

মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম:
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসাস জেলা শাখার আহ্বায়ক জাকি মোঃ আহসান হাবিব সজিব এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। কর্মী সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসাস জেলা শাখার সদস্য সচিব নুর জামাল বাহাদুর। জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহে আলম। কর্মী সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজিবপুর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুব রশিদ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, যুবদল রাজিবপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মিরন মোঃ ইলিয়াস, আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদ লিখন, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ মোজাম্মেল হক, সদস্য সচিব মোঃ কামাল হোসেন বিএসসি, কৃষক দল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ সুরমান আলী সাবেক মেম্বার, সদস্য সচিব মোঃ আবু সাঈদ কাসেম, ছাত্রদল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ মোখলেসুর রহমান, সদস্য সচিব নাজমুল মাহমুদ, কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ পলাশ মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


মাগুরায় বাংলাদেশ
টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান
জোহার মালিকানাধীন মাগুরার বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
গত শুক্রবার
রাত সাড়ে ১০টার পর শহরের জেলা জজ আদালতের সামনে অবস্থিত ‘জোহা ভবনে’ এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী
প্রতিবেশী তরুণ কুমার জানান, রাত ১১ টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বোতলে পেট্রোল ভরে এনে
ভবনের পেছনের দিকে প্রবেশ করে। তারা মূল ফটক ও জানালার অংশে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত
পালিয়ে যায়। আগুন দেখে প্রতিবেশীরা এসে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার ব্যাপারে
তানভীর হাসান জোহা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা
বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমি দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার
দাবি জানাচ্ছি। জজ আদালতের মতো সুরক্ষিত এলাকায় এ ধরনের হামলার পর স্থানীয়দের মধ্যে
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত
সংগ্রহ করেছে। এই নাশকতার পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং
জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


১৭৫ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসেন
বর। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে না করেই বিয়ের আসর থেকে চলে গেলেন বর।
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের কালুয়ারকান্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও আগামী
রোববার সবার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিয়েতে বর ছিলেন উপজেলার আয়ূবপুর ইউনিয়নের
ঘাসিরদিয়া গ্রামের আলতাব হোসেন সরকারের ছেলে সাব্বির হোসেন সরকার (৩০)।
কনের মা সেলিনা বেগম জানান, আলোচনা
করেই গত এক সপ্তাহ আগে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে। সময়মতো বর তার আত্মীয়স্বজনসহ ১৭৫
জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করবে এমন সময় বরের
বড় বোন সাবিনা ও ছোট বোন নিপা বলেন, কনের আগে বিয়ে হয়েছে দুই বাচ্চা রয়েছে— এই বিয়ে হবে না। সেসময় কনের গায়ের
জামাকাপড় জোর করে খুলে নিয়ে বিয়ের আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান। কনের আগে
বিয়ে হয়েছে এটা জানতো তারা; কিন্তু দুই বাচ্চা আছে এটা মিথ্যা কথা বলেছে। ঘটনার পরে
বরের বাড়ির এলাকার চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকারকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ বিয়ে উপলক্ষে আড়াই লাখ টাকা খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয়।
বরের বড় বোন সাবিনা বলেন, কনের আগে
বিয়ে হয়েছে আর বাচ্চা আছে এটা আমরা আগে জানতাম না।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকার
বলেন, আমি বর পক্ষের লোকজনকে বলেছিলাম বসে মীমাংসা করতে। তারা আসেনি।
শিবপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র
সমন্বয়ক আসিফ, রাকিব, সুমনা ও সাহেদের কাছে কনের মা অভিযোগ করলে তারা বরের বাড়িতে
গেলে বর ও বরের বাবাকে না পেয়ে বরের মামাকে থানায় নিয়ে আসেন। থানার ওসি উপস্থিত না
থাকায় আগামী রোববার সবার উপস্থিতিতে বসে মীমাংসা করা হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আফজাল হোসেন জানান, শিবপুরের ছাত্র সমন্বয়করা বরের বাড়িতে গেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
বিদায় লগ্নে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহম্মেদ খাঁন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অভিজ্ঞতা, অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খাঁন বলেন, “কুমিল্লা আমার কর্মজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি সবসময় মানুষের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, মাদকবিরোধী অভিযান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা— সবক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশ পুলিশের কাজকে আরো গতিশীল করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কুমিল্লাবাসী আমাকে যে ভালোবাসা, সম্মান ও সহযোগিতা দিয়েছে— তা আজীবন স্মরণে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা বিদায়ী পুলিশ সুপারের সৎ, নিষ্ঠাবান ও মানবিক কর্মকৌশলকে প্রশংসা করেন। তারা বলেন, তার নেতৃত্বে কুমিল্লার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুসংহত ছিল। বিভিন্ন থানা উন্নয়ন, কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার, অভিযোগ নিষ্পত্তির গতি বৃদ্ধি— এসব উদ্যোগ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম বাবু, সিনিয়র সদস্য সহিদউল্লাহ, ওমর ফারুকী তাপস,দিলীপ মজুমদার,দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিক হোসেন মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু,বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবুসহ জেলা ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক, ডিবি ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
পরিশেষে বিদায়ী পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খাঁনের হাতে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব, কুমিল্লা ইয়ুথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব এবং কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে স্মারক উপহার তুলে দেওয়া হয়। তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সফলতা কামনা করেন সবাই।
মন্তব্য করুন


রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে ১৬টি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ দুলাল।
তিনি বলেন, রোববার (২৩ জুন) সকাল থেকে দুই দফায় সাপের বাচ্চাগুলো জনসমক্ষে বের হয়ে আসে। প্রথমে সকাল ৯টার দিকে ৯টি। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৭টি সাপের বাচ্চা বের হয়ে আসে। দুই দফায় মোট ১৬টি সাপ বের হয়ে আসে। সাপগুলো মানুষের সামনেই ঘোরাফেরা করে। পরবর্তী সময় সাপগুলো পুলিশ উদ্ধার করে এবং বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-সিলেট
মহাসড়কের কুমিল্লার দেবীদ্বারে বাস-ট্রাক ও লরির ত্রিমুখী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত
হয়েছেন। আহতদের দেবীদ্বার উপজেলা সদর ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আজ
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার চরবাকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কের
যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুর্ঘটনার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া।
স্থানীয়দের
বরাত দিয়ে তিনি জনান, কুমিল্লাগামী একটি মালবাহী ট্রাক পাংচার হয়ে মাঝ রাস্তায় থেমে
যায়। এ সময় পেছন থেকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে দেবীদ্বারগামী রয়েল সুপার এসি নামে একটি বাস
ও দেবীদ্বারগামী একটি লরি ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি দুমরে-মুচরে যায়। অপরদিকে
বাস ও লরিটিও রাস্তার পাশে উল্টে যায়।
এতে
তিনটি যানবাহনের চালকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির তথ্য
নেই বলে তিনি জানান।
তবে
তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেতে পারেননি ওসি।
মন্তব্য করুন


নব-নির্বাচিত কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নের্তৃবৃন্দের দেবীদ্বারে আগমন
উপলক্ষে আনন্দ
র্যালী করেছে
দেবীদ্বার উপজেলা ও
পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল।
শনিবার দুপুরে দেবীদ্বারের বানিয়াপাড়া থেকে
আনন্দ র্যালীটি বের
হয়ে বিভিন্ন সড়ক
প্রদক্ষিন করে
পৌর সদরের রুবেল চত্বরে এসে
শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি
কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আন্দন, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এস এম ইমরান হাসান, পৌর বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন আহাম্মদ ভিপি মাহফুজ, উপজেলা বিএনপি'র
সদস্য সচিব
কাজী মাসুদ হাসান, উপজেলা বিএনপি'র নেতা আবুল হোসেন লিপু, উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন
নিজামী, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনসহ আরো
অনেকে।
মন্তব্য করুন


হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের দানার দোল ঘাটের কাছে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে একটি বড় শাপলা পাতা মাছ নিলামে তোলা হয়।স্থানীয়দের মতে, কামাল মাঝি ও তার দল নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণ অংশে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে ভোরে জাল টেনে তুলতে অস্বাভাবিক ভার অনুভব করেন। পরে তাদের ট্রলারের ১৫ জন জেলে এবং পাশের আরেকটি ট্রলারের জেলেদের সহায়তায় বড় আকারের ওই মাছটি তোলা সম্ভব হয়। বিকেলে দানার দোল ঘাটে নিলামে মাছটি স্থানীয় ব্যবসায়ী খবির উদ্দিন ক্রয় করেন।জেলে কামাল মাঝি বলেন, দীর্ঘদিন লোকসানের মধ্যে থাকতে হয়েছে। এত বড় মাছ পাওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞ হলেও উপযুক্ত ক্রেতা না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে।
এদিকে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফয়েজুর রহমান জানান, এই ধরনের শাপলা পাতা মাছ আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রজাতির তালিকায় রয়েছে। এটি ধরা, বিক্রি বা ভক্ষণ—সবই নিষিদ্ধ, কারণ প্রজাতিটি বিপন্ন এবং সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন


সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুরে সোনামুখী
কাঠের আসবাবপত্রের মেলায় যাদু প্রদর্শনীর আড়ালে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করার দায়ে ১০
জনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর রাতে
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত
এ দণ্ডাদেশ দেন।
এর আগে রাত ১২টার দিকে সেনাবাহিনী ও
এনএসআই সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক অশ্লীল নৃত্য শিল্পী, যাদু প্রদর্শনীর
প্যান্ডেল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও দর্শকদের আটক করে।
আটকদের মধ্যে থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে
১০ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকিদের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শারদীয় দুর্গাপূজা
উপলক্ষে সোনামুখীতে প্রায় ৩০০ বছর ধরে কাঠের আসবাবপত্রের মেলা বসে। এই মেলা মাসব্যাপী
স্থায়ী হয়। এ বছরও যথারীতি মেলাটি শুরু হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বাইরে যাদু প্রদর্শনীর
সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে টিকিট বিক্রির করে ভেতরে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছিল। এলাকার
কিছু স্থানীয় নেতার সহযোগিতায় মেলায় ৪টি প্যান্ডেল স্থাপন করে অশ্লীলতা চালানো হয়।
এ বিষয়টি জানতে পেরে এনএসআই ও সেনাবাহিনীর
সদস্যরা সেখানে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলগুলো ভেঙে
ফেলা হয়।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তার জানান, আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি সোনামুখী মেলায় অশ্লীল
নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছে, পরে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা
হয়। এদের মধ্যে অশ্লীলতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় ১০ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া
হয়েছে।
উক্ত অভিযানে এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক
আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর চন্ডীদার বিওপি কর্তৃক
২৬ লক্ষ ৫৭হাজার ৫শত টাকা মূল্যের বাংলাদেশী পিকআপসহ ভারতীয় অ-বৈ-ধ গাঁজা জ*ব্দ।
গতকাল ১৭ মে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ
এলাকার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা রাজনগর নামক স্থান
হতে অভিনব কায়দায় চোরাচালানের সময় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন
অবস্থায় ২৬ লক্ষ ৫৭হাজার ৫শত টাকা মূল্যের
৪৫ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ ১ টি টাটা পিকআপ জব্দ করে।
সর্বদা সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির
আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায়
সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ করা হচ্ছে বলে
জানিয়েছেন সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ জিয়াউর রহমান,
পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, এএসসি।
মন্তব্য করুন


লক্ষ্মীপুরে এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চের মালিককে নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ১০
হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সদরের মজু চৌধুরীর হাটের লঞ্চঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের
মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর
রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান ও নৌপুলিশের
এএসআই মো. সাইফুজ্জামান।
জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে যাত্রীদের উপচেপড়া
ভিড় সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে লঞ্চগুলো সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত
যাত্রী পরিবহন করছে। এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে ভোলার
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও লঞ্চটি না থেমে চলতে থাকে। এমন অভিযোগে
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায়
অভিযান চালানো হয়। স্পিডবোডে চড়ে ধাওয়া করে মাঝ নদীতে লঞ্চটি থামানো হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ
আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদ এলেই লক্ষ্মীপুর
ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় থাকে। এ সুযোগে কিছু অসাধু লঞ্চ ঝুঁকি জেনেও
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদীপথে যাতায়াত করে।
যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন