার ৭৪৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬ জেলায়
ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষক যারাই কোনো অনিয়মের সঙ্গে
জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, নানা সামাজিকও আর্থিক
কারণে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এবং ছেলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। বিশেষ করে এখন ছেলেরা
কম বয়সেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আবার অনেকে বিদেশ চলে
যাচ্ছে। আর এসব কারণেই মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে অস্ত্র সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নগরীর টাউনহল মাঠের ভিতর পূর্ব পাশে
দেশীয় অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করে, জনমনে আতংকিত করে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করে। উক্ত
সংবাদ কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল উল্লাহ মোবাইল ফোনে জানালে
থানা এলাকায় ডিউটিরত মোবাইল-১ পার্টি এবং কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ
অফিসার ও ফোর্সসহ ৯ জানুয়ারী রাত ৪ টা ৪০ মিনিটে কোতয়ালী মডেল থানাধীন কান্দিরপাড়
সাকিনস্থ টাউন হল মাঠের ভিতর পূর্ব পার্শ্বে পৌছামাত্র আসামীগন পুলিশের উপস্থিতি টের
পেয়ে পালাইয়া যাওয়ার চেষ্টার সময় তাদেরকে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ শরীফ
(২০), পিতা-আব্দুর সামাদ, মাতা-মোসাঃ জোসনা বেগম, সাং-শাসনগাছা, ২। মোঃ ফরহাদ হোসেন
(২০), পিতা মৃত-দুলাল মিয়া, মাতা মৃত-রওশন আরা, সাং-রামপুর, ৩। জসিম উদ্দিন (২০),
পিতা-মোঃ সুরুজ মিয়া, মাতা- মোসাঃ খুরশিদা বেগম, সাং- নিশ্চিন্তপুর, ৪। মোঃ আকাশ
(২০), পিতা-কামাল হোসেন, মাতা- মোসাঃ রহিমা বেগম, সাং-অশোকতলা, ৫। মোঃ রবিউল (২১),
পিতা মৃত আব্দুল করিম, মাতা-আমেনা বেগম, সাং-অরন্যপুর, সর্ব থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা,
৬। মোঃ সবুজ আলী (২১), পিতা-রেসু মিয়া, সাং-ছালিয়াকান্দি, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা,
৭। মোঃ বাবু সওদাগর (২৫), পিতা মৃত-মহন সওদাগর, মাতা- মোসাঃ চায়না, সাং-মদন গোপাল
আঙ্গিনা, থানা-মধুপুর, জেলা-টাঙ্গাইল।
জব্দকৃত অস্ত্রগুলো হচ্ছে- ২ টি চাকু,
২ টি হাসুয়া,ষ্টীলের তৈরী মাথায় লোহার করাত, ১ টি কাচি, ৩টি মোবাইল ফোনের বেক কাভার,
মানিব্যাগ,১ টি রেঞ্জ, পেপার কাটার।
আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায়
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে জেলা সিভিল সার্জন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য দেন জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার নাছিমা আকতার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মেহেদী হাসান, সারভিল্যান্স ইমিউনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবিজা ইয়াসমিন, ইউনিসেফ এর ডাক্তার ব্যার্ণাজী সুলতানাসহ অন্যরা।
সভায় সিভিল সার্জন বলেন, জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ জেলার ১৭টি উপজেলায় তিন লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ জনকে সরকারের উদ্যোগে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুলগামী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪০জন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ হাজার ৩২৭জন কিশোরীকে বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হবে। পাঁচ হাজার ২১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নয় হাজার ৯৪২টি কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২১নং ওয়ার্ড শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা মহানগর কৃষকদল এর আহ্বায়ক কে.এম শাহীনুর হোসাইন শাহীন। তিনি বই বিতরণ উৎসবটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান এবং ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ শোয়েব আহমেদ জুয়েল, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আক্তার হোসেন ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী। এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ এলাকার স্বনামধন্য আরও ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় কোনো ঘুষ, তদবির বা হয়রানি ছাড়াই ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে ৪৭ জনের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (৩১ আগস্ট ) কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৭ জন সবাই এ পুরুষ । এদের মধ্যে ৪৫ জন সাধারণ কোটায় ও ১ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিকেলে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সের শহীদ আরআই এবিএম আবদুল হালিম মিনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উত্তীর্ণদের বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ মো.গাউছাল আজম এবং চাঁদপুর হাজীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সার্কেল) মুকুল চাকমা সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ঘুষ ছাড়া নিয়োগ দেওয়া সম্ভব, আমরা সেটিই প্রমাণ করেছি। এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা সবাই মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, তারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
চলতি বছরের জুন মাসে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স মাঠে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মোট আবেদন পড়ে ১ হাজার ৮৯১টি। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৬৩৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪৭ জন। এর মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন ৭৫ জন।
এ বিষয়ে চাকরি পাওয়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণের এমরান হোসেন নামে এক তরুণ বলেন, ‘কোনো টাকা লাগে নাই, কেউ চায়ও নাই।দালালের খপ্পরে ও পড়ি নাই।আমার বাবা একজন সিএনজি চালক।বাবা-মায়ের দোয়ায় আমার স্বপ্ন ছিলো দেশের সেবা করার জন্য আল্লাহ আমার ডাক কবুল করেছে।
মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ বদলাচ্ছে।’
নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সজিব বলেন, ‘এখন বিশ্বাস হচ্ছে, যোগ্যতা থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে সবাই অবাক!’
চাকুরি পাওয়া এমরান হোসেনের পিতা সদর দক্ষিণ রামপুর গ্রামের সিএনজিচালক মো.এরশাদ মিয়া বলেন, ‘ছেলের চাকরির জন্য বাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবছিলাম। আল্লাহর রহমতে কিছুই লাগেনি, শুধু পরিশ্রম আর প্রার্থনা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া করিম ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক মিলে করিম ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার আমলী আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন চার ঘাতক।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের একমাস পাঁচদিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার (৪৮) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রীবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
গ্রেপ্তারদের জবানবন্দী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট রাতে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেন শ্যালক ইসরাফিল। সেখানে প্রথমে তিন ভাই মিলে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এ সময় তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্ত্রী তাছলিমা সেই রক্ত মুছে ফেলেন। পরে বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় প্রথমে মরদেহ বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয়। সকালে মরদেহ ভেসে উঠলে আবারও স্ত্রী এবং ভাইয়েরা মিলে খাল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে বড় ভাইয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, স্ত্রী তাছলিমার পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে ভালো ব্যবহার করে ডেকে নিয়ে তিন ভাইসহ চারজনে মিলে করিম ভূঁইয়াকে হত্যা করে। নিহতের ভাই আমির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। পরে সন্দেহভাজন আসামিদের ওপর নজরদারি ও গ্রেপ্তারের ভিত্তিতেই মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। নিহত করিম ভুইয়া প্রায় স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতেন। এতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর
বিশেষ টহলদল চোরাচালান বিরোধী আভিযান পরিচালনা করে ৩০ বোতল ভারতীয়
মদ সহ তিনজন বাংলাদেশী মাদক চোরাকারবারীকে আটক করে।
আজ (৭ অক্টোবর) ১২:৩০ মিনিটে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের বিশেষ টহল দল দায়িত্বপূর্ণ এলাকা কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী সদর উপজেলাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বারাইপুর নামক স্থানে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল কর্তৃক ভারত হতে বাংলাদেশে পাচারের সময় ভারতীয় ৩০ বোতল মদসহ ৩ জন বাংলাদেশী মাদক চোরাকারবারী মোঃ আবুল কাসেম, (৬৫) মোঃ তুহিন মিয়া, (২২) মোঃ সাইফুল ইসলাম (২০) আটক করে।
স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা যায়, উক্ত মাদক চোরাকারবারীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ এই এলাকায় অবৈধ মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল।
উল্লেখ্য, আটককৃত ৩ (তিন) জন বাংলাদেশী মাদক চোরাকারবারীদ্বয়কে গোলাবাড়ী পোষ্ট কর্তৃক কোতয়ালী মডেল থানা, কুমিল্লায় হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
আদর্শ সদর উপজেলায় বিভিন্ন বেকারি ও খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই-এর
অভিযানকালে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ
বুধবার দুপুর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা
প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আক্তার শিফা, সালমান ফার্সি
এবং মো. আনিসুল হক।
এ
সময় বিএসটিআই কুমিল্লার মাঠ কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মদ, পরিদর্শক (মেট) আরিফ উদ্দিন প্রিয়,
পরীক্ষক (রসায়ন) মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লায়
বিএসটিআই-এর উপ-পরিচালক কে এম হানিফ জানান, মানসনদ গ্রহণ ব্যতীত পণ্যের মোড়কে স্ট্যান্ডার্ড
মার্ক (মান চিহ্ন) ব্যবহার, বিস্কুট, পাউরুটি ও কেক পণ্য উৎপাদন এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর
তথ্য প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নগরীর দেশয়ালিপট্টির মেসার্স বিক্রমপুর শশী ভান্ডারকে
২৫ হাজার টাকা, বিক্রমপুর ঘি স্টোরকে দুই হাজার টাকা এবং রাজগঞ্জ বাজার এলাকার মেসার্স
নিউ প্রিমিয়াম সুইটসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন


সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আবাসিক/ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ/লোড বৃদ্ধির সংযোগ বন্ধ রয়েছে বলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবাসিকে/বাসা বাড়িতে নতুন বা লোড বৃদ্ধির সংযোগ দেয়ার প্রকাশিত তথ্য সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন। কিছু প্রতারক চক্র জনগনকে বিভ্রান্ত করছে যা থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন