

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম।
বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়া গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পোঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে অনেকগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীনের মোবাইল নম্বারে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন


বস্ত্র ও পাট এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সপ্তাহখানেক আগেও
কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়েছি। আজ জরুরি ওষুধ যা বন্যা পরবর্তী সময় দরকার হয় ও একদল বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণ
ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষতির পরিমাণ দেখে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে
শনিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের পর এসব কথা
বলেন তিনি। এসময় শিশু ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের হেলথ কেয়ার
প্রজেক্ট কনসালটেন্ট ডা. রেহানা খানমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বন্যায়
অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
আহত হয়ে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ৬ জনের চিকিৎসার
খোঁজ-খবর নিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে বন্যার কারণে অসুস্থদের পরিদর্শন ও
চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নিজ উদ্যোগ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন, পিএসও, এস এস
গ্রুপের ও অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় প্রায় ৭০ হাজার ওষুধ এবং ১০০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য
বিতরণ করা হয়েছে, এর মধ্যে পাউডার দুধ, চকোলেট, ম্যাংগো বার,বিস্কুট, চিপস, চানাচুর
ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম সেনা
ক্যাম্পের লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমতুল্লাহ, সার্কেল
এএসপি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদা বেগমসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা
ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
গতকাল (৩ এপ্রিল) সকালে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ মশিউর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাস্থ উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় এর সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে কমলপুর রাস্তা থেকে ৫০ কেজি গাঁজাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো: ১।
হায়দার আহম্মেদ উৎসব প্রকাশ উৎসব শিকদার (৩০), পিতা- মৃত মাসুদ পারভেজ, সাং- নতুন বাজার, গাবতলী (মাজদাইর গোরস্থান সংলগ্ন
তুহিন মিয়ার ভাড়াটিয়া) থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ।
২। মোঃ রাকিব হাসান প্রকাশ রকি(৩৫), পিতা- মৃত হায়দার আলী প্রকাশ হাসান আলী, স্থায়ী ঠিকানা:- সাং- বাহার পাড়া, রহিম মিয়ার বাড়ি, থানা- টঙ্গীবাড়ী, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, বর্তমান সাং—ইসদাইর (কাপুড়িয়া পট্টি গাবতলী, উকিল টিটন মিয়ার ভাড়াটিয়া) থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ।
৩।
মাহফুজুর রহমান প্রকাশ মুন্না (৩০), পিতা- আলমাছ ঢালী, সাং- পশ্চিম ইসদাইর, গাবতলী (দোহার ভিলা), থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ।
৪। সুফিয়ান হোসেন সজল(২৪), পিতা- আবুল খায়ের, সাং- করপাড়া (হাজী বাড়ী), থানা- রামগঞ্জ, জেলা- লক্ষীপুর, বর্তমান সাং- ই ব্লক, ০৫নং লাইন, ৪৪নং বিসমিল্লা হাউজ, মিরপুর, থানা- শাহআলী, ডিএমপি, ঢাকা।
৫। মোঃ ইব্রাহিম(২৬), পিতা- আব্দুল বাসেত মন্ডল, সাং- নোয়াপাড়া, থানা- ইসলামপুর, জেলা- জামালপুর, বর্তমান সাং- উত্তর মাসদাহর (গাবতলী), থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ।
৬।
রবিউল আলম পিয়াস(২৬), পিতা- মৃত শিহাবুল আলম মিলন, সাং- কমলপুর, থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লা।
গ্রেফতারকৃত
আসামীদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায়
এজাহার দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য,
গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী মোঃ রাকিব হাসান প্রকাশ রকি (৩৫) এর বিরুদ্ধে পূর্বের
৫ টি মাদক মামলা
ও ০১ টি অন্যান্য
ধারায় মামলা।
২নং
আসামী হায়দার আহম্মেদ উৎসব প্রকাশ উৎসব শিকদার এর বিরুদ্ধে পূর্বের
৪ টি মাদক মামলা
ও ১ টি অন্যান্য
ধারায় মামলা।
৩নং আসামী মাহফুজুর রহমান প্রকাশ মুন্না (৩০) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১ টি মাদক মামলা ও ১ টি গনধর্ষন মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর পূর্বালী চত্বরে “সচেতন নাগরিক” ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মো. আরিফ হোসেন, মোস্তফা জামান, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল লতিফ, আব্দুল ওয়াদুদসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, “মেডিকেল কলেজে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে ডা. এম এম হাসানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ডা. আরিফ হায়দার ও তার সহযোগীরা যে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এতে শুধু একজন চিকিৎসকই নয়, বিএনপির ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”
তারা আরও বলেন, “সংগঠনের ভেতরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা দলীয় ঐক্য বিনষ্ট ও বিভাজন সৃষ্টির যেকোনো চেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি ৫৪ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি)। গতকাল শনিবার রাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, জব্দ পণ্যের মধ্যে রয়েছে- মোবাইলের ডিসপ্লে, শাড়ি, খাদ্য সামগ্রী ও পটকা।
৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক “লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান ” জানায়, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোৎভাবে অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইলের ডিসপ্লে, এক কোটি চার লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, খাদ্য সামগ্রী ও পটকা জব্দ করা হয়েছে।এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় তিনি।
মন্তব্য করুন


ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন
কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে অনুষ্ঠিত
জব্বারের বলী খেলার ১১৫তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় কুমিল্লার বাঘা শরীফ ও রাশেদ।
ফাইনালে প্রায় ১১ মিনিট
লাড়াইয়ের পর কুমিল্লার
বাঘা শরীফের কাছে হার মানতে হয় রাশেদের।
এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি
হয়ে রাঙামাটির সৃজন চাকমাকে হারিয়ে ফাইনালে যান রাশেদ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাসেলের
এর প্রতিপক্ষ ছিলেন কুমিল্লার
বাঘা শরীফ।
এদিকে
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয় পান সৃজন চাকমা। এর আগে বিকেল চারটায় শুরু হয় বলী
খেলার ১১৫ তম আসর। এতে অংশ
নেন ৮৪ জন বলী ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
নগরীর কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ তিনজনকে
গ্রেফতার করেছে।
আজ
মঙ্গলবার ( ৮ এপ্রিল) পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের শাফায়াত (২৭), নগরী কাপ্তান বাজার এলাকার
মো. জিহাদ (২১), নগরী শাসনগাছা এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে আসলাম (২১)।
এর
আগে গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে একটি
বিক্ষোভ মিছিল থেকে নগরীর রাণীর বাজার এলাকায় অবস্থিত কেএফসিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে রেস্টুরেন্টের কাঁচ ভাঙচুর করে এবং নিচ
থেকে ইট-পাটকেল ছুড়ে ক্ষতি করে।
কুমিল্লা
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর কুমিল্লা
নগরীতে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তিনজনকে আটক করেছি। বাকিদের আটক করতে বিশেষ
অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার ঘুঙুর নদীতে জাল ফেলেন এক জেলে। পরে জাল টানলে উঠে আসে একটি মর্টার শেল সদৃশ বস্তু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
আজ রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মর্টার শেলটি উদ্ধার করেন।
পরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে ক্যাপ্টেন কেএম তামীম রহমান ও ক্যাপ্টেন মুসতাহসিনা মোকাদ্দেস হৃদির নেতৃত্বে নিরাপদ স্থানে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে গত ১২ আগস্ট সকালে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার জেলে কামাল হোসেনের বাড়ি থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করেছিল ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট সকালে স্থানীয় জেলে কামাল হোসেন ও তার সহযোগীরা বাড়ির পাশের ঘুঙুর নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় তাদের জালে উঠে আসে একটি মর্টার শেল সদৃশ বস্তু। এ সময় তারা বিষয়টি ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং এটি উদ্ধার করে। পরে পুলিশ বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া জানান, উপজেলার নাগাইশ এলাকা থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। আজ কুমিল্লা থেকে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে মর্টার শেলটিকে নিষ্ক্রিয় করেছে।
মন্তব্য করুন


বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৭টায় পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান।
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে ক্রমেই ফুঁসে উঠেছে কুমিল্লার গোমতী নদী। এরই মধ্যে অতিক্রম করেছে বিপৎসীমা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পানি প্রবাহ ক্রমাগত বাড়ছে। যেখানেই আমরা খবর পাচ্ছি, সেখানেই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খান
মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আরো বলেন, বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পাউবো, উপজেলা
প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষার্থী
ও স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ করছেন।
এদিকে, ফেসবুকে ‘বাঁধ ভেঙে গিয়েছে’ গুজব ছড়িয়ে পড়ায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন গোমতীর উভয় তীরের মানুষ।
গতকাল রাত ২টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, রাতে সেচ প্রকল্পের ড্রেন ছাড়াও কয়েকটি স্থান দিয়ে কিছু পানি বের হচ্ছিল, স্থানীয়দের সহায়তায় তা বন্ধ করা হয়। তবে ফেসবুকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার গুজব ছাড়ানো হয়।
কুমিল্লা
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, জেলায় বুধবার পর্যন্ত ১৪টি
আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) আরও কয়েকটি বাড়তে পারে।
বন্যা দুর্গতদের চাল ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবীদ্বারে ব্যবসায়ী মুসা আলী হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ০২ ঘাতককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন নাজিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম মোঃ মুসা আলী (৪০) খুন হয়। উক্ত ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিকটিমের শ্বশুর বাড়ী কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন তুলাগাও এলাকায় হওয়ায় সে প্রায়ই উক্ত এলাকায় আসা-যাওয়া করতো। এরই সূত্র ধরে আসামীদের সাথে ভিকটিম মুসা আলী (৪০) এর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে অপহরণপূর্বক ভিকটিমের স্ত্রীর নিকট ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকার পরিবর্তে বিকাশের মাধ্যমে ৩০,০০০/- টাকা আসামীদেরকে প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামীরা দাবীকৃত অর্থ না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের পায়ে, হাতে ও পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন পশ্চিম বাগুর এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে দেবীদ্বার থানাধীন মেডিনোভা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং চিকিৎসক জানান যে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ভিকটিমের মৃত্যু হয়েছে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী রাজিয়া আক্তার (৩৮) বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল গত ০২/০২/২০২৪ ইং তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন বাসস্ট্যান্ড ও কোতয়ালী মডেল থানাধীন বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে হত্যাকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম@ লিমন (৩০), পিতা-মোঃ আবুল হোসেন, সাং-রেইসকোর্স, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা এবং সবুজ সরকার (২৭), পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ, সাং-বাগুর, থানা-দেবীদ্বার, জেলা-কুমিল্লা’দ্বয়কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশ, চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, লালমাই ও লাকসাম থানার সমন্বিত টিমের অভিযানে আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের অন্যতম প্রধান নয়নসহ ৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, সরঞ্জাম ও দুটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি লাকসাম থানা এলাকা থেকে ডাকাতি হওয়া ৩টি গরু ও ২টি গরুর বাছুরও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় ধারাবাহিক ডাকাতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় টহল জোরদার, অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, চান্দিনা থানার বরকরই নাথের বাড়ী এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস)-এর নেতৃত্বে অপারেশনাল টিম অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে নীল রঙের পিকআপ থেকে ৪/৫ জন পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়। অপর একটি হলুদ রঙের পিকআপ পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করলে ডাকাত নয়ন পুলিশ সদস্যদের ওপর গাড়ি তুলে মারার চেষ্টা করে। দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘণ্টার দুঃসাহসিক ধাওয়ার পর সদর দক্ষিণ থানার ফিরিঙ্গির হাট এলাকায় ডাকাত নয়ন কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে পুকুরে লাফ দিলে ডিবি পুলিশের সদস্যরা পুকুরে নেমে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
গ্রেফতারকৃতরা সাম্প্রতিক সময়ের লাকসাম ও চান্দিনা এলাকায় গরু ডাকাতির ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: চান্দিনা থানার বরকড়ই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ রায়হান (২০), তিতাস থানার দক্ষিণ নারান্দিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ নয়ন (৩৪), চান্দিনা থানার বরকড়ই গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন (২৪), চান্দিনা থানার দেওকামতা গ্রামের মোঃ সিরাজ কাজীর ছেলে মোঃ নাছির (২৫), চান্দিনা থানার সুরিখোলা গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে মোঃ সজীব রানা (২৮)।
পুলিশ সূত্র জানায়, নয়নের বিরুদ্ধে ১১টি, সজীবের বিরুদ্ধে ৫টি এবং রায়হানের বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন পিকআপ, ১টি টোটো রিভাল বার, ১টি বোল্ট কাটার, ২টি কাঠের বাটযুক্ত ছুরি, লোহার চাপাতি, ১টি স্টিলের চাপাতি, ১টি হ্যাকসো ব্লেড কাটার, ৩টি গরু ও ২টি বাছুর উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে দেবিদ্বার ও দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “অপরাধ দমনে জেলা পুলিশের এমন সমন্বিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন