

কুমিল্লায়
৩২ কেজি গাঁজা, ১৮০ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান গাড়ি সহ
২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা।
শনিবার
(১৮/১১/২০২৩) বিকালে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলার
সকল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা সদর
দক্ষিণ মডেল থানাধীন ঢাকা টু চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের ধনাইতরী সাকিনস্থ জনৈক নিজাম উদ্দিন
এর ইট ভাটার সামনে পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে একটি কাভার্ডভ্যান গাড়ী
থামানোর জন্য সংকেত দিলে গাড়ীটি থামায়। পরবর্তীতে উক্ত কাভার্ডভ্যান গাড়ীটি তল্লাশী
করে গাড়ীর ভিতর হতে ৩২ কেজি গাঁজা ও ১৮০ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বিল্লাল
হোসেন রনি ও মোঃ রাকিব হোসেন রকিব কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১।
মোঃ বিল্লাল হোসেন রনি (২৬), পিতা-মোঃ মতিউর রহমান, মাতা-রেহেনা বেগম, গ্রাম-শৌলমারী
(খান বাড়ী), থানা-ঝিনাইদহ সদর, জেলা-ঝিনাইদহ, বর্তমানে-পঞ্চবটি (হাজী বাড়ীর ভাড়াটিয়া),
থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ২। মোঃ রাকিব হোসেন রকিব (২৪), পিতা-মৃত আবুল কাশেম,
মাতা-হনুফা বেগম, গ্রাম-মিয়া বাজার, রামচন্দ্রপুর (সর্দার হাজী বাড়ী), থানা- চৌদ্দগ্রাম,
বর্তমানে গ্রাম-ভাটপাড়া (মন্দার বাড়ী), নানা-মৃত মন্দার, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ক্যাম্পাস থেকেই চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ ও বিভিন্ন স্কিল সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে ‘জায়ান্ট মার্কেটার্স জব ফেয়ার-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কুমিল্লা ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জব ফেয়ার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুরজিৎ সর্ববিদ্যা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জায়ান্ট মার্কেটার্সের ফাউন্ডার এন্ড সিইও মো: মাসুম বিল্লাহ ভূইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সিএসই বিভাগের লেকচারার মো: জাহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি
ছিলেন, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোজাম্মেল হক, সহকারী রেজিস্ট্রার শিহাব উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্ক্ষীরী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই জব ফেয়ারে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ক্যাম্পাস থেকেই চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ। পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেশনে অংশ নিয়ে চাকরির জন্য কী কী বিষয় অত্যাবশ্যকীয় সে বিষয়ে রয়েছে জানার সুযোগ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন শ্রী বল্লভপুর এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার
( ৮/১২/২৩) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ আহসান হাবিব, সঙ্গীয়
অফিসার এএসআই(নিঃ) মোঃ হারুন-অর-রশিদ, এএসআই(নিঃ) মাসুদ রানা, মুর্শিদ আলম, হানিফ মিয়া,
ফয়সাল আকন্দ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ও ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায়
সংবাদ পান সদর দক্ষিণ মডেল থানার একাধিক মামলায় অভিযুক্ত (সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা
নং- ২৩) ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী মোঃ সবুজ সদর দক্ষিণ থানাধীন শ্রী বল্লভপুর এলাকায় তার
নিজ বসত ঘরে অবস্থান করিতেছে। অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: মোঃ সবুজ (২৪), পিতা- মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, মাতা- মোছাঃ পারভীন, সাং- শ্রী
বল্লভপুর (পূর্ব পাড়া), পোঃ- আহাম্মদনগর, ২২নং ওয়ার্ড, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, থানা-
সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
তার কাছ থেকে একটি ছয় চেম্বার বিশিষ্ট রিভলবার, একটি স্টীলের সুইস গিয়ার, একটি লোহার চাপাতি,
একটি স্টীলের তৈরী তলোয়ার সদৃশ সামুরাই উদ্ধার করেন।
উক্ত
আসামীর বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


তেজগাঁও থানা পুলিশ রাজধানীতে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে । এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- আব্দুল আজিজ (২৮), মো. সাহিদুল ওরফে জাহিদুল ইসলাম (৩০) এবং মো. রমজান আলী (৪৫)। এদের মধ্যে আজিজ ও জাহিদুল সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এছাড়া রমজান ও আজিজ পরস্পর বেয়াই।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা বাদাম বিক্রির আড়ালে গাঁজা বিক্রি করতেন । বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব গাঁজা প্যাকেটজাত করা হতো ।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেফতার তিনজনই তেজগাঁওয়ের চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা শুধু গাঁজা বিক্রি করতেন। গ্রেফতার আজিজের বিরুদ্ধে ২৮টি, রমজানের বিরুদ্ধে ৭টি এবং জাহেদুলের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে।
ওসি আরো বলেন,সাধারণত বাদাম বিক্রির আড়ালেই এসব গাঁজা বিক্রি করা হয়। তারা তেজকুনি পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় গোপনে গাঁজার ব্যবসা করতেন। গাঁজা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছে সেই বাসা গাঁজার আড়ৎ নামে পরিচিত। তারা সেখানে গাঁজাকে বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব প্যাকেটজাত করে রাখতেন। এরপর খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে কিনে নিতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনুমানিক ২ কেজি পরিমাণের এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি মহসীন।
মন্তব্য করুন


আজ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ চৌয়ারা বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা ডিমসহ নিত্যপণ্যের বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা
করেন। এসময় অনিয়মের অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ তদারকি কার্যক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (৩০ জুলাই) ভোররাতে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর একটি বিশেষ টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, অত্র ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক এর নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল ও চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সীমান্ত পিলার ২০৮০/এম হতে প্রায় ৭ কিলোমিটার অভ্যন্তরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত বাজির সংখ্যা ৪,৭৫,৮৪০ পিস, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫,৬৭,২০০ টাকা। বাজিগুলো বিভিন্ন প্রকার ও আকারের ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি আরও জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, “দেশীয় বাজারে অবৈধ ভারতীয় পণ্য প্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকায় আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
মন্তব্য করুন


আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ নম্বর বান্দরবান আসনের ১৮২ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম ১২টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী ও নির্বাচনী জনবল আনা নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে হেলিকপ্টার ।
রোববার দুর্গম ও যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় এসব কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ১২টি হেলিস্যুটি ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি, রুমা উপজেলায় ৩টি, থানচি উপজেলায় ৭টি ও আলীকদম উপজেলায় ১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানের ৭ উপজেলার ২ পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮হাজার ৫৮৩জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৬ জন। ১৮২টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৭২৭টি।
বান্দরবানের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্গম এলাকার ১২টি হেলিস্যুটি ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আনা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
মন্তব্য করুন


খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চতুর্থ তলা থেকে পড়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির (৪৮) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর আনুমানিক ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হঠাৎ নিচে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার রূপসা ব্রিজ টোল প্লাজার পাশ থেকে বিষপান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে সিঁড়ির দিকে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে। খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: আইনুল ইসলাম এটি নিশ্চিত করেছেন
মন্তব্য করুন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ইতিমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার ঘটনায় রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া অপর এক পোস্টে জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৈঠকে নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা। নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন, উদ্যানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা; উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে ৫ জন নিহত হওয়া রিলাক্স পরিবহনের পলাতক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) রাত ২টা ৪৫ মিনিটে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা মোতাবেক মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রিলাক্স পরিবহনের পলাতক ড্রাইভার তারেক হোসেনকে তার নিজ বাড়ী লক্ষীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: লক্ষীপুর জেলার
লক্ষীপুর সদর থানাধীন
পশ্চিম লক্ষীপুর এলাকার
তারেক হোসেন (৩৩)।
উল্লেখ্য, রিলাক্স পরিবহনটি গত ১৭ মে ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ১২ টা ৪০ মিনিটে ঢাকার আরামবাগ হতে চট্রগ্রাম জেলার উদ্দেশ্য রওনা করে। সকাল অনুমান ৬ টায় কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোডে হোটেল শাহজাহানে রিলাক্স পরিবহন বাসটি ২০/২৫ মিনিটের যাত্রা বিরতির পর চট্রগ্রাম জেলার উদ্দেশ্য পুনরায় রওনা করে এবং মিয়াবাজার হাইওয়ে থানাধীন চৌদ্দগ্রাম এর বসন্তপুর নামক স্থানে রিলাক্স পরিবহন (যার রেজিষ্ট্রেশন নং যশোর-ব-১১-০২৫১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার বাম পাশে বাশঝাড়ে নামিয়ে দিলে গাড়িটি বাম দিকে কাত হয়ে পড়ে এবং গাড়ির নিচে চাপা পড়ে গাড়িতে থাকা ১ জন সুপারভাইজার ১ জন হেলপার সহ সর্বমোট ৫ জন নিহত হয়। রিলাক্স পরিবহন বাসটি চট্রগ্রামে পৌছানোর সময় ছিল সকাল ৭টার মধ্যে। নিহত ৫ জনের নাম ঠিকানা হল- ১। বদরুল হাসান (২৬), পিতা- নুরুল আবছার, থানা- বাঁশখালী, চট্রগ্রাম ২। নাছির উদ্দিন পলাশ (৪০), পিতা- মৃত- মোখলেছুর রহমান, সাং শাহাপুর থানা- চাটখিল, নোয়াখালী ৩। মোহাম্মদ হোসেন,পিতা মৃত- মতিউর রহমান, সাং- কচু বুনিয়া থানা- টেকনাগ কক্সবাজার ৪। আবু তাহের খোকন (হেলপার), পিতা- লাল মিয়া, সাং- পশ্চিম লক্ষীপুর পোস্ট- দালাল বাজার থানা - জেলা- লক্ষীপুর ৫। মাদুদ (২১) (সুপারভাইজার) পিতা- সুলতান মিয়া সাং- চন্ডি মন্ডপ, পোস্ট- ছেচুয়া বাজার থানা - মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে লক্ষ্যে আসামী রিলাক্স পরিবহনের ড্রাইভার তারেক হোসেন (৩৩)কে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় সেচ কাজের সুবিধার্থে খাল পুন:খননের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কৃষকরা আবারো নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কৃষি মন্ত্রনালয়ের আওতায় কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মনসামূড়া সুন্দরী খালের ১.৭ কিলোমিটার দৈঘ্যের পুন:খনন কাজ শুরু হয়। যার ৮মিটার প্রস্থ ও ৩ মিটার গভীরতা হবে। এছাড়াও ওই ইউনিয়নের মনসামূড়া মন্দির থেকে পালাখাল পর্যন্ত খাল পুন:খননের কাজ শুরু করা হয়েছে।
ভূঁইয়ারা গ্রামের কৃষক সফিউল্যাহ,ফারুক মিয়া,জমির হোসেন ও কবির হোসেন জানান, এই জনগুরুত্বপূর্ণ খালের পানির ওপর এখানকার ইরি-বোরো ব্লকের প্রায় এক হাজার একর জমি নির্ভরশীল। এই খালটি কখনও পুনঃখনন করা হয়নি। ফলে খরস্রোতা খালটি দুইপাশের মাটি জমে মরে যায়। পানির অভাবে অনেক জমির বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। খালটি পুন:খননে কাজ শুরু করায় খুশি তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান জয় বলেন,এ অঞ্চলের কৃষকরা রবি শস্যের পাশাপাশি বোরো ও সবজির আবাদ করে বেশি। তাই পানির পরিমান বেশি প্রয়োজন। খালটির নাব্যতা সংকটের কারণে চাষীরা চরম সংকটের মধ্যে দিন পার করছিলেন। তবে, খাল খনন হয়ে গেলে ও পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে আগামীতে আবারও ক্ষেতগুলো বছরজুড়ে ফসলে ভরে থাকবে। কৃষকের মুখেও হাসি ফুটবে। দীর্ঘদিন পরে হলেও বর্তমান সরকারের মহতী উদ্যোগে খালটি পুনঃখননের কাজ শুরু করা হয়েছে। খাল খননের ফলে পাঁচ শতাধিক কৃষক উপকৃত হবেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
কুমিল্লা বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুবায়েত ফয়সাল আল মাসুম বলেন,এ খাল খননের মাধ্যমে কৃষকরা প্রধান প্রধান শস্য (রবিশস্য) গুলো আছে সেগুলো পানি সেচের প্রয়োজন হয় এটা কৃষকরা সহজেই পাবে। তাছাড়া আমন মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের অভাবে অনেকে দেরীতে আমন চাষ করে থাকেন কিন্তু খাল খননের পলে সহজেই পানিগুলো সরে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হাসান বলেন, এ খালের প্রায় ১. ৭ কি.মি. দৈঘ্য যার ৮ মিটার প্রস্থ ও ৩ মিটার গভীরে খালটি সুন্দরী খালের সাথে সংযোগ হবে। দীর্ঘদিও ধরে চরতে থাকা কৃষকের কান্নার আরেকনাম জমিতে জলাবদ্ধতা সেটি নিরসন হবে। পাশাপাশি খালের পানির পর্যাপ্ততা এবং প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেবে। সেচ কাজের জন্যে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের নির্ভরতা কমবে। উপকৃত হবে কৃষক পরিবার ও বৃদ্ধি পাবে কৃষির আবাদ।
মন্তব্য করুন