

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জুলাই চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে জোট হবে।
সেখানে সকল ইসলামি দল,জুলাই চেতনাকে ধারন করে এসম সমমামনা দল নিয়ে এক বৃহৎ জোটের জন্য আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে আলেম-ওলামা ও ইসলামি রাজনীতিকদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচন যত কাছে আসবে, আমাদের এ প্রক্রিয়া তত দৃশ্যমান ও সুসংগঠিত হবে।
দিন দিন জামায়াতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পক্ষান্তরে অন্য একটি দলের জনপ্রিয়তা কমছে। ওই দলটি গত কয়েকদিন আগেও হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। দেশের জনগন কোন চাঁদাবাজ ফ্যাসিবাদকে আর চায় না।
শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা কেন্দ্র নির্বাচনী সমাবেশে জামায়াত নেতা আবুল কালাম মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর এডভোকেট মু. শাহজাহান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমীর মাহফুজুর রহমান, বাতিসা ইউনিয়ন নির্বাচনের অঞ্চল পরিচালক মজিবুর রহমান ভুঁইয়া।
ডা: তাহের আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন চায়। যেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যেন তেন উপায়ে কারো চাপিয়ে দেয়া নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। জাতীয় নির্বাচন এই নির্বাচন হবে ভারতীয় আধিপত্যবাদ, দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রিয় জনগণের বিজয়ের নির্বাচন।
এই নির্বাচন হতে হবে সন্ত্রাস ও দখলদার মুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রত্যেক ভোটারের কাছে দাঁড়িপাল্লার প্রতীকের আহবান পৌঁছে দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
জামায়াত নেতা মাস্টার কামাল উদ্দিন ও আবদুল কাইয়ুম মানিকের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সাইয়েদ রাশীদুল হাসান জাহাঙ্গীর, এম ইউসুফ, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন মিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন মজুমদার। এরআগে প্রধান অতিথি ডা: তাহেরকে ফুলেল শুভেচছা জানান সমাজসেবক মহসিন মজুমদার, আবদুল হক, মো: লিটন।
এ সময় যুবনেতা নুরুল করিম মামুন, পেয়ার আহমেদ, হোসাইন মোহাম্মদ কাউসার, জাফর আহমেদ, রেজাউল করিম মিন্টু, ইব্রাহিম চৌধুরী অরুপ, ফরহাদ হোসেন, ওহিদুর রহমানসহ লুদিয়ারা, কুলিয়ারা, কালিকসার ও দুর্গাপুর গ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। এছাড়া একই সময়ে মহিলা সমাবেশে বিপুল সংখ্যক উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১২৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি
কাভার্ডভ্যান গাড়ীসহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত ২ টা ৪৫ মিনিটে
চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
চৌদ্দগ্রাম থানাধীর সুজাতাপুর লাকি হোটেলের পশ্চিম পাশে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী মহাসড়কে
একটি কাভার্ডভ্যান তল্লাশী করে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মোরশেদ আলম
সোহেল, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মোঃ ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো-১। খাগড়াছড়ি
জেলার মানিকছড়ি থানাধীন যোগ্যছোলা ৬নং ওয়ার্ড এলাকার খোরশেদ আলম এর ছেলে মোঃ মোরশেদ
আলম সোহেল (২৫), ২। নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন সাং—মাছিমপুর, ০৪নং ওয়ার্ড, ১৬নং
নেওয়াজপুর ইউপি এলাকার হাজী তোফায়েল আহমেদ এর ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (৩৮), ৩।খাগড়াছড়ি
জেলার মানিকছড়ি থানাধীন সাং—যোগ্যছোলা, (চেয়ারম্যানপাড়া) ৬নং ওয়ার্ড, ৩নং যোগ্যছোলা
ইউপি এলাকার মোঃ সাজু মিয়ার ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৫), ৪। চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর
থানাধীন পশ্চিম সাপমারা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ ওমর ফারুক (১৯)।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম
থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার জাল নোটসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: মাধবপুরের সুলতানপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে রোজিনা আক্তার রোজা (২২) এবং নোয়াপাড়ার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা নূর হোসেনের মেয়ে হামিদা খাতুন (১৬)। তাঁদের কাছ থেকে ১ হাজার, ৫০০ ও ২০০ টাকার জাল নোটসহ মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
হবিগঞ্জ জেলা ডিবির ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, রোজিনা ও তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে নোয়াপাড়া বাজারে জাল নোট দিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা এক সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে তিন কেজি আমড়া কিনে ১ হাজার টাকার জাল নোট দেন। পরে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে একইভাবে প্রতারণা করার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, অভিযানের সময় রোজার মা পালিয়ে যান। জাল নোট চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


সুজন মজুমদার, বরুড়া:
কুমিল্লা জেলা বরুড়া উপজেলায় ১০০ জন প্রান্তিক মাছ চাষীকে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে ১০০০ কেজি কার্প মিশ্র মাছের পোনা।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৭ ও ১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা মৎস্য দপ্তর আয়োজনে উপজেলার পরিষদ ও পয়ালগাছা স্থানে মোট ১০০০কেজি কার্প মিশ্র পোনা (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ) ১০০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মাছ চাষিদের মাঝে এ পোনা বিতরণ করা হয়।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান নিতু নেতৃত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ হাছানের সভাপতিত্বে দুইদিন ব্যাপি প্রান্তিক মাছ চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে পোনা মাছ বিতরণ করা হয়।
প্রান্তিক মাছ চাষীদেরকে পোনামাছ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০২৪ সালের বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ মৎস্য চাষিকে প্রণোদনার অংশ হিসেবে ১০০০ কেজি পোনা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রান্তিক মাছ চাষী হেলেনা আক্তার বলেন, পোনা পেয়ে অনেক খুশি। বন্যার কারনে পুকুরের সব মাছ চলে যায়। আজ মাছ নিয়ে পুকুরে মাছ পেলে চারপাশে বাঁধ তৈরি করি।
অন্য আরেকজন মাছ চাষী মিজানুর রহমান বলেন, লাখ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে, সেখানে কি আর ১০কেজি পোন মাছে পৌষবে?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পরিচালক (জেলা মৎস্য অফিস) অশোক কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য অফিসার (রিজার্ভ) জনাব সুদীপ্ত মিশ্র, লালমাই উপজেলা মৎস্য অফিসার হাবিবুর রহমান ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে বিভিন্ন চামড়া জাত উৎপাদিত পন্য সামগ্রী বিক্রি করা জনপ্রিয় শপ স্যাচল মার্ট এর দ্বিতীয় শাখার (জুতা সামগ্রী) উদ্বোধন হয়েছে।
আজ শনিবার ( ১৬ আগস্ট) দুপুরে নগরীর সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্স এর তৃতীয় তালায় দোয়া ও মোনাজাত এর মাধ্যমে উক্ত শপ এর উদ্বোধন করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্সে কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মার্কেট মসজিদের খতিব।
এ সময় স্যাচল মার্ট এর স্বত্বাধিকারী তুহিন আলম, নুর মোহাম্মদ জানান, সাত্তার খান কমপ্লেক্স এর শপ স্যাচল মার্ট দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার বাসীর জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত লাভ করে আসছে। আমরাও সুনামের সাথে ব্যবসার কাজ পরিচালনা করতেছি। আমাদের আগে ছিল চামড়া জাত পণ্য যেমন লেডিস ব্যাগ, স্কুল কলেজ পড়ুয়া সকলের জন্য ছোট বড় ব্যাগ, ছোট-বড় ট্রলি ব্যাগ,বেল্ট, ওয়ালেট সহ অন্যান্য সামগ্রী কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আজকে থেকে আমরা বিভিন্ন রকমের জুতার সামগ্রী নিয়ে স্যাচল মার্ট এর দ্বিতীয় শাখা উদ্বোধন করেছি। বিশেষত স্যাচল মার্ট এর বেশিরভাগ পণ্য সামগ্রী চায়না থেকে ইমপোর্ট করা। তাই আমরা পণ্য সামগ্রীর কোয়ালিটি মেইনটেইন করে থাকি।
স্যাচল মার্ট এর বিক্রয় কর্মী জানান, আমাদের নতুন জুতার কালেকশনে রয়েছে স্লিপার, ব্লক হীল, পেন্সিল হিল, বেলেন্স হিল, ডক্টর সেন্ডেল, ডক্টর সু, কোট সু, পার্টি সু, রাফ ইউজ ও বাচ্চাদের জন্য সকল আইটেম।
উল্লেখ্য, আজ এবং আগামীকাল সকল ৩০% ও শর্তপ্রযোজ্যে ৫০% ডিসকাউন্ট চলমান থাকবে, এছাড়া ও দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইনে বিক্রয় করা যাবে। অনলাইনে ক্রয় করতে স্যাচল মার্ট ফেসবুক পেজ ফলো করুন।
মন্তব্য করুন


বন্যার পানি কমে এলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ, মানুষের কষ্ট।
গৃহহীন মানুষগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
এ মানুষগুলোর ঘরবাড়ি পুনর্বাসনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
কুমিল্লায় স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যায় অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিবেক যেটি হলো মানবতার তরে কাজ করা সামাজিক সংগঠন মানুষদের আশ্রয়স্থল পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১১সেপ্টেম্বর বিবেক এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু এর নেতৃত্বে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের নমষোদ পাড়া ও ইন্দ্রবতি গ্রাম এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বালেশ্বর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের মাঝে গৃহ পূর্ণনির্মাণের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয় ।
অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস নিয়ে বিবেকের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


বন্যা দুর্গত অঞ্চলে ও কুমিল্লা মহানগরীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু।
উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুমিল্লা জিলা স্কুলের আশ্রয় কেন্দ্রে চাহিদা মত রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, মেডিসিন, ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী দিয়ে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে বিবেক ।
কুমিল্লাতে এরই মধ্যে কুমিল্লা হাই স্কুল, সংরাইশ সালেহা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ধর্মপুর মহিলা সরকারি কলেজর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রত্যেকের চাহিদা অনুযায়ী উপহার সামগ্রী বন্টন করেছে আত্ম মানবতার সেবায় নিয়োজিত সংগঠন বিবেক ।
পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কাজ করে আসছে সংগঠনটি ।
সহযোগিতা প্রদানের কাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই ইউসুফ মোল্লা টিপু আশ্বস্ত করেছেন বন্য পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন সহ অনেক উদ্যোগ বিবেক হাতে নিয়েছে যার কার্যক্রম কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে।
এখানে
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিবেক সংগঠন থেকে যা কিছু করা হয় সেগুলোর আর্থিক অনুদান একমাত্র
বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু'র নিজ অর্থায়নে করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবীতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার দুপুর ১২ টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, কতিপয় অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রী শিক্ষা বোর্ডের এখতিয়ার বহির্ভূত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে গেটে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করাসহ গালমন্দ এবং ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তারই প্রতিবাদে সারাদেশে আন্তঃবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মানববন্ধন করে।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ‘ভদ্র জ্বীনের
বাদশা’ পরিচয় দেওয়া এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার
দক্ষিণ রাজানগর তুপ্পার পাড়ে চাঁদা তুলতে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
আটক ওই ব্যক্তির ওমর ফারুক নিজেকে
‘ভদ্র জ্বীনের বাদশা’ পরিচয় দিতেন।
স্থানীয়রা জানান, ‘ভদ্র জ্বীনের বাদশা’
নামে এই ব্যক্তি বড়ুয়া থেকে মুসলিম হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়
ঘুরে ঘুরে জ্বীন হাজিরের মাধ্যমে বিভিন্ন কিছু সমাধান করবে বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা
নিয়ে ধোঁকাবাজি করে আসছে। কয়েক দিন আগেও তিনি এক শিক্ষকের অবসরের টাকা, আত্মীয়-স্বজনকে
দেওয়া ধারের টাকা ফেরত এনে দেবে বলে ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এরপর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ
হয়ে যান।
সম্প্রতি তিনি তার মেয়ের বিয়ে দিবে
বলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে চাঁদা নিচ্ছেন। শুক্রবার সোনারগাঁ এলাকায় চাঁদা নিতে
গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) সুজন হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে
আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি;
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুমিল্লা জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পূজা উৎসবকে ঘিরে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী রাজরাজেশ্বরী কালী বাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে।
মেজর সাদমান বলেন, “পূজা মণ্ডপে র্যাবের নিয়মিত টহল, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ এবং জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল টহল পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা শহরসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা থাকবে।”
মেজর সাদমান আরও জানান, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় র্যাব সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। পূজার সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য র্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
এবারের দুর্গাপূজায় কুমিল্লা জেলার ৮১২টিরও বেশি পূজা মণ্ডপ বসছে। প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের সদস্যরা নিয়মিত টহল ও পর্যবেক্ষণে থাকবেন। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে থাকবে কন্ট্রোল রুম, মেটাল ডিটেক্টর এবং হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার।
সাংবাদিকদের মাধ্যমে মেজর সাদমান কুমিল্লার সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানান, পূজার সময়ে সন্দেহজনক কিছু দেখলে বা কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে। “নিরাপত্তা শুধু বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেন তিনি জানান ।
মন্তব্য করুন