বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (ডিপ্রকৌস), কুমিল্লা শাখার ২০২৪-২০২৬টার্মের নির্বাহী কমিটি ও কাউন্সিলর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মোঃ আলমগীর হোসেন সভাপতি ও মোঃ হাবিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিলন আকন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু নোমান, অর্থ সম্পাদক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজীব চন্দ্র দেবনাথ, প্রচার সম্পাদক মোঃ আব্দুর রব, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যান সম্পাদক শিপন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর আলম, নির্বাহী সদস্য মোঃ বাবুল হোসেন, সুমন হোসেন সরদার, জনাব আবু সালেহ মোঃ নাসিম। কাউন্সিলর মোঃ ফারুক হোসেন দেলোয়ার, মোঃ সোহাগ, জসীম উদ্দিন, আয়ুইব আলী সরকার, সঞ্জয় কুমার দত্ত, মোঃ ফয়সাল হাওলাদার।
ডিপ্রকৌস কুমিল্লা শাখা নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামাল উদ্দিন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার পিন্টু দেবনাথ, ও জাহিদুর রহমান কর্তৃক সমন্নয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২৫ নভেম্বর’২৪ তারিখে উল্লেখিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে নির্বাচিত বলে ঘোষনা দেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল
(২ ডিসেম্বর) কোতয়ালী মডেল থানাধীন কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিঃ) মফিজুল
ইসলাম খান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন রাজমঙ্গলপুর পশ্চিম মধ্যপাড়ায়
২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল মিয়া
কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামি হলো: মোঃ সোহেল মিয়া(২৩), পিতা-মোঃ জামাল ভূইয়া,
মাতা-মৃত-আমেনা বেগম ,স্থায়ী: গ্রাম- রাজমঙ্গলপুর (পোঃ-বিবির বাজার) , উপজেলা/থানা-
কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ সোহেল মিয়া এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে
।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন সাবিকুন নাহার তামান্না। তিনি ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ডাকসু নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪টি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভোটে দিনভর ছিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, উচ্ছ্বাস ও উত্তেজনা।
সাবিকুন নাহার তামান্না কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার উপজেলা ইউছুফপুর গ্রামে ছফর উদ্দিন সরকার বাড়ীর মোঃ বেলাল হোসেনের দ্বিতীয় মেয়ে তিনি বর্তমান গাজীপুর জেলা কালিয়াকৈর উপজেলা বসবাস করেন, তিনি ২০১৫ সনে থেকে সপরিবারে গাজীপুরে বসবাস করছেন,তার বাবা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালিয়াকৈর উপজেলার আমীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ডাকসু নির্বাচন ২০২৫-এ প্যানেলটি ২৮টি কেন্পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়লাভ করেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন
সাবিকুন নাহার তামান্নার বাবাকে মেয়ের জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ক্যাম্পাস শহীদ আব্দুল মালেক, শহীদ নিজামী, শহীদ অধ্যাপক গোলাম আজম এর বিজরিত পদধূলি, এবং ২৪শে জুলাইয়ে বিল্পবের গণআন্দোলন সিপাহিদের আত্ম ত্যাগের ক্যাম্পাস, আমি সকল শহীদে আত্মা মাগফিরাত কামনা করছি, সকল শিক্ষার্থীদের কাছে আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী কুমিল্লা (০৪) এর মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহিদকে সাবিকুন নাহার তামান্না বিজয়ী বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবিকুন নাহার তামান্না আমাদের দেবিদ্বারের গর্ব পাশ্চাচ্য খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাহী সদস্য পদে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত হয়ে সে আমাদের দেবিদ্বারকে সম্মানিত করেছে আমরা এই প্রিয় মেধাবী নেত্রীর প্রতি শুভ কামনা রহিল, আগামী দিনে বৃহত্তর অঙ্গনে সে তার মেধা প্রতিভা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করবে এবং নারী জাগরণের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে। আমি তার পরিবারের সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
এইদিকে’ সাবিকুন নাহার তামান্নার এ অর্জনে দেবিদ্বারসহ কুমিল্লা জেলায় আনন্দের বন্যা বইছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান সিজেএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা
(ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান।
উক্ত কনফারেন্সে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সার্বিক
কার্যক্রম সন্তোষজনক মর্মে অভিনন্দন জানানো হয় ।
সন্তোষজনক এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান
(সিজেএ), কুমিল্লা মহোদয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত
ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার, পিবিআই কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কুমিল্লা ইউনিটের পুলিশ
সুপার, একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামছুল তাবরীজ, সিভিল সার্জন
ডাঃ নাছিমা আকতার, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া এবং কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ জসিম উদ্দিন আবাদ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সিজিএম পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়
বিচার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর)
বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বাঁশমঙ্গল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত
অভিযানে আসামী ১। মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এবং ২। মোঃ পাভেল আহমেদ ফয়সাল নামের দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (১৯) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার ধর্মপুর গ্রামের মোঃ
হালিম মিয়া এর ছেলে এবং ২। মোঃ পাভেল আহমেদ ফয়সাল (২৪) একই গ্রামের শাহিন মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত অটোরিক্সা ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরে
শালবন টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গোমতী ওয়ারিয়র্স।
ফাইনাল
খেলায় গোমতী ওয়ারিয়র্স টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে
১৬ ওভারে শালবন টাইগার্স ১০০ রান করেন। দলের পক্ষে অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু ১৪ রান,
মোস্তাফিজ ৩২, ইকরাম ৮, সোহরাব সুমন ৭, শাহ ইমরান ২, আলমগীর ৩ ও সাইফুল সুমন ৪ রান
করেন। শালবন টাইগার্স এর পক্ষে সুমন কবির ও মাইনুল স্বপন ২ টি করে উইকেট পান।
জবাবে
ব্যাট করতে নেমে গোমতী ওয়ারিয়র্স ১৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের দ্বারে পৌছে যান। দলের
পক্ষে সোহান ৩৯ রান, আজাদ ১১, সুমন কবির ২৫, স্বপন ৮, মান্না ৭ রান করেন।খেলায় ম্যান
অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সুমন কবির। সেরা বোলার হয়েছেন মাইনুল হক স্বপন , সেরা ব্যাটার
হয়েছেন সোহান, সেরা ফিল্ডার হয়েছেন মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ এবং টুর্ণামেন্ট সেরা হয়েছেন
সোহান।
এছাড়া
ম্যান অব দ্য সিরিজ পাওয়া সোহানকে ৩ হাজার টাকা ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ পাওয়া সুমন কবিরকে
২ হাজার টাকা উপহার দিয়েছেন ব্ল্যাক পার্ল হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়া
হাসান।টুর্ণামেন্টজুড়ে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করার জন্য শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন
মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, জহিরুল হক বাবু, মো.ইয়াছিন মিয়া, মো.সাফি, জিহাতুল ইসলাম সাকিব।টুর্নামেন্টে
আয়োজনে সহায়তা করার জন্য শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন কুমিল্লা নিউজের সম্পাদক জহিরুল হক
বাবু, ম্যাক নিউজের সম্পাদক ম্যাক রানা, চ্যানেল বাংলাদেশ টিভির শাহ ইমরান, ভোরের শিরোনামের
সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বাশার স্টাফ রিপোর্টার মো.হাবিবুর রহমান মুন্না, দৈনিক সংগ্রামের
জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করিম রাসেল, জাগো কুমিল্লার সম্পাদক অমিত মজুমদার, ডেইলি বাংলাদেশ
মিররের স্টাফ রিপোর্টার রাসেল সোহেল, জাগরণী টিভির প্রতিনিধি আশিকুর রহমান ও এশিয়ান
টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান আজিজুল হক। ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছেন ময়নামতি ও ধর্মসাগর
দল।এছাড়া শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন ব্ল্যাক পার্ল হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
জিয়া হাসান, নুর জুয়েলার্সের পরিচালক আরিফ জামান, হাফসা সুইটস এর পরিচালক সোহেল ভূইয়া,
শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান সুমন সাত্তার আলী।ফাইনালে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও টুর্ণামেন্টের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক মাসুক আলতাফ
চৌধুরী।
প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ সামসুল তাবরেজ।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা আদালতের পিপি ও বিএনপি নেতা কাইমুল
হক রিংকু, কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর পিপি বদিউল আলম সুজন,
প্রতিষ্ঠাকালিন বিএনপির ছাত্র-যুব সংগঠক ও ইর্ষ্টাণ মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
শাহ মো: সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া,
কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তাবিত এড হক কমিটির সদস্য
সচিব সুমন কুমার মিত্র, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আমীরুজ্জামান
আমীর, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক
ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর জামায়াত ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি
কামারুজ্জামান সোহেল, মহানগর বিএনপি নেতা রেজাউল হক আখি, জেলা জাসসের আহ্বায়ক সিরাজুল
ইসলাম মিলন ও সদস্য সচিব রিপন। সকল অতিথিদের হাতে উপহার তুলে দেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের
সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরী।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের
সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক।
এছাড়া
আরো উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার প্রতিনিধি খায়রুল আহসান মানিক, ভোরের কাগজের প্রতিনিধি
এম ফিরোজ, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ
হাসান, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, প্রথম আলোর
আলোকচিত্রী এম সাদেক, দৈনিক কালবেলার ব্যুরো প্রধান দিলীপ মজুমদার প্রমুখ। এছাড়া নকআউট
পর্বের খেলাগুলোতে সম্মানিত অতিথি হিসবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান ও পুরষ্কার বিতরণ
করেন কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও কুমিল্লার বরুড়া সংসদীয় আসনের
সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল আলম হেলাল, কুসিকের সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন,
কুসিকের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়া, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ সারোয়ার
জাহান প্রমুখ।এদিকে ২৫ নভেম্বর কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মিডিয়া
কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লা প্রেস
ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন এবং জামায়াত
ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা
ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব সুমন কুমার মিত্র, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির
যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তাবিত এডহক কমিটির সদস্য আশিকুর
রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন , জামায়াত ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর
সহকারি সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক
সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কুমিল্লা
স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুল আলম চপল, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি খায়রুল
আহসান মানিক, রূপসী বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক বাবু অশোক বড়ুয়া, দৈনিক বাংলার আলোড়নের
প্রধান সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু,
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ, ভোরের কাগজের কুমিল্লা
প্রতিনিধি এম ফিরোজ মিয়া, আর টিভির প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ
রিপোর্টার সাদিক মামুন, ভোরের পাতার সাংবাদিক জাকারিয়া মানিক, প্রথম আলোর আলোকচিত্রী
এম সাদেক। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বাবু, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের কোচ
হাবিব মোবাল্লেগ জেমস, নুর জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারি আরিফ জামান, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেটের
সাবেক কোচ ও কুমিল্লা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের হেড কোচ মো: সারোয়ার জাহান। কুমিল্লা
স্পোর্টস জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন ও হিউম্যান বিয়িং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ টুর্ণামেন্টটির
আয়োজন করা হয়। টুর্ণামেন্ট জুড়ে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন টুর্ণামেন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা
, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ
আহমেদ জিতু। টুর্ণামেন্টে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন কল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের
সিইও রাশেদ রবি।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বর্ণাঢ্য
আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে
বেলুন উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়।
র্যালিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক ও ক্যাম্পাস
প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়,
পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার
আলী। কেক কাটার পর বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, মাননীয় ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এম শরীফুল করীম।
সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মিশন নিয়ে এসেছি। আমার মিশন হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত রেখে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে যা দরকার তা বাস্তবায়ন করা। আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকবে না, গবেষণা হবে তাদের প্রধান মাপকাঠি। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৩জনের মধ্যে ১০১জন শিক্ষকের প্রোফাইল ব্ল্যাঙ্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাজ শুধু পড়াশোনা করানো নয়। তাই আমরা সকলেই পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গিকার করি।'
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘আজকে এখানে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণ করছে, আমি স্মৃতিচারণের দিকে যাব না। আমি একজন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনের পর এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন হয়েছে। আজকে এই দিনটি দেখার জন্য আমাদের আব্দুল কাইয়ুমের জীবন গেছে এবং আরো অনেকই আহত হয়েছেন। এখন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হচ্ছে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'এবারের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের মনে বিশেষ এক অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। এই অনুভূতির জন্য আমাদেরকে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজকের এই দিনে আসতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের ত্যাগকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেই সাথে আমি প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের একটাই অঙ্গীকার হোক, আমরা সকলেই একে অপরের সহিত মিলেমিশে, কোনো বিভাজন না করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। মনে রাখবেন আপনার সন্তান যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রথম চয়েস না রাখে তাহলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা। তাই চলুন একসাথে কাজ করি, একসাথে এগিয়ে যাই।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'শুরুর দিক থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তবে গত ১৫-১৬ বছর তো আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম, সে ইতিহাস আর কী বলব। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমাদের পক্ষে মাত্র চারটি ভোট পড়তো। সবাই আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করতো, এমনকি পত্র-পত্রিকায়ও এটা নিয়ে লেখা হতো।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এক ঐতিহ্যের ইতিহাস। শুরুতে আমাদের কিছুই ছিল না, বিগত ১৯ বছরে আমাদের ইতিহাস হয়েছে, গৌরব হয়েছে। আমরা পনেরোজন শিক্ষক শুরু করেছিলাম, কারো পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। এখন প্রতিমাসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা অনেক অবহেলার শিকার হয়েছি। আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একটা নতুন মাইলফলক গড়তে চাই।'
অনুষ্ঠানে
আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন
হলের প্রভোস্টগণ সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
দেবিদ্বারে বিষধর সাপের কামড়ে সায়েমা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
হয়েছে।মৃত সায়েমা ওই এলাকার সৌদিপ্রবাসী ইয়ার হোসেনের বড় মেয়ে। সে খাইয়ার নবধারা আদর্শ
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের খাইয়ার গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় এ
ঘটনা ঘটে।
নিহতের
পরিবার জানায়, প্রতিদিনের
মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিল সায়েমা। রাত আনুমানিক ১২ টার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ সায়েমা ঘুম থেকে চিৎকার করে
ওঠে। তাৎক্ষণিক পাশের কক্ষ থেকে দৌড়ে এসে দেখা যায় তার হাতে সাপের কামড়। এরপর সে
অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে। প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে তার
অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম বইছে।
দেবিদ্বার
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মো. ইলিয়াস বলেন, স্কুলছাত্রীর
সাপের কামড়ে মৃত্যুর বিষয়ে নিহতের পরিবার আমাদের জানায়নি। অভিযোগ থাকলে আমরা
ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের রুই জাতীয় পোনামাছ অবমুক্তকরণ এবং বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক মৎস্যচাষী ৯১ জনের মাঝে ৭৯১ কেজি রুই জাতীয় পোনামাছ অবমুক্তকরণ এবং বিতরণ করা হয়।
এই সময় রুই জাতীয় পোনামাছ অবমুক্তকরণ এবং বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা মৎস্য দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ খালেকুজ্জামান সরকার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার আউলিয়া খাতুন, কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তানজিলা ফেরদৌসী, কুমিল্লা আদর্শ সদরের সিনিয়র উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা হিজবুল বাহার ভূঁঞা, কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম সহ সুফলভোগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকা থেকে দলনেতাসহ আট জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
গত ২৭ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের
নিকট হতে ২ টি চাকু, ৪ টি ক্ষুর ও ৭ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ নিলয় ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ রোকন মিয়া, সাং-
অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ২। মোঃ ইমতিয়াজ মিনহাজ আকাশ (১৯), পিতা-
মোঃ গোলাম রাব্বানী মাসুম, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
বাপ্পি (১৯), পিতা-মৃত আবুল খায়ের, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৪। পিয়াল খন্দকার (১৯), পিতা-মোঃ বশির খন্দকার, সাং- গাজীপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৫। মোঃ আব্দুল কাদির (১৯), পিতা-মোঃ সোয়াব আলী, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি সাং-
উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে গ্রেফতার এবং আইনের সাথে
সংঘাতে জড়িত শিশু ৬। শাহাদাত হোসেন মাহি (১৭), পিতা-মোঃ নাদের হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর,
থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৭। রাকিবুল হাসান (১৬), পিতা- মোঃ সোহেল রানা,
সাং- উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা এবং ৮। মোঃ মুনতাছির মাহমুদ@
সামির (১৭), পিতা-মোঃ মীর হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের
ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং
এর সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়
ভীতির মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির
মাধ্যমে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে
আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের
বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ লিটন মিয়া (৪৫) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯ টায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটককৃত লিটন মিয়া (৪৫) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের সিতুলিয়া এলাকার মো: আবদুল হাকিমের ছেলে।
অভিযান পরিচালনাকালে ৫২.৫ কেজি গাজা, ২০০ পিস ফেনসিডিল বোতল জব্দ করা হয়েছে।
আসামি এবং মাদকদ্রব্যসমূহ উক্ত ব্যক্তিকে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন