

দিনাজপুরের খানসামায় অনুকূল পরিবেশে আশানুরূপ লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পপকনের চাষ। পপকনকে ঘিরে কৃষক দেখতে শুরু করেছেন রঙিন স্বপ্ন। ধান, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি এ ফসল অধিক লাভজনক।
অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ, উৎপাদন ভালো, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পপকন চকষে ঝুঁকেছেন সাধারণ কৃষকরা। এছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরার্মশ প্রদান, সরকারি সহায়তার ফলে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েই চলছে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পপকন চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে পপকন চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও ১৬৬০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।
গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকন চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ্ বলেন, আমি এ এলাকায় সর্বপ্রথম পপকন চাষ করি। আমাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এখন চাষ করছেন পপকনের। প্রথমের দিকে ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা চাষ করেছি। গতবার ও এইবার ২০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গতবার ২০ বিঘা জমিতে শুকনা দেড় টন পপকন পেয়েছি। আশা করছি এবার আরো বেশি পাবো।
একই এলাকার পপকন চাষি লতিফ হাজ্বী বলেন, পপকন চাষে বেশ লাভবান হয়েছি। গতবারের ন্যায় এবারো ৫ বিঘা চাষ করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে ভাল ফলন হবে বলে মনে করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৭০ ভাগ ও বাকী ৫ ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকন চাষ হয়। পপকন চাষে চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন পেতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, দিনাজপুরের শস্যভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। ভুট্টার পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক পপকন চাষে বেশ আগ্রহী। পপকন চাষে উদ্ভুদ্ধকরণসহ সার্বক্ষণিক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের সাথে একজোট হয়ে কাজ করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান
নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ এনে দিয়েছে, তা ব্যবহার করে আমরা অতীতের পচা বাংলাদেশ থেকে একটা নতুন তরতাজা বাংলাদেশের সৃষ্টি করতে চাই। আসুন, এ লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করি।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ন্যাশনাল বিজনেস সংলাপে তিনি আরো বলেন, “এটা কোনও কল্পকাহিনী না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস- আপনার মনস্থির করে এগিয়ে এলে খুব দ্রুত গতিতে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।”
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) এবং জাতীয় পর্যায়ের ১৫টি বাণিজ্যিক সংগঠন এ সংলাপের আয়োজন করে।
সবাই মিলে একজোট হয়ে কাজ করলে তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা অবশ্যম্ভাবী- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ব্যবসায়ীদের
উদ্দেশে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, “আমরা যে বড় কিছু করতে পারি তার প্রমাণ হলো ব্যবসায়ীরা। বিরাট দুঃসাহস নিয়ে আপনারা উদ্যোক্তা হয়েছেন। বাংলাদেশিদের
কাছে শিল্পপতি হওয়া দুঃস্বপ্ন ছিল, কিন্তু আপনারা সেটা করতে পেরেছেন। আপনারা বিশ্বমানের উদ্যোক্তা। যুবকরা যে সুযোগ এনে দিয়েছে তা কাজে লাগিয়ে আপনারা স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবেন।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ পারস্পারিকভাবে পরিচিত এবং একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগসূত্র রয়েছে। দুনিয়ায় এমন কোনও দেশ পাওয়া যাবে না যেখানে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ। এখানে হয়তো কেউ সরকারে আছেন, কেউবা সরকারের বাইরে আছেন বা ব্যবসা করছেন। অথবা কেউ আছেন বিদেশে। কিন্তু আমাদের সবার সঙ্গে একটা যোগসূত্র আাছে। পারস্পারিক এই যোগসূত্রই আমাদের বড় শক্তি যা আমাদের স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে।”
তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, “যে কয়টা দিন সরকারে থাকি- আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের অঙ্গীকার হলো- নতুন বাংলাদেশের জন্য যা আছে তা করবো। যেন বলে যেতে পারি- এই দেশ আমাদেরকে একটা সুযোগ দিয়েছিল, আমরা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছি।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণরা প্রাণ দিয়েছে। যে বাংলাদেশে তাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা তা অসহ্য হয়ে উঠেছিল। এ কারণে যখন ছাত্রদের প্রাণ ঝরছিল- তখন সারাদেশের মানুষ তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে এমন কোনও মানুষ ছিল না তাদের সমর্থন করেনি। তাদের প্রাণের ফলে আমরা একটা নতুন সুযোগ পেয়েছি।”
ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. ইউনসূ বলেন, “সংস্কার কেবল সরকারের ওপর ছেড়ে দেবেন না। আসুন সবাই মিলে সংস্কার করি। যেখানে ভুল দেখবেন, আত্ম-জিজ্ঞাসা করবেন-সেখান থেকে বেরিয়ে আসার। ছেলেদের আত্মাহুতির দিকে তাকিয়ে ভুলপথ পরিহার করুন।”
শ্রমিক-মালিকের মধ্যে সরকার সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মেয়াদকালে আমরা শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা এখনও জেনেভা কনভেনশনে যোগ দিতে পারিনি। আমাদেরকে সাহস দিন, এগিয়ে আসুন, আমরা সবাই মিলে আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর করি।”
তিনি শ্রমিকদের যা প্রাপ্য, মালিকদের তাতে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনায় অনেক বাধা রয়ে গেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “ব্যবসায় বাধার কোনও সীমা নেই। ব্যবসা করা এক মহা সংগ্রাম। তবে আমরা এসব বাধা পেরিয়ে যেতে আজ একযোগে সরকার, সরকারের বাইরে সবাই এক পরিবারের সদস্য হিসেবে কাজ করে যাবো।”
তিনি ব্যবসায়ীদের
উদ্দেশে বলেন, “বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য-আয়ের দেশ থেকে উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশে উন্নীত হলে রফতানির ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা হারাবে। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগিতায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।”
দেশের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ীদের সামাজিক ব্যবসা চালুর আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আপনার গ্রাম, উপজেলা কিংবা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এলাকায় সামাজিক ব্যবসা গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নমূলক সামাজিক ব্যবসা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বিনিয়োগ করবেন মুনাফার জন্য নয়, অন্যের সহায়তা বা সুবিধার জন্য।”
সংলাপে অর্থ উপদেষ্টা ড, সালেহউদ্দিন
আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন
মাহমুদ এবং ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)’র সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বক্তব্য রাখেন। সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন


কালীপূজা
উপলক্ষে দুই দিন বন্ধ থাকছে দেশের চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। ১২ এবং ১৩ নভেম্বর
কালীপূজায় ২দিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার তথ্যটি
নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানিয়েছেন, রবিবার ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী কালীপূজা। পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে উভয় দেশের
এক্সপোর্টার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার ও ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা
সভার ভিত্তিতে এই দুদিন স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি উভয় দেশের কাস্টমস,ব্যবসায়ী সংগঠন, ও বন্দর কর্তৃপক্ষসহ
সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
থাকবে।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
নজরুল ইসলাম বলেছেন, পূজায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ
থাকবে তবে স্বাভাবিক থাকবে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ।
মন্তব্য করুন


চলতি
ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ডিসেম্বর মাসের ২০ দিনে দেশে প্রবাসী আয়
(রেমিট্যান্স) এসেছে ২১৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ
২৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)।
রোববার
(২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য
মতে, চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসেছে ২১৭ কোটি ২১ লাখ ডলার। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত
ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে
২১ কোটি ৫২ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং
বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন,
সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে হুন্ডি প্রতিরোধ, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের
উন্নতি রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
একদিকে
প্রবাসী আয় বাড়ছে, অন্যদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে। এদিকে প্রবাসী আয়ের
প্রবাহের ফলে ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বৈদেশিক
মুদ্রার জোগান-চাহিদার ভারসাম্য ঠিক রাখতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয়
ব্যাংক মোট ২ হাজার ৮৭১ মিলিয়ন বা ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে।
চলতি
অর্থবছরের সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার,
দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
অক্টোবর
মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৬ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স
এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, আগস্ট মাসে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার, জুলাই
মাসে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
মন্তব্য করুন


নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ দিনে ১২৯ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি জরিমানা আদায় করা হয় ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১০০ টাকা।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৮৩৪ টি অভিযান চালানো হয়েছে। ২৭০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি ৩১১টি মামলা করা হয়েছে।
যে সময়ে বরিশাল বিভাগে ১৬৮ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ২৬৫ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ২ হাজার ৩৪১ বার বিভিন্ন আড়ত ও ১ হাজার ৩৭০ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
আর গত ২ দিনের অভিযানে ৭ হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ১০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে এক লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা আয় হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের সাত হাজার বর্গকিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে।
মন্তব্য করুন


রমজানে সিএনজি স্টেশনগুলো খোলা রাখার নতুন সময় পুনর্নিধারণ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন। এছাড়া, ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলোকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজান মাসে বিদ্যুৎ চাহিদার দৈনিক পিক আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প-চাপ পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে প্রথম রমজান থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধের সময়কাল সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত পরিবর্তন করে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য ৭-১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে স্টেশনগুলো।
এছাড়া ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জ্বালানি সরবরাহের সুবিধার্থে ৭-১৮ এপ্রিল সিএনজি স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেছেন, ‘ত্রাণ ও
পুনর্বাসন কর্মসূচি সমন্বয় কমিটি প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে। সেটি আবার মানুষের
কাছে প্রকাশ্য তুলে ধরা হবে। তাই ১০ টাকার জিনিস এখন আর ১০০ টাকা দিয়ে কেনা যাবে
না।’
মন্তব্য করুন


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে
যমুনার চরাঞ্চল শুকিয়ে জেগে উঠেছে যমুনার বুকে ধূসর বালুচর। আর এই বালুচরে অধিক
লাভের আশায় বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়ছেন স্থানীয় কৃষকরা। ইতিমধ্যে বাদাম গাছের সবুজ
পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচর। বালি মাটির নিচে রোপন করা এ বাদামই যেন চরাঞ্চলের
কৃষকদের এখন লাভবান হওয়ার স্বপ্ন।
গত বছর বাদামের বাম্পার
ফলন হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন
দেখছেন যমুনা চরাঞ্চলের কৃষক। যমুনা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ধুধু বালুচরে সারিবদ্ধ
বাদাম ক্ষেত দেখে চোখ জুড়ে যায়। বাদাম গাছ ভাল হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে আশার আলো
জ্বলছে।
বাদাম চাষিরা বলেন,
প্রতি বছর বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে আমরা বন্যা পরবর্তী
সময়ে জেগে উঠা চরে বাদাম চাষ করি। কারণ অল্পদিনে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া
যায়। খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি লাভ হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
গাবসারা চরাঞ্চলের
বাদাম চাষি গফুর মিয়া বলেন, গত বছর আমি ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো লাভবান
হয়েছিলাম। বাদামের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আমি প্রায় ১২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ
করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরেও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
সুস্বাদু, মুখরোচক ও
ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে যোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা
পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু-ছাগলের খাওয়ান। এতে
গরু-ছাগল তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যবান হয়। তাছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন
একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু সময়মতো বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য
অপেক্ষায় থাকতে হয়। বীজরোপণে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও
হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি
কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর যমুনা চরাঞ্চলে ১ হাজার ৩২০
হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চরাঞ্চলের বাদাম
চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। বাদামের ফলন ভালো করার
জন্য আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত
পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর
বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন


পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়নের রংমিয়া পাড়ার মানুষ বিচিত্র পেশায় জড়িত।
তারা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে মাছের খাবার ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। সেই পাইকারদের হাত ধরেই এসব পিঁপড়ার ডিম বিক্রি হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম,ফেনী ও কুমিল্লায়। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তারা পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করেন।
পাহাড়ি বন-জঙ্গল থেকে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ শেষে তা বিক্রি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে সংসার।
প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কেজি পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করতে পারে বলে জানায় এ কাজের সাথে জড়িত মো. রুস্তম আলী । তিনি আরো বলেন, সকাল হলেই বাঁশ ও ঝুড়ি নিয়ে বের হয়ে গাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করি। বিকেলে এসব ডিম পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। প্রতি কেজি ডিম ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করি।
ডিম সংগ্রহকারী মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সব পিঁপড়ায় ডিম পাওয়া যায় না। এ জন্য প্রয়োজন লাল পিঁপড়ার বাসা। লাল পিঁপড়ার বাসায় মেলে প্রচুর সাদা ডিম। সাধারণত মেহগনি, আম, লিচু, কনক ও কড়ইসহ দেশীয় গাছগুলোয় লাল পিঁপড়ার বাসা পাওয়া যায়।ডিম সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়। পিঁপড়াগুলো সাধারণত মগডালে বাসা বাঁধে। ডিম সংগ্রহ করার সময় কমবেশি কামড় খেতে হয়। সারাদিন বনে-জঙ্গলে ডিমের আশায় ঘুরে বেড়াতে হয়। পিঁপড়ার বাসা খুঁজে পাওয়ার ওপর নির্ভর করে তার আয়।
লাল পিঁপড়ার ডিমের স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় ২০-২৫ জন পাহাড়ি বন-জঙ্গল থেকে লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে আমার কাছে বিক্রি করেন। পিঁপড়ার ডিম কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লায় বিক্রি করি।
মূলত মাছের খামারি ও সৌখিন মাছ শিকারীরা এ ডিম কিনে থাকেন।
মন্তব্য করুন


হঠাৎ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হলে শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে কর্মস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ছাড়াও তার নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল।
এদিকে ওসির কর্মস্থল ত্যাগের খবর দেরিতে পেয়ে কমপক্ষে ৩০ জন পাওনাদার বিচ্ছিন্নভাবে থানায় এসে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা জানান, নান্দাইল থানায় ওসি হিসেবে গত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ। এর পর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে তিনি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক রাতেই তুচ্ছ ঘটনায় পাঁচটি অভিযোগ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রেকর্ডভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে এ ওসির বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি চুরি ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার
মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে পুরো উপজেলার আনাচে-কানাচে ইয়াবার কারবার, গ্রেপ্তার
বাণিজ্য চলছিল নির্বিঘ্নে।
বিভেদপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ। অন্যদিকে মামলা নেওয়ার নামে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছিল নিয়মিত।
এমন অবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে তাকে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পেয়ে ওসি ফরিদ সবকিছু গুছিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে চলে যান জেলা শহর ময়মনসিংহে।
এসব বিষয়ে জানতে প্রত্যাহার হওয়া ওসি ফরিদ আহম্মেদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘ওসির কাছে সাধারণ লোকজন টাকা পায়, এটি খুবই দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
আর এক রাতে ৫টি মামলা রেকর্ডভুক্ত
হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে তো দুটির কথা বলা হয়েছিল। বাকিগুলো তো
জানাননি।’
মন্তব্য করুন


আগামী এক সপ্তাহের
মধ্যে ভোজ্যতেলসহ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় হবে বলে আশা প্রকাশ
করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শনিবার (১ মার্চ)
সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভা করে জাতীয়
চাঁদ দেখা কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
সভা থেকে চাঁদ দেখার
বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, রমজান আসলে আমাদের দেশে
পণ্যের দাম বাড়ে। এটা একটা কমন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সরকার এবার সচেতন
রয়েছে। যাতে করে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ে। সেজন্য বেশকিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো
হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন মালয়েশিয়া-সৌদি আরবসহ বিভিন্ন
দেশে রমজানে পণ্যের ওপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দেয়। অথচ আমাদের দেশে
উল্টো।
সরকার এবার সচেতন আছে
জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, বেশকিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। আমাগী এক
সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্যতেলসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামও সহনীয় হবে। ব্যবসায়ী ভাইদের
প্রতি আহ্বান আপনারা নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখুন।
মন্তব্য করুন