

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, গত শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস চলছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আব্দুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার বলেন, শুক্রবার ঝড় হইসে। আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হইসে। সকালে গিয়ে দেখি স্কুলটাও নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। খোলা মাঠে ক্লাস করতেসি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে।
ফাতেমা নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে শঙ্কায় আছি। ভবন নির্মাণ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমাদের একটা স্থায়ী ভবন চাই।
অভিভাবক ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন, এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ম্পিকার মরহুম মালেক উকিলের পুত্র ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আমি ঊর্ধ্বতনকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য। সেই সাথে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণেরও দাবী জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।
মন্তব্য করুন


খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে ।
এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদীর পানি বিপৎসীমার দুই থেকে ছয় ফিট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), এ বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর আরো জানায়, দিনভর উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার খাগড়াছড়িবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনা খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বন্যা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা
সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে দিনাজপুর-দশমাইল মহাসড়কের নশিপুর এলাকায় একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের চারজন প্রাণ হারান।
নিহতরা হলেন সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের কুতইড় মাঝাপাড়া গ্রামের মাজিয়া বেগম (১৫), মর্জিনা খাতুন (৫৫), তানজিলা এবং সাদিয়া। এ ঘটনায় অটোচালক ও এক শিশু সহ চারজন আহত হয়েছেন এবং তাদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত মর্জিনা, তানজিলা, সুমী সম্পর্কে একে অপরের মা ও সন্তান, আর সাদিয়া নিহত মর্জিনার ভাগনী।
পুলিশ জানায়, পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুরগামী বাসটি কান্তজিউ মেলায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসটি অটোরিকশাটিকে প্রায় একশো গজ দূরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান, হাসপাতালে নেওয়ার পর বাকি একজনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর হোসেন বলেন, বাসটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছিল এবং অটোরিকশাটি সড়কের মাঝখানে ছিল। পেছন থেকে আঘাত পাওয়ার কারণে অটোরিকশাটি পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতায় সড়ক পুনরায় খোলা হয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, “পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। বাসচালককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত গতি এবং লেন পরিবর্তনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।” তিনি আরও জানান, বাসের কোনো যাত্রী বা চালকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, তবে বাসটি ওভারলোডেড ছিল।
হাইওয়ে পুলিশের এসআই রেজাউল করিম বলেন, “কান্তজিউ মেলা দিনাজপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। প্রতি বছর এখানে প্রচুর মানুষ অংশ নেন। এবারের মেলায় মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সড়ক নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা আদর্শ সদর আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে জেলার
চম্পকনগর এলাকায় বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে জাল টাকার একটি চক্রের সক্রিয় সদস্য
জলালকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন- কুমিল্লা আদর্শ সদর চম্পকনগর
এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন এর ছেলে মোঃ আজহার উদ্দিন (জলাল)।
অভিযান চলাকালীন তার বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে জাল
টাকা, একটি বাটন ফোন এবং একটি শটগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
আদর্শ সদর আর্মি ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিকে
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ অভিযানকে এলাকাবাসী স্বাগত জানিয়েছে এবং আর্মি ক্যাম্পের এমন তৎপরতায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় দালাল চক্রের সাত সদস্যকে
আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেবিদ্বার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট
আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা
আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান
আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার,
একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে
ফাতেমা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,
আটক দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি
হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও
তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা
করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল
থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন
এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
পরে আটক সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক
স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা
দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিকে
নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের
সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়ায় শিক্ষার মান উন্নয়নে বক্সগঞ্জ গোলামুর রহমান মডেল একাডেমীতে অভিভাবক সমাবেশ,শিক্ষার্থীদের সনদপত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ওই একাডেমীর আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে হিসেবে এসব সনদপত্র বিতরন করেন বক্সগঞ্জ গোলামুর রহমান মডেল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. গোলাপ শাহ।
একাডেমীর শিক্ষক পারভেজ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান শিক্ষক তাছলিমা আক্তার, শিক্ষক মোশারফ হোসেন,জাহিদ হোসেন,সানজিদা আক্তার সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য যে, কচুয়া কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষায় ওই একাডেমী থেকে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে একজন ট্যালেন্ট পুল ও ৩জন সাধারন গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। ট্যালেন্টপুলে ফারিয়া আক্তার,সাধারন গ্রেডে মিম আক্তার,আব্দুল আজিজ ও জিহাদ হোসেনকে নগদ অর্থ সহায়তা ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। পাশাপাশি বক্সগঞ্জ গোলামুর রহমান মডেল একাডেমীটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ভালো ফলাফল করে আসছে। ভবিষ্যতেও আরো ভালো ফলাফল অর্জন করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গোলাপ শাহ সহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
মন্তব্য করুন


রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার রূপসা নদীতে রেল সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে সারবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। মোংলা বন্দর থেকে সার বোঝাই কার্গোটি নওয়াপাড়া যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে জাহাজের দুইজন কর্মচারি নিখোঁজ রয়েছেন।
রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. নুরুল ইসলাম শেখ জানান, সার বোঝাই এম ভি থ্রি লাইট-১ কার্গোটি রূপসা নদীর উপর নির্মিত রেলসেতু পিলারেড় সঙ্গে ধাক্কায় ডুবে যায়।
তিনি আরো জানান, কার্গোতে থাকা ১৩ নাবিকের মধ্যে ১১ জন সাঁতরিয়ে কূলে উঠতে সক্ষম হয়। বাকি দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মূখ্য সমন্বয়ক, কুমিল্লা অঞ্চলের অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক নাভিদ নওরোজ শাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্য হাফসা জাহান কুমিল্লার এক সনাতন ধর্মাবলম্বীর মেয়ের বিয়েতে আর্শীবাদ করেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার শুভপুর নামক স্থানে লতা সরকার নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত হয়ে তাকে আর্শীবাদ করেন এবং তার পরিবার ও বরের পরিবারের সাথে তারা সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এ সময় নাভিদ নওরোজ শাহ বলেন, এই দেশটা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের না।এ দেশে আমরা যারা বাস করি তাদের সবার এ দেশ,আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। এ দেশে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করি। কেউ যেন মনে না করে সনাতন ধর্মাবলম্বীর পাশে এনসিপি নেই, আমরা আপনাদের পাশে আছি থাকবো। সবাই কে নিয়ে সুন্দর একটা বাংলাদেশ গড়বো।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনসিপি কুমিল্লা জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী সৈয়দ আহসান টিটু,কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী মাসুমুল বারী কাওছার,ইব্রাহিম খালেদ হাসান, ইঞ্জিনিয়ার জায়েদ, নোমান, সামাদ হোসেন সহ আরো অনেকে।
মন্তব্য করুন


হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় ট্রাকের
চাপায় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। চারজন একই পরিবারের
সদস্য।
তারা হলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার
মোজ আলীর ছেলে জামাল মিয়া (৪০), তার স্ত্রী কামরুন্নাহার (৩৩), ছেলে মো. অনন্ত (১১)
ও নিহত জামালের ভাই এনামুল মিয়া (৩৫)।
নিহত প্রাইভেটকারের চালক হলেন, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের
ইউনুছ বেপারীর ছেলে হারুন ব্যাপারী (৩৪)।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোর রাতে উপজেলার
শাহপুর হরিতলা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) মো: বদরুল কবীর জানান, প্রাইভেটকারের যাত্রীরা সিলেটে হযরত শাহজালাল
(র.) এর মাজার জিয়ারতে গিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে ঘটনাস্থলেই
মারা যান তারা।
মন্তব্য করুন


মো. মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাঝিগাছা মাওলানা মবিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে বার্ষিক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের সফলতা কামনা করে এ উপলক্ষে প্রধান মেহমান হিসেবে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জৈনপুরের পীর সাহেব আলহাজ¦ হযরত মাওলানা আব্দুল হাই আতিকী জৈনপুরী।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাজীব আহমেদ রাজু’র সভাপতিত্বে এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, সহকারি প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন বনিক, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: শাহ্ আলম পাটওয়ারী, নিজাম মিঞা, হালিম পাটওয়ারী, সমাজসেবক মিঞা মো: মিজানুর রহমান, সহকারি শিক্ষক আব্দুল মান্নান বিএসসিসহ অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কুমিল্লা প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে হেযবুত তওহীদ কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যার বন্ধ করার দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদ চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক,হেযবুত তওহীদ কুমিল্লা জেলা বাণিজ্য সম্পাদক তসলিমা মোবারক আজাদ, হেযবুত তওহীদ লাকসাম উপজেলা সভাপতি মোঃ ফয়সাল মোহাম্মদ,হেযবুত তওহীদ সদর উপজেলা সভাপতি সুজন আলী, হেযবুত তাওহীদ কুমিল্লা জেলা সদস্য ইয়াসিন আরাফাত সহ আরও অনেকে।
বক্তাগণ বলেন, ৭৫ বছরের হত্যাযজ্ঞের পরে এবার ইসরায়েল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই ভূমিতে আর কোনো একজন মুসলমানকেও থাকতে দেওয়া হবে না। এ হৃদয়বিদারক, ন্যাক্কারজনক ও পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী সমগ্র বিশ্ব। এমন একটি পরিস্থিতিতেও গোটা মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলো, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো নীরব। প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোও যেন চোখে ঠুলি পরে আছে। এই বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে, জাতির মধ্যে বিরাজিত সব ফেরকা, মাজহাব, দলাদলি এই মুহূর্ত থেকে বাদ দিয়ে আমাদেরকে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মন্তব্য করুন