ছাগলে গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করেছে। এতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাগুয়ান ঘুন্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সাগুয়ান গ্রামের আব্দুল লতিব মনিরুল ইসলাম (৪০), তার ভাই রবিউল ইসলাম (২০), মনিরুলের ছেলে সিফাত (১৮)।
জানা যায়, ছাগলে গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে নিজাম মেম্বারের সঙ্গে আজিজুলের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে রুহুল আমিন (৩৮) নামের এক কৃষক নিহত হন। তিনি সাগুয়ান গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রুহুল আমিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তাহন্তর করেছে পুলিশ।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, আটককৃত ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে একুশে পরিবহনের একটি বাস উল্টে যায়। সায়েদাবাদ টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায়। পরে বাসটি মেরামত করে বাস টার্মিনালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বাসটির চালক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, একুশে পরিবহন নামের বাসটি ব্রেক ফেল করে টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে যায়।
একুশে পরিবহনের এক কর্মী জানিয়েছেন, বাসটিতে কোনো যাত্রী ছিলেন না। দুপুর ২টার কিছু আগে বাসটি শনিরআখড়ার একটি গ্যারেজ থেকে মেরামত শেষে বাস টার্মিনালের দিকে নেয়া হচ্ছিল।
এরপর সায়েদাবাদ টোল প্লাজার কাছাকাছি আসলে বাসটি ব্রেক ফেল করে টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে উল্টে যায় বাসটি। এতে বাসচালকের হাতে প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার কারণে টোল প্লাজার চার লেনের একটি লেন বন্ধ হয়ে যায়। বাকি তিনটি লেন দিয়ে যানবাহন পারাপার হতে থাকে। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পরে বিকেল ৪টার দিকে রেকার দিয়ে বাসটি দুর্ঘটনা স্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১১, সিপিসি-২।
সোমবার রাতে র্যাব -১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক
দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ধর্মপুর এলাকায় মাদক
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ জনি (২৬) ও ২। মোঃ ইমন হোসেন রিয়াদ (১৯) নামক
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ জনি (২৬) কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানার ধর্মপুর গ্রামের মৃত আব্দুল রহিম এর ছেলে এবং ২। মোঃ ইমন হোসেন
রিয়াদ (১৯) একই গ্রামের বজল আহমেদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব -১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী মোঃ জনি (২৬)
এর বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ মোট ২ টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
“গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করি” এ প্রতিপাদ্যে কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও ট্রাফিক আইন সচেতনতায় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ ও কুড়িগ্রাম বাইকার্স ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে মোটর সাইকেল র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে র্যালীটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। এসময় ট্রাফিক আইন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ওয়াহেদুজ্জামান, সদর ওসি মাসুদুর রহমান, সনাক সভাপতি এ্যাড. আহসান হাবিব নীলু, সদর ট্রাফিক ইনচার্জ এ.কে.এম বানিউল ইসলাম আনাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম, সার্জেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান, ভিক্টর দেবনাথ প্রমূখ। র্যালীতে বাইকার ক্লাবের সদস্যরা অংশ নেয়।
বক্তারা সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হওয়া আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় আরমান
খান নামের এক স্কুলছাত্র ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (১২ মে) সন্ধ্যায় নড়াইলের
কালিয়া উপজেলার কালিয়া পৌরসভার গোবিন্দনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরমান খান গোবিনগর
গ্রামের হান্নান খানের ছেলে।
নিহত আরমান খান (১৬) কালিয়া সরকারি
পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, আরমান এর
আগেও একবার মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বিষ পান করেছিলেন। সে সময় তার বাবা তাকে একটি
মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। সেই মোটরসাইকেলটি পুরাতন হাওয়াই আবারও একটি মোটরসাইকেল
কিনে দিতে পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন আরমান। কিন্তু তার দাবি পরিবার মেনে না
নেওয়ায় কয়েক দিন ধরে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। পরে আজ সন্ধ্যায়
নিজ ঘরে সাউন্ডবক্স চালিয়ে নিজের বেল্ট দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
করেন আরমান।
কালিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কমিশনার
প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, আরমান সবসময় ফিটফাট থাকতো। সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক
ও টিকটকে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতো। অনেকেই তাকে টিকটকার আরমান নামে চিনতো। তার পিতা
হান্নান খান পেশায় একজন অটোচালক। তার পক্ষে সব আবদার সবসময় মেনে নেওয়া আসলেই সম্ভব
ছিল না।
কালিয়া থানার এসআই টিপু সুলতান বলেন,
মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর
মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে
তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র
উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটি সে অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাও নিতে বলেছে।
ইসির
নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব এম মাজহারুল ইসলাম এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সম্প্রতি
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে
বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯ এর উপধারা (২)(ঘ) ও (২)(ঙ)
এর বিধান হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এবং মেয়র
বা কাউন্সিলর পদে থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি- (ঘ) কোনো ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত
অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের
পর ৫ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে; (ঙ) প্রজাতন্ত্রের বা সিটি কর্পোরেশনের বা কোনো
সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে
সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন।
নির্দেশনায়
আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে
অন্যূন ২ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং উক্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল
হলে এবং আপিল আদালত নিম্ন আদালতের রায় বা সাজা স্থগিত না করলে অযোগ্য বলে সংশ্লিষ্ট
প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত আপিল গ্রহণ করলেও তিনি অযোগ্য
হবেন বা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী জামিন পেলেও অযোগ্য হবেন অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সাজা স্থগিত
বা মওকুফ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
অন্যদিকে
সিটি কর্পোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বিধায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
পদটি রিট পিটিশন ৯১২৪/২০০৮ এ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক লাভজনক পদ সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কাজেই স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৯ এর উপধারা (২)(ঙ) অনুযায়ী
মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে
অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে উক্ত ব্যক্তি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে
ইচ্ছুক হলে তাকে উক্ত পদ হতে পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। কাউন্সিলর পদধারীগণ লাভজনক
পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত নন বিধায় তাদেরকে পদত্যাগ না করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে
আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।
ইসি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২ সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৩ ফেব্রুয়ারি,
মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের
শেষ সময় ২২ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ সকাল ৮ টা
থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১৭৬ কেজি গাঁজা ও
মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১ টি ট্রাক
উদ্ধার করেছে চৌদ্দগ্রাম
থানা পুলিশ ।
রবিবার
(১৯/১১/২০২৩) রাত ২.৫৫
ঘটিকায় চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ) আব্দুল কুদ্দুস
ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য
উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল
ডিউটির সময় গোপন তথ্যের
ভিত্তিতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ১৩নং জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের
সাতঘরিয়া সাকিনস্থ ঢাকা টু চট্টগ্রামগামী
মহাসড়ক সংলগ্ন মেসার্স ময়নামতি ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ১ টি ট্রাক
গাড়ি থামানোর জন্য সংকেত দিলে
অজ্ঞাতনামা চালক ও তার
সহযোগী দুর থেকে পুলিশের
উপস্থিতি টের পায়ে ট্রাক
পেলে ২ জন দ্রুত
দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা
পলাতক আসামীদ্বয়ের ফেলে যাওয়া ট্রাকটি
তল্লাশী করে ১৭৬ কেজি
গাঁজা উদ্ধার করেন।
উক্ত
ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পবিত্র ইদুল ফিতর কে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, কমলাপুর রেলস্টেশনে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এখান থেকে সাধারণ যাত্রীরা সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেকোনো আইনগত সহায়তা ছাড়াও জাল টাকা শনাক্তকরণ, সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে আইনের আওতায় আনা হবে।
থাকছে র্যাবের হটলাইন নম্বর। কন্ট্রোল রুম থেকে যাত্রীরা যেকোনো আইনগত সহায়তার পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তকরণসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে র্যাব-৩।
এছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুস্থ ব্যক্তি সহায়তা চাইলে সহায়তা করবে র্যা ব সদস্যরা। ঘরমুখো যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দ্রুত যাত্রীদের সহায়তা করা হবে।
যে কোনো প্রয়োজনে র্যাবের হটলাইন নম্বরে কল করে সেবা নেওয়া যাবে। হটলাইন নম্বর- ০১৭৭৭-৭১০৩৯৯।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর ও কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকা হতে ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩২ কেজি গাঁজা’সহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলো: নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার বাতানিয়া গ্রামের মৃত মোঃ আনোয়ার হোসেন এর ছেলে আলী হোসেন রতন (২২) এবং সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ার থানার দোয়ারগাঁও গ্রামের ইফসুফ আলী এর ছেলে আকির মিয়া রাকিব (২৫)।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৯ নভেম্বর রবিবার রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৩২ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলো: কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর রামপুর গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন এর ছেলে মোঃ সোহেল রানা (৩৯) এবং একই জেলার কোতয়ালী মডেল থানার আড়াইউড়া গ্রামের শামসুল হক এর ছেলে মোঃ সোহাগ (২৬)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল, গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ ও কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন