এশিয়া কাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।
একাদশে চারটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। দলে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ ও সাইফ হাসান। তাদের জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদি, পারভেজ ইমন ও শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ-
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
আফগানিস্তান একাদশ-
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, সাদিকউল্লাহ অটল, করিম জানাত, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, নূর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি ও এএম গাজানফার।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
লক্ষ্মীপুরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয়
কমিশনার গোল্ডকাপে কুমিল্লা ভ্যানুর (জোন) ফাইনাল নিশ্চিত করলো কুমিল্লা।
সোমবার কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে মুখোমুখি হবে।
শনিবার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কুমিল্লা ৩-০গোলে লক্ষ্মীপুরকে হারায়। শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক খেলে কুমিল্লা দল। দলের মেহেদী ২ ও আরিফ ১ গোল দিয়ে নিজেদের সক্ষমতা জানান দেয়।
ফাইনালে কুমিল্লা দল ভালো করবে এমনটাই আশাবাদ
ব্যক্ত করেন দলের কোচ জামাল হোসেন ও সহকারি কোচ শাহীন। সংক্ষিপ্ত সময়ের
প্রস্তুতিতে কুমিল্লা দল প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করায় খেলোয়ার ও ক্রীড়ামোদীদের
প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং দলের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন তারা।
মন্তব্য করুন
গতকাল টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন
হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ
সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রফি নিয়ে দেশে পা রাখেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা। এরপর সংবাদ সম্মেলন
শেষে ছাদখোলা বাসে শুরু হয় বিজয় প্যারেড। এই বাসে করে বাফুফে ভবনে যাবেন মেয়েরা।
আগেরবারের মতো এবারও তাদের ছাদখোলা
বাসে সংবর্ধনা দিচ্ছে বাফুফে। চ্যাম্পিয়নদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে বাস।
এবার নারী ফুটবলারদের জন্য বাসের ব্যবস্থা
করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
এর আগে গতকাল দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে
আসরের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফের শিরোপা ধরে রাখে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ বছর পর জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর কুমিল্লা বিভাগীয় উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে খেলার সূচনা হয়। তিন জেলার অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে দুটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে – সবুজ দল এবং লাল দল।
সবুজ দল গঠিত হয়েছে কুমিল্লা দক্ষিণ ও মহানগরের খেলোয়াড়দের নিয়ে, আর লাল দল গঠিত হয়েছে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা মিলে। ২০ ওভারের এই খেলায় টসে জিতে সবুজ দল প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেহেদী হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সবুজ দল।
পরে, জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে লাল দলের প্রথমে নাজুক অবস্থা থাকলেও দলের হাল ধরেন নাহিদ ও সুমন। দুজনের পার্টনারশিপে রানের পার্থক্য কমিয়ে আনেন তারা৷ পরে, সবুজ দলের সানজিদ মজুমদারের বোলিংয়ের সামনে কাবু হয়ে যায় লাল দল। ৪ উইকেট হাতিয়ে নেয় সানজিদ। কিন্তু, লাল দলের নাহিদের ব্যাটিং জড়ে হাফ সেন্সুরি ও নাহিদ-ইয়াসির জুটির কাছে হার মানতে বাধ্য হয় সবুজ দল। ঘুরে দাঁড়ায় লাল দল৷ ৪ উইকেট হাতে রেখে ও ১৯ ওভারে ইয়াসির আরাফাতের বাউন্ডারির মাধ্যমে লাল দল নিজেদের ঝুড়িতে টার্গেট রান তুলে নেয়৷ সবুজ দলের দৃঢ় বোলিংয়ের সামনে লাল দল নিজেদের ব্যাটিংয়ের জড় দেখিয়ে এভাবেই একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জয় তুলে নেয়।
পরে, খেলোয়াড়দের মাঝে একে একে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা৷ উদ্বোধনী এই ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হন লাল দলের ইয়াসির আরাফাত। পরে, একে একে অতিথিদের হাত থেকে পুরষ্কার তুলে নেন দু’দলের খেলোয়াড়রা৷
এসময়, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারি আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম এবং কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা বিভাগীয় এই উদ্বোধনী ম্যাচের সাফল্যের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের বাকি খেলা নিয়ে স্থানীয় খেলোয়াড় ও দর্শকদের মাঝে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্ট ক্রীড়ার মাধ্যমে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বলেছেন, লেখাপড়া করে মেধার ভিত্তিতে যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী, অর্কিটেক্ট হতে হবে তেমনি
পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পী তৈরী করতে হবে। কারণ,একজন পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পীও
তার পেশার মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) লালমনিরহাটের
বড়বাড়ীতে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল
প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এটি ছিল ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল
টুর্নামেন্ট’র
৬ষ্ঠ তম আসর।
তারেক রহমান বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচার
বিদায় করেছে। এখন দেশ গড়ার পালা। এ প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ গড়তে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। দেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র
হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আগামীদিনে পেশাদার খেলোয়াড় তৈরী করতে
হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশপাশি ভাল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পী তৈরির কাজ
করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে জনপ্রিয় খেলাগুলো বাছাই করে আমরা দেশের তরুণ সমাজের
মধ্যে থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করবো। বাইরের দেশের খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীলতা
কমাতে হবে। সবকিছু হবে সরকারিভাবে।
এ প্রসঙ্গে, উদাহরণ হিসেবে শহিদ জিয়ার
আমলের ‘নতুন কুড়ি’
অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাল সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্ব এবং ভাল শিল্পী বের করে আনা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী
বেবী নাজনীন ‘নতুন কুড়ি’-ই
ফসল।
তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবে ভাল খেলোয়াড়
বের করে আনতে আমাদেরকে ৮ থেকে ১০ টি খেলা পছন্দ করে এসব খেলার ওপর জোর গুরুত্ব দিতে
হবে। যিনি যে ধরণের খেলায় ভাল করবেন, তাদেরকে সেই খেলায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। যাতে
করে আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে আমাদের খোলোয়াড়রাও ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে।’
বিএনপি’ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যার বলেন,‘জনগণের ভোটে যদি ক্ষমতায় আসতে
পারি তাহলে আমরা সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজের সাথে-সাথে খেলাধুলা
ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ওপরও জোর দেব। মেধাবী ডাক্তার, প্রকৌশলী, আর্কিটেক্ট বানানোর
পাশাপাশি ভালো রাজনীতিবিদ, ভালো খেলোয়াড় ও শিল্পী তৈরী করতে পারি সেই চেষ্টা করবো।
তারেক রহমান আরও বলেন, যে ব্যক্তি যে
বিষয়ে মেধাবী, তার মেধাকে মূল্যায়ন করে সেই বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। সবাইকে নিয়ে নতুন
বাংলাদেশ তৈরি করবে বিএনপি।
‘আমরা যদি বিভিন্ন খেলায় পেশাদার খেলোয়াড়
এবং ভালো সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পী তৈরী করতে পারি’ তাহলে ওইসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে বলেও
তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ
আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে গত ১২ নভেম্বর শুরু হয় শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট। বিএনপির
রংপুর বিভাগের ১০টি সাংগঠনিক দল এতে অংশগ্রহণ করে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পঞ্চগড় বিএনপি
একাদশ ও রংপুর মহানগর বিএনপি একাদশ’র
মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারে এক শূন্য গোলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি একাদশ
বিজয় লাভ করে।
‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র
রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পদক আসাদুল হাবিব দুলু।
অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী
এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ ও ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনুষ্ঠানে
বক্তৃতা করেন ।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় তো বটেই, সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়েই পাকিস্তানের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যেন নতুন এক ইতিহাস গড়ারই অগ্রপথিক হলেন। এমন বর্ণিল সাফল্যের দিনে ঢাকা থেকে নিশ্চয়ই অভিনন্দনসিক্ত অনেক ফোন পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার মধ্যে একটি ফোনকল নিশ্চিতভাবেই আলাদা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও যে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে। মাঠে দাঁড়িয়েই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য ম্যাচের পরই নাজমুল ও তাঁর ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে মুঠোফোনে প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ককে বলেছেন, ‘আমার ও সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। পুরো জাতি তোমাদের নিয়ে গর্বিত।’
দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে একই পোস্ট দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজেও।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়। এরপর আজ একই মাঠে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ২–০ তে সিরিজও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য ভালো মাইলফলক হবে। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ একটা সংকটকালীন পার করছে, আবার একইসঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এখন এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। ড. মুহাম্মদ ইউনূস (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) স্যার আছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। আইসিসির সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলমান আছে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।
বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আগামী ২০ আগস্ট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসবে আইসিসি। তারা চাচ্ছে সেই সময়ের মধ্যে যেন বিসিবি নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
সূচি অনুযায়ী আগামী ৩-২০ অক্টোবর বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যার জন্য আয়োজকদের হাতে আর মাত্র দেড় মাস বাকি। সে হিসেবে দ্রুত জটিলতার অবসান চায় আইসিসি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), ইউএন এইডস এবং ইউএন ভলান্টিয়ার এর বিশেষ প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে যুব সমাজের উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইউএন এইডস’এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সাইমা খান, ইউএনডিপির উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিজ সোনালী, ইউএনএফপিএ-এর কিশোর কিশোরী ইউনিটের প্রধান ড. ইলিজা আজেই এবং ইউএন ভলেন্টিয়ারের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মিজ সোনিয়া মেহজাবিন।
এ সময় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. শুসান ভেইজ বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যুবসমাজের জীবনমান উন্নয়নে আমরা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদেরকে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে, যেখানে যুবরা তাদের কথা নির্ভয়ে বলতে পারে।
শুসান ভেইজ বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নিয়ে সমন্বয় করে এই কমন প্ল্যাটফর্মের ডিজাইন শুরু করা যেতে পারে।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কণ্ঠস্বর প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সকল দাবি আদায় নিয়ে সচেষ্ট রয়েছে। দেশের যুব সংগঠনগুলো সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যুব অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই প্রশিক্ষণগুলো আরও উন্নতিকরণের চিন্তা করছি। এই বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো:মাসুদ
রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় স্বর্গীয় মানিক বণিক ও উত্তম বণিক স্মৃতি ফুটবল ফাইনাল টূর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার উত্তর শিবপুর সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সামাজিক সংগঠন উত্তর শিবপুর সেবাব্রত সংঘের আয়োজনে মথুরা ও
হস্তিনাপুর দলের ফাইনাল ফুটবল খেলা হয়। খেলায় টাইব্রেকারে হস্তিনাপুর বিজয়ী লাভ করেন।
পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন
সম্পাদক সম্রাট শাহজাহান।
রাজবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
জগন্নাথ বণিকের সভাপতিত্বে ও সেবাব্রত সংঘের সহ-সভাপতি জয়দেব বনিকের পরিচালনায় এসময়
উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. বিশ্বনাথ বসু,উত্তর শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
সভাপতি জিসান আহমেদ,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রশিদ সরকার,যুবলীগ নেতা সোহেল রানা,কৃষ্ণ
বণিক,সেবাব্রত সংঘের সভাপতি শ্রী সুজন বণিক,সাধারন সম্পাদক শৈশব বণিক,সহ-সাধারন সম্পাদক
দেবাশিষ বণিক,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাঁধন বসু,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রাজীব শীল,বলরাম শীল,ধর্ম
বিষয়ক সম্পাদক জয় বণিক ও সহ-ধর্ম বিষয়ক অজিত শীল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে
চ্যাম্পিয়ান দল হস্তিনাপুর খেলোয়ারদের মাঝে ট্রফি তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, উত্তর শিবপুর সেবাব্রত সংগঠনটি
প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানান কর্মকান্ড করেছে। তবে বিশেষ করে গরীব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের
অনুদান,শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ,আর্থিক সহায়তা,খাদ্য সহায়তা,পড়াশুনার খরচ,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়
প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন সাফল্যে ধরে রাখতে সংগঠনের
সদস্যরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের আয়োজনে সকল বয়সের নারী পুরুষদের নিয়ে কুড়িগ্রামে দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করছে।
আজ সকালে কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নে কালে ডাক্তার পাড়া গ্রামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল থেকেই বেশ কৌতূহল নিয়ে ডাক্তারপাড়া গ্রামে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ বয়সী মানুষদের আগমনে মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানটি। এসব খেলা দেখতে এলাকার সব বয়সী মানুষের অংশ গ্রহণে সৃষ্টি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশ। কিছুক্ষণের জন্য অনেকে যেন নিজের বয়স ভুলে ফিরে যান অতীতে কিংবা শৈশবে।
গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে ছিল বিস্কুট দৌড়, হাড়িভাঙ্গা, বালিশ খেলা, সুঁই সুতা, সাঁতার, চোখ বেঁধে হাঁস ধরা, তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে চড়া, পানিতে বলিশ খেলা ও যেমন খুশি তেমন সাজ। সকল বয়সের শতাধিক নারী পুরুষ ৯টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী ৩০জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও পিপি এস এম আব্রাহাম লিংকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান, কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদ, কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরুণ কুমার রায়, বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মিয়া, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার, ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সূর্য, দৈনিক মানবজমিন ও করতোয়ার সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিন্টু, উলিপুর ডট কমের সিনিয়র রিপোর্টার অমিত চন্দ্র পাল প্রমুখ।
খেলা দেখতে আসা মোঃ আব্দুল হাই বলেন, এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের অতীত খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম।
শিক্ষার্থী মোঃ নুর মামুন বলেন, টিভিতে মাঝে মধ্যে এসব খেলা দেখি।আজ স্বচোখে দেখে খুব মজা করছি। আগে গ্রাম গঞ্জে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে বৈশাখী মেলায় গ্রামে গ্রামে এসব খেলা হতো।এখন এগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ও নতুন প্রজন্মদের জন্য এসব খেলা অবহ্যত রাখা উচিৎ।
দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের সভাপতি রেজওয়ানুল হক নুরনবী বলেন, গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আহবায়ক শ্যামল ভৌমিক বলেন, কালের বিবর্তনে গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক যুগে মোবাইল ইন্টারনেটের কারনে এসব খেলা থেকে মানুষজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকার ও সচেতন মহলের উচিৎ গ্রামীণ খেলাধুলাকে বাচিয়ে রাখতে সু দৃষ্টি রাখা।
মন্তব্য করুন
ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গত মাসের পাঁচ তারিখে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি দিয়ে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। দশ দল নিয়ে শুরু হওয়া এই বৈশ্বিক আসর এসে ঠেকেছে দুই দলে। আহমেদাবাদেই স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে এই বিশ্বকাপের। চরম উত্তেজনাকর এই ম্যাচে আসরের সেরা দলের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা দল।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত দুইদলের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা একটি ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখন পর্যন্ত মোট পাঁচবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আগামীকাল তাদের হেক্সা মিশনের চূড়ান্ত লড়াই। অপরদিকে দুইবার বিশ্বজয় করেছে ভারত। তাদের সামনে তৃতীয় শিরোপা হাতে নেওয়ার সুযোগ।
এই ফাইনালের মঞ্চ ভারত বা অস্ট্রেলিয়া কোন দলের জন্যই অপরিচিত নয়। নিশ্চতভাবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য তো নয়ই, অষ্টমবারের মতো তারা ফাইনালের মঞ্চ মাতাবে। কলকাতা, লন্ডন, জোহানেসবার্গ, বার্বাডোস এবং মেলবোর্নে তারা বিশ্বকাপ তুলেছে এমনভাবে যেভাবে বাচ্চারা তাদের খেলনা সংগ্রহ করে। অনেক দলের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা একটি উপলক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার জন্য, এটি জীবন ধারণের একটি উপায়। তবে এবার এই বিন্দুতে তাদের যাত্রা অনিশ্চয়তার মধ্যেই ছিল।
বিশ্বকাপে তারা তাদের প্রথম দুটি ম্যাচই হেরেছে, ৩৮৮ রান করার পরেও প্রায় হারতে বসেছিল, ২৯২ রান তাড়া করতে যেয়ে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারতে বসছিল এবং সেমিফাইনালের প্রথম ঘন্টার মধ্যে তাদের প্রতিপক্ষকে ২৪/৪ করার পরও প্রায় হারতে বসছিল। তবুও তারা সব বাধা অতিক্রম করে ফাইনালে প্রায় চ্যাম্পিয়নও তারা। এটি এমন এক বছরে যে বছরে তারা ইতিমধ্যেই অ্যাশেজ ধরে রেখেছে এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও ঘরে তুলেছে, ক্রিকেট খেলার প্রতিটি ফরম্যাটে তিন বছরের বিশ্ব শিরোপা পূর্ণ করতে তাদের দরকার শুধু আগামীকালের ফাইনাল জয়। পারবে তো কামিন্সরা?
তবে বিশ্বকাপের সাথে অজিদের এতো ইতিহাস থাকার পরেও প্যাট কামিন্স এবং তার দল স্বীকার করবে যে তাদের প্রতিপক্ষ ফাইনালে ফেভারিট হিসাবে শুরু করবে এবং শুধুমাত্র এই কারণে নয় যে তারা স্বদেশী দর্শকদের সামনে ঘরের মাঠে খেলবে। এমনকি যারা সাধারণত ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে থাকেন তারাও ভারতের এই দলের ক্রিকেটের এই সংস্করণে যে নির্ভুলতা এবং আগ্রাসণের সাথে কাজ করেছে তার প্রশংসা করবে। এই ভারতীয় দলের সাথে অনেকেই ২০০০ সালের পরের সব জয় করা বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে মিল পাবেন।
এখানেই রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড়ের কৃতিত্ব। এই ক্যাপ্টেন-কোচ জুটি একটি দলের সাফল্যের জন্য আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডের খেলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা লুকানোর কোনও চেষ্টা করেনি ,একটি দলে সবার সুনির্দিষ্ট ভূমিকা এবং অসামান্য ব্যক্তিগত প্রতিভা দিয়ে ভারতকে অজেয়তার আভাস দিয়ে রেখেছেন।
তবে দ্রাবিড় এবং রোহিত কথা নয় কাজে দেখাও মনোভাবে বিশ্বাসী। বলিউডের সিনেমায় দেখানো হয় যোগ্যতার পিছনে ছুটতে কিন্তু বাস্তব জীবনে এখনও সাফল্য মাপা হয় সার্টিফিকেট এবং ট্রফি দিয়ে এটি দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি। ভারতের সর্বকালের সেরা ওয়ানডে দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে, রোহিতকে কপিল দেব এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অধিনায়কদের সারিতে রাখার জন্য শুধু স্কোরকার্ড এবং পরিসংখ্যান দিয়ে হবে না।
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতের অসাধারণ অধিনায়কত্বের গল্প, শামির প্রথম বলে উইকেট, কোহলির দুর্দান্ত শতক, রোহিতের প্রায় ১০০ এবং বুমরাহর জাদুকরী বোলিংকে ইতিহাসের পাতায় ভালোভাবে স্মরণ করা হবে যদি আগামীকাল ট্রফিটি রোহিতের হাতে উঠে। ভারতের অবশ্যই সাফল্যের কোন ঐশ্বরিক অধিকার নেই এবং অধিনায়ক এবং কোচ একমত হবেন যে তারা কেবল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করতে পারেন। তবে এখন ভারতের এই দলের নিখুঁত সমাপ্তির স্ক্রিপ্ট করার সর্বোত্তম উপায় হল মাঠে জবাব দেয়া।
এই দুই হেভিওয়েটের চেন্নাইতে তাদের ম্যাচ শুরু না করার আগ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপটি খুব একটা দৌড়াতে পারেনি। এই দুইদলের তাদের চূড়ান্ত বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত এটি শেষ হবে না। মোতেরা থেকে খালি হাতে ফিরে আসা অধিনায়কের কীর্তি হতাশায় আবদ্ধ হবে আর অপর অধিনায়ক একটি ১১ কিলো ভরের সোনা এবং রৌপ্যর প্রলেপ দেওয়ায় ট্রফি দিয়ে লোকগাঁথায় অমরত্ব পাবে।
মন্তব্য করুন