চট্টগ্রাম
নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন আসদগঞ্জ এলাকা থেকে জুয়া খেলার অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার
দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উদ্ধার
করা হয়।
আটককৃত
ব্যক্তিরা হলো, ১। মো. হারুন (৪৭), ২।মো. আবদুর রফিক (৬০), ৩।মো. মহিউদ্দিন (৩০),
৪।মো. রুবেল (২৮), ৫।জাকির হোসেন (৪০), ৬।আবুল হোসেন (৬০), ৭।মো. সোলেমান (৪২), ৮।মো.
নরুল ইসলাম (২৪), ৯।মো. মানিক (২৫), ১০।মো. বেলার হোসেন (২৫), ১১।মো. ইউসুফ (৩৪), ১২।মো.
জাফর (৩৯), ১৩।মো. জসিম (৪৪), ১৪।নুরনবী (৩৭), ১৫।জুয়েল (৩৩), ১৬।মো. এবাদুল (৩৫),
১৭।মো. খালেদ মোর্শেদ (৪৫)।
কোতোয়ালি
থানার ওসি এম ওবায়দুল হক বলেন, রাতে জুয়া খেলার সময় আসদগঞ্জ এলাকা থেকে ১৭ জনকে হাতেনাতে
আটক করা হয়।
তাদের
নন-এফআইআর প্রসিকিউশন মূলে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসকে সামনে রেখে পর্যটক কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কক্সবাজারের উখিয়া থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) উখিয়ার ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ২টি চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটেও পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীর নৌবাহিনী জেটি থেকে এমভি বারো আউলিয়া ও কর্ণফুলী নামের ২টি জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
বারো আউলিয়ার পরিচালক মাহাবুব হোসেন জানিয়েছেন, পর্যটক চাহিদার কারণে এক মাস ইনানী-সেন্টমার্টিন রুটে দুটি জাহাজ চলাচল করেছিল। রমজানে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে। এ কারণে সোমবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার(১০ মার্চ) সবশেষ জাহাজ দুটি সেন্টমার্টিনে গেছে। আগের দিন এবং এর আগে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে জাহাজ দুটি ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে ফিরে এসেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেছেন, জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ হয়তো ব্যবসায়িক কারণে লোকসান এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
২০ মে থেকে ২৩জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন সমুদ্রে সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার তুষার মজুমদার জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠ প্রজনন ও মজুদ সংরক্ষণ এবং সহনশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা(২) এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা ২০২৩ এর বিধি ৩এর ১ (ক)এর ক্ষমতাবলে ২০ মে হতে ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে কিছুদিন পূর্বে জেলেদের ও জেলে সমিতির সদস্যদের সাথে উপজেলা পরিষদ হল রুমে সভা করা হয়েছে
আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং এই ৬৫দিন জেলেরা সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল পাবেন সেবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। একই সাথে জেলেদের যাচাই বাছাই করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহায়তা নিয়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের ইছানগরে আগুনে পুড়তে থাকা চিনির গুদাম দেখতে এসে শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলছেন, আগুন নেভার পর দুই দিনের মধ্যে চিনি পরিশোধনে ফিরতে চান তারা।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তীরে এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। ২৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকালেও সেই আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।
এস আলমের ওই চিনিকলের দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতা ২২০০ টন। কারখানার পাশের পাঁচটি গুদামের মধ্যে চারটিতে অপরিশোধিত এবং একটি গুদামে পরিশোধিত চিনি রাখা হয়। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে চিনিকলটির ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে, যাতে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার যখন গুদামে আগুন লাগে, তখন চিনিকলটি চালু ছিল। আগুন লাগার পর কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ওই দিনই এস আলমের কল থেকে বাজারে চিনি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
আগুনে ১ নম্বর গুদাম ভস্মীভূত হলেও অন্য গুদাম বা কারখানায় আগুন ছড়ায়নি। তবে ১ নম্বর গুদামের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে আগুনে পুড়তে থাকা গুদাম দেখতে এলে সাংবাদিকরা সাইফুল আলম মাসুদের কাছে জানতে চান, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব রোজায় চিনির বাজারে পড়বে কি না।
উত্তরে সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, আপনারা জানেন কিছু ব্যবসায়ী আছে, দুয়েকদিনের জন্য করে এরা; এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো দুয়েকদিন হবে আরকি। দুয়েকদিন পর তো আমার ডেলিভারি ঠিক হয়ে যাবে।
এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ আরো বলেন, আমার প্রোডাকশন চালু করব। আমার বানানো মাল আছে। ওইটা দিয়ে এক সপ্তাহ মিনিমাম চলবে। প্রোডাকশনে যাইতে লাগবে দুই দিন। মালেরও সমস্যা নেই। মেইনলি আগুনটা নিভে গেলে হয়ে যাবে আমার।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সদরঘাট নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকা থেকে ১টি দেশি অস্ত্র, ৪টি ছুরি, ২টি তালা কাটার যন্ত্র ও ২টি রেঞ্চসহ ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আরিফ হাসান মেহেদী নামে ডাকাত দলের ১ সদস্য স্বীকার করেছে- কয়েকদিন আগে মেহেদীবাগস্থ আমিরবাগ আবাসিকের এক বাসা থেকে চুরি করা স্বর্ণ তার কাছে রয়েছে।
পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ডবলমুরিং থানাধীন বারেক বিল্ডিং এলাকার সানাই সিনেমা হলের খালি জায়গার ঝোপের ভিতরে মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় ৫১ ভরি ১২ আনা ৩ রত্তি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন
এরমধ্যে ২০টি ফ্লাইট
সরাসরি জেদ্দায় যাবে, দুটি ফ্লাইট যাবে মদিনা।
বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ১৪ মে
ভোররাত ৩টা ৫০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে
বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭১৭ যোগে প্রথম ফ্লাইট যাত্রা শুরু করবে। প্রথম ফ্লাইটে
৪১৯ জন যাত্রী মদিনা যাবেন।
এই
বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮
হাজার ৮৯৫ জন।
এর
আগে ৯ মে ঢাকা থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঢাকা থেকে এদিন হজযাত্রীদের
নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী
ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে।
চাঁদ
দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পালিত হতে পারে হজ। প্রতিবছর সাধারণত একমাস আগে থেকে শুরু হয়
হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ শেষ করে থাকে
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম
নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন আসদগঞ্জ এলাকা থেকে জুয়া খেলার অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার
দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উদ্ধার
করা হয়।
আটককৃত
ব্যক্তিরা হলো, ১। মো. হারুন (৪৭), ২।মো. আবদুর রফিক (৬০), ৩।মো. মহিউদ্দিন (৩০),
৪।মো. রুবেল (২৮), ৫।জাকির হোসেন (৪০), ৬।আবুল হোসেন (৬০), ৭।মো. সোলেমান (৪২), ৮।মো.
নরুল ইসলাম (২৪), ৯।মো. মানিক (২৫), ১০।মো. বেলার হোসেন (২৫), ১১।মো. ইউসুফ (৩৪), ১২।মো.
জাফর (৩৯), ১৩।মো. জসিম (৪৪), ১৪।নুরনবী (৩৭), ১৫।জুয়েল (৩৩), ১৬।মো. এবাদুল (৩৫),
১৭।মো. খালেদ মোর্শেদ (৪৫)।
কোতোয়ালি
থানার ওসি এম ওবায়দুল হক বলেন, রাতে জুয়া খেলার সময় আসদগঞ্জ এলাকা থেকে ১৭ জনকে হাতেনাতে
আটক করা হয়।
তাদের
নন-এফআইআর প্রসিকিউশন মূলে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক বৃদ্ধকে দেখে
‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় পপি আক্তার (১০) নামের এক কিশোরীর শরীরে গরম পানি
ঢেলে ঝলসে দিয়েছে ছায়ের খাতুন (৫৫) নামের এক নারী। আহত পপি আক্তার এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। পপি আক্তার স্থানীয় মৃত বিজলি আকতারের মেয়ে। ছোটবেলায়
প্রথমে তার বাবা ও পরে মায়ের মৃত্যু হলে সে নানার বাড়িতে থাকত।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি মো: মনির হোসেন।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)
সন্ধ্যায় উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াজের বাড়িতে ঘটলেও কিশোরীটি অসহায়
হওয়ায় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানা যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও কিশোরীর মামা
মো. দিদার জানান, বাবা-মা হারা কিশোরী পপি আক্তার বাড়ির উঠানে খেলছিল।
এসময় তার নানা সম্পর্কিত এয়ার মোহাম্মদ
(৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দুষ্টামিবশত ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলে হাসাহাসি করে।
কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাইয়ের বউ ছায়েরা খাতুন (৫৫) এসে ওই কিশোরীর শরীরে
গরম পানি ঢেলে দিলে তার শরীর ঝলসে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করাই। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো: মনির
হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর কিশোরীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলছি, তবে এখনো কেউ অভিযোগ
করেনি। শুনেছি কিশোরীটি অসহায়, তার বাবা-মা কেউ নেই। অভিভাবকরা এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা
নেব।
মন্তব্য করুন
নগরের সবচেয়ে বড় ডিমের বাজার পাহাড়তলীর কিছু আড়তে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৭০ পয়সা। ডজন হিসেবে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকা ৫০ পয়সা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে খুচরায় এখনো ডিম ১৭০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান নতুন এ মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা দেন।
উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা; পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের ট্রিপ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। স্পেশাল ট্রেনটি দিনে ২ বারের পরিবর্তে ৪ বার যাতায়াতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ প্রস্তাবনা গৃহীত হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।
তারা বলছেন, বিদ্যমান জনবল এবং লজিস্টিকস ব্যবহার করেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার স্পেশালকে নিয়মিত করা ও ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
তাই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্টের প্রস্তাবটি রেলভবন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে বিপুল যাত্রীচাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়বে।
গত ১১ ডিসেম্বর রেলওয়ে মহাপরিচালককে চিঠি দেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, যাত্রী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এই ট্রেন স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য কক্সবাজার ও আশপাশের এলাকার সামাজিক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি আরও এক জোড়া ট্রেন যোগ করে এখন দুই জোড়া ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব করা হলো।
নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রথম ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছাড়বে সকাল সাড়ে ৬টায়। কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ১০টায়। ওই ট্রেন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার রেলস্টেশন ছেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর সোয়া ২টায়। চট্টগ্রাম থেকে দুপুর পৌনে তিনটায় ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফের ছেড়ে যাবে। ওই ট্রেন কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৭টায় আবার ছাড়বে। সেটি চট্টগ্রাম স্টেশনে এসে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১০টায়।
জানা যায়, ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ২০২৩ সালের নভেম্বরে উদ্বোধনের পর প্রথম এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০২৩ এর ১ ডিসেম্বর। বিপুল যাত্রীচাহিদা থাকলেও এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি নিয়মিত ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
এর বড় কারণ হচ্ছে, বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান ব্যবস্থায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ফলে এই রুটে স্বাভাবিক সময়েই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন অনেকটা ‘সোনার হরিণ’পাওয়ার সমান।
এমন বাস্তবতায় ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে সেটি চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই ট্রেন ফের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ট্রেনটি এখনও চলছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার রুটে ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিন ও কোচসংকটের কারণে নতুন ট্রেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে বিশেষ ট্রেন চলছে, তা দিয়ে দুই জোড়া ট্রেন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্রেন বাড়লে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মন্তব্য করুন