পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়নের রংমিয়া পাড়ার মানুষ বিচিত্র পেশায় জড়িত।
তারা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে মাছের খাবার ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। সেই পাইকারদের হাত ধরেই এসব পিঁপড়ার ডিম বিক্রি হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম,ফেনী ও কুমিল্লায়। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তারা পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করেন।
পাহাড়ি বন-জঙ্গল থেকে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ শেষে তা বিক্রি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে সংসার।
প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কেজি পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করতে পারে বলে জানায় এ কাজের সাথে জড়িত মো. রুস্তম আলী । তিনি আরো বলেন, সকাল হলেই বাঁশ ও ঝুড়ি নিয়ে বের হয়ে গাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করি। বিকেলে এসব ডিম পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। প্রতি কেজি ডিম ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করি।
ডিম সংগ্রহকারী মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সব পিঁপড়ায় ডিম পাওয়া যায় না। এ জন্য প্রয়োজন লাল পিঁপড়ার বাসা। লাল পিঁপড়ার বাসায় মেলে প্রচুর সাদা ডিম। সাধারণত মেহগনি, আম, লিচু, কনক ও কড়ইসহ দেশীয় গাছগুলোয় লাল পিঁপড়ার বাসা পাওয়া যায়।ডিম সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়। পিঁপড়াগুলো সাধারণত মগডালে বাসা বাঁধে। ডিম সংগ্রহ করার সময় কমবেশি কামড় খেতে হয়। সারাদিন বনে-জঙ্গলে ডিমের আশায় ঘুরে বেড়াতে হয়। পিঁপড়ার বাসা খুঁজে পাওয়ার ওপর নির্ভর করে তার আয়।
লাল পিঁপড়ার ডিমের স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় ২০-২৫ জন পাহাড়ি বন-জঙ্গল থেকে লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে আমার কাছে বিক্রি করেন। পিঁপড়ার ডিম কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লায় বিক্রি করি।
মূলত মাছের খামারি ও সৌখিন মাছ শিকারীরা এ ডিম কিনে থাকেন।
মন্তব্য করুন
আগামী ২৪-২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণ ও
ইউএনএসকাপের ৮০ সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড
সফর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর
এই থাইল্যান্ড সফরে দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা ও ১টি লেটার
অব ইনটেন্ট (আগ্রহের সম্মতিপত্র) স্বাক্ষরিত হবে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে গত সপ্তাহে দুই দেশের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় যৌথ বিবৃতি প্রচার করে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে
বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে থাইল্যান্ডে
এটি প্রথম সফর হবে। দুই বন্ধুদেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্য এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাবেন। তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়
অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনেও যোগ দেবেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গেও
সাক্ষাৎ হবে বলে জানান ।
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুই শীর্ষ নেতার
বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৫ এপ্রিল
ইউএনএসকাপের অধিবেশনে বক্তৃতা রাখবেন । এদিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং এসকাপের
নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করবেন।
মন্তব্য করুন
সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ।
রোববার (৩১ মার্চ) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়েছে সরকার। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম আগের মতোই রয়েছে। নতুন দাম সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।
সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।
নতুন দাম অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৬ টাকা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমেছে। আগের মতোই লিটার প্রতি অকটেনের দাম ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২২ টাকা রয়েছে।
ওই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ নির্ধারণ করা হয়। তখন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে ৭৫ পয়সা, অকটেনে ৪ টাকা ও পেট্রোলে ৩ টাকা কমানো হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞার আগে সরকার ভারত থেকে আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের (এলসি) ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
দ্রুত পেঁয়াজ আনতে ভারতে বাংলাদেশ দূতবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া দেশে যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটারিং করার জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এ পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। এ পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কীভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
দেশের সর্বত্র যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।
দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের এ জ্যেষ্ঠ সচিব ।
তিনি বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ বেড়ে গেল, এটা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ নয়।
মন্তব্য করুন
পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে।
ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মাছের বাজারে রুপালি ইলিশের কদর থাকে বরাবরই তুঙ্গে।
এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যথারীতি বাজারে ইলিশের চাহিদা রয়েছে। তবে সে তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বেশি দামেই ইলিশ মাছ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
মাছ ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, অন্যান্য সময়ের চাইতে এখন ইলিশ ধরা পড়ছে কম। এজন্য বাজারে সরবরাহ কম, ফলে দাম বেশি। সাধারণত সরবরাহ বেশি হলেই দাম কম হয়। কিন্তু এবার পাইকারি বাজারেও ভিন্ন চিত্র।
বড় আকারের ইলিশের দেখা খুব একটা মিলছে না। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির নিচে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে জাটকা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি করছেন সাড়ে ৬ শ' থেকে ৭ শ' টাকায়। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দাম ১২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১৩৫০ থেকে দেড় হাজার টাকার মতো। ১ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ৫৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ।
এবার ঈদের ছুটির সঙ্গে এবার পহেলা বৈশাখের ছুটি একসঙ্গে হওয়ায় অনেক মানুষ শহরে নেই ফলে অন্যান্যবারের পহেলা বৈশাখের মতো ইলিশ বেচাবিক্রির ধুম সেভাবে চোখে পড়ছে না।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা কম থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। ঈদে শাকসবজির দাম বাড়েনি। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। সোনালি বা লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। এছাড়া বেশিরভাগ দোকানে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংসের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। সার্বিকভাবে বাজার স্বাভাবিকই আছে। তবে ঈদের ছুটির কারণে চাহিদা কম, ফলে সরবরাহও কম। একই প্রভাব পড়েছে ইলিশের বাজারে, যার ফলে বড় আকারের ইলিশেরও দেখা মিলছে না।
মন্তব্য করুন
সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪ এর দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,রমজানে ঢাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ ও মাংস বিক্রি করবে সরকার। আগামী ১০ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাজধানীর ৩০টি জায়গায় তা পাওয়া যাবে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা ও সলিড ব্রয়লার ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এছাড়া ডিম বিক্রি হবে প্রতিটি ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। এটাই হলো আমাদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা। আগামী ১০ মার্চ সেটা উদ্বোধন করা হবে।
তবে এটা সারা দেশে করা হবে কিনা জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ত্রিশটি জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করব। ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।
ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাটকা ধরার জায়গা থেকে মৎস্যজীবীদের সরিয়ে আনতে হবে। এটা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে। যতক্ষণ পর্যন্ত মাছটি নদীতে থাকতে পারবে, ততই এর বৃদ্ধি ঘটবে।জাটকা নিধন বন্ধে কিছুদিন ইলিশ ধরা বন্ধ রেখেছি। আগামী ১১ মার্চ থেকে এটা শুরু হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে যারা মৎস্যজীবী আছেন, তাদের একটা সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে রেশনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেছি। কারণ ওই সময়টায় তাদের যদি একটা প্রণোদনা দিই, তাহলে মাছ না ধরার কারণে তাদের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবে।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদন, প্রাণিসম্পদে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় আছি। এটার প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের মাথায় আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে, কারেন্ট জাল। এটা দিয়ে যত্রতত্র মাছ ধরা হয়। যেই মাছ থেকে মাছের বিস্তার হবে, সেটাও কারেন্ট জাল দিয়ে ধরা হয়। এ বিষয়টা আমরা ডিসিদের বলেছি। মাইকিং করে জালগুলো তুলে ফেলতে হবে। না করলে জেলাপ্রশাসকদের নেতৃত্ব আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জালগুলো আটক করতে হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও আমিষের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর তাগিদ দিয়েছেন ।
প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি, ক্ষুদ্র খামারি ও উদ্যোক্তাদের গবাদি পশু উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা সহ গবাদি পশু পালনের আধুনিক ব্যবস্থাপনার দিক তুলে ধরতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী।
বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত রাজধানীর এ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গবাদিপশু পালন ও সম্প্রসারণে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
উক্ত প্রদর্শনীতে প্রায় ৪০০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বরাবরই গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ফলে বর্তমানে মৎস্য ও কৃষি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পুষ্টি নিরাপত্তা দেয়া। ৮ গুন মাংস উৎপাদন বেড়েছে ডিম ৪ গুন বেড়েছে। ,আমিষ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, অনেক দেশ হালাল মাংস কিনতে চায়। মাংস রপ্তানির বিষয়ে জোর দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী একইসাথে বিদেশে মাংস ও চামড়া রপ্তানি লক্ষে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে গবাদিপশু পালন ও জবাইয়ের পরামর্শও দেন ।
পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করনে পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্যাকেটজাত করনে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো না আমরা। নিজেদের শস্য নিজেরাই উৎপাদন করবো। স্বাস্থ্য সম্মতভাবে গবাদিপশু পালন করুন যেন মানুষের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি না হয়।
দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন্ জেলার প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে নিজ নিজ উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশুসহ (গাভি, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, শৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী) বিভিন্ন প্রযুক্তি দেখানো হবে।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে
যমুনার চরাঞ্চল শুকিয়ে জেগে উঠেছে যমুনার বুকে ধূসর বালুচর। আর এই বালুচরে অধিক
লাভের আশায় বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়ছেন স্থানীয় কৃষকরা। ইতিমধ্যে বাদাম গাছের সবুজ
পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচর। বালি মাটির নিচে রোপন করা এ বাদামই যেন চরাঞ্চলের
কৃষকদের এখন লাভবান হওয়ার স্বপ্ন।
গত বছর বাদামের বাম্পার
ফলন হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন
দেখছেন যমুনা চরাঞ্চলের কৃষক। যমুনা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ধুধু বালুচরে সারিবদ্ধ
বাদাম ক্ষেত দেখে চোখ জুড়ে যায়। বাদাম গাছ ভাল হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে আশার আলো
জ্বলছে।
বাদাম চাষিরা বলেন,
প্রতি বছর বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে আমরা বন্যা পরবর্তী
সময়ে জেগে উঠা চরে বাদাম চাষ করি। কারণ অল্পদিনে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া
যায়। খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি লাভ হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
গাবসারা চরাঞ্চলের
বাদাম চাষি গফুর মিয়া বলেন, গত বছর আমি ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো লাভবান
হয়েছিলাম। বাদামের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আমি প্রায় ১২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ
করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরেও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
সুস্বাদু, মুখরোচক ও
ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে যোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা
পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু-ছাগলের খাওয়ান। এতে
গরু-ছাগল তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যবান হয়। তাছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন
একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু সময়মতো বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য
অপেক্ষায় থাকতে হয়। বীজরোপণে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও
হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি
কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর যমুনা চরাঞ্চলে ১ হাজার ৩২০
হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চরাঞ্চলের বাদাম
চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। বাদামের ফলন ভালো করার
জন্য আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত
পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর
বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, আজ রাতেই ট্রেনে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে বাংলাদেশে ।
প্রথম চালানে এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসবে এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে।
২০২৩ সালের আগস্টে ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সরকার ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। এরপর গত অক্টোবরে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয় টনপ্রতি ৮০০ মার্কিন ডলার। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কার্যকর না হওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয়। ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,
কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের
অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সস্ত্রীক ভুটান ফিরে গেলেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল
ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন তিনি। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা
শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
এর
আগে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউজ থেকে দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে ধরলার পাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে
যান এবং পনের মিনিট স্থানটি পরিদর্শনের পাশাপাশি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ
হারুনসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর
পরে রাজা সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে রওয়ানা দেন। রাজা সড়ক পথে দুপুর ১২ টা ১৫
মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কুড়িগ্রাম
সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান।
কুড়িগ্রামের
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে অবস্থান
করেন। এরমধ্যে তিনি দুপুরের খাবার সেরে নেন। এরপর দুপুর দেড়টায় তিনি ধরলার পাড়ের কুড়িগ্রাম
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত
জায়গা পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজা পনের মিনিট অবস্থানের পর সড়ক পথে জেলার ভূরুঙ্গামারী
উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। স্থলবন্দরে বিশেষ ইমিগ্রেশনের
মাধ্যমে ভারত হয়ে নিজ দেশ ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন রাজা। বাংলাদেশ-ভুটান দুদেশের
যৌথ উদ্যোগে ধরলা পাড়ে ২১৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চল। রাজার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে প্রশাসন। ভুটানের রাজার আগমনে
কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি
অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
এ
সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম ৪- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ
সহ আরও অনেকেই।
মন্তব্য করুন
উত্তরাঞ্চলের বড় বড় হাট-বাজারগুলোয় ধান-চালের দাম কমতে শুরু করেছে । তার মধ্যে জাত ও মানভেদে ধানের দাম মণে কমেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া চালের দাম মণে কমেছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় বাজার বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘা হাট। গতকাল শুক্রবার হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা অর্থাৎ মণে ৮০-১২০ টাকা কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে ধানের দামে। জাত ও মানভেদে ধানের দাম মণে কমেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ধানের দাম কমে যাওয়ায় গতকাল ওই হাটে যেমন কম ছিল পাইকারি ক্রেতা, তেমনি কম ছিলেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অটোরাইচ মিলগুলো হঠাৎ ধান কেনা বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
পাইকারি ক্রেতারা জানান গত সপ্তাহে এই হাট থেকে ৯০ জাতের চিকন ধান কিনেছিলেন ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। এখন একই মানের ধানের দাম কমে হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ মণে কমেছে ৩৫০ টাকা।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় ধান উৎপাদনকারী এলাকা নাটোরের সিংড়া উপজেলা। ধান নিয়ে রণবাঘা হাটে এসে ক্ষুদ্র চাষিরা নজরুল ইসলাম প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি করেন। গত সপ্তাহে তিনি এ হাটেই একই জাতের ধান বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৩৬০ টাকা দরে। বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় পড়ে গেছে ধানের দর। তাদের আশঙ্কা ধানের দাম আরও কমবে।
এদিকে গতকাল দিনাজপুরের বির উপজেলার ওরিয়েন্টাল এগ্রো নামে এক প্রতিষ্ঠানের গুদামে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। তাদের গুদামে জব্দ করা হয় ৬৫ কেজি ওজনের ৫ হাজার বস্তা ধান।
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন জানান, অবৈধ ভাবে মজুত করায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দিনাজপুরে ধানের দাম কমেছে মণে মান ও জাতভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
বগুড়ায় নন্দীগ্রামে মায়ামানির অটো রাইস মিল মালিক মিজানুর রহমান জানান, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ায় বাজারে ধানের দাম কমেছে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন