রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত গাউসুল আজম মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।ফায়ার সার্ভিসের প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় শনিবার বিকাল সাড়ে পৌনে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে বিকাল ৪টার দিকে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন, যাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
মন্তব্য করুন
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটির
কারণে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে
দু'দেশের মধ্যে আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ফলে বুধবার সকাল থেকে
এ বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি হবে না। তবে দু'দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল
স্বাভাবিক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারো এ পথে
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চলবে বলে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি
ঘোষণা করায় আজ বুধবার বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরের সকল কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। সে কারণে
এ পথে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় এ পথে আমদানি-রপ্তানি
চলবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আযহারুল ইসলাম জানান, আশুরা উপলক্ষে বুধবার এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও
দু'দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল
স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, বুধবার পবিত্র আশুরায়
সরকারি ছুটি থাকায় বন্দরের পাশাপাশি কাস্টমসের কার্যক্রমের সঙ্গে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
থাকবে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও যেসব ভারতীয় ট্রাক পণ্য বন্দরে আনলোড করে খালি ট্রাক
নিয়ে ফিরে যেতে চাইবে তাদের অনুমতি দেওয়া হবে। এ জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা থাকবে।
মন্তব্য করুন
মৃত্যুর ১৫ বছর পর কবরে মিললো অক্ষত
মরদেহ। চারপাশে চিকচিক করছিল বালু। কাফনের কাপড়টুকুতেও লাগেনি সামান্য দাগ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে রংপুর মহানগরীর নব্দীগঞ্জ গোদা-শিমলা এলাকায় এ ঘটনাটি
ঘটেছে। বিরল এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে
রংপুর মহানগরীর নব্দীগঞ্জ গোদা-শিমলা এলাকায় গ্যাসের সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ চলছিল।
এ কারণে সেখান থেকে কয়েকটি কবর স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন স্বজনরা। দুইদিনে ৪টি কবর স্থানান্তরের
পর আরেকটি কবর খুড়তেই ঘটে আশ্চর্যজনক ঘটনা। দেখা গেল, অক্ষত অবস্থায় ধবধবে সাদা কাপড়
দিয়ে মোড়ানো আছে লাশ।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ২০১০ সালে
সেখানে কবরস্থ করা হয়েছিল মরহুম আব্দুস সামাদকে। ১৫ বছর আগের সেই পুরোনো কবরটি স্থানান্তর
করতে গিয়ে এ ঘটনায় অবাক তারা। দ্বিতীয়বার স্বচোক্ষে অবিকল অভিভাবককে দেখতে পারায় অবাক
মরহুমের স্বজনসহ পুরো গ্রামবাসী।
জানা গেছে, ১০৫ বছর বয়সে সম্পূর্ণ সুস্থ
অবস্থায় নিজ বাড়িতে মারা যান আব্দুস সামাদ। ছিলেন কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। তিনি আট ছেলে
ও চার কন্যাসন্তানের জনক। এরমধ্যে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে মারা গেছেন।
আব্দুস সামাদের ছেলে জানান, আমার বাবা
যেদিন মারা যান, সেদিন বাড়ির পাশের পুকুরে একাই তিনি গোসল করেন। এরপর তিনি পুকুর থেকে
উঠে এসে চেয়ারে বসলে ওই অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ধার্মিক মানুষ ছিলেন। কবর থেকে
মরদেহ উত্তোলনের পর তাকে পাশে অন্যদের সাথে দাফন করা হয়। তার শরীরের সবকিছুই স্বাভাবিক
মনে হয়েছে। শুধু শরীরের চামড়াটা শুকিয়ে গেছে।
আব্দুস সামাদের আরেক ছেলে জানালেন,
তার বাবার শরীরের কোথাও কোনো পচন ধরেনি। এমনকি কাফনের কাপড়ও নষ্ট হয়নি। তাকে কোনো কিছুই
স্পর্শ করেনি। হজের ইহরামের কাপড় দিয়ে তাকে কবরস্থ করা হয়েছিল। যেভাবে তাকে কিবলামুখী
করে রেখেছিলাম সেভাবেই কবরে ছিল। আলহামদুলিল্লাহ এটা আল্লাহর বান্দার প্রতি তার রহমত
ছাড়া আর কিছুই নয়।
স্থানীয়রা জানান, ১৫ বছর আগে আমরা তাকে
কবরস্থ করার সময় যেভাবে দাফন করেছিলাম। সেদিন ওই অবস্থায় তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন
করা হয়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য লাশের হাত-পায়ের সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি।
ধাপ সাতগাড়া বায়তুল মোকাররম মডেল কামিল
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনম হাদিউজ্জামান জানান, এ ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়, যারা
দুনিয়াতে সবকিছু ভুলে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলেন তাদেরকে কবরে সুসংবাদ দেওয়া হয়।
কবর পোকা-মাকড়ের ঘর হলেও তাদের কোনো কিছুই স্পর্শ করে না। শুধু তাই নয় ইসলামের পথে
থাকা ওইসব ব্যক্তির দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ নিজের। আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে তার ভালো কাজের
জন্য পুরস্কার হিসেবে এটা দিয়েছেন। কারণ এটা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন
যারা আল্লাহর হয়ে যান, আল্লাহ তার হয়ে যান।
মন্তব্য করুন
মাই টিভির ১৫ বছর পদার্পন উপলক্ষে কুমিল্লায় র্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
মাই টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আবু মুসার আয়োজনে আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপসের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. লুৎফুর রহমান, এটিএন নিউজ ও এটিএন বাংলার কুমিল্লা প্রতিনিধি খায়রুল আহসান মানিক, আরটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. গোলাম কিবরিয়া, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক সীমান্ত সংবাদ ও ডেইলি অবজারভারের প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম দুলাল, রূপসী বাংলার প্রতিনিধি অশোক বড়ুয়া, জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি হুমায়ুন কবির রনি, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের কুমিল্লা প্রতিনিধি মীর শাহ আলম, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার সাদিক হোসেন মামুন, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক বাহার রায়হান, মানবজমিনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. জাহিদ হাসান, বৈশাখী টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসাইন, যমুনা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, সমকালের কুমিল্লা প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন, দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, দৈনিক যুগান্তরের কুমিল্লা ব্যুরো আবুল খায়ের, নাগরিক টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন আকাইদ, ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার মো. ফিরোজ হোসেন, যায়যায়দিনের কুমিল্লা প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, চ্যানেল ২৪ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. জাহিদুর রহমান, জাগরনী টিভির জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান, আরটিভির প্রতিনিধি মো. সোহরাব সুমন, এনটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু, আজকের পত্রিকা’র প্রতিনিধি জহিরুল হক বাবু, এশিয়ান টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, চ্যানেল এসের প্রতিনিধি রাজিব সাহা, ঢাকা ট্রিবিউনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মহসীন কবির, রূপসী বাংলার নিজস্ব প্রতিনিধি সাইফুল সুমন, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদের প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন, ডাক্তার ও লেখক ডা. আব্দুল আউয়াল সরকার, দুর্নীতির সন্ধানের প্রতিনিধি ম্যাক রানা, ঢাকা মেইলের কুমিল্লা প্রতিনিধি সাকলাইন জুবায়ের, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামারাপার্সন মো. আমলগীর হোসেন, সদর দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাজী দেলোয়ার মজুমদার, জাতীয় অর্থনীতির কুমিল্লা ব্যুরো মো. শাহিন হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ কুমিল্লা প্রতিনিধি মারুফ কল্প, দৈনিক আমাদের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান,ময়নামতি টোয়েন্টি ফোর টিভির গিয়াস উদ্দিন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের কুমিল্লা প্রতিনিধি এনসি জুয়েল, বিজনেস বাংলাদেশর মহানগর প্রতিনিধি আয়েশা আক্তার, বাংলাদেশ সমাচারের প্রতিনিধি মো. সাফি, দৈনিক আলোকিত সকালের মহানগর প্রতিনিধি হাফেজ তামিম হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ওরফে জাহেরকে (৬০) কুমিল্লা নগরীর সিটিকর্পোরেশন এলাকা থেকে কোতায়ালি মডেল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
জানা যায়, জাকির হোসেন জাহের এর বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা, কুমিল্লা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতার মামলাসহ কোতয়ালী মডেল থানায় ২ টি এবং বুড়িচং থানায় ৮ টি মামলা রয়েছে। জাকির হোসেন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পীরযাত্রাপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। তার আগে ২০১৬ সালে তিনি একই এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরে একটি কোল্ড স্টোরেজ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ১৪ টন খেজুর জব্দ করেছে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জব্দকৃত খেজুরের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায়
সাড়ে ২৩ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার
(১২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে বিপুল
পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ এ খেজুরগুলো জব্দ করা হয়।
অভিযানের
নেতৃত্ব দেন, ভোক্তা অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোপলিটন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মো.
সেলিমুজ্জামান।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান জানান, বিপুল পরিমাণ
এ খেজুরের পুরোটাই মেয়াদোত্তীর্ণ। আমরা অভিযান পরিচালনা করে এটি জব্দ করেছি। এখানকার
মালিক আসার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের
প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের নদীর পানি ৫ থেকে ৭ ফিট বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে
থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস বইছে। ঝড়ের গতিসীমা ১০০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার
পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতর।
রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি
আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গাবুরা
ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের মৃত নরিম মোড়লের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাবুরা ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে এ অঞ্চলে। নিরাপদ আশ্রয়ের
জন্য ছুটছে মানুষ। এদিকে, সন্ধ্যার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল সাতক্ষীরা উপকূল অতিক্রম
শুরু করেছে।
মৃত ওই বৃদ্ধের নাম শওকাত মোড়ল (৬৫)।
তিনি গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের মৃত নরিম মোড়লের ছেলে।
নিহত শওকাত মোড়লের পুত্রবধূ আছমা খাতুন
জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে তার শ্বশুর শওকাত মোড়ল স্ত্রীকে নিয়ে নাপিতখালী আশ্রয়
কেন্দ্রে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অসুস্থ এক বৃদ্ধ মারা গেছে বলে শুনেছি।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় পানিকচুতে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক বশির উল্যাহ। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৮ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করেছেন পানিকচু। সাধারণত স্বল্প পানিতে যে কচু চাষ করা যায় তাকে পানিকচু বলা হয়। বর্ষার শেষে বাজারে যখন সবজির ঘাটতি দেখা দেয় তখন পানি কচুর লতি ও কান্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, যথাযথ গবেষণা, সরকারি প্রণোদনা প্রদান, সর্বোপরি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় বর্তমানে কচুয়া উপজেলায় বাড়ছে পরিবেশবান্ধব ও ভিটামিনযুক্ত বারি-২ জাতের লতিরাজ পানিকচুর চাষ। এ কচু চাষে নেই পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই, সম্ভাবনা নেই আর্থিক ক্ষতির। সেই সঙ্গে বর্তমান বাজারে, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ সবজির চাহিদা বাড়ায় লতিরাজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ উপজেলার কৃষকরা।
কচু চাষী বশির উল্যাহ বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে কচু চাষ করে আসছেন তিনি। প্রতি বছরে আমি কচু বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। চলতি মৌসুমে এবার প্রায় ৪৮ শতাংশ জমিতে পানিকচুর চাষাবাদ করি। তাছাড়া কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার লতিরাজ জাতের কচুর চারা রোপণ করি। কৃষি প্রণোদনা প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী পাই। ২০হাজার টাকা ব্যয় হলেও প্রথমে বিক্রি করেছেন লতি ১০ হাজার টাকা। লতি আসতে শুরু করেছে মাত্র। তিনি আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান। তার এ পানিকচু ও লতিরাজ কচু উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিক্রি করে থাকেন।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান শাওন বলেন, কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সিংআড্ডা ব্লকে কৃষক বশির উল্যাহকে পানিকচু চাষে উৎসাহী করা হয়েছে। ফলে তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে তার জমিতে ভালো পানি কচুর আবাদ হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে অনেক মুনাফা অর্জন করতে পারবে কৃষক বশির উল্যাহ।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, সবজি হিসেবে কচু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। কচু উৎপাদনে খরচ ও রোগবালাই কম, দামও ভালো পাওয়া যায়। কচুয়া উপজেলায় ইতোমধ্যে উত্তর ইউনিয়নের লতিফুর গ্রামের কৃষক বশির উল্যাহ লতিরাজ কচুর চাষাবাদ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও কৃষি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
যশোরে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে
৫০ জোড়া তরুণ তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এমন ধুমধাম বিয়ের আয়োজন কল্পনাও করেননি তারা।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এসসিআই বাংলাদেশের
তত্ত্বাবধানে ও এসসিআই আরব আমিরাতের অর্থায়নে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীরদরগাহ কুয়েত
ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্সে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
খুলনা বিভাগের অসহায়, এতিম ও অর্থ সংকটে
বিবাহ হচ্ছে না এমন ৫০ জোড়া পাত্র-পাত্রীকে এদিন বিবাহ দেওয়া হয়েছে। বিয়ে অনুষ্ঠানে
কর্মসংস্থানের জন্য বরকে একটি করে ভ্যান ও কনেকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে
সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে নবদম্পতিকে।
খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে জাঁকজমকপূর্ণ
আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। নতুন বউ নিয়ে হাসিমুখে ফিরে যান নিজ নিজ বাড়িতে।
ব্যতিক্রমী যৌতুকবিহীন এ বিয়ের সার্বিক
ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্স গাজীরদরগাহ ঝিকরগাছার পরিচালক
মুফতি নাসিরুল্লাহ।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোরের
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
তিনি বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি।
সমাজ থেকে যৌতুক উচ্ছেদের সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করতে হবে। যৌতুকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে
হবে। ইসলামের প্রকৃত আদর্শিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে কলুষমুক্ত করতে হবে।
যৌতুকমুক্ত সমাজ গঠনে নাগরিক সমাজের
অংশগ্রহণ জোরদারের আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসী লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স যোগে সৌদি প্রবাসী রুবেলের মরদেহ নিয়ে ফটিকছড়ি যাচ্ছিল নিহত রুবেলের আপন ভাই বাবুল (৩২) ও তাহার প্রতিবেশীরা।
লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাতিসা (কালিকাপুর) পৌঁছা মাত্রই ১৪ চাকার বড় লড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে নিহত প্রবাসী রুবেলের বড় ভাই বাবুল (৩২), প্রতিবেশী ওসমান মিয়া (৪০) ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং অপর প্রতিবেশী বশির মিয়া (৩০) গুরুতর আহত হয়ে মহাসড়কের পরে।
কালিকাপুর গ্রামের স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় আহত ব্যাক্তি বশির মিয়াকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, লাশবাহী গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চট্টগ্রামমুখী ১৪ চাকার লড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়, এতে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত ও গুরুতর একজন আহত হন। লাশবাহী এম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত সকলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বুঝপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত এক বছর পূর্বে সৌদি আরবে রুবেল মারা যায়। আইনী পক্রিয়া শেষে আজ সকালে রুবেলের মরদেহ ঢাকা এসে পৌছায়। পরবর্তীতে প্রবাসী রুবেলের মরদেহ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনার পর থেকে লাশবাহী এম্বুলেন্সের ড্রাইভার পলাতক রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর):
সারাদিনের মধ্যে ভাপা পিঠার প্রয়োজনীয় সব কিছু জোগাড় করে বিকেল থেকে দিনের আলোয় কাজ করছেন মমতাজ বেগম। আর সন্ধ্যা নামতেই কৃত্রিম আলো জ্বালানো হলে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পিঠার দোকানের কাছেই ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় এভাবে গরম চুলোয় পিঠা তৈরি করে বিক্রয় করতে দেখা যায়।
দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। শীতের আগমনী বার্তা পেয়ে পিঠা বিক্রেতাদের
পরিবারে সুখের দিন ফিরে আসে। ভোররাত
থেকে কুয়াশার সঙ্গে কিছুটা শীত এবং বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার আগে শীত অনুভব করা যায়। তারপরও শীতের এই আমেজকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় পিঠা। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির এক অংশ। শীতের সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা খাওয়া গ্রামের চিরায়ত দৃশ্য হলেও এমন দৃশ্য পৌরশহরে চোখে পড়ে। ব্যস্ত শহুরে জীবনে ঘরে পিঠা তৈরি করা কষ্টসাধ্য হলেও রাস্তার পাশে ও মোড়ের দোকানে পিঠা পাওয়া যায়। তাই শীত মৌসুমে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠার দোকান গড়ে ওঠে।
এ বছরও শীতকে ঘিরে পৌরশহরে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। দিনভর পিঠার আটাসহ অন্যান্য উপকরণ তারা তৈরি করেন। আর বিকেল হলেই রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে হরেক রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাত ১০টা পর্যন্ত সেই পিঠা বিক্রি চলে। আর পিঠা বিক্রির আয়েই এসব খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চলে। বলা যায়, শীত মৌসুমে তিন মাস পিঠা বিক্রি করেই তারা উপার্জন করে থাকেন।
বিরামপুর উপজেলার, কলাবাগান মোড়, হাসপাতাল মোড় , মহাসড়কের পাশে মুক্তিযোদ্ধা
কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে,অবসর সিনেমা মোড়, পশু হাটের মোড়, থানার রাস্তার মোড়সহ পূর্ব পাড়া,ইসলাম পাড়ার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অলিতে গলিতে বিকেল থেকেই পিঠা বিক্রেতারা রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে অবস্থান করেন। কেউ ভ্যানে করে আবার কেউ নির্দিষ্ট স্থানেই শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেন। পরিবারের কাজকর্ম শেষ করে বেশিরভাগ অসহায় দরিদ্র পরিবারের নারীরা এ পেশায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।পিঠা বিক্রির টাকায় এ স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর সংসার চলে। শীত শেষ হলে অনেকে অটোরিকশা চালানো কিংবা অন্য কোনো দিন মজুরির কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন।
স্বামী সন্তান সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় পিঠা বিক্রি করছেন জাহানারা ।এসব নারীদের কারোর স্বামী নেই আবার স্বামী থাকলেও অসুস্থ। তাই সংসার চালাতে শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করছেন। এসব দোকানে শীতের বিভিন্ন প্রকারের পিঠা দেখা যায়। এর মধ্যে ভাপা আর চিতই পিঠার দোকানই বেশি চোখে পড়ে। এর পাশাপাশি সিদ্ধ ডিম,পিঁয়াজু,পাটিশপটা,মুগের ডালের পাঁপড় ভাজা, তেল পিঠাসহ হরেকরকম পিঠার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন।চিতই পিঠা খাওয়ার জন্য ভর্তা হিসেবে রয়েছে তিল,ঝাল, বাদাম ও ধনা পাতার এছাড়াও রয়েছে গুঁড়।
পৌরশহরে সন্ধ্যা নামতেই পিঠার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেক সময় একজনের পক্ষে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়। একাধিক চুলায় পিঠা তৈরি করেও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ কঠিন হয়ে যায়। এ সময় পিঠা বিক্রেতা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে অনুরোধও করেন। অনেকে বাড়ির সদস্যদের জন্যও পিঠা নিয়ে যান। আর বেশিরভাগ ক্রেতাই গরম পিঠা খাওয়ার জন্য দাবি করেন বলে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। এসব পিঠার দোকানে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই আসেন।
পিঠা বিক্রেতারা জানান, চালসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।
কলাবাগান মোড়ের পিঠা বিক্রেতা নওশাদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একশ থেকে ১৫০টি পিঠা বিক্রি করা যায়। প্রতিদিন একইরকম বিক্রি হয় না। কোনোদিন একশটি পিঠাও বিক্রি করা কঠিনে হয়ে যায়। এখন তো সবখানেই পিঠা পাওয়া যায়।
পিঠার দামের বিষয়ে এ বিক্রেতা বললেন, সাধারণত ১০টাকা দামেই পিঠা বিক্রি করি। কেউ কেউ ২০ টাকার পিঠার কথা বললে সেটাও তৈরি করি। তবে ১০টাকার পিঠাই বেশি বিক্রি করি। দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হলে পাঁচ থেকে সাতশ টাকা লাভ থাকে। কোনো কোনো দিন আবার পাঁচশ টাকাও হয় না।
কয়েকজন অটোরিকশা চালক পিঠা খেতে এসেছেন বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে। পিঠার দোকানের সামনে তাদের সঙ্গে কথা হয়। অটোরিকশা চালক হারুন বলেন, সন্ধ্যা হলেই বাইরে বের হই আমরা। এখন শীতের সময় ভাড়া মারার ফাঁকে সময় করে পিঠা খেতে আসি। এছাড়াও জিনিস পত্রের যে দাম বাসায় তৈরি করে খাওয়ার তেমন সুযোগ হয়না তাই এই পিঠার দোকানই শেষ ভরসা। পিঠা ভালো লাগলে যে যার মতো করে আমরা পিঠা খাই। তারপরও বাড়িতে তৈরি পিঠার স্বাদ এখানে পাওয়া যায় না।
পরিবারের সাথে পিঠা কিনতে আসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোখসানা বলেন, গ্রামে বেড়াতে গেলে নানীর হাতের পিঠা খেতাম। কিন্তু শহরে সেই সুযোগ আর কোথায়। প্রায়ই বাবার সঙ্গে বাহিরে শীতের সময়ে পিঠা খাওয়া হয়।
বিরামপুর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররত জাহান এর সাথে মুঠোফোনে নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নারীরা তো আর পিছিয়ে নেই। শীতকালে নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পিঠার দোকান দিয়ে তাঁরা আয় করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে যদি তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আরও কোনো সুযোগ তৈরি করা যায়, তাহলে সেটি আরও ভালো হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন