

নরসিংদীর রায়পুরায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা ও চাচাতো ভাইবোনদের বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চরসুবুদ্ধি গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ফুরা মিয়া (৪০) ও শাকিল মিয়া (৩০)। রায়পুরা থানার (ওসি) “আদিল মাহমুদ” বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে সকাল থেকে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি চলছিল। দুপুর ১২টার দিকে আউয়াল, তার ছেলে শিপন, রিপন, মেয়ে শাহানা, আজিনা, আছমা, সুমাইয়াসহ ১০/১২ জন দা, লাঠি নিয়ে ফুরা মিয়াদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ফুরা মিয়া, তার ভাই শাকিল ও পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আউয়াল, রিপন, শিপনসহ অন্যরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফুরা মিয়া ও তার ভাই শাকিলসহ চারজনকে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ফুরা মিয়া ও শাকিল মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরা বেগম নামে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরিদা গুলশান আরা বলেন, বেলা পৌনে ১টার দিকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা ফুরা মিয়া ও শাকিল নামে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
(ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে দুই ভাই মারা যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
৫৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলার ডিবি (দক্ষিন)।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান পিপিএম এর নির্দেশনায়, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ সাইদুল ইসলাম (অফিসার ইনচার্জ ডিবি (দক্ষিন), ঢাকা জেলা এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৯/১০/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ ২০.১৫ ঘটিকায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মাসুকুর রহমান (৪৫), পিতা-মৃত একরাম হোসেন, সাং-মৌটুপী, থানা-ভৈরব, জেলা-কিশোরগঞ্জ‘কে ৩৫০ (তিনশত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং হাওয়া (৩৬), পিতা-মোঃ মনু মিয়া, মাতা-আমেনা বেগম, সাং-কলাতলী, থানা-করিমগঞ্জ, জেলা-কিশোরগঞ্জ‘কে ২০০ (দুইশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বিপ্লব চক্রবর্ত্তী:
প্রতিনিয়তই কেউ না কেউ চলার পথে কিংবা হঠাৎ করেই সবচেয়ে প্রিয় ও মূল্যবান মোবাইলটি হারিয়ে যাচ্ছে। আর সেই মূল্যবান মোবাইলটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে দুঃচিন্তায় ভুগতে হচ্ছে দিনের পর দিন। দুঃচিন্তা থেকে মুক্তি দিতেই কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর কঠোর দিক নির্দেশনায় ও কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সকল হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, গতকাল (২ ডিসেম্বর ) শনিবার কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম গত দুইবছর আগে অশোকতলার বাসিন্দা নারায়ণ চক্রবর্ত্তীর ছোট ছেলে গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি জিডি মূলে উদ্ধার করে হস্তান্তর করেন।
দুই বছর পর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর দুচোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
সদ্য স্নাতক পাশকৃত ছাত্র গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী বলেন, হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি ফেরত পেয়ে আমি প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। শিক্ষাবস্থায় টিউশনির টাকা জমিয়ে এই মোবাইলটি ক্রয় করেছিলাম। টিউশনি করিয়ে কান্দিরপাড় হয়ে বাসায় এসে দেখি আমার শখের ও কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে কিনা মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমি সাথে সাথে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হারানো জিডি করে আসি।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনটি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করে এ এস আই মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে প্রতিদিনেই অনেক মোবাইল হারানোর জিডি আসে। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান স্যার এর কঠোর দিক নির্দেশনায় ও কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমার কাছে আসা প্রতিটা জিডিই গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং প্রতিনিয়ত প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করছি।
মন্তব্য করুন


গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাভার্ডভ্যানে ফেনসিডিল পাচারকালে ২ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য জানানো হয় র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৬) এবং শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার শাহআলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন (২৬)। তাদের কাছে থেকে ৮৬ বোতল ফেনসিডিলসহ কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়।
র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদে শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টায় পৌরশহরের খলসী নামক স্থানে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ওপর চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় র্যাব। এ সময় ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান থেকে ৮৬ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জনকে আটক করা হয়। সেইসঙ্গে জব্দ করা হয় কাভার্ডভ্যানটি।
বিভিন্ন কৌশলে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিলেন তারা।
র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, আসামিদের গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের সালথায় একরাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মালামালসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গল ও বুধবার (১৬, ১৭ জানুয়ারি) বিভিন্ন সময়ে সালথার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, নগদ ৬০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি, ১টি রামদা, ১টি ছুরি ও ১টি শাবল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: সালথার দিয়াপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে ইয়াদ আলী (৪৬), একই গ্রামের সোনা উল্লাহ মাতুব্বরের ছেলে মো. নাঈম মাতুব্বর (২০) ও মো. সাইফুল মাতুব্বর (২২), একই উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের আ. ওহাব শেখের ছেলে মো. বাবুল শেখ (৩৫), বড় লক্ষণদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রব মাতুব্বরের ছেলে মো. মিজানুর মাতুব্বর (৫০) ও জয়ঝাপ গ্রামের আতিক শেখের ছেলে শাকিবুল শেখ (২০)।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর সালথার দিয়াপাড়া এলাকায় একই রাতে ৩টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় পরদিন ১৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল, সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, ট্র্যাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) তুহিন লস্করসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


"রুখে
দিয়ে ড্রেজার,
নিশ্চিত করি
বাঁচার অধিকার"
এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তিন
ফসলী কৃষি
জমির ক্ষার্থে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন মুরাদনগর উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান খান।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় তিন
ফসলী কৃষি
জমি থেকে
অবৈধ ভেকু,
ড্রেজার মেশিন
দিয়ে মাটি
উত্তোলনের দায়ে
একই দিনে
৫টি স্থান
থেকে ৪ টি অবৈধ
ড্রেজার মেশিনসহ
৩ হাজার
ফুট পাইপ
বিনষ্ট ও অপসারণ করেছে
ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আক্তার হোসেন নামের এক ব্যাক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাস কারাদন্ড প্রদান ও ২ টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়।
দুপুরে
উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ও পশ্চিম
ইউনিয়নের কুরবানপুর, জানঘর, খোঁশঘর, হাটাশ,
মালিপাড়া এলাকায়
ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিচালনা করেন
উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান
খাঁন। এ অভিযানে বাঙ্গরা
বাজার থানা
পুলিশ উপস্থিত
ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন
বলেন, তিন
ফসলী কৃষি
জমি থেকে
অবৈধভাবে মাটি
কাটা, বালু
উত্তোলনের দায়ে
ভেকু ও ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের
মাধ্যমে ড্রেজার
মেশিন, পাইপ,
ব্যাটারি অপসারণ
জব্দসহ জেল
ও জরিমানা
করে এসেছি।
উপজেলার কৃষি
জমি রক্ষায়
অসাধু ড্রেজার
ব্যবসায়ী চক্রকে
নির্মূল করার
লক্ষ্যে আমাদের
এই অভিযান
অব্যাহত থাকবে।
সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান
খান যোগদানের পর থেকে প্রায়
৭ মাসে
১৭০ টি
ড্রেজার ও ১ লক্ষ
২০ হাজার
ফুট পাইপ
অপসারণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে
গবাদিপশুর হাট-বাজার পরিদর্শন করেন।
আজ বুধবার (৪ জুন) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি মডেল থানাধীন চানপুর
গরুর বাজার ও বালুতুপা গরুর বাজার পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির
আহমেদ খাঁন।
এ সময় তিনি গবাদি পশু ক্রেতা-বিক্রেতা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ
জনসাধারনের সাথে হাট-বাজারের আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্তে মতবিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, যে কোন আইনি
সহায়তা প্রদানে জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে রয়েছে। গবাদি পশু
ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্তে চাঁদাবাজি বা কোন ধরনের অপরাধের সংবাদ পেলে কঠোর আইনি
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সকলকে সতর্ক করেন।
এসময় আরো
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)
মোহাম্মদ সাইফুল মালিক সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা লালমাইয়ে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে পরপর তিনবার জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে আবাদ উল্লাহ (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
এই ঘটনায় আজ রোববার (৯ মার্চ) সকালে ওই বৃদ্ধকে আসামি করে লালমাই থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর মা। গ্রেফতারকৃত আবাদ উল্লাহ উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ভুশ্চি গ্রামের মৃত রেহান উদ্দিনের ছেলে। প্রাথমিকভাবে যৌথবাহিনীর নিকট ধর্ষণের দায় শিকার করেছেন ওই বৃদ্ধ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযুক্ত আবাদ উল্লাহ ভুক্তভোগী শিশুর সম্পর্কে দাদা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শিশু সামিয়া মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার সময় কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে হাত ও মুখ চেপে ধরে জনৈক হিরণের বাড়ীতে নিয়ে পায়জামা খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আবাদ উল্লাহ। একই কায়দায় পরপর আরো দুইবার ধর্ষণ করে এবং এই ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হয়।
এ বিষয়ে শিশুটির মা জুতি আক্তার বলেন, গত শুক্রবার (৭ মার্চ) ঘটনাটি প্রথমে আমাকে জানায় সামিয়ার দুই বান্ধবী। প্রথমে তাদেরকে ১০০ টাকার বিনিময়ে কু-প্রস্তাব দেয় ওই বৃদ্ধ। তারা রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি শোনার পর আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায় তাকে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পরপর তিনবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে পাশের বাড়ির দাদা সম্পর্কে আবাদ উল্লাহ। পরে ঘটনাটি আমি স্থানীয় সর্দার ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তাদের কাছে সে (আবাদ উল্লাহ) বিষয়টি অস্বীকার করে। পরবর্তীতে আমি আইনের আশ্রয় নিলে যৌথবাহিনী তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আসামি আবাদ উল্লাহ কে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে এবং ভুক্তভোগীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন
ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫ এর রেজিষ্ট্রেশনের কার্যক্রমের উদ্বোধন
করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের হল রুমে
শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ৩৭টি ব্যাচের (১৯৮৮-২০২৪) তাইমিয়ান্স মডারেটর ও ছাত্র-ছাত্রীদের
উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
আগামী ১০ জানুয়ারী ২০২৫ এ কুমিল্লা
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এই রিইউনিয়ন আয়োজনের লক্ষ্যে রেজিষ্ট্রেশন চলবে
আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।
বাকী বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় তাইমিয়ান্স গ্রুপের এডমিন
আলমগীর এইচ রিপনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইবনে
তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মু. শফিকুল আলম হেলাল, প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ মোছলেহ উদ্দিন, তাইমিয়ান্স
বদরুল ইসলাম খান, ইশতিয়াক শাহীন, ও মাজহারুল হক। এছাড়া বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষকদের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম, ইউনুস সরকার, কামারুজ্জামান, ইসরাফিল, মাওলানা মোছলেহ
উদ্দিন, কামাল হোসেন, আমাতুস সালাম শিরিন, হাজেরা বেগম, উম্মে হাবিবা, এবং রাবেয়া আক্তার।
বক্তারা বলেন, ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড
কলেজের ৩৭ টি ব্যাচের তাইমিয়ান্সদের অংশগ্রহনে গ্র্যান্ড রি-ইউনিয়নের মাধ্যমে প্রাক্তন
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের সেতুবন্ধন তৈরি হবে। এতে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের
ইতিহাস-ঐতিহ্য দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে উপস্থিত
তাইমিয়ান্স সদস্য ও মডারেটরগণ একটি সফল অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রেজিষ্ট্রেশন
ওয়েবসাইট এবং মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে অনুস্থানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সেফটি ট্যাংক থেকে
প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের
ধরে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় ফেরদৌসী বেগমকে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে নিহতের
ঝা সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দক্ষিণগ্রামের জাহাঙ্গীর
আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০) একই গ্রামের মোঃ সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার
(৩০), মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১), খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন
জিল্লু (২৭)।
ওসি জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ
গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন ও ঝা নুরজাহান
বেগম মধ্যে বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার
সুরহা না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঝা নুরজাহান বেগম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার
মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সাথে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী
আনোয়ার হোসেন সাথে মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ
মাইনুদ্দিন জিল্লু এই দুজনকে যুক্ত করেন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৭ জুন শুক্রবার সকালে
ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ফেলে
দেয়। ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিসহ
থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় স্থানীয়রা বাড়ি
থেকে ২শ গজ দূরে একটি নির্জন বাগানের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পেয়ে
বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
সেফটি ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান
বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুড়িচং থানা পুলিশ
প্রথমে নিহতের ঝা নুরজাহান বেগম আটক করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে হত্যার
ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার
করা হয়।এ সময় আসামিদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল, গলার চেইন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে কুমিল্লা
আদালতে পাঠালে আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিদের
কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন