

শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করায় ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দেওয়া হয়। মাদারীপুরে ব্যতিক্রমধর্মী এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘পাশে আছি মাদারীপুর’নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুত্রবধূরা সম্মাননা পুরস্কার পেয়ে
খুবই আনন্দিত। আয়োজকদের দাবি, সমাজে বর্তমানে পারিবারিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে এ ব্যতিকর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনের জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। ‘পুত্রবধূ ও শ্বশুর-শাশুড়ির ঐকান্তিক অনবদ্য ও চিরায়ত সম্পর্কের বন্ধনে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দিয়েছে সংগঠনটি।
উক্ত অনুষ্ঠানে পাশে আছি মাদারীপুরের প্রতিষ্ঠাতা বায়জীদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুন্সী, আবৃত্তি সংগঠন মাত্রা’র সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ।
জানা যায়, মাদারীপুর ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত জোনাব আলী হাওলাদার ও মেহেরুন্নেসা বেগমের ছেলে মৃত অহিদুল হাওলাদারের স্ত্রী মোসা. মরিয়ম অহিদ। তিনি জনপ্রতিনিধি। ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলা সংরক্ষিত আসন ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। স্বামী মারা গেলেও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়েই এক সঙ্গে থেকে তিনি তাদের সেবা যত্ন করছেন।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খান ও মৃত রিজিয়া সুলতানার ছেলে রাজন মাহমুদের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা আকাশী। তিনি একজন মিডিয়াকর্মী। তিনি নিজের কাজের পাশাপাশি শ্বশুরকে নিজ হাতে খাওয়ানোসহ সব সেবা যত্ন করে থাকেন।
অন্য সম্মননাপ্রাপ্ত পুত্রবধূরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মাস্টার ও মাহমুদা বেগমের ছেলে মাসুদুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া রহমান মুক্তা, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার আনোয়ার হোসেন ও রাশিদা বেগমের ছেলে রেজওয়ানের স্ত্রী রিমা, মাদারীপুর শহরের উকিলপাড়া এলাকার আশ্রাফ আলী ও সাহানা বেগমের ছেলে এহসানুল হক মামুনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার, মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার আ. রব জমাদার ও শামীমা বেগমের ছেলে আরাফাত ইসলামের স্ত্রী সামসুন নাহার, মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার কাজী হাফিজুর রহমান ও রহিমা খাতুনের ছেলে কাজী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আরিফা আফরোজ অন্তরা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মুক্তিসেনা রোড এলাকার হায়দার আলী খান ও কহিনুর বেগমের ছেলে সাকিন খানের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া, মাদারীপুর সদর উপজেলার গৌরবর্দী এলাকার আ. আজিজ মিয়া ও ফিরোজা বেগমের ছেলে বি এম মহিউদ্দিনের স্ত্রী মিসেস ফারজানা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের পূর্ব পাচখোলা গ্রামের আলী আকবর মোড়ল ও নাদিরা বেগমের ছেলে আ. সোবহান মোড়লের স্ত্রী আছমা খাতুন, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার চর বদরপাশা গ্রামের মো. নওসের ও আম্বিয়া বেগমের ছেলে মো. আমির এর স্ত্রী সাবিকুন্নাহার আক্তার, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনির শেফালী বেগমের ছেলে আজাদ চৌকিদারের স্ত্রী লাবনী আক্তার আশা। তারা সবাই গৃহিণী।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এই বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সেরা পুত্রবধূ লাবণী আক্তার আশা বলেন, এই সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমরা আনন্দিত। আগামীতে আমরা শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সবার প্রতি আরও যত্নবান হবো। এ পুরস্কার প্রাপ্তি দেখে সমাজের অন্যান্য গৃহবধূরাও অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা করছি।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আরিফা আক্তার অন্তরার শ্বশুর কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, এই সম্মাননার আয়োজন করায় আমরা খুব খুশি। শুধু পুত্রবধূদের একার দায়িত্ব না, শ্বশুর-শাশুড়ি-পুত্রবধূ-ছেলে সবাই মিলেমিশে যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করাই হচ্ছে সবার কর্তব্য। আমার পুত্রবধূ সব সময় আমাদের খেয়ার রাখেন, যত্ন নেন। আমরা এক সঙ্গে থাকি। তবে বর্তমান সমাজে শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে কেউ থাকতে চান না। ছেলের বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায়। তাই এ আয়োজনের মাধ্যমে অন্যপুত্রবধূরাও উৎসাহ পাবেন। তারা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থেকে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবেন। আশা করছি এই আয়োজন প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত সামসুন নাহারের শাশুড়ি শামীমা বেগম বলেন, পুত্রবধূ সম্মাননার মতো এমন আয়োজন আর কোথাও করতে শুনিনি। এটি ব্যতিক্রম আয়োজন। তবে বর্তমান সমাজে এ আয়োজনের দরকার আছে। কারণ বর্তমানে কেউ শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে চান না। কোনো না কোনো উসিলা দিয়ে আলাদা হয়ে যায়। এটা একজন মা-বাবার জন্য কতাটা কষ্টকর, তা বোঝানো যাবে না। তবে আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকি। তাই এই আয়োজন দেখে সমাজের আরও পুত্রবধূরা শ্বশুর-শাশুড়িকে সেবা করবেন, যত্ন নেবেন, এক সঙ্গে থাকবে বলে আশা করছি।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ‘১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্য পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ হাসান জানান, মাদারীপুরে এই সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে সম্মাননা পেতে দেখে অন্যান্য পুত্রবধূ ও শশুর শাশুড়িরাও অনুপ্রাণিত হবেন। তাই এই ব্যতিক্রম আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন চাঁন্দপুর সাকিনস্থ চাঁন্দপুর ব্রীজ সংলগ্ন মা ভ্যারাইটিজ স্টোরের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে ৩২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন চাঁন্দপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩২ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলোঃ রংপুর জেলার গঙ্গাচর থানার তালুকভুবন গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ এর ছেলে মোঃ আব্দুল কাফী (৩৫), কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার আমরাতলী গ্রামের মৃত জুলফু মিয়া এর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩২)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে রংপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর তার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ভাবি ও ভাতিজাকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে দেবর সাদিকুর রহমান সাদেকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, ২০২২ সালের ২ জুলাই রাতে টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই রাতে সাদিকুর রহমান তার ভাবি রাজিয়া সুলতানা কাকলীর কাছে কিছু টাকা ধার চান। কিন্তু কাকলী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাদিকুর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। মুহূর্তের উত্তেজনায় তিনি ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে রাজিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এরপর ঘরে ঘুমিয়ে থাকা রাজিয়ার আট বছর বয়সী শিশু পুত্র তালহাকেও একইভাবে হত্যা করে সে। হত্যার পর আলমারিতে রাখা কিছু স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সাদিকুর।
পরদিন নিহত রাজিয়ার মা তাসলিমা বেগম আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্তে সাদিকুর রহমান সাদেকের সম্পৃক্ততা উদ্ঘাটন করে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
দীর্ঘ দুই বছর ধরে সাক্ষ্যপ্রমাণ, তদন্ত ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন। বিচারক আসামির অপরাধকে ‘নির্মম ও পরিকল্পিত’ বলে মন্তব্য করেন এবং তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
এই রায়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটলেও নিহতদের পরিবার এখনো শোকে মূহ্যমান। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় জিসান (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার দাইরাদী এলাকায়।
নিহত জিসান সদাসদী গ্রামের বাসিন্দা ও গোপালদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হক সাবেরের ছেলে।
জানা যায়, জিসান এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল গোপালদী পৌরসভার সদাসদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ঘটনার দিন স্কুলের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান ছিল। স্কুলের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে দাইরাদী এলাকায় একটি অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় জিসান। তাৎক্ষণিকভাবে জিসানকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন, আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ।
মন্তব্য করুন


নওগাঁর সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে গত ২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে তাবাসসুম আক্তার রিংকু (২২) নামে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত তাবাসুম আক্তার রিংকু জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে আর তিনি স্থানীয় রায়কালী টেকনিক্যাল বিএম কলেজের এইচএসসি ভোকেশনাল ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনার পর দিন ২৯ নভেম্বর ( বুধবার ) দুপুরে নিহতের মা শাহিনা বেগম বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) ফয়সাল বিন আহসান বলেন,এ ঘটনার চারদিন পর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মাটিয়াকুরি গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে নাঈম হোসেন ও তার বাবা আলাউদ্দীন আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত রিংকু ও নাঈমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্ক পরিবারে বাধা হয়ে দাঁড়ালে গত ২৭ সোমবার নভেম্বর সকালে তারা কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি অটোরিকশা করে রাজশাহী কোর্টের উদ্দেশে রওনা হয়। একসময় দুজনের মধ্যে নওগাঁ কোর্টে অথবা রাজশাহীতে কোর্ট ম্যারেজ করা নিয়ে তর্কবিতর্ক আর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সদর উপজেলার চকগৌড়ি মেইন রাস্তায় অটোরিকশা থেকে রিংকু পড়ে যায়।
এতে মাথা ও হাত পায়ে গুরুতর যখম হলে তাকে বাঁচানোর জন্য তার প্রেমিক নাঈম দ্রুত মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। নাঈম ভয় পেয়ে তার বাবা আলাউদ্দীনের সঙ্গে আলোচনা করলে তার বাবা রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। এরপর নাঈম দ্রুত একটি অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর নাঈম ও তার বাবা ভয় পেয়ে রিংকুর মরদেহ রাতের আঁধারে তিলকপুর ইউনিয়ন এর নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ ঘটনায় দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন । পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় সার্কেল কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের আয়োজনে ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় বুধবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারি ) সকালে কুমিল্লা জিমনেসিয়ামে কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
কাবাডি প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের ৮টি সার্কের টিম অংশ গ্রহন করে। দুটি গ্রুপে নক আউট পর্যায়ে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিন জেলার চৌদ্দগ্রাম সার্কেল, সদর দক্ষিন সার্কেল, লাকসাম সার্কেল, সদর সার্কেল, হোমনা সার্কেল, দাউদকান্দি সার্কেল, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর সার্কেল টিম অংশ নেয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ টায় আইজিপি কাপ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ কাবাডি ও কুমিল্লা জেলা সার্কেল টিমের বিজয়ী কাবাডি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন করা হবে।
কুমিল্লায় সার্কেল কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মংনে খোয়াই মারমা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার কামরান হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন জাকির।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব-১১। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করেছেন তারা।
র্যাব সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরাধ দমনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশ ও জনগনের স্বার্থে আইনশৃংখা রক্ষায় কুমিল্লা র্যাব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এই উপলক্ষে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও কুমিল্লা শহরের আশেপাশের এলাকায় টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। মহাসড়কে যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য র্যাব সদস্যরা গভীর রাত পর্যন্ত টহল পরিচালনা করবে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন প্রাইভেটকার, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশী করবে। তাছাড়াও জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনবহুল এলাকাও গুরুত্বপূর্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে র্যাবের টহল টিমের পাশাপাশি সাদা পোষাকের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক ও উপ পরিচালক মেজর সাদমান ইবনে আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র্যাব দেশের মানুষের শান্তিশৃংখলা রক্ষায় বরাবরই দায়িত্ব পালন করে আসছে। দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃংখলা রক্ষায় প্রস্তুত। অতীতেও র্যাব চাঞ্চল্যকর অপরাধী, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, হত্যা মামলার আসামী, ধর্ষণ মামলার আসামী, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেফতার, প্রতারণা মামলার আসামী গ্রেফতারসহ আইনের আওতায় এনে সুনাম অর্জন করেছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে ছিনতাইয়ের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে মালামাল উদ্ধার সহ ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, গেল ১৩ জুলাই নগরীর রানীর দিঘীরপাড় থেকে তৌফিকুল ইসলাম সবুজ নামে একজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
এঘটনায় মামলা হলে আজ (১৫ জুলাই) সোমবার ভোর রাতে পুলিশ নগরীর দক্ষিন চর্থা ও রানীর বাজার এলাকা থেকে মোঃ রকি (১৯) ও আল মোকাদ্দিম রিয়াজ (২৫) নামে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। এসময় ছিনতাইকৃত টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন


ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এসোসিয়েশন অব ইউনির্ভাসিটিজ অব এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক এর আয়োজনে গত ৮ ও ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় আন্তার্জাতিক ইংলিশ স্টুডেন্ট ডিবেট কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয় ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন।
কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মনির হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো: আরাফাত কবির, তাফহিমুল ইসলাম স্বপ্ন এবং মাহির তাজওয়ার আকাশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ফিলিপাইনে পদার্পন করেন। প্রথমবার অংশগ্রহন করেই নামকরা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে লড়াই করে সেরা পাঁচ-এ অবস্থান করে নেন কুমিল্লার সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইনালে শেষ পর্যন্ত ৩য় রানার আপের গৌরব অর্জন করেন টিম-সিসিএন।
বুধবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন ফিলিপাইনের রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ফার্স্ট রানার আপ ফিলিপাইনের ভিসায়াস স্টেট ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় রানার আপ বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩য় রানার আপ কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কুমিল্লার সবুজে ঘেরা কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অর্জনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভাকাঙ্খীরা আনন্দিন, উচ্ছ্বসিত। বিশ্ব জয় করার এ যেন অনন্য প্রেরণা।
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী অনুভূতি ব্যাক্ত করে জানান, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাসে পাঠদান করে আসছি। ফিলিপাইনে আমাদের বিতার্কিক টিমটির আজকের অর্জিত সফলতা তারই অংশ বিশেষ। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মানের বেশ কয়েকটি সেমিনার করে থাকি এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। সর্বোপরি আমরা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণামূলক করে একাডেমিক সিলেবাস সাজিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন-আজকের অর্জন অনাগত দিনে বিশ্বপরিমন্ডলে সিসিএন-এর বিচরণ বৃদ্ধি পাবে, সফলতার ঝুলি আরও পূর্ণ হবে। আমাদের স্বপ্ন আকাশ সমান। সিসিএন-ইউএসটি ডিবেট টিম সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষত তিনজন বিতার্কিক নিহাদ, স্বপ্ন ও আকাশের প্রতি আমাদের অশেষ শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য করুন


শহীদ
সাদমানদের রক্ত দিয়ে 'নতুন
সংবিধান' লেখা
হয়ে গিয়েছে। জীবিত সাদমানদের রক্তেই সেই নতুন সংবিধান প্রতিষ্ঠিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয়
যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির।
যুগ্ম
সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন,
আমরা চাই, বাংলাদেশে
একটি নতুন সংবিধান তৈরি হোক,
যেখানে প্রকৃত অর্থেই জনগণের ক্ষমতায়ন হবে এবং একব্যক্তিকেন্দ্রিক, এক পরিবার কেন্দ্রিক
ক্ষমতার কোনো সুযোগ থাকবে না।
শুক্রবার
(৪ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দিঘলগাঁও গ্রামে শহীদ হামিদুর রহমান
মজুমদার সাদমানের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা
বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন,
শহীদ সাদমানরা বাংলাদেশকে এক অন্ধকার,
রুদ্ধশ্বাস পরিবেশ থেকে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই
দেশের মানুষ আজীবন তাদের স্মরণ করবে,
তাদের জন্য দোয়া করবে এবং ইতিহাসের পাতায় তাদের অবদান অধ্যয়ন করবে। আমরা
বিশ্বাস করি, সাদমানদের
রক্তে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই রক্তকে আমরা পবিত্র রক্ত মনে
করি। এ রক্তের মাধ্যমেই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ,
সাম্রাজ্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে
নিষিদ্ধ করতে হবে, কারণ
তারা শহীদ সাদমানদের হত্যাকারী,
গণহত্যাকারী, শিশু
হত্যাকারী। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই।
বর্তমান
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদ সাদমানদের
রাষ্ট্রীয়ভাবে আরও মূল্যায়ন করা হোক,
যেন বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্মৃতির প্রতি চিরকাল শ্রদ্ধা জানাতে পারে। আমরা
চাই, তাদের
ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক,
যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এ বিষয়ে
আমরা সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা
মহানগর কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মাদ রাশেদুল হাসান, লালমাই
উপজেলা এএসপি নেতা গাজী হুমায়ুন কবির,
ওমর ফারুক, মাঈন
উদ্দিন,কবির
হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার
রাসেল সিদ্দিকী,সদর
দক্ষিণ উপজেলার সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম রাকিব, সদস্য হান্নান,
ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন আয়ান, যুগ্ম
আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ,
লাল সবুজ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কাউসার আলম,
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমাই উপজেলা মুখপাত্র মো. জাহিদুল ইসলাম
ফারাবী এবং মুখ্যসংগঠক মেহেদি হাসান শুভ। এছাড়াও সদস্য ইয়ামিন,
নাজমুল হাসান জয়,
রাকিব, ফারুকসহ
শহীদ সাদমানের আত্মীয়-স্বজনরা কবর জিয়ারতে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


খাদিজা আক্তার (১৪) গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ চৌয়ারা ধনপুর হাজী সরবত আলী মুন্সী বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। খাদিজা আক্তার কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ২১ নং ওয়ার্ডের শাকতলা উওরপাড়া এলাকার মো. খোরশেদ এর মেয়ে।
নিখোঁজ এর ঘটনায় বুধবার ( ৬/১২/২৩) সদর দক্ষিণ থানায় জিডি করা হয়। উক্ত নিখোঁজ এর ঘটনায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন ভূইয়ার সার্বিক সহযোগীতায় কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির এস আই নিয়াজ মোঃ খান এর নেতৃত্বে আজ (৭/১২/২৩) সন্ধ্যায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে বুড়িচং থানা এলাকা থেকে খাদিজা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়।
খাদিজা আক্তার এর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন