সারাদেশে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের
পদত্যাগ করানোর হিড়িক পড়েছে তখন ঠিক এর উল্টো ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। জোর করে পদত্যাগ
করানো প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষককে ফিরিয়ে এনে তাদের চেয়ার বসিয়েছেন চখমিল বহুমুখী
উচ্চ বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। যা
রিতিমত প্রশংসার ঝড় তুলেছে।
এর আগে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) এলাকার
কিছু উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিদের উস্কানিতে প্রধান শিক্ষকসহ চার জনকে জোরপূর্বক
পদত্যাগ লিখে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
হাতিয়ার করে তাদের ভুল বুঝিয়ে গত রবিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সেলিম
উদ্দীন, সহকারী শিক্ষক মো: ইয়াছিন আলী, মো: নুরে আলম এবং শরণ শিংকে জোরপূর্বক পদত্যাগ
পত্রে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা
জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। জোর
করে পদত্যাগ করানোর খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র-জনতা।
গত মঙ্গবার সকালে তারা বিদ্যালয় মাঠ
সমবেত হয়ে প্রিয় শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বুধবারে
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং কমিটির সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ) তারা
স্বসম্মানে শিক্ষকদের বরণ করে নেবেন।
তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে
প্রাইভেট কারে করে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ফুলের মালা গলায়
দিয়ে তাদের বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের পা ধরে
ক্ষমা চায় এবং আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই কাজ মূলত কিছু
উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী করেছে। এটার জন্য আমরা দায়ী না।
উল্লেখ্য, গত (২৫ আগস্ট) রবিবার সদর
উপজেলার উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারীদের একদল ব্যক্তি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদেরকে উস্কিয়ে
দেয় এবং তারা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রেখে পদত্যাগের দাবিতে। এ সময় শিক্ষকদের দুটি
গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে তারা উল্লাস করতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশসহ সেনাবাহিনী একটি
দল এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এসময় শিক্ষকদের পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে
নেওয়ার পরেই তাদেরকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষকদের হত্যার হুমকিও
দেন তারা।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া কমে যেতে পারে চলমান শৈত্যপ্রবাহও।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেণী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ফরিদপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি/গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার হয়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে তীব্রতাও, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা নেই সূর্যের উজ্জ্বল কিরণের, সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে বেড়েছে শীতের অনুভূতিও।
বর্তমানে দেশের ৫টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগেরদিন যা চার জেলায় ছিল। আবার শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলেও তা নিচে নেমে ৮ ডিগ্রির ঘরে চলে এসেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, ভোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকার তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমে থার্মোমিটারের পারদ নেমে এসেছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামী দুদিনে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন নেই। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে পরের দিন ফের কমার আভাস রয়েছে।
মন্তব্য করুন
এক পায়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে নিয়মিত কলেজে যায় ইয়াছমিন আক্তার (২০)। অদম্য এই শিক্ষার্থী ইয়াছমিনের এক পা নেই, অন্য পা থাকলেও তা প্রায় শীর্ণকায়।এ গল্প নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল গ্রামের দিনমজুর নুরনবীর মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারের।
দেড় বছর বয়সে আগুনে পুড়ে এক পা হারিয়ে এমন বাস্তবতা নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন জীবনের ১৯টি বছর। তবুু কঠিন জীবন সংগ্রামে দমে যাননি। দরিদ্রতা আর শারীরিক অক্ষমতাকে জয় করে সে এখন জেলার সদর উপজেলার ড. বশির আহমদ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগে পড়ছেন।
জান যায়, ২০০৫ সালে শিশু ইয়াছমিনকে বিছানায় রেখে পাশের বাড়ি থেকে পানিতে আনতে যান তার মা। হঠাৎ করে চৌকির পাশে থাকা চেরাগ থেকে মশারিতে আগুন ধরে যায়। ওই আগুনে ইয়াছমিনের দুই পা দগ্ধ হয়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়। পায়ের রগ পুড়ে অপর পাও অনেকটা শীর্ণকায় হয়ে যায়।
এরপরও অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে প্রথমে ভর্তি হন স্থানীয় পশ্চিম গাংচিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে গাংচিল কবি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। বর্তমানে দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে প্রথমে স্থানীয় গাংচিল বাজারে যান। পরে সেখান থেকে গাড়ি করে বাড়ি থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে কলেজে ক্লাস করছেন নিয়মিত। আবার বাড়ি ফিরতেও তাকে হাঁটতে হয় দেড় কিলোমিটার পথ। এভাবে বয়ে চলেছেন জীবনের ভার। বছরে পাঁচ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী সরকারি ভাতা পান। কিন্তু সরকারের এ সহযোগিতা একেবারেই অপ্রতুল।
ইয়াছমিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্ট করে আমি লেখাপড়া করছি। পড়ালেখা শেষ করে আমি শিক্ষক হতে চাই। সবার সহযোগিতায় একটি কৃত্রিম পা সংযোজন হলে আমার স্বপ্ন পূরণে সহজ হবে। ইয়াছমিনের বাবা নুরনবী বলেন, আমি একজন দিনমজুর। তবে শত কষ্ট-যাতনা সহ্য করে হলেও মেয়েকে লেখাপড়া করাব। তার একটি কৃত্রিম পা সংযোজনে সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা।
ড. বশির আহমদ কলেজের প্রভাষক এএইচ তানিম জানান, আমরা তার কষ্টকে মূল্যায়ন করি। একই সঙ্গে তার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। কেননা ইয়াছমিন যেটা সম্ভব করে চলেছেন তা সবার কাছেই অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত।
ড. বশির আহমদ কলেজের অধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা মুক্তা জানান, ইয়াছমিন প্রতিদিন তিন কিলোমিটার পথ এক পায়ে হেঁটে কলেজে আসা যাওয়া করছে। সে একজন জীবন সংগ্রামী তরুণী। অদম্য প্রচেষ্ঠায় তার গল্পটি হয়ে উঠেছে প্রেরণার।
মন্তব্য করুন
কলা গাছে সাধারণত একটি মোচা হয়। তবে বিষয়টি কম বেশি সবারই জানা। একটি কলা গাছে ৪০টি মোচা ধরেছে, তবে বিষয়টি আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি।
এমন ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে। এই ঘটনা দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটে যাচ্ছেন ওই গ্রামে। যা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সিয়াম নামের এক কিশোর গত (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বানিয়াজান খালের কৃষি জমিতে কাজ করতে যায়।
এসময় জমির পাশেই একটি কলা গাছে ওই অদ্ভুত ওই মোচা দেখতে পায়। সে ফিরে এসে গ্রামের অনেককে বিষয়টি জানায়। এমনি করে খবরটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ওই কলাগাছটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকেই কলাগাছটির ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল মান্নান জানান, এক কলা গাছে অসংখ্য মোচা ধরেছে এমন ঘটনা আগে দেখিনি। তবে আমি নিজেও আশ্চর্য হয়েছি।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, একটি কলা গাছে প্রায় ৪০টি মোচা ধরার ঘটনা বিরল। এমনটা অস্বাভাবিক। এখানে কুসংস্কারের কিছু নেই।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গর্জিনা গ্রামে গাছে কথা বলছে' এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েকদিন গাছটি দেখতে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। গাছটিতে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেককে।
জানা গেছে, মুকসুদপুর উপজেলার গর্জিনা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো: সবুর মিয়ার রয়েছে একটি গাছের বাগান।
এলাকাবাসীর তথ্যমতে, গত ১৪ জুন ওই বাগানের একটি গাছ কাটতে যায় স্থানীয় জুয়েল মোল্লার ছেলে নীরব (১০) সহ কয়েকজন শিশু। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গাছটির গায়ে আঘাত করার সাথে গাছটি কথা বলে ওঠে। এ সময় ওই শিশুরা ভয় পেয়ে বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। পরে বিষয়টি পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে গাছে কথা বলার গুজব। অনেকের দাবি গাছের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছে গাছ।
স্থানীয় রাঘদি ইউনিয়নের মেম্বার সাদ্দাম হোসেন জানায়, মানুষ গাছের গায়ে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করেন। শুধু বড়রাই নয়, কথা শোনার চেষ্টা করে শিশুরাও। অনেক দর্শনার্থী গাছের কথা শুনতে পান দাবি করে এটি ‘অলৌকিক' বলে আখ্যা দেন। তবে ওই গ্রামের লোকজনই শুনতে পারেন।
উৎসুক কয়েকজন জানায়, গাছে কান পেতে কিছু শুনতে পাননি।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানা মসজিদের ইমাম বলেন, এ ধরনের ঘটনাকে ইসলাম সমর্থন করে না। তবে গাছের প্রাণ আছে, কিন্তু কথা বলতে পারবে না।
সারা জেলায় গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে। আজ ২২ জুন ওই গুজব গাছটিকে কেটে ফেলেন স্থানীরা।
মন্তব্য করুন
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে একটি গাভির ছয় পায়ের বাছুরের জন্ম হয়েছে।এ চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গাভির মালিকের বাড়িতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের কৃষক মাহামুদুল হকের গাভিটি এ বাছুরটির জন্ম দেয়।
বর্তমানে বাছুরটি সুস্থ আছে। ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরটি দেখতে আসা অনেকেই বলেন,লোকমুখে জানতে পারি নওদাপাড়া গ্রামে ৬ পায়ের একটি বাছুর জন্মেছে। তাই বাছুরটি দেখতে আসলাম। বাছুরটি দেখে খুব ভাল লাগলো।
গাভিটির মালিক মাহামুদুল হক বলেন, অনেক যত্ন করে ছোট থেকেই গাভিটিকে লালন-পালন করেছি। শুক্রবার সকালে গাভিটি প্রথম একটি বাছুর জন্ম দেয়। বাছুরটির পিঠের উপর অতিরিক্ত দুটি পা আছে। বর্তমানে গাভি ও বাছুরটি সুস্থ আছে এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ফকিরবাজার এলাকায় অপরাধী চক্রের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায় সেনাবাহিনী।
আর সে টর্চার সেল থেকে দেশীয় অস্ত্র ও এলজিসহ সালাউদ্দিন খান (৩৮) নামে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
২৩ বীর সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম স্টেশনের কর্মকর্তা মেজর মাহিন জানান, সালাউদ্দিন খানসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে জোরপূর্বক ধরে এনে টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন চালাতো। টর্চার সেলে অস্ত্র মজুত রাখা ও নির্যাতনের অভিযোগটি আগেই আমরা পেয়েছি। পরে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। রোববার রাতে উপজেলার ফকির বাজারে রিয়াজ হুসাইন কামালের ‘লন্ডন বাড়ি'র টর্চার সেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় অস্ত্রসহ মূল হোতা সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তবে সালাউদ্দিনের সহযোগীরা সেনাবাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সালাউদ্দিন খান স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মানুষকে টার্গেট করে টর্চার সেলে এনে জিম্মি করতো তারা। নির্যাতন চালিয়ে আদায় করতো অর্থ। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত সালাউদ্দিন চৌদ্দগ্রাম থানার গুণবতী কালিয়াতর (বিষ্ণুপুর) গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে।
মন্তব্য করুন
এমদাদুল হক সোহাগ:
আধুনিক ও স্বচ্ছল বিআরটিসি বিনির্মানের কান্ডারি বিআরটিসির চেয়ারম্যান সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলাম গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। ১৩ জুন জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপ সচিব এটিএম শরিফুল আলম রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
সরকারের দক্ষ্য, চৌকস এই কর্মকর্তা একসময় কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের সচিব, এডিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পুরো প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে ব্যাপক তরান্বিত করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে ডুবতে থাকা বিআরটিসির হাল ধরেন। এক সময় লোকসানের কারনে কর্মীদের বেতন দিতে না পারা বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুড়ে দাড়িয়েছে। হয়েছে উন্নয়নের মডেল। সততা, পরিশ্রম ও যাদুকরি নেতৃত্বে বিআরটিসি আজ সমৃদ্ধি লাভ করছে দিনের পর দিন।
অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এলাকায় একজন সামাজিক, নিরহংকার, পরোপকারী, সদালাপী মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
মন্তব্য করুন
এম এ হান্নান, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
সোমবার রাত ৩টায় এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতাবাজারসংলগ্ন আজাহার মাঝির বাড়িতে।
নিহত যুবকের নাম মনির বয়াতি।
নিহত মনির বয়াতি ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের বাতিরখাল এলাকার বাসিন্দা। আহত একজন হলো ফিরোজ ও অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন, লমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল আলম।
পুলিশ সূত্র জানায়, জনতাবাজারসংলগ্ন আজাহার মাঝির বাড়িতে সোমবার রাত ৩টার দিকে মনির বয়াতি ও ফিরোজ বোমা তৈরির সময় তা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মনির বয়াতি, ফিরোজসহ আরও একজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পথে মনির বয়াতি মারা যান। আহত দুই যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ওসি মাহাবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীতে ছাত্রীকে
প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রীর মাকে নিয়ে আলামিন নামে এক গৃহশিক্ষক পালিয়েছেন
বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত চার দিন থেকে তাদের খোঁজ পাচ্ছেন
না পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারীর স্বামী অমল ভুইমালি।
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আদিতমারী
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত
করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) উপজেলার
পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আলামিন উপজেলার পলাশী
ইউনিয়নের মদনপুর সবজি বাজার এলাকার ওসমান আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অমল ভুইমালির
দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকন্যা অপর্না রায় অনুরাধাকে প্রাইভেট পড়াতেন আলামিন।
একপর্যায়ে অমল ভুইমালির স্ত্রী কাকলি রানীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই
শিক্ষক। বিষয়টি টের পেয়ে অমল ভুইমালি সপ্তাহ দুই আগে ওই শিক্ষককে তার মেয়েকে পড়াতে
নিষেধ করে দেন। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কাকলি রানীকে নিয়ে পালিয়ে যান গৃহশিক্ষক
আলামিন।
অমল ভুইমালি জানান, আমার স্ত্রীকে নিয়ে
গৃহশিক্ষক আলামিন পালিয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি গরিব মানুষ। পুলিশ চার দিনেও
আমাকে কোনো সহযোগিতা করল না। শিশুটিকে নিয়ে বিপাকে আছি।
আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান,
এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ওই গৃহশিক্ষককে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন